নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
একাত্তরের মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী, মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার যোগ্য হলেও আদালতের কাছে কুখ্যাত এই অপরাধীর বয়স ও বার্ধক্য বিবেচনায় ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাব্যুনাল- ১ তাকে মাত্র ৯০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত একজন যুদ্ধাপরাধীর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী হিসেবেই এই কুখ্যাত নরঘাতক আজ মারা গেল। বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর ইতিহাসের কুখ্যাত মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজম মুক্ত হল। তবে মৃত্যুর আগে এই মানুষখোেকো নরঘাতক রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধায় বেশ আরাম আয়াসেই ছিলেন। জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় এই নরজীবানুকে রাষ্ট্রীয় লোকবল দিয়ে খাবার, চিকিৎসা, বিশ্রামের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষের আজ এক খুশির দিন। বাংলার ঘরে ঘরে আজ ঈদের আনন্দ। অন্তত জনগণের ট্যাক্সের পয়সা আর এই নরপিচাশের পেছনে ব্যয় হবে না। এটা একটা স্বস্থির খবর। আরেকটি অস্বস্থির খবরও এই নরপিচাশ তার শেষ ইচ্ছায় করে গেছেন। মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত অপর দুই নরপিচাশ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও মাওলানা দেলওয়ার হোসেন সাঈদী'র যে কাউরে দিয়ে যেনো তার জানাজা পড়ানো হয়, এই শেষ ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন এই নরঘাতক। শেষ ইচ্ছা নিয়েও এই কুখ্যাত শকুনের একটা আবদার। গোলাম আজমের মত একজন কুখ্যাত নরপিচাশের শেষ ইচ্ছাকে এখন যদি রাষ্ট্রপক্ষ মেটাতে যায়, তাহলে এই তরিকায় বাকী যুদ্ধাপরাধিরাও ওদের ওস্তাদের পথ অনুসরণ করে হাজার কিসিমের বাহারি আবদার সম শেষ ইচ্ছা পোষণ করবেন। সামনে হয়তো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর শেষ ইচ্ছা রোহিত সংক্রান্ত কোনো আইন সংসদে পাশ করা লাগতে পারে। নইলে যেসব নরপিচাশের ফায়ারিং স্কোয়াডে মারা উচিত, আদালতের আর আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে তারা এভাবে শেষ ইচ্ছার একটা নতুন তরিকা নিয়ে আবার রাজনীতি করার চেষ্টা করবেন। অতএব সাধু সাবধান। বরং এই নরপিচাশের লাশ পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো উচিত।
উল্লেখ্য ২০১৩ সালের ৫ আগস্ট ওই রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে আবেদন করে এই নরপিচাশ। আর লোক দেখানো নাটক হিসেবে রাষ্ট্রপক্ষ একই মাসের ১২ তারিখে সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে আপিল করে। আগামী ২ ডিসেম্বর এই নরপিচাশের আপিলের শুনানীর দিন ধার্য করেছিল আদালত। এখন আর সেই সব বালাই নেই। এখন এই নরপিচাশের লাশ বাংলার মাটিতে কবর না দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রকে উদ্যোগ নিতে হবে। এই কুখ্যাত নরপিচাশের লাশ পাকিস্তানের প্রাপ্য। পাকিস্তান এখন বুঝে নিক। নইলে বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হোক। বাংলার মাটি এই নরঘাতকের জন্য নয়।
প্রয়োজনে বাংলাদেম সরকার এই প্রশ্নে এখন গণভোট আয়োজন করতে পারে। আমি শতভাগ নিশ্চিত গণভোট আয়োজন হলে গোলাম আজমের লাশ এই বাংলায় কেউ কবর দেবার পক্ষে রায় দেবে না। যেহেতু গোলাম আজম নিজেই তার শেষ ইচ্ছায় জানাজা নিয়ে একটা রাজনীতি করেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত একজন আসামী'র জানাজা অন্য দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী দিয়ে পড়াতে আইনে কোনো বাধা আছে কিনা তাও আইনজীবীরা এখন খতিয়ে দেখছেন। যদি গোলাম আজমের শেষ ইচ্ছা রাষ্ট্রপক্ষ মেনে নেয়, তাহলে জেলখানায় হতে হবে গোলাম আজমের জানাজা। কিন্তু এই বিষয়কে পুঁজি করে এই নরঘাতকের দল আবার নতুন রাজনীতির বিষবাষ্প ছড়াবে।
সুতরাং গোলাম আজমের লাশ কোথায় দাফন করা হবে, সেই প্রশ্নে বরং জাতি এখন একটা মোক্ষম গণভোটে যেতে পারে। আমি হান্ড্রেড পারসেন্ট নিশ্চিত গণভোটের রায়ে এই কুখ্যাত নরঘাতকের লাশ কেউ বাংলার মাটিতে কবর দেওয়ার পক্ষে যাবে না। এই লাশ পাকিস্তানে পাঠানো হোক।
২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:৫৪
তুষার কাব্য বলেছেন: কুখ্যাত নরপিচাশের এ লাশের ভার যেন আমার দেশ বহন না করে...এই লাশ পাকিস্তানে পাঠানো হোক।
৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:২৮
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: একমত ।
এইসব পালের গোদা রাজাকারগুলোর কুখ্যাত পাশবিক চেহারা মূর্তি নিয়ে একটা 'দুঃসহ স্মৃতি' স্তম্ভ / ঘৃণ্য স্তম্ভ/স্কয়ার নির্মাণ করা হোক , যেখানে সাধারণ জনগণ ঐ সব রাজাকার স্তম্ভ/মুর্তির গয়ে পাথর ছুঁড়ে মারা জাতীয় কিছু করতে পারবে এবং নতুন প্রজন্ম এইসব রাজাকারদের ব্যাপারে একটা পরিষ্কার ধারনা পাওয়ার আরও একটি উৎস পাবে ।
৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৭
আমিনুর রহমান বলেছেন:
সহমত
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:৪৫
খেলাঘর বলেছেন:
তার বিষাক্ত দেহ যেন বাংলার মাটিতে ফেলা না হয়।