নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি অসম বিয়ে এবং মিডিয়ার বিকৃত উল্লাস!!!

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:১৪

বাংলাদেশ সত্যি সত্যিই এক বিচিত্র দেশ। এখানে কোনটা ভালো আর কোন খারাপ উদাহরণ হতে পারে, তা নিয়েই বরং এখন গবেষণা করার মত হাজার হাজার উপাদানে ভরপুর। আমাদের মিডিয়াগুলো সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে এখন আর কষ্ট করতে চায় না। রেডিমেট সংবাদ একটু এদিক সেদিক করেই সংবাদ প্রচার করতে ব্যস্ত তারা। অনুসন্ধানি রিপোর্ট বলতে গেলে উঠেই যাচ্ছে। সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপারটি হল, কোনটি সংবাদ আর কোনটি সংবাদ নয়, সেই বিবেচনা বোধেই আমাদের মিডিয়াগুলো এক ধরনের দেউলিয়াত্বে ভুগছে। অথচ আমাদের সংবাদপত্রের সংখ্যা বেড়েছে। আমাদের প্রাইভেট টেলিভিশনের চ্যানেল সংখ্যা বেড়েছে। আমাদের এফএম রেডিওর সংখ্যা বেড়েছে। সংবাদও বেড়েছে। কিন্তু সেই সংবাদের মধ্যে দেউলিয়াত্বও ভয়ংকর আকারে বেড়েছে। এক কথায় অনেকটা সরল করে বলা যায়, আমাদের মিডিয়ার দেউলিয়াপনা দিন দিন বাড়ছে।
গতকাল ছিল আমাদের রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিবের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান। শুক্রবার বিয়ে। বিয়ের খবর তো খুশির খবর জবাই জানেন। কিন্তু এই বিয়ের মাহাত্ব কি? এটি একটি অসম বিয়ের জ্বলন্ত উদাহরণ। রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি অসম বিয়েকে গোটা রাষ্ট্র একযোগে হৈহৈ চৈ চৈ করে নেচে গেয়ে স্বাগত জানাচ্ছে। অসম কিভাবে? এই বিয়ের বর রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিবের বয়স মাত্র ৬৭ বছর। আর কনে অ্যাডভোকেট হনুফা আক্তার রিক্তার বয়স ২৯ বছর। বুড়ো বর যুবতী কনে। তাদের বয়সের পার্থক্য মাত্র ৩৮ বছর। কনের বয়স ৩৮ বছর হতে আরো অন্তত ৯ বছর লাগবে। তখন বরের বয়স হবে মাত্র ৭৬ বছর। বুঝেন ঠ্যালা। রাষ্ট্রীয়ভাবে কিভাবে এই অসম বিয়েকে স্বগত জানানো হচ্ছে?
কারণ, বর ও কনে দুজনের বাড়ি কুমিল্লা। বরের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। আর কনের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনায়। এই বিয়ে উপলক্ষ্যে কুমিল্লা থেকে চান্দিনা পর্যন্ত বরকে বরণ করতে অন্তত এক ডজন তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। বরের গাড়িসহ কয়েকটি ভিআইপি গাড়ি যাবে কনের বাড়ি গল্লাই ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকা মীরাখলা গ্রামে। ৭শ বর যাত্রীর মধ্যে ডেপুটি স্পীকার এড. ফজলে রাব্বিসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০জন মন্ত্রীও উপস্থিত থাকবেন। বিয়ে অনুষ্ঠানে প্রায় একশ স্বেচ্ছাসেবক , পুলিশ, আনসারসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় শতাধিক সদস্য সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন। একেবারে রাজকীয় ব্যাপার স্যাপার। তো এই বিয়েতে মাননীয় রেলমন্ত্রী কত টাকা খরচ করছেন? সেটা জানতে হলে আরো অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু আসল খরচের ব্যাপারটা হয়তো কোনোদিনও জানা যাবে না। আমাদের রাষ্ট্রীয় রাজস্ব বিভাগের সেই প্রচেষ্টাও থাকবে না। কারণ, এই বিয়েতে স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশির্বাদ রয়েছে।
রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি অসম বিয়ের এমন হুজুগে দৃষ্টান্তের ভেতরেই অনেক না বলা রহস্য লুকিয়ে আছে। মাননীয় রেলমন্ত্রী, বাংলাদেশের রেলওয়ের বর্তমান দশা যে চেহারায় আছে, তাতে সেই মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে রেলের সার্বিক উন্নয়নের প্রতি দৃষ্টি না দিয়ে আপনি যে বিয়ে করতে যাচ্ছেন বুড়ো বয়সে, এটাকে এক কথায় বলা যায়, বুড়ো বয়সে আপনার মধ্যে ভিমড়তি বাসা বেধেছে। আপনি অসম বিয়েকে রাষ্ট্রীয়ভাবে উৎসাহ দিচ্ছেন। এটি একটি খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বর্তমান মন্ত্রী পরিষদ আপনার বিয়ে উপলক্ষ্যে রঙ্গরস করার একটি মোক্ষম উপাদান পেয়েছে। মানে আপনি মন্ত্রীসভায় একটি হাসির খোরাক যোগান দিয়েছেন। রাষ্ট্রের যে দায়িত্বটি আপনার করার কথা ছিল, সেটিকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে আপনি রঙ্গরস সরবরাহের পাত্র হয়েছেন। ভবিষ্যতে দুদক যদি আপনআর এই বিয়ের হিসেব নিয়ে টানাটানি করে, তখন আপনাকে নতুন বিড়ম্বনায় জড়াতে হবে। রঙ্গরসের আরেকটি বিষয় হল, আমাদের শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু মন্ত্রীসভায় বলেছেন, আপনার বিয়ের কারণে আমাদের সংসার ভাঙার উপক্রম হয়েছে। কানাডা, আমেরিকা, বৃটেন থেকে অনেক পরিচিতজন নাকি তাঁকে ফোন করে জানতে চেয়েছেন, আপনি নাকি আরেকটা বিয়ে করতে যাচ্ছেন? তাঁর স্ত্রীকে অনেকে ফোন করে জিজ্ঞেস করেছেন, আপনার স্বামী নাকি আরেকটা বিয়ে করতে যাচ্ছে। এতো গেলো মন্ত্রীসভার রঙ্গরস।
গতকাল আমাদের টেলিভিশন মিডিয়াগুলো আপনার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান লাইভ টেলিকাস্ট করলো। আপনার বিভিন্ন মুডের ছবি ফেসবুক, ট্যুইটার সহ নানান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বিশাল বিনোদনের খোড়াক হয়েছে। আপনি তো রাষ্ট্রের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী। রেলওয়ের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব আপনার হাতে। আর আপনি কিনা সেই গুরু দায়িত্ব অবহেলা করে সবার হাসির খোরাক হবার জন্য ব্যস্ত হয়ে গেলেন!! আপনার বিয়েটি যেভাবে মহা রাজকীয় ভাবে আয়োজন হল, এবার যদি আপনি বাংলাদেশের রেলওয়ের চেহারা এমন রাজকীয় করতে না পারেন, তাহলে আপনাকে সবাই ছি ছি করবে, এই কাণ্ডজ্ঞানটুকু আপনার কি হয়েছে??
অনেকে একথাও বলছেন, যারা আপনার বিয়ে নিয়ে বিরুদ্ধাচারণ করছেন, তারা জেলাস থেকে করছেন। আপনি রাষ্ট্রের একজন মন্ত্রী। আপনার সাথে দেশের সাধারণ একজন নাগরিকের জেলাস করার কিছু নেই। আপনি কাজ করে বরং দেশের মানুষের হৃদয় জয় করবেন। এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা। সেখানে আপনি একটি অসম বিয়ে করে রাষ্ট্রে অসম বিয়েকে উৎসাহ দিতে মদদ দিচ্ছেন। এটি বাংলাদেশের জন্য খারাপ উদাহরণ হয়ে থাকবে। আমরা অপেক্ষায় থাকব, কখন আপনি রেলওয়ের অভূতপূর্ব সাফল্য নিয়ে আসেন। আর যদি সেটি করতে আপনি ব্যর্থ হন, তাহলে লোকে আপনাকে স্রেফ সঙ হিসেবে পরবর্তী সময়ে হিসেব করবে। এটা মনে রাখবেন।
আমাদের মিডিয়া দিন দিন আরো দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। কোনটা খবর, কোন খবর লাইভ দেখানো উচিত, এই কাণ্ডজ্ঞান আমাদের মিডিয়ার কবে হবে? একজন মন্ত্রী বিয়ে করছেন, তা লাইভ দেখানোর কি আছে? এর মধ্যে খবরের কি আছে? যদি বিনোদনের বিষয় হিসেবে এটি প্রচার করা হয়, তাহলে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান লাইভ দেখানোর মধ্যে বিনোদনের কি আছে বুঝি না। গতকাল বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন ছিল। একাত্তরে মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী'র মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রদান করেছেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১। মিডিয়ার উচিত ছিল, সারাদিন মতিউর রহমান নিজামীর একাত্তরে সংগঠিত নানান কুকর্মের অনেক অনুসন্ধানী রিপোর্ট তুলে ধরা। গোটা বাংলাদেশ ও বিশ্ববাসী জানতে পারতো, কিভাবে এই খুনি নরপিচাশ একাত্তরে কি কি অপরাধ করেছিল? কেন তার মৃত্যুদণ্ডই প্রাপ‌্য।
কিন্তু আমাদের মিডিয়া সেই অনুসন্ধানি রিপোর্টে না গিয়ে, তারা প্রচার করলো, নিজামী কি খায়? এখন কি খাবে? পড়ণে কি ছিল? মাথায় জিন্নাহ টুপি ছিল কিনা এসব। এসব তো খবরের বিষয় নয়। এসব তো আবর্জনা। আবর্জনা কেন মিডিয়ার সংবাদ হবে। একাত্তরে যেসব পরিবার নিজামীর কুকর্মের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তাদের কথা শুনানোর সুযোগ ছিল। সেই সব পরিবার বর্তমানে কেমন মানবেতর জীবনযাপন করছে, তা তুলে ধরা যেতো। অথচ মিডিয়া নিজামীর পোশাক, খাবার, টুপি, ইত্যাদি অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়েই মেতে রইল। আমাদের মিডিয়া কবে অনুসন্ধানি রিপোর্টের দিকে অগ্রসর হবে? দেশে মিডিয়ার যে হারে প্রসার হয়েছে, সেই তুলনায় কোয়ালিটি খবর কি প্রচার করতে পারছে তারা? প্রফেশনালিজম কবে গড়ে উঠবে? জার্নালিজম মানে সাদা চোখে দেখা বিষয় নয়, খবরের অন্তরালের খবর বের করাই জার্নালিজম। আমাদের মিডিয়ার দেউলিয়াপনায় বারবার মনে হচ্ছে, মিডিয়া দেশের জন্য এখন একটি হিরিকে পরিনত হয়েছে। অনেক মিডিয়ার চেয়ে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, অনেক খবরই তাদের আগেই প্রচার করছে। মানুষ ফেসবুকের মাধ্যমে মিডিয়ার চেয়ে খবরটি আগেই প্রচার করার মত সক্ষমতা অর্জন করেছে। তাহলে মিডিয়ার ভূমিকা কি হবে? আমাদের টেলিভিশন, সংবাদপত্র, রেডিও-র আগে যদি ফেসবুক থেকে খবরটি আগেভাগে জানা যায়, তাহলে বাংলাদেশে এতো এতো মিডিয়ার প্রয়োজনীয়তা কি জন্য?
বাংলাদেশে মিডিয়াও এক বড় সন্ত্রাস সৃষ্টির আকড়া। খবরের পেছনে না ঘুরে এরা টাকার পেছনে ছোটে। আজকাল বিভিন্ন সভা-সেমিনার, মানববন্ধন, আন্দোলনের প্রধান ব্যাপার থাকে, কখন টেলিভিশনের ক্যামেরা আসবে? টেলিভিশনের ক্যামেরা আসার পর, তখন সেসব সভা সেমিনার, মানববন্ধনে এক ধরনের গতিশীলতা দেখা যায়। যতক্ষণ ক্যামেরা না আসে ততক্ষণ সভা, সেমিনার, মানববন্ধন শুরু হয় না। আর ক্যামেরা আসার পর তাদের এক্টিভিটিজ শুরু হয়। এমনও দেখেছি, মানববন্ধনে মোট উপস্থিতির সংখ্যা ছিল হাতে গোনা দশ-পনের জন। ক্যামেরার কল্যানে তা বড় করে উপস্থাপন করা হচ্ছে। যেসব বক্তব্য খবরের অংশ না হলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না, আমাদের মিডিয়াগুলোর কাছে, তাই অনেক গুরুত্ব সহকারে প্রচার পাচ্ছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশটির নাম বাংলাদেশ। এখানে পায়ে পায়ে মানুষ। গায়ে গায়ে মানুষ। দেশে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি নামে কোনো নীতিই কার্যকর নেই। কার্যকর নেই পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি। এখানে খাবার নেই কিন্তু অসংখ্য অভুক্ত মুখ আছে। রাজধানী ঢাকায় যানজটের কথা না হয় নাইবা বললাম। ফুটপথ দিয়ে মানুষের কারণে হাঁটা যায় না। আপনি যদি সামনে তাকিয়ে হাঁটেন, পেছন থেকে ধাক্কা লাগবে। যদি পেছনে দেখতে যান, সামনে থেকে আপনার সেঙ্গ আরেকজনের ধাক্কা লাগবে।
সারা পৃথিবীর মানুষ যদি খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জড়ো করা হয়, তাহলে বর্তমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে ঘনত্ব দাঁড়াবে, তারচেয়েও বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব বর্তমানে বেশি। এবার অনুমান করুন আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছি। বাংলাদেশের জনসংখ্যা যে হারে বাড়ছে, আর সরকারি কাগজপত্রে যেভাবে দেখানো হচ্ছে, এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য বোঝার জন্য আপনার গবেষক হবার প্রয়োজন নাই। আপনি শুধু বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরলেই এর প্রমাণ হাতেনাতে পাবেন। এরকম একটি অপরিপক্ক, অগোছালো, জগাখিচুরি মার্কা দেশে একজন মন্ত্রী ৬৭ বছর বয়সে বিয়ে করার খায়েস কোথা থেকে পান? নিশ্চয়ই মন্ত্রী হবার পর ব্যাচারার আয় উন্নতি ঘটেছে। আরো উন্নতির প্রত্যাশাও রয়েছে। যে কারণে ২৯ বছরের একটি কনে তুড়ি মেড়ে জুটিয়ে ফেলেছেন। আর এই অসম বিয়েতে খোদ রাষ্ট্রের সায় আছে।
উচিত ছিল, মন্ত্রীসভায় জনাব মুজিবুল হককে কড়া একটা ধমক মারা। মিঞা, রেলওয়ের দশা কি আছে, তাই ঠিক করুন। আপনি বিয়ে করার চিন্তা কিভাবে করতে পারেন? আর করলেও চুপচাপ করেন। ঢাক ঢোল পিটানোর কি আছে? সেই ধমকটি না খেয়ে মন্ত্রী বাহাদুর যখন সবার আনন্দের খোরাক হলেন, তখন তিনি আরো উৎসাহ পেলেন, 'যে তালি পরে লাইনে আছি গো'। আমরা জানি, রেলের গাড়ি গুলো লাইনেই চলে। লাইনচ্যুত হলেই বরং বিপদ। এখন সেই দপ্তরের মন্ত্রী যদি ভাবেন, উনিও লাইনে আছেন, 'কুনো অসুবিদা নাইক্কা'। তাহলে বাংলাদেশের কপালে আরো অনেক দুর্দশা আছে।
আমাদের কবি শামসুর রাহমান লিখেছিলেন, 'উদ্ভট উটের পৃষ্ঠে চলছে স্বদেশ...' । কথাটি স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় কবি'র কলম থেকে বের হলেও, কবি'র এই কথাটি বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই দেশের সকল কর্মকাণ্ড, যজ্ঞ, রাষ্ট্রীয় যন্ত্র, মিডিয়া, খবর, বিয়ে, মন্ত্রী, সবার বেলায় সব সময় প্রযোজ্য বলেই আমার মনে হয়। অদ্ভুত উটের পিঠে বাংলাদেশ সওয়ার হয়েছে। একটি অসম বিয়েকে রাষ্ট্রীয়ভাবে এভাবে এক ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা করার পরিণাম কোনদিন ভালো হবার কথা না। আমার এই কথাটি মন্ত্রী মহোদয়কে ব্যক্তিগতভাবে কোনো কষ্ট দেবার জন্য নয়। টোটাল বিষয়টি বোঝাতে, দেশের কর্তাব্যক্তিদের দায়িত্ববোধ ও কর্তব্য বোঝাতে, মিডিয়ার বর্তমান চালচিত্র বোঝাতে, খবরের খাসিলত বোঝাতে বলেছি মাত্র।
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়, আপনি বিয়ে করছেন, আপনাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হোক, সেই বাসনা করি। কিন্তু যে খারাপ দৃষ্টান্ত আপনি স্থাপন করলেন খোদ রাষ্ট্রের ঘাড়ে বন্দুক রেখে, এই অসম বিয়েতে নতুন প্রজন্ম যদি উৎসাহিত হয়, ভেবে দেখুন, এই বাংলাদেশের, এই মরার দেশের, এই গায়ে গায়ে পায়ে পায়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপনের দেশে, সেটি কতোটা ভয়ংকর খারাপ ফল নিয়ে আসবে!!!
আশা করি, মন্ত্রীর বিয়ের বিষয়টি সবাই বিনোদনের খোরাক হিসেবে নিয়ে সেই খারাপ দিকে উৎসাহিত হবে না। কিন্তু মিডিয়ার কাণ্ডজ্ঞান কবে হবে, সেই আশা করার মত কোনো ভরসা পাচ্ছি না। বাংলাদেশের মিডিয়া দিনদিন দেউলিয়া হচ্ছে। এই দেউলিয়াত্বের জন্য মিডিয়া নিজেরাই দায়ী। এটা তাদের স্বীকার করতেই হবে। রেলওয়ের নানান কুকর্মের খবর নিয়ে যেখাানে মিডিয়ার ব্যস্ত থাকার কথা, সেখানে রেলমন্ত্রীর বিয়ে তারা লাইভ দেখায়। মিডিয়ার কি রুচিবোধও তৈরি হবে না? কোন খবরটা কতোটা প্রচার করা যায়, এই বোধটা তৈরি না হলে আমাদের মিডিয়ার যতোই প্রসার ঘটুক, তা কেবল কোয়ানটিটি বাড়াবে বটে, কোয়ালিটি নয়।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:২৭

লেখোয়াড় বলেছেন:
++++++++++++++++++

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৪৭

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৪০

ব্লগ ৪১৬ বলেছেন: অনেক ভালো লিখা। ধন্যবাদ।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৪৭

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৪১

বদিউজ্জামান মিলন বলেছেন: দারুণ লিখেছেন। মিডিয়াতে এখন অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে। কে কত আগে একটা ব্রেকিং নিউজ দিতে পারে্। সেটা আদৌ ব্রেকিং কি না সেটা যাচাই করেই লিখে দিচ্ছে ব্রেকিং...হাস্যকর সব কান্ড।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৪৭

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে....এখানে তাই হচ্ছে ভাই...

৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৪২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অসাধারন +++++++++++

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৪৮

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:১৪

ভোরের সূর্য বলেছেন: আমি ঠিক বুঝলাম না এই অসম বিয়েকে কেন খারাপ বলছেন বা নেগেটিভ দৃষ্টিতে দেখছেন। এখানে খারাপ কি দৃষ্টান্ত হল আমি বুঝতে পারছিনা।
দুজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে তাতে সমস্যা কি? তাদের কারো বয়স তো ১৮ এর নীচে না তাহলে এখানে জনসংখ্যা কম বৃদ্ধির সম্পর্ক কোথায়? তাদের বয়স যদি কনের ২৯ এবং বরের ৩০ হত তাতে কি জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে সমস্যা হত না?

আর তাছাড়া কোথও কি সরকারীভাবে লেখা আছে যে অসম বিয়ে করা যাবেন?
রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক চিরকুমার মানুষ। শেষ বয়সে এসে উনি যদি বিয়ে করেন তাহলে খারাপ কি আছে?উনি কি আগের স্ত্রী থাকতে দ্বিতীয় বিয়ে করছেন?উনার কি আরও বিবাহ আছে? উনি কি ছেলে মেয়েকে বঞ্চিত করে কম বয়সী মেয়েকে বিয়ে করছেন?

তাছাড়া শেষ বয়সে এসে বিয়ে করলে সেটা ভীমরতি হবে কেন? এই বয়সে মানুষ একাকীত্বে ভোগে। তাছাড়া মানুষ চায় তার পাশে কেউ না কেউ আপনজন থাকুক তাহলে সেখানে বিয়ে করা স্ত্রী থাকলে সমস্যা কোথায়? যদী এমন হত তিনি অবৈধ সম্পর্ক মেইন্টেইন করছেন তাহলে সেটা খারাপ দৃষ্টান্ত হত। বা তিনি লুকিয়ে চুরিয়ে সম্পর্ক করছেন তাহলে সেটা খারাপ কিছু হত।

আর সত্যিকার অর্থে এখানে জনসংখ্যার সাথে এই বিয়ের কি সম্পর্ক সেটা বুঝলাম না। মন্ত্রী যদি ৩০ বছর বয়সে বিয়ে করতেন তাহলে তার ২/১ জন সন্তান থাকতো তাহলে এই বয়সে যদি তার সন্তান হয় কম বয়সি মেয়ে বিয়ে করে তাহলে আমাদের জনসংখার কোন এদিক সেদিক হত না। নাকি এটাই নিয়ম আছে কোথাও যে কম বয়সে বিয়ে করে সন্তান নিতে হবে কিন্তু বেশী বয়সে, কম বয়সী মেয়ে কে বিয়ে করে সন্তান নেয়া যাবেনা।

আর মিডিয়া যদি এই নিছক কিছু হাস্য রস করে তাহলে কি সমস্যা। আর তিনি একজন মন্ত্রী আর সাধারনত এই বয়সে কেউ বিয়ে করেনা কিন্তু উনি করছেন আর সেটা নিয়ে মিডিয়া যদি লেখা লিখি করে তাহলে খারাপ কি আছে?

আমি সমস্যা মনে ঐগুলিই যদি মন্ত্রী মুজিবুল হক এক স্ত্রী থাকতে আরেকজন কে বিয়ে করতেন কিংবা সন্তানদের কে বঞ্চিত করতেন কিংবা অবৈধ সম্পর্ক থাকতো তাহলেই এটা খারাপ হত।

বরং আমি মনে করি এটা একটা ভাল মেসেজ সবার জন্য। এই বয়সে মানুষ খুব একা হয়ে যায়। উনারতো কোন স্ত্রী সন্তান নাই। বরং যাদের আছে তারাও কেউ বাবা কে দেখে না, খোঁজ খবর নেয় না। তাই একাকী ব্যক্তি যার স্ত্রী সন্তান কেউ নাই যদী সুখী হতে চায় একজন কম বয়সের মেয়েকে জীবন সঙ্গী করে তাহলে সেটা অবশ্যই খারাপ নয়।

প্লিজ বার বার অসম বিয়ে বলবেন না। আমাদের নবীজী(সঃ) প্রথম যে বিয়ে করেছিলেন তিনি নবীজির চেয়ে ১৫ বছরের বড় ছিলেন(খাদিজা র:)। নবীজী ছিলেন ২৫ আর আর খাদিজা র:ছিলেন ৪০বছরের।
তাই দয়া করে পজিটিভ ভাবে দেখুন।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫১

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে...আপনার না বুঝলেও চলবে...কোনো সমস্যা নাই

৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:১৫

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
বিষয়টা আসলেই বিরক্তিকর। একজনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এত পড়ে থাকার মানে কি? মিডিয়ার সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতাগুলো কি তা মনে হয় ভাবার দরকার আছে।

দারুন পোস্ট।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫১

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩২

খেলাঘর বলেছেন:


খারাপ উদাহরণ

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫৩

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩৪

খেলাঘর বলেছেন:


"ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। রাজনীতি ঘৃণা করি। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি। "

-রাজনীতিকে ঘৃনা করলে করলে আপনি কি বই পড়েন?

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫৪

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ.....বলার মত সময় নাই ভাই

৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩৯

বদিউজ্জামান মিলন বলেছেন: লেখক আসলে মিডিয়ার বাড়াবাড়িটাকে বোঝাতে চেয়েছেন। দেশে অনেক বিষয় আছে যেগুলো নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা যায়। অনুসন্ধানী সংবাদ নেই। ভালো রিপোর্টার নেই। এসবের সঙ্গে প্রাসঙ্গিকভাবে এই নিউজ এবং এই সংশ্লিষ্ট ক্যারেক্টার বিশ্লেষণ করেছেন। আমি তো পুরো বিষয়টার সঙ্গেই একমত। আপনারাই বলুন এই বিয়ে কী এমন বিয়ে যে এটা লাইভ টেলিকাস্ট করতে হবে। যতসব আদিখ্যেতা!

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫৫

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে....

১০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪০

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: এটা মোটেই খারাপ কিছু না, ধর্মী্য় ও সামাজিক দিক থেকে পুরোপুরি বৈধ।
উনি মন্ত্রী বলেই মিডিয়া একটু বেশী এক্সপোজার দিয়েছে এখানে। আশা করি মন্ত্রী মহোদয় নতুন বউ নিয়ে বেশি ব্যাস্ত না থেকে বাংলাদেশ রেলওয়েকে উন্নত ও যাত্রিদের জন্যে আরো সুবিধা জনক সেবা নিশ্চিত করবেন।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫৭

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে....আমি বৈধ/অবৈধ বিষয়ে কথা বলিনি...আপনার শেষের আশাবাদের আশায় আমরাও আছি ভাই...

১১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার কোন লেখা ভালো লাগলো ।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫৭

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

১২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৩২

ইউরো-বাংলা বলেছেন: মুজিবুল হকের এই অসম বিয়েতে আসল খরচের ব্যাপারটা হয়তো কোনোদিনও জানা যাবে না। আমাদের রাষ্ট্রীয় রাজস্ব বিভাগের সেই প্রচেষ্টাও থাকবে না। কারণ, এই বিয়েতে স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশির্বাদ রয়েছে।

একমত

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫৮

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

১৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:৩২

আমিনুর রহমান বলেছেন:




দেখতে হবে তো কোন চ্যানেল গায়ে হলুদের প্রোগাম লাইভ টেলিকাষ্ট করেছে :P ;)

১৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:০৪

তিথীডোর বলেছেন: +++++++++++++ I am so disgusted to hear/saw this news!..This minister resembles the face of a child molester!..People are giving so much excuse to legalize this uncivilized behavior for a person in a very important role in Government position!..Pervert!

১৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৫:৩২

মহান অতন্দ্র বলেছেন: কিন্তু আমাদের মিডিয়া সেই অনুসন্ধানি রিপোর্টে না গিয়ে, তারা প্রচার করলো, নিজামী কি খায়? এখন কি খাবে? পড়ণে কি ছিল? মাথায় জিন্নাহ টুপি ছিল কিনা এসব। এসব তো খবরের বিষয় নয়। এসব তো আবর্জনা। আবর্জনা কেন মিডিয়ার সংবাদ হবে। সহমত ভ্রাতা । অসাধারন লেখা । বিষয়বস্তু ও ভাল লেগেছে । শুভ কামনা।

১৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৮

ভোরের সূর্য বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে...আপনার না বুঝলেও চলবে...কোনো সমস্যা নাই

কেন ভাই আমার না বুঝলেও চলবে? এখানে কি আমি বা আপনি শত্রু?এখানে কি আমরা ঝগরা করতে এসেছি?খুব বেশী হলে উম্মুক্ত আলোচনা হতে পারে এর বেশী কিছু নয়।তাহলে যুক্তিগুলো খন্ডন না করে কটাক্ষ করছেন কেন?

ভাই শুনুন। আপনার যুক্তি আমার পছন্দ নাও হতে পারে কিংবা আমার যুক্তি আপনার কাছে নাও পছন্দ হতে পারে। আপনি ইচ্ছা করলে আমার যুক্তিগুলো খন্ডন করতে পারেন আবার ইচ্ছা করলে নাও পারেন কিন্তু মানুষকে কটাক্ষ করা কি ঠিক?এভাবে কটাক্ষ করতে যেয়ে আপনি নিজেই নিজেকে হেয় প্রতিপন্ন করছেন।

আপনি যদি শুধুই মিডিয়ার বাড়াবাড়ি নিয়ে বলতেন তাহলে আমার মন্তব্য এত বড় হত না। এবং আমি মাত্র ৩লাইন লিখেছি মিডিয়া নিয়ে কিন্তু আমার আসল কথাগুলো ছিল যখন আপনি এই বিয়েকে অসম বিয়ে বলে বলেছেন মন্ত্রী খারাপ দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন,জনসংখ্যা বাড়িয়েছেন, বুড়ো বয়সে ভিমরতী ইত্যাদি বলেছেন তখন আমি এই কথাগুলোর বিপরীতে যেয়ে কথা বলেছি।

আপনার কথাগুলো আমার ঠিক মনে হয়নি আমি আমার যুক্তিগুলো দিয়েছি। আমার পুরো মন্তব্যের কোথাও আপনাকে কটাক্ষ কিংবা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করিনি।এমন কি আমার মন্তব্যে যেয়ে শেষ লাইনে আপনাকে অনুরোধ করেছি দয়া করে পজিটিভ ভাবে দেখার জন্য কিন্তু কোথাও আপনাকে অসম্মান করে কিংবা তাচ্ছিল্য করে কোন বাক্য লিখিনি।

আপনার সৎ সাহস থাকলে আমার যুক্তিগুলো খন্ডন করুন। ইচ্ছা না থাকলে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।

ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকবেন।

১৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:০৮

এহসান সাবির বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৭

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: মন আর মেশিন ভালো থাকলে আপত্তির কিছু দেখিনা, বয়স ব্যাপার না।

১৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৯

শাহ আজিজ বলেছেন: @@তিথিডোর

২৯ বছর বয়েসের এক ভরা যৌবনের যুবতীকে আপনি চাইল্ড বলছেন। মন্ত্রীর পারভারশনের কিছুই দেখছিনা , আমি দেখছি কিছু লোকের অদ্ভুত স্বভাবজনিত আচরন যে তারাই বিয়ের বয়েস ঠিক করে দেবে , মন্ত্রীর কোন বৃদ্ধাকে পছন্দ করা উচিত এবং যুবতির কোন যুবকের সাথে যাওয়া উচিত। অল অফ ইউ নিড টু ভিজিট এ সাইকোথেরাপি সেন্টার।

বিষয়টিকে আমি নিতান্ত মজা হিসাবে দেখছি এবং জোকস করতেও পিছপা নই কিন্তু আমি তাদের স্বাধীনতায় হাত দেবার কে??

২০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:১৪

কলমের কালি শেষ বলেছেন: হুম সবকিছু মিলে দুঃখজনক ।

২১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৯

অরিন্দম বোস বলেছেন: দাদুর কি দম মাইরি :-B :#> :!>

২২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:২১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভোরের সূর্যের সাথে অনেকাংশে একমত। মানুষের দৃষ্টি সংকীর্ণ হওয়া ঠিক না। কোনভাবেই রেলমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত জীবন নিয়েআলোচনার অধিকার আমাদের নেই, তার রাজনৈতিক কাজগুলো নিয়ে শুধু আমরা মত দেবার অধিকার রাখি। কিন্তু বিয়েতে খরচাদি তার নিজের পয়সায় নাকি আমাদের কষ্টের টাকায় এইটা অবশ্যই জানার অধিকার আছে।

মিডিয়া অ্যাটেনশান একটা আলাদা বিষয়। অনেকদিন ধরেই এর মান নামছে। রেলমন্ত্রীর বিয়ে না পেলে এরা অন্য কোন গুরুত্ব হীন বিষয় নিয়ে মাতত। গণমাধ্যম হিসেবে যে দ্বায়িত্ববোধ থাকা দরকার তা নাই বলেই এই অবস্থা।

২৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১১

তাসজিদ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। তাকে নিয়ে যে সবাই মজা করছে তা কি তিনি বোঝেন না। খুব ভাল করেই বোঝেন।

তার বিয়ে নিয়ে আমার কোন সমস্যা নেই । বিয়ে তিনি করতেই পারেন। তবে ৩৮ বছর ছোট কাওকে বিয়ে করা কে আমি অন্যায় ই বলব। যে তার মেয়ে বা প্রায় নাতির বয়সি।

আসলে হুমায়ুন আহমেদ এক বদমায়েশি কালচার শুরু করেছিলেন। তার সবাই তাতে উৎসাহী হয়েছেন।

২৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৬

জেরিফ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন ধন্যবাদ আপনাকে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.