![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
বাংলাদেশে গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতার সুযোগে হলুদ সাংবাদিকতা বেড়েছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যম বলতে এখন যা যা আছে সেগুলো হল- সরকারি ও প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল, দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকা, সরকারি রেডিও, প্রাইভেট এফএম রেডিও, অনলাইন পত্রিকা, ডিসলাইন ও প্রাইভেট ক্যাবললাইন, ফেইসবুক, ট্যুইটার সহ অসংখ্য স্যোসাল মিডিয়া আর প্রাইভেট মোবাইল ফোন। এই সবগুলি মাধ্যমেই নানা ধরনের সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। সেই খবরের অধিকাংশেরই কোনো গ্রহনযোগ্য বা নির্ভরযোগ্য সূত্র যেমন নেই, তেমনি উল্টো রয়েছে সংবাদ চুরির হিরিক। অবাধ তথ্য সংগ্রহের সুযোগে অহরহ সংবাদ চুরি হচ্ছে বাংলাদেশে। গত বছর বাংলা একাডেমিতে হে ফেস্টিভালের প্রতিবাদ স্বরূপ আমি ফেইসবুক ও সামহোয়ারইন বাংলা ব্লগে একটি লেখা পোস্ট করেছিলাম। এ বছর পিপিলিকা বাংলা সার্স ইঞ্জিনে হে উৎসব সার্স দিয়ে একটি অভিনব চুরির সন্ধান পেলাম। ডেসটিনি একটি দৈনিক পত্রিকা। গত বছরের হে উৎসব নিয়ে ডেসটিনি'র একটি সংবাদ পড়তে গিয়ে দেখি, ওটা আমার লেখা। ডেসটিনি সেটি সোর্স হিসেবে নিউজ ডেক্স নামে চালিয়ে দিয়েছে। এমন কি একটি দাড়ি-কমা পর্যন্ত পরিবর্তন করেনি। একটি দৈনিক পত্রিকার সাধারণত নানা ধরনের সাংবাদিক থাকে। বাংলা একাডেমি'র কথিত হে উৎসব কাভার করার জন্য নিশ্চয়ই কেউ দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল। যদি না থাকে তাহলে সরাসরি সোর্স উল্লেখ করা তো দোষের কিছু না। তাই বলে নিউজ ডেক্স বলে অন্যের লেখা সরাসরি কপি-পেস্ট করে চালিয়ে দেওয়া কতোটা হলুদ সাংবাদিকতার মধ্যে পড়ে?
বাংলাদেশে এখন হাজার হাজার গণমাধ্যম। অনেকের আবার লাইসেন্স পর্যন্ত নাই। অনেকে আবার অনলাইন সাংবাদিকতার নামে ভি্ওআইপি ব্যবসা করছেন। আবার যারা লাইসেন্সধারী, তাদের কেউ কেউ স্পটে না গিয়ে ঘরে বসেই সংবাদ লিখে ই-মেইল করে পাঠিয়ে দিচ্ছেন নিজেদের অফিসে। আপনি যদি দেশের বহুল পঠিত দৈনিক প্রথম আলো'র কথাই ধরেন, তাদের কালচারাল পাতার অনেক সাংবাদিক ঘরে বসেই নিউজ লেখে পত্রিকা অফিসে মেইল করে কাজ সার, এটার আমি হাজার হাজার উদাহরণ দিতে পারব। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টি বুঝবেন। ধরুন, আজ শিল্পকলা একাডেমিতে 'রাজা'র শো। তো ওই সাংবাদিকের হয়তো একবার 'রাজা' নাটকটি দেখা আছে। অথবা তার কোনো বন্ধু'র নাটকটি দেখা আছে। অথবা তার কাছে 'রাজা' নাটকের সারসংক্ষেপ আছে। যেটি নাটকের শো'র আগে দর্শকদের কাছে দল থেকে বিলি করা হয়। সাধারণত সংবাদ মাধ্রমে নিউজ পাবার আশায় অনেক সময় দল থেকেই প্রেসরিলিজের সঙ্গে নাটকের সংক্ষিপ্ত পরিচয় লিপিও গণমাধ্যম অফিসে পাঠানো হয়। এবার ওই চতুর সাংবাদিক ঘরে বসেই আজকের 'রাজা'র শো কেমন গেল, তাই নিয়ে মনগড়া কাহিনী বানান। কয়েক জন কথিত দর্শকের মতামতও হুড়ে দেন। যেমন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল থেকে আগত অমুক 'রাজা' নাটকটি দেখে এই বলেছেন। যাত্রাবাড়ি থেকে আগত অমুক সেই বলেছেন। শ্যামলী থেকে আগত অমুক এই কথা বলেছেন। মিরপুর থেকে আগত তমুক এসব বলেছেন, ইত্যাদি। সঙ্গে জুড়ে দেন 'রাজা' নাটকের কাহিনী'র সংক্ষিপ্ত ভার্সান। আপনি যদি পত্রিকা পাঠক হন আপনার পক্ষে ওই সাংবাদিকের এই চালাকি ধরার কোনো সাধ্য নাই।
কিন্তু আপনি যদি 'রাজা' নাটকটি যারা করে, সেই দল প্রাচ্যনাটের কেউ হন। যদি আপনি 'রাজা' নাটকের কোনো কুশিলব হন, তো চট করেই এই চালাকি ধরতে পারবেন বলে ভাবছেন? মোটেই না। আপনাকে আরো সতর্ক না হলেও এটা ধরা সম্ভব নয়। কিভাবে? ধরুন, 'রাজা' নাটকে একটি চরিত্র করেন রাহুল। রাহুল অসুস্থ থাকায় সেই চরিত্রটি আজ করলো তাপস। কিন্তু আপনি পত্রিকায় কি পড়লেন? রাহুলের অভিনয় খুব সুন্দর হয়েছে। দর্শকরা খুব এনজয় করেছেন। বাস্তবে অভিনয় করলো তাপস। আর পত্রিকায় পড়লেন রাহুল। অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন, হয়তো ভুলে রাহুলের নামই আসছে। কারণ আগে ওই চরিত্র তো রাহুল করতো। ওই সাংবাদিক শিল্পকলায় একেবারেই যাননি। কিন্তু শিল্পকলার আজকের নাটকে কে কতো সুন্দর অভিনয় করলেন, তা লিখে দিলেন পত্রিকায়। আমরা সেই বানোয়াট খরব পড়ছি। তারচেয় বড় কথা আমরা বানোয়াট খবর টাকা দিয়ে কিনছি। অথচ আজকে যে 'রাজা' নাটকে একটু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র রাহুলের পরিবর্তে তাপস অভিনয় করেছে, এবং তাপস মোটেও খারাপ করেনি, বরং রাহুলের অভাব দর্শকদের বুঝতেই দেয়নি, সো তাপসের সেই খবরটি না হোক অন্ত বাহাবা টা পাবার কথা ছিল। কিন্তু চতুর চোর সাংবাদিকের কারণে আমরা পত্রিকায় তাপসের কোনো উপস্থিতি দেখলাম না। এটা কি অপরাধ নয়? 'রাজা' নিয়ে একদম সংবাদ না হওয়াটা বরং আলাদা কথা। কিন্তু সংবাদ যখন হল, সেটি তো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট খবর। এটি কেন আমি টাকা দিয়ে কিনব? তার চেয়েও বড় কথা আমি কেন মিথ্যা সংবাদ পড়তে বাধ্য হব?
আমাদের হাজারো টাইপের সংবাদ মাধ্যম তৈরি হলেও, হাজার হাজার সংবাদকর্মী থাকলেও আমরা এই পাচ্ছি!! সাংবাদিকতার ক-খ-গ জানে না কিন্তু এক একজন মস্তবড় সাংবাদিক!! এবার একটু এর পেছনের কারণে খোঁজ নেওয়া যাক। বাংলাদেশে যেমন পাঁচ বছর পর পর সরকার বদল হয়, তেমনি এক এক সরকারের আমলে এক শ্রেণী'র গণমাধ্যম রাতারাতি ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠে। এদের মধ্যে যারা লাইসেন্স পায় তারা প্রায় সবাই সেই আমলের সরকারি দলের অনুচর বা অনুঘটকের কাজ করে। কারো হয়তো গার্মেন্স কারখানা আছে। কোটি টাকা মুনাফা হয়। আগামীতে এমপি নির্বাচন করার খায়েস। তিনিও একটা পত্রিকা বা একটা টেলিভিশন চ্যানেল খুলে বসলেন। তার পছন্দের বা দলীয় লোকদের সেই পত্রিকা বা টেলিভিশনে নিয়োগ দেওয়া হল। যাদের সাংবাদিকতায় ন্যূনতম জ্ঞান পর্যন্ত নাই। এবার সে দায়সারা গোছের সংবাদ সংগ্রহ করে, অন্যেরটা চুরি করে, কাজ সেরে ফেললো। এখন তো যে সাংবাদিক যে দল করেন, তাকে সেই দলের বিট করতে দেওয়া হয়। সে তখন মনের মাধুরী মিশিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে।
আপনি যদি অনলাইন পত্রিকায় চোখ বোলান, দেখবেন সেখানে চুরি'র হার আরো অনেক বেশি। কোন জিনিসটা সংবাদ আর কোন জিনিসটা সংবাদ নয়, সেই ন্যূনতম সেন্স পর্যন্ত যাদের নেই, তারাও অনলাইন পত্রিকা চালাচ্ছেন। গুজবের যেমন পাখা আছে, আমাদের সাংবাদিকদের তেমনি হাজার হাজার পাখা আছে। এরা ঘরে বসেই সকল সংবাদ উড়ে উড়ে সংগ্রহ করেন। ঘুরে ঘুরে নয়। দেশের নেগেটিভ জিনিস নিয়েই আমাদের সাংবাদিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ। কোনো পত্রিকায় পজেটিভ নিউজ হেডলাইন হয় না। কারণ, পজেটিভ নিউজের নাকি পাঠক নাই। এটা কে বললো? পত্রিকা নিজেই এ বিষয়ে মন্তব্য করে থাকে। আমাদের অনলাইন পত্রিকাগুলো দেখবেন রোজ কোনো না কোনো বিষয়ে জরিপ থাকে। কেমন জরিপ সেহুলো? চলুন আজকের জরিপটা একটু দেখে আসি-
১. বিডিনিউজের আজকের প্রশ্ন- তবুও আশা:
বিএনপি এখন রাজি না হলেও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ‘স্বার্থে’ শেষ পর্যন্ত ‘সর্বদলীয়’ মন্ত্রিসভায় যোগ দেবে বলে আশা করছেন এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ। আপনি কি তা মনে করেন? হ্যাঁ বা না
২. প্রথম আলো অনলাইনে আজকের প্রশ্ন-
নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক সংকট মেটাতে রাষ্ট্রপতি হস্তক্ষেপ করবেন বলে মনে করেন কি?
হ্যাঁ বা না বা মন্তব্য নেই
৩. দ্য ডেইলি স্টারের আজকের প্রশ্ন-
Do you think this polls-time government could be called an all-party government?
No অথবা Yes
এরকম হাজারো উদাহরণ দেওয়া যাবে। একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন, যে পত্রিকার যে বিষয়ে বেশি চুলকানি, সে কিন্তু সেই বিষয়ে প্রশ্ন করছে। প্রায় ক্ষেত্রেই বিষয় কিন্তু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই। নতুনত্ব কিছু নেই।
বাংলাদেশের মত একটি মধ্যম আয়ের দেশে কি একটিও পজেটিভ নিউজ নেই? যে দেশের ভূ-খণ্ড প্রায় ৫৬ হাজার বর্গমাইল। যেখানে প্রায় ষোল কোটি মানুষের বসবাস। যেখানে কৃষিতে প্রায় বছরই উচ্চফলন হচ্ছে। নতুন জাতের ধান বানাচ্ছে আমাদের কৃষক। নতুন নতুন শবজি চাষ করছে। নতুন নতুন কত হাজারো খবর আমাদের চারপাশে। যার একটি পড়লেই সারা দিন মন ভালো করে চলা যায়। কিন্তু আমাদের গণমাধ্যম সেই পজেটিভ বাংলাদেশকে দেখতে পায় না। সেখানে তারা সবাই সমানভাবে অন্ধ। উল্টো চোর-বদমায়েস-লুণ্ঠরকারী-কালোবাজারি-দুর্নীতিবাজ-চালবাজদের খবর গোটা সংবাদ মাধ্যম জুড়ে। কে অফিসে ২০ দিন পড়ে গেল সেটাও নিউজ!! হরতালের কারণে কে কে কাজ না পেয়ে না খেয়ে ছিল, সেটা কেন নিউজ হল না???
কারণ, রাজনৈতিক দুবৃত্তায়নের দেশে সাংবাদিকতাও এখানে দুবৃত্তায়িত হয়েছে। এখানে সাংবাদিকতার নামেও চলছে গুণ্ডামি। আমার এক পুলিশ বন্ধু জানালেন, নারায়নগঞ্জের কোনো একটি এলাকায় একটি পারিবারিক কলহের জের ধরে এক মহিলা বিষ পানে আত্মহত্যা করেছেন। আমার ওই বন্ধু খবর পেয়ে থানার ওসি সাহেবের নির্দেশে ঘটনাস্থলে কয়েকজন সিপাহীসহ গেলেন। লাশের ময়নাতদন্ত করার জন্য লাশ হাসপাতালে নেওয়ার জন্য যখন পুলিশের দল রেডি, তখন সেখানে এক সাংবাদিক এসে পুলিশের কাছে টাকা দাবী করলো। যদি ওই সাংবাদিককে টাকা দেওয়া না হয়, তাহলে যে সংবাদ সে লিখবে, তা যাবে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের উপর মাস্তানি, একবার ভাবুন তো ঘটনা টা!! আসল ঘটনা নিয়ে ওই সাংবাদিকের মাথা ব্যথা নাই। লাশ কেন হাসপাতালে নেওয়া হবে, সেজন্য পুলিশকে সেখানে ফাঁন্দে ফেলিয়ে টাকা আদায় করার চেষ্টা করছে কথিত সেই সাংবাদিক। সে কি সাংবাদিক নাকি চাঁদাবাজ?
এবার পুলিশ যতোই আইনের দোহাই দিক, পরদিন আমরা কিন্তু পত্রিকায় যা পড়ব, সেখানে মনে হবে, পুলিশের হয়তো বাড়াবাড়ি ছিল। সাংবাদিক তো আর কিছু না ঘটলে পুলিশের পেছনে লাহবে না। বাংলাদেশে এখন পুলিশের চেয়েও সাংবাদিকরা বেশি দুর্নীতিতে জড়িত। যদি আমার এই কথাটি কেউ চ্যালেঞ্জ করতে চান, তাকে আমি হাজার হাজার উদাহরণ দিতে পারব। এই যদি হয় একটি দেশের সাংবাদিকতার নমুনা। সেই দেশ তো চাকা লাগিয়ে আগাতে চাইলেও সাংবাদিকরা বলবে আগে আমাদের চাকার বকশিস দেন। নইলে চাকা সম্পর্কে উল্টাপাল্টা লিখে দেব। অথচ গণমাধ্যমকে বলা হয় একটি দেশের ফোর্থ স্টেট। একটি দেশের চিত্র কেমন, তা গণমাধ্যম নানাভাবে প্রকাশ করার কথা। কিন্তু বাংলাদেশে কি হচ্ছে? এখানে কি সত্যিকার অর্থে কোনো সাংবাদিকতা হচ্ছে?
এখানে গণমাধ্যমের যে দল পছন্দ সেই দলের পক্ষে নিউজ হচ্ছে। এখানে গণমাধ্যমের যে নেতাকে পছন্দ তার পেছনে লম্বা সাংবাদিকদের লাইন। আমাদের ৫০ জনেরও বেশি মন্ত্রী। আমি সবার নাম বলতে পারব না। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়েই বলতে চাই, আপনারা অনেকেই সবার নাম বলতে পারবেন না। কিন্তু রোজ দেখবেন, একদল মিডিয়াবাজ মাত্র গুটি কয়েক মন্ত্রী'র পেছন পেছন ঘোরে। তারা বায়ূ নির্গত করলেও সেটা তাদের কাছে নিউজ। এটা গণমাধ্যমের দেউলিয়াত্বই প্রমাণ করে। গণমাধ্যমের সংখ্যা যতো বাড়ছে, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের দেউলিয়াপনাও ততোই বাড়ছে। খবরের পেছনে না ছুটে গণমাধ্যম ছুটছে কিছু নির্দিষ্ট লোকের পেছনে। সেখানে কোনো খবর না থাকলে সেদিন তাদের মাথায় হাত।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমও দিন দিন দুবৃত্ততায়নে গলিতে ঢুকে দুবৃত্তায়িত হচ্ছে। যে কারণে তারা দিনে দিনে দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। তাদের কাছে কোনো খবর নাই। তারা অলস বসে ঝুমোচ্ছে। খবর না পেলে অন্যের সংগ্রহ করা খবর রাতরাতি চুরি করে মেরে দিচ্ছে। এটা গণমাধ্যমের নৈতিক অধপতনের কাল চলছে। স্বাধীন গণমাধ্যমের সুযোগ নিয়ে যেখানে গণমাধ্যমের আরো বিকশিত হবার কথা ছিল, সেখানে দিন দিন সেই গণমাধ্যম বাংলাদেশে দুবৃত্তায়নের ফাঁদে আটকা পড়ে নৈতিকতা বিসর্জন দিচ্ছে। ফাঁক দিয়ে হলুদ সাংবাদিকতার হার বেড়ে যাচ্ছে। এভাবে স্বাধীন গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশে গণমাধ্যম আসলে দিন দিন পিছিয়ে যাচ্ছে। এই পিছিয়ে যাওয়াটা মানসম্মত খবরে যেমন থাকছে। মানহীন খবরে সেখানে জগাখিচুড়ি পাকাচ্ছে। এভাবে একটি দেশের গণমাধ্যম বেড়ে উঠলে আতংকিত হতে হয়। ভয় হয়, এরা কারা? এরা কি চায়? তাহলে কি এরা সত্যি সত্যিই পাপারাজ্জি? বাংলাদেশের স্বাধীন গণমাধ্যম এখন পাপারাজ্জিকেও হার মানাচ্ছে। ধিক এই গণমাধ্যমকে। ধিক হলুদ সাংবাদিকতাকে।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭
রেজা ঘটক বলেছেন: জি ভাই, খাঁন রোজেন, তাই তো দেখছি...ধন্যবাদ আপনাকে
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১২
বোকা ছেলে ৯৮৯ বলেছেন: দেশে এতো হলুদ চাষি। আমরা ইচ্ছা করলেই হলুদ রপ্তানি করতে পারি। অন্য সব শিল্পের মতো হলুদ শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে হলুদ।
৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৮
puronodin বলেছেন: দারুন পোষ্ট......।
৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬
অর্ধমানব ও অর্ধযন্র বলেছেন: দেশে এখন সবচেয়ে বেশি ক্ষমতার অধিকারী হচ্ছে সাংবাদিকরা। তারা যা বলবে তাই দলিল, তাই ঘটনা। দেশের গণমাধ্যম সেক্টরটা শেষ পর্যন্ত পচেই গেল।
৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৮
রাবার বলেছেন: সহমত
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭
শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: দুইএকটি পত্রিকা বাদে সবইতো কপি পেষ্ট।