নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
একাত্তরের মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির প্রতিবাদে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ এবং পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদে আলদা আলাদা দুটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। বিষয়টা বেশ ইন্টারেস্টিং। পাকিস্তানে এই প্রস্তাব পাশ থেকে একটি বিষয় এখন সুস্পষ্ট যে, বাংলাদেশে একাত্তরের মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার প্রক্রিয়া সঠিক পথেই এগোচ্ছে। এখন চলমান বিচার প্রক্রিয়ায় পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের এবং পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের এই প্রস্তাবকেও এভিডেন্স হিসেবে সাক্ষ্য প্রমাণে হাজির করা যাবে। অর্থ্যাৎ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে এদেশীয় দোসর হিসেবে রাজাকার, আলবদর, আলশামস নিরীহ বাঙালি জনসাধারণের উপর যে মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছিল, সেই অপরাধের ঘটনাগুলো যে একশোভাগ সত্য ছিল, সেটি এখন পাকিস্তান প্রস্তাব পাশের মাধ্যমে আসলে স্বীকার-ই করে নিল। যদিও পাকিস্তানের বাংলাদেশের বিষয়ে এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ সকল কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং সর্বোচ্চ নিন্দনীয় একটি বিষয়। তবুও পাকিস্তান কার্যত যে এখনো জামায়াতে ইসলামী'র অকৃত্রিম বন্ধু এবং জামায়াত ও পাকিস্তান যে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে এখনো বিশ্বাস করে না, তা পাকিস্তান জামায়াতের সাংসদ জনাব শের আকবর খান, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব চৌধুরী নিসার আলী খান, তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা জনাব ইমরান খান, আওয়ামী মুসলিম লিগ, পাকিস্তান মুসলিম লিগ (কায়েদে আজম) ও জমিয়তে উলামা ইসলাম আবারো সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করলেন।
পাকিস্তানের সঙ্গে বাঙালি মাত্র ২৪ বছর একসঙ্গে থেকেই বুঝতে পেরেছিল, তাদের সংস্কৃতি, আচার-আচরণ, ধর্মীয় গোড়ামি, অসভ্য পর্যায়ের। স্বাধীনতার ৪২ বছর পরে সারা বিশ্বে এখন প্রমাণিত যে, পাকিস্তান একটি অসভ্য জাতি। আর বাঙালি সেই অসভ্য জাতি থেকে মুক্ত হয়ে বিশ্বের বুকে আপন গৌরব ও ঐতিহ্য নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তান একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে আজ সারা বিশ্বে স্বীকৃত। আজ যদি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে অবিসংবাদিত মানবতার প্রতীক মহাত্মা নেলসন ম্যান্ডেলা'র মৃত্যু নিয়ে শোক প্রস্তাব গৃহীত হত, তাহলে বোঝা যেত পাকিস্তান সভ্য হতে শুরু করেছে। কিন্তু তারা যে অসভ্য এবং এখনো ১৯৭১ সালের পরাজয়ের গ্লানী ভুলতে পারেনি, সেই হতাশা, পরাজয়, আর আক্রোশ থেকে তারা একজন মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী'র একটি স্বাধীন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে দণ্ডিত ব্যক্তির নামে শোক প্রস্তাব পাশ করে এটাই প্রমাণ করলো যে, তারা ৪২ বছরেও সভ্য হতে পারেনি।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে তারা কি ধরনের অসভ্যতা করবে সেটি তাদের ব্যাপার। কিন্তু বাংলাদেশকে নিন্দা করার মত যোগ্যতা, সভ্যতা এবং সততা তাদের নেই। এজন্য তাদের প্রতি প্রস্তাবকে বাংলাদেশের সচেতন সাধারণ নাগরিকরা নিন্দা করেছে, প্রতিবাদ করেছে, প্রত্যাখ্যান করেছে এবং কূটনৈতিক শিষ্টাচারের সীমাহীন ঔদ্বত্য হিসেবে সম্পূর্ণরূপে ইগনোর করেছে। এখন আর একাত্তরের মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের চলমান প্রত্রিয়ায় অকারণে সময়ক্ষেপণ করা যাবে না। কারণ, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে প্রস্তাব পাশের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয়ভাবেই মূলত সেই দায় স্বীকার করে নিয়েছে।
এখন বাংলাদেশ খুব ন্যায্য ভাবেই আন্তর্জাতিক আদালতে পাকিস্তানের কাছে পাওনা সকল দেনা চাইতে পারবে। বাংলাদেশে আটকে পরা তিন লাখ পাকিস্তানীকে তাদের দেশে ফিরিয়ে নেবার যুক্তি আরো জোরালোভাবে তুলতে পারবে। আর যদি পাকিস্তান বাংলাদেশের সেই ন্যায্য দাবীকে অগ্রাহ্য করে, তাহলে আন্তর্জাতিক আইনের আশ্রয় নিতেও পারবে।
জনাব ইমরান খান পাকিস্তানের একজন বিশ্বকাপ জেতা ক্রিকেটার। ক্রিকেট থেকে অবসরে যাবার পর রাজনীতি ধরেছেন। রাজনীতিতে সস্তা জনপ্রিয়তা পাবার জন্য তিনি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এমন নাক্কারজনক বক্তব্য দিয়েছেন যে, বাংলাদেশের যেসব মানুষ এতোদিন পাকিস্তান ক্রিকেটের ভক্ত ছিল, তারাও ইমরান খানের কথায় কষ্ট পেয়েছেন। জনাব ইমরান খান ক্রিকেটের এককালের সম্রাট হলেও রাজনৈতিক ভাবে ভারী মুর্খ, তা তিনি এবার প্রমাণ করলেন।
আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরে একটি জিনিস আরো সুস্পষ্ট হল, বাংলাদেশের কোন মানুষগুলো আসলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে গড়ে তোলার স্বপ্নে বিভোর, সেই সুস্পষ্ট অবস্থানটি এবার পরিস্কার হল।
পাকিস্তানের তারিক আলী'রা যখন ব্যক্তিগত ভাবে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চায়, ঠিক সেই সময়ে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে এরকম ধৃষ্টতা যে পাকিস্তানের অসভ্যতা বর্বরতার প্রমাণ এখনো বহন করে সেটিই আবার প্রমাণিত হল। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালে বাংরাদেশের নিরস্ত্র জনসাধারণের কাছে পরাজিত হয়েছিল। এখন বাংলাদেশের একটি প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী আছে, এখন আমরা পাকিস্তানকে মোটেও প্রতিপক্ষই মনে করি না। কারণ, তারা তো আমাদের অপ্রশিক্ষিত সাধারণ জনগণের কাছেই হেরেছে। তাদের সঙ্গে আবার কিসের প্রতিযোগিতা? পাকিস্তানকে আমরা আর কোনো প্রতিযোগীই মনে করি না। অন্তত যুদ্ধে তো নয়ই। কারণ, তারা ১৯৭১ সালে হেরেছে। এখন তো এমনিতেই হেরে বসে আছে। কারণ ৪২ বছরে আমরা অনেক অগ্রসর হয়েছি সেটি হয়তো পাকিস্তান জানেই না। কারণ অসভ্য বর্বর ইতরদের সেটিজানার কথাও নয়।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫০
শাহ আজিজ বলেছেন: খালি জামাতিরা না ,বি এন পির গোলাপিও পাক সার জমিন ছাড়া বোঝেনা।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩১
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: পাকিস্থান এক নরপশুদের জাতি।
এরা অভিশপ্ত, ঘৃনিত ও বিতারিত।
এদের যারা অনুসরন (জামাতিরা) করে তারাও ঘৃনিত ও বিতারিত