নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
'দ্য ওল্ড ওয়াইন ইন এ নিউ বোটল' সেই একই পুরানা প্যাচাল। জন্মের পর হইতে কেবল ক্যাচাল করিতেই তাহারা বড্ড ভালোবাসে। ঘোষাল মহাশয়ের কুলেজ পড়ুয়া মেয়েটি কেন গ্রামের সব্বার চাইতে সুন্দরী হইলো? ইহা ক্যাচাল সাহেবরা কিছুতেই মানিয়া লইতে পারিতেছেন না। আর যাহা হউক ভগবানের এমুন একটা কাজ করা উচিত হয় নাই! কুতুব সাহেব গ্রামের মোড়ল, অথচ তাহার মেয়েটি এখনো আইবুড়ু হইয়া রহিলো। রাখালবালকরা পর্যন্ত কুতুব মোড়লের মেয়ের দিকে ফিরিয়াও তাকায় না। কারণ, তাহার রূপের মধ্যে কিসের যেনো একটা আধিক্য আসিয়া রূপকে শ্রীহীন করিয়া রাখিয়াছে। যাহার কুদরতি বুঝিবার সাধ্য ক্যাচালেও উদঘাটন হয় না সত্য, কিন্তু কুতুব মোড়লের মুখের আড়ালে যে গভীর ক্ষত তাহা দেখিয়া যে কেউ সেই কষ্টের ঠিকানা মালুম করিতে পারেন।
মলম দিয়াও সেই ক্ষত ঢাকিবার মতো প্রচেষ্টাও কম হয় নাই। কিন্তু সেই চেষ্টায়ও কুতুব মোড়লের আউবুড়ু মেয়েকে পার করা সম্ভব হয় নাই। তাই পেছনে অনেকে এই বলিয়া খোটা মারে, কুতুব মোড়লের ইহা কপালের দোষ। হিন্দুদের জমি দখল করিয়া মোড়লগিরি করিতে গিয়া স্বয়ং খোদার ইচ্ছায় তিনি এই শাস্তি ভোগ করিতেছেন। ইহাতে মানুষের কোনো হাত নাই...
ঘোষাল মহাশয়ের নিজের জমি সবটুকু দখল হইয়া গিয়াছে। কিন্তু নিজের সৎ পরিশ্রমে তিনি যাহা কিছু আয় করেন, তাহা দিয়া মেয়েকে লেখাপড়া করাইতেছেন। ভগবানের কৃপা থাকলে খারাপ মানুষের হাজারো বদমতলব বা কুচেষ্টাকেও পাশ কাটাইয়া জীবনে জয়ী হওয়া যায়। ঘোষাল মহাশয়ের মেয়েও যেমন সুন্দরী তেমনি মেধাবী। দেখিতে দেখিতে চোখের সামনে ওয়ান-টু-থ্রি-ফোর-ফাইভ করিয়া এখন কলেজ পাশের দরজায় আসিয়া আরেকটা চমক দেবার দিন গুনিতেছে। আসল নাম লক্ষী হইলেও ঘোষাল মহাশয়ের এই মেয়ে স্বরস্বতী'র আশির্বাদও পুরোপুরি পাইয়াছে। আপর রূপ তো তাহার স্বয়ং মা লক্ষী'র মতো হইয়াছে। তো, লক্ষী যাহাই ভালো করুক, তাহা নিয়াই কুতুব মোড়লের লোকজনের রাতের ঘুম হারাম। প্যাচাল পারিতে পারিতে ক্যাচাল বাধাইবার জন্য তাহারা যেনো উঠিয়া পরিয়া লাগিয়াছে।
ঘোলা জলে কোলের পোলাও মাছ শিকাড় করিতে সক্ষম। কিন্তু স্বচ্ছ জলে দক্ষ মাছ শিকাড়ি ছাড়া সেই বাহাদুরী দেখাইবার জো নাই। পোলার বাপের তখন ন্যাংটি খুলিয়া টুপি বানাইলেও মাছ ধরিবার কৌশলে নিশ্চিত ফেল করিবার দশা। তবু বুকের মধ্যে বড় স্বপ্ন নিয়া ঝোপ বুঝিয়া কোপের আশায় তাহারা বসিয়া থাকে। তাহাতে দুনিয়াদারির কিছুই যায় আসে না। সূর্য আগের মতো পূর্বে উঠিয়া পশ্চিমে অস্ত যায়। দোল পূর্ণিমায় লক্ষীদের উঠোনে ভারী আনন্দে সবাই যখন রামায়ন শুনিতেছিল, তখনই কুচক্রীদের কেউ পেছন থেকে ঘোষাল মহাশয়ের ঘরে আগুন লাগাইয়া দেয়! কিন্তু তাহাতে ঘোষাল মহাশয়ের মনের স্বর্গে কেউ উত্তাপ তৈরি করিতে পারে না। ইহাই পরবর্তী সময়ে কুচক্রীদের বড়োই দুঃশ্চিন্তার বিষয়।
.................................চলবে................................
২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: ।। লেখা চমতকার হইয়াছে।। স্পেলবাইন্ডার
৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩
আল ইফরান বলেছেন: মাথার কয়েক ফুট উপর দিয়া গেলো , সিগনাল ফেইল
৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০২
আপেল বেচুম বলেছেন: শিরঃনামটা এরকম হওয়া উচিত ছিল- !! সুচক্রদণ্ডীর উঠোনে কুচক্রীদের কোলাহল !! রেজা ঘটক
পোস্ট সংক্রান্ত মন্তব্য - ।। লেখা বুঝলাম না ।। আপেল বেচুম
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৫
প্রিয়ভাষিণী বলেছেন: ঘোলা জলে কোলের পোলাও মাছ শিকাড় করিতে সক্ষম
কি যে বলেন না! ঘোলা জলে চতুর শিকারীর পক্ষেও তো মাছ শিকার করা কষ্টকর!
আমিতো পারবোই না।