নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনীতির ভরা কাটাল মরা কাটাল!!!

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

জোয়ার-ভাটা দিনে দুইবার করে হয়। দুইবার জোয়ার হয়। দুইবার ভাটা হয়। সাধারণত সমুদ্রের কাছাকাছি জায়গাগুলোতে জোয়ার-ভাটা ভালো করে দেখার সুযোগ আমার হয়েছিল। বাংলাদেশের বেশ কিছু এলাকায় আমি বিভিন্ন ধরনের গবেষণা কাজ ও ভ্রমণের কারণে এই দুর্লভ জোয়ার-ভাটা সচক্ষে দেখার সুযোগ পেয়েছি। জায়গা গুলো হল, সুন্দরবনের গহীন অরন্যের মধ্যে কয়রায় ও হিরণ পয়েন্ট। একেবারে দক্ষিণের থানা দাকোপে। মংলা বন্দরের কাছে বাজুয়া বাজারে। বরগুনা, বামনা, পাথরঘাটায়। কলাপাড়া, খেপুপাড়া, গলাচিপায়। ভোলা, চরফ্যাশনে। সন্দীপ-হাতিয়ায়। পতেঙ্গা, কক্সবাজার, মহেশখালী, সেন্টমার্টিনে। এসব জায়গা গুলোতে জোয়ারের সময় বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় অনেক বেশি পানির উচ্চ চাপ লক্ষ্য করেছি। আবার ভাটার সময় অনেক বেশি পানির নিম্ন চাপও দেখেছি। জোয়ার-ভাটা দেখার জন্য বাংলাদেশের কোস্টাল এরিয়াগুলো সবচেয়ে বেশি সুন্দর। দেশের অন্যান্য এলাকা থেকে অমন জোয়ার-ভাটা কারো নজরে আসার কথা নয়।

জোয়ার-ভাটা কেন হয়? জোয়ার ভাটার একমাত্র প্রধান কারণ পৃথিবীর উপর চন্দ্রের আকর্ষণ। পৃথিবীর সঙ্গে চন্দ্রের এই আকর্ষণ নির্ভর করে দূরত্বের উপর। চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। এটি পৃথিবীকে একটি নির্দিষ্ট উপ-বৃত্তাকার কক্ষপথে প্রতিনিয়ত প্রদক্ষিণ করে। ফলে পৃথিবী-চন্দ্র সমাহারের অবিরত পরিবর্তন হচ্ছে। জোয়ার-ভাটার সাথে এর ভারী কঠিন সম্পর্ক। আবার মহাকর্ষ শক্তির প্রভাবে চাঁদ ও পৃথিবী একে অপরকে আকর্ষণ করে। পৃথিবীর উপর চাঁদের এই আকর্ষণের প্রভাব দূরত্বের উপর নির্ভর করে। পৃথিবীর যে পাশ চাঁদের দিকে থাকে সে পাশে চাঁদ থেকে দূরত্ব কম থাকায় আকর্ষণ বেশি থাকে। আর পৃথিবীর অপর পাশে চাঁদ থেকে দূরত্ব বেশি থাকায় আকর্ষণ কম থাকে। এই আকর্ষণই জোয়ার-ভাটার সাথে সম্পর্কিত।

পৃথিবীর যে পাশে চাঁদ থাকে সে পাশে চাঁদের আকর্ষণে পৃথিবীপৃষ্ঠের সমুদ্রের পানি তার নিচের মাটি অপেক্ষা বেশি জোরে আকৃষ্ট হয়। এ কারণে চাঁদের দিকে অবস্থিত পানি বেশি ফুলে উঠে। একই সময়ে পৃথিবীর যে অংশ চাঁদের বিপরীত দিকে থাকে, সেদিকের সমুদ্রের নিচের মাটি তার উপরের পানি অপেক্ষা চাঁদ কর্তৃক বেশি জোরে আকৃষ্ট হয়। আবার চাঁদ থেকে পানির দূরত্ব মাটি অপেক্ষা বেশি থাকায় পানির উপর চাঁদের আকর্ষণ কম থাকে। ফলে সেখানকার পানি চারিদিকে ছাপিয়ে উঠে। এক্ষেত্রে ফুলে উঠার কাহিনীটিই ঘটে। ফলে একই সময়ে চাঁদের দিকে এবং চাঁদের বিপরীত দিকে পৃথিবীর সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির এই ফুলে উঠাকে বলে জোয়ার। আবার পৃথিবী ও চাঁদের ঘুর্ণনের কারণে চাঁদ পৃথিবী থেকে দূরে সরে গেলে ফুলে ওঠা পানি নেমে যায়। পানির এই নেমে যাওয়াকে বলে ভাটা। পৃথিবী যে সময়ের মধ্যে নিজ অক্ষের চারদিকে একবার আবর্তন করে (এক দিনে) সে সময়ের মধ্যে পৃথিবীর যেকোন অংশ একবার চাঁদের দিকে থাকে এবং একবার চাঁদের বিপরীত দিকে থাকে। এ কারণে পৃথিবীর যেকোন স্থানে দুইবার জোয়ার এবং দুইবার ভাটা হয়।

এছাড়া জোয়ার-ভাটার জন্য সূর্যের আকর্ষণও অনেকটা দায়ী। তবে সূর্য পৃথিবী থেকে অনেক দূরে থাকায় সূর্যের আকর্ষণ চাঁদের আকর্ষণের চেয়ে সাধারণত কম কার্যকর। তবে সূর্য এবং চাঁদ যখন সমসূত্রে পৃথিবীর একই দিকে বা বিপরীত দিকে অবস্থান করে তখন উভয়ের আকর্ষণে সর্বাপেক্ষা উচু জোয়ার হয়। তখন জোয়ারের পানি সবচেয়ে বেশি ছাপিয়ে পড়ে। এই অবস্থাকে আমরা বলি ভরা কাটাল বা উঁচু জোয়ার। আর পৃথিবীকে কেন্দ্র করে সূর্য এবং চাঁদের মধ্য কৌণিক দূরত্ব যখন এক সমকোণ পরিমাণ হয় তখন একের আকর্ষণ অন্যের আকর্ষণ দ্বারা প্রশমিত হয়। তখন সবচেয়ে নিচু জোয়ার হয়। যাকে আমরা বলি মরা কাটাল বা নিচু জোয়ার। কিন্তু জোয়ার বলতে আমরা শুধুমাত্র সমুদ্রের পানির স্ফীতিকেই বুঝি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে চাঁদ-সূর্যের আকর্ষণে পৃথিবীর স্থলভাগেও অনুরুপ প্রভাবের সৃষ্টি হয়। যেটা খালি চোখে অনুভব করা যায় না। পানির ওঠানামা চোখে পড়ে বলেই চাঁদ, সূর্য আর পৃথিবীর এই খেলা আমরা জোয়ার-ভাটার মাধ্যমেই দেখতে পাই। সারাদিনে এই খেলা মোট চারবার ঘটে। দুইবার জোয়ার আর দুইবার ভাটা।

চন্দ্র-সূর্য-পৃথিবী'র এই মহাকর্ষ খেলায় যেমন দিনে চারবার জোয়ার-ভাটা হয়, তেমনি আমাদের রাজনৈতিক মাঠে আমরা জোয়ার-ভাটার খেলা দেখি। যখন যে দল ক্ষমতায় যায়, তাদের তখন জোয়ার। কখনো কখনো তা ভরা জোয়ারেও রূপ নেয়। যেমন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠের সরকার। আর যারা বিরোধীদলে থাকে তাদের তখন ভাটা। কখনো কখনো তাদের কপালে ঘটে মরা কাটাল বা নিচু জোয়ার। যখন কম আসন নিয়ে বিরোধীদলে থাকতে হয়। ১৯৯০ সালের পর ১৯৯১ সালে যখন বিএনপি সরকার গঠন করেছিল, সেটা ছিল বিএনপি'র স্বাভাবিক জোয়ার। তখন আওয়ামী লীগের ছিল স্বাভাবিক ভাটা। আবার ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছিল, তখন আওয়ামী লীগের ছিল স্বাভাবিক জোয়ার। তখন বিএনপি'র ছিল স্বাভাবিক ভাটা। কিন্তু ২০০১ সালে যখন বিএনপি সরকার গঠন করলো, তখন বিএনপি'র ছিল ভরা জোয়ার। আর আওয়ামী লীগের ছিল মরা কাটাল। ঠিক ২০০৯ সালে আবার আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করলো, তখন আওয়ামী লীগের ভরা জোয়ার। আর বিএনপি'র তার উল্টো মানে মরা কাটাল।

এখন আমরা রাজনীতির ভরা কাটাল আর মরা কাটাল যুগ পার করছি। এই যুগটা স্বাভাবিক যুগের চেয়ে বেশি স্পর্শকাতর। ভরা কাটালে যারা ক্ষমতায় থাকে তাদের দম্ভ, লুটপাট, চুরি-চামারি, দুর্নীতি থাকে সীমাহীন। বিপরীতভাবে যারা ক্ষমতার বাইরে থাকে তাদের উপর চলে নিপীড়ন, জেল-জুলুম-অত্যাচার, হামলা-মামলা, খুন, গুম, নির্যাতন। তো যে কারণে, বিএনপিকে এখন মরা কাটাল যুগ পারি দিতে হচ্ছে। একই অবস্থা আওয়ামী লীগ ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মোকাবেলা করেছে। এটা বাংলাদেশের একেবারে স্বাভাবিক চিত্র। ভরা কাটাল আর মরা কাটাল। রাজনীতির এই ভরা কাটাল আর মরা কাটাল ঠাণ্ডা মাথায় সামাল দিতে না পারলে সেই দলের অবস্থান আরো ভঙ্গুর হবার লক্ষণ দেখা দেয়।

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ খুব দক্ষতার সঙ্গেই মরা কাটাল মোকাবেলা করে ২০০৮ সালের নির্বাচনে সেটাকে ভরা কাটালে পরিনত করতে পেরেছিল। কিন্তু বিএনপি'র এখনকার লক্ষ্য ঠিক তেমনি ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত চলতে থাকা মরা কাটালকে ভরা কাটালে রূপ দেওয়া। কিন্তু সেই কাজটি করতে হলে সবার আগে প্রয়োজন জনগণকে সাথে নিয়ে সুনির্দিষ্ট আন্দোলনের পথে অগ্রসর হওয়া। যেখানে বিএনপি'র লক্ষ্য মোটেও সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট নয়। একবার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে আন্দোলন, একবার যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য লংমার্চ, একবার চব্বিশ ঘণ্টার আল্টিমেটাম, একবার তারেক-কোকোর মামলার জন্য চিৎকার, একবার খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ির জন্য হাহাকার, একবার নিজামী-সাঈদী-মুজাহিদ-সাকার মুক্তি চেয়ে ট্রেনে আগুন-জ্বালাও-পোড়াও-খুন। একবার সংলাপে রাজী, পরক্ষণেই সংলাপে রাজী নয়। আজ বলে সরকার ডাকলেই সংলাপে যাবার জন্য প্রস্তুত। পরদিন দেশকে অচল করে দেবার হুমকি। পরদিন আবার সরকারের সঙ্গে গোপনে বৈঠক। তালের কোনো ঠিক নাই।

মূলত জামায়াতকে বাঁচানোর জন্য বিএনপি'র এই যে মরিয়া হয়ে ওঠা, এটা থেকে সরে না আসলে বিএনপি'র মরা কাটাল এক সময় দীর্ঘস্থায়ী হয়ে রাজনৈতিক মরা কাটালে লীন হবার আশংকা আছে! হাল ঠিক না থাকলে দরিয়ায় নৌকা ডুবে যায়। বিএনপি'রও লক্ষ্য যেহেতু ঠিক নাই, তাই রাজনৈতিক ভাবে দলটি'র অপমৃত্যু'র লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ষড়যন্ত্র করে একবার দুবার হয়তো ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব, কিন্তু সেই একই ফর্মূলা বারবার কাজে লাগার কথা নয়। জনগণের সঙ্গে মিশে জনগণের রাজনীতি না করলে, বিএনপি'র রাজনৈতিক মরা কাটাল ঘটার সমূহ সম্ভাবনা সামনে। শুধু ক্ষমতা যদি বিএনপি'র একমাত্র লক্ষ্য হয়, তাহলে দলটি মরা কাটাল থেকে সহসা বের হতে পারবে না। গোপন বৈঠক করার পর তা অস্বীকার করাটা কৌশল হলেও জনগণের কাছে মিথ্যা বলায় বিএনপি যে ওস্তাদ, সেই প্রমাণ বারবার হাজির করার সামিল। আগামী নির্বাচনে বিএনপি আসবে তবে জল আরো ঘোলা করে। জল ঘোলা না হলে জনগণের সস্তা ভোট তো আর ভেড়ানো যাবে না। তাই জল ঘোলা করার কৌশলে আরো কিছুদিন তালবাহানা করবে।

নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হবার পর দেশ অচল করার পরিবর্তে নমিনেশান নিয়ে দৌড়ছাঁপ শুরু হবে। তখন বিএনপি ঘর সামলাতে একটি অযুহাত খাড়া করেই নির্বাচনে আসবে। সেই অযুহাতটা হতে পারে নির্বাচন কমিশন ঢেলে সাজানো। এছাড়া আর কোনো কৌশল তাদের সামনে আপাতত নেই। মাঝখান দিয়ে আমরা আমজনতা দুনিয়ার হ্যাপা আর দুর্ভোগ হজম করছি।

আগামী নির্বাচনে বিএনপি চলমান মরা কাটাল দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিতে না পারলে আগামীতে দলটি আরো ভাটার মধ্যে পতিত হবে। কারণ জনগণ আর সহিংস রাজনীতি দেখতে চায় না। এটা দিবালোকের মত সত্য। এটা বিএনপি বিশ্বাস করুক আর না করুক, জনগণের এই সুস্পশ্ট অবস্থান যদি বিএনপি পড়তে না পারে, তাহলে সামনে তাদের আরো কঠিন মরা কাটাল অপেক্ষা করছে!!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯

মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: মাশাআল্লাহ, সুন্দর লিখেছেন। শুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ

রাজনীতির নামে বর্তমান বাংলাদেশে যা হচ্ছে তা আসলে কিছু সন্ত্রাস-প্রিয় নষ্ট রাজনীতিবিদ আর দুর্নীতিবাজ বদ আমলাদের চক্রান্তমূলক ষড়যন্ত্র, এটা লুটপাট আর হিংসার রাজিনীতি, এর ভিতরে গন-মানুষের জন্য ইতিবাচক কিছু নেই|
কারন হিসাবে বলা যায় যে - কোনো মানব সমাজ যদি দীর্ঘ দিন ধরে দরিদ্র, অশিক্ষিত, যথাযথ কর্ম-সংস্থানহীন, নৈতিক অবক্ষয়-এর মধ্যে থাকে তবে সেই সমাজ ধীরে ধীরে ধংসপ্রাপ্ত হয় - জাতি পরিনত হয় হতদরিদ্র, কুশিক্ষিত, লোভী আর দুর্নীতিপ্রিয় এক অসভ্য সমাজে। বাংলাদেশেও এই প্রক্রিয়ার প্রভাব যথেষ্ট ক্রিয়াশীল। এই অবস্থায় "কল্যণমূখী গণতন্ত্র" তার স্বাভাবিক কার্যকারিতা হারায়, শাষন ব্যবস্থা পরিনত হয় সন্ত্রাসপ্রিয় নষ্ট কু-রাজনীতিবিদদের হাতিয়ারে। ফলে,

বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতি =সন্ত্রাসপ্রিয় নষ্ট রাজনীতিবিদ +দুর্নীতিবাজ আমলা + লোভী ব্যবসায়ী +অনৈতিক শিক্ষক +কুশিক্ষিত লোভী বৃহৎ জনগোষ্ঠি + নির্যাতিত অসহায় ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠি।

সুতরাং দেশের উপর রাজনৈতিক ধর্ষন চলতেই থাকবে, যতদিন না সংশ্লিষ্টজনদের নৈতিক উন্নয়ন ও সৎ-দেশপ্রেম উদয় হয়।

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪

েমাহাম্মদ েমাজােম্মল হক বলেছেন: কোনো মানব সমাজ যদি দীর্ঘ দিন ধরে দরিদ্র, অশিক্ষিত, যথাযথ কর্ম-সংস্থানহীন, নৈতিক অবক্ষয়-এর মধ্যে থাকে তবে সেই সমাজ ধীরে ধীরে ধংসপ্রাপ্ত হয় - জাতি পরিনত হয় হতদরিদ্র, কুশিক্ষিত, লোভী আর দুর্নীতিপ্রিয় এক অসভ্য সমাজে। বাংলাদেশেও এই প্রক্রিয়ার প্রভাব যথেষ্ট ক্রিয়াশীল। এই অবস্থায় "কল্যণমূখী গণতন্ত্র" তার স্বাভাবিক কার্যকারিতা হারায়, শাষন ব্যবস্থা পরিনত হয় সন্ত্রাসপ্রিয় নষ্ট কু-রাজনীতিবিদদের হাতিয়ারে। ফলে, বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতি =সন্ত্রাসপ্রিয় নষ্ট রাজনীতিবিদ +দুর্নীতিবাজ আমলা + লোভী ব্যবসায়ী +অনৈতিক শিক্ষক +কুশিক্ষিত লোভী বৃহৎ জনগোষ্ঠি + নির্যাতিত অসহায় ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.