নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামী লীগ আজ থেকে মুসলিম লীগ হয়ে গেল!!

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫

নির্বাচন কমিশনের উচিত একটি না ভোটের ব্যবস্থা ব্যালট পেপারে রাখা। আমি নিশ্চিত, চলমান রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম আর কোনো রায় দেবে না। আর সংসদের ৩০০ টি আসনে যদি এই না ভোটের আয়োজন করা হয়, ৩০০ আসনে না ভোট-ই জয়যুক্ত হবে। আওয়ামী লীগ গত নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকর করবে বলে তুরণ প্রজন্মের ভোট পেয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। ক্ষমতায় গিয়ে জাতির সামনে তারা বিচারের মূলা ঝুলিয়েছে। আগামী নির্বাচন সেই মূলার জোরে পাস করতে চায়। বিএনপি তো জামায়াতের এখন ছোটভাই। রাজনৈতিক নির্দেশনা দেয় জামায়াত মিঞাভাই। বিএনপি তাই বাস্তবায়ন করে। এখন আওয়ামী লীগও সেই মিঞাভাইরে কোলে তুলে নিল।

বাংলাদেশের চলমান রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি দুই জনের চরিত্রই একই। ক্ষমতায় গেলে চুরি চামারি লুটপাট দুর্নীতি এসব করা। আর ক্ষমতার বাইরে থাকলে হরতাল। সংসদে তারা ইতিহাসের বকবকানি দিয়ে কোটি টাকা নষ্ট করে। গোলাম আজমের বিচারের রায় নিয়ে আওয়ামী লীগের আপোষে যে শ্রেণীর মানুষ মন্দের ভালো হিসেবে আওয়ামী লিগকে ভোট দিতো, এখন তাদের কলিজায় আঘাত দিলো আওয়ামী লীগ। যুদ্ধাপরাধীদের এক লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে মেরে ফেললে সেই বিচারে জাতি বরং খুশি হবে। এই তামাশার বিচারে জাতি এখন ক্ষুব্ধ। এই রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে জাতি যতোদিন বেরোতে না পারবে ততোদিন স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিপক্ষের শক্তি এগুলো মূলার নমুনা। এগুলো জাতিকে শুনিয়ে ক্ষমতায় থাকার বাসনা। সেই বাসনার মায় এখন মরছে। শেখ হাসিনার সেই বাসনা আর পূরণ হবে না। আজ থেকে আওয়ামী লীগ মুসলিম লীগের মতো আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হল। এখন যা যা করবে সব ভুল করবে। মানুষ নিজের ভুল বুঝতে না পারলে এক সময় পাগল হয়ে যায়। আওয়ামী লীগও পাগল হয়ে গেছে। এখন তারা যা করবে যে সিদ্ধান্ত নেবে, সব ভুল নেবে।

সাড়ে চার বছরের দুর্নীতি, লুটপাট, টেন্ডারবাজি, চুরি-চামারি, খুন, গুম এগুলো সাধারণ মানুষ এক সময় ভুলে যাবে। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে ভোটের রাজনীতি এটা মানুষ আর মন থেকে মেনে নেবে না। ক্ষমতায় যাবার পায়ে আওয়ামী লীগ নিজেই কুড়াল মারলো। ৫-০ গোলে সিটি কর্পোরেশানে হেরে আওয়ামী লীগ উন্মাদ হয়ে গেছে। সেই পাগলামী থেকে তাকে আর কেউ রক্ষা করতে পারবে না। যুদ্ধাপরাধীর প্রধান হল গোলাম আজম। তার তো ৯০ বার ফাঁসি হওয়া উচিত। আর তার হল ৯০ বছরের কারাদণ্ড। গো-আজম তো আর ৯০ বছর বাঁচবে না। সো, এটা তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টারা কোথায় কোথায় কার কার সাথে মিটিং করে এই রায় বের করলো, জাতি তা একদিন জেনে যাবে। ইলকট্রনিক যুগে গোপন কিছুই আর গোপন রাখা যায় না রে ভাই।

আজ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো দিন। আওয়ামী লীগ জামায়াত আর হেফাজতের ভয়ে সেই কালো দিনের প্রযোজক। এটা জাতির ইতিহাসে চিরদিন লেখা থাকবে। এখন সবার কাছে সুস্পষ্ট কেন তাজউদ্দিন জাতির কাছে উপযুক্ত সম্মান পায়নি। কেন আওয়ামী লীগ আতাত করে। আওয়ামী লীগ যে লোভ পড়ে এই গোপন আতাতটি করলো, তা কোনো ভালো ফল বয়ে আনবে না। খোদ আওয়ামী লীগের লাখ লাখ মাঠকর্মী খুব হতাশ। এই তামাশার রায় জাতি মানবে না। আর আওয়ামী লীগের এই তামাশার রাজনীতি, দুর্বল অদূরদর্শী ভঙুর নের্তৃত্বের উন্মাদ অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তও জাতি আর ভবিষ্যতে মানবে না।

যদি আগামী নির্বাচনে না ভোটের অপসান না থাকে, আমাকে দয়া করে কেউ ভোটের জন্য ডাকবেন না। এই বর্বর রাজনীতি আমি ঘৃণা করি। থুঃ থুঃ থুঃ.....গোলাম আজমের এই রায় মানি না। মানবো না। রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.