![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
২০০৭ সালে সাহিত্যে নোবেলজয়ী প্রখ্যাত ব্রিটিশ সাহিত্যিক দোরিস লেসিং আর নেই। আজ সোমবার খুব ভোরে লন্ডনে নিজের বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তাঁর গ্রন্থের প্রকাশক হারপার কলিন্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আজ সোমবার খুব ভোরে তিনি নিজের বাড়িতে বেশ প্রশান্তভাবেই মৃত্যুবরণ করেছেন। দোরিস লেসিংয়ের বিখ্যাত বইগুলোর মধ্যে 'দ্য গোল্ডেন নোটবুক', 'মেমোরিজ অফ এ সার্ভাইভারস', 'দ্য সামার বিফোর দ্য ডার্ক' সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। ২০০৭ সালে ৮৮ বছর বয়সে দোরিস লেসিং সবচেয়ে বেশি বয়সি কেউ সাহিত্যে নোবেল জয় করেন। তাঁর দীর্ঘ দিনের বন্ধু ও এজেন্ট জোনাথন ক্লোয়েজ বলেন, তিনি ছিলেন একজন চমৎকার লেখিকা এবং বিষয়ের দিক দিয়ে ভারী শুদ্ধ প্রকৃতির। তাঁর সঙ্গে কাজ করাটা বড়ই সৌভাগ্যের। তাঁকে আমরা চিরদিন মনে রাখব। হারপার কোলিন্স ইউকে'র সিইও চার্লি রেডমায়েনি বলেন, দোরিস লেসিং আমাদের সময়ের একজন অন্যতম সেরা লেখিকা। তিনি যা বিশ্বাস করতেন তা প্রকাশ করতে তিনি কখনোই দ্বিধা করেননি। তিনি ছিলেন একজন বড় মাপের যাদুকরী গল্পকথক।
বর্তমান ইরানে দোরিস লেসিং জন্মগ্রহন করেছিলেন। শিশু বয়সে তাঁর পরিবার রোডেশিয়া চলে যায়। যেটি এখনকার জিম্বাবুয়ে। তারপর অনেক ঝড়ঝাপটার পর ১৯৪৯ সালে তিনি ইংল্যান্ডে সেটেলড হন। ১৯৫০ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস 'দ্য গ্রাস ইজ সিংগিং' প্রকাশিত হয়। তারপর ১৯৬২ সালে তাঁর 'দ্য গোল্ডেন নোটবুক' পাঠক মহলে দারুন সাড়া ফেলে।
১৯৩৯ সালে দোরিস বিয়ে করেন ফ্রাঙ্ক উইসডোমকে। তাঁদের দুটি সন্তান। ১৯৪৩ সালে তাঁদের ডিভোর্স হয়। তারপর ১৯৪৫ সালে দোরিস বিয়ে করেন জার্মান কমিউনিস্ট গদপ্রেইড লেসিংকে। তাঁদের একটি পুত্রসন্তান পিটার। কিন্তু ১৯৪৯ সালে পুনরায় তাঁদের ডিভোর্স হলে দোরিস ছেলে পিটারকে নিয়ে ইংল্যান্ডে চলে যান।
©somewhere in net ltd.