নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বইমেলার ডায়েরি (১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫) !!!

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:১৮

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, শুক্রবার। আজ ১ লা ফাল্গুন। আজ বসন্ত। আজ অমর একুশে বইমেলা শুরু হয়েছে সকাল এগারোটায়। চলেছে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত। সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাংলা একাডেমি'র পুকুর পাড়ের দিকে ককটেল ফোটায় বইমেলা হঠাৎ করে আতঙ্কে শূন্য হয়ে যায়। আজ ফাল্গুনের এক তারিখে বসন্তকে বরণ করতে বইমেলায় ছিল উপচে পড়া ভিড়। শাহবাগে ফুল যেমন বিক্রি হয়েছে, সে তুলনায় বই কম বিক্রি হলেও, আজ বইমেলায় তারুণ্যের জোয়ার ছিল। সেই জোয়ারে বরং এই ককটেলের শব্দে এক ধরনের ছন্দপতন ঘটেছে। একাডেমির লিটল ম্যাগ প্রাঙ্গনে আড্ডা কেবল জমে উঠেছিল। হঠাৎ ওই মাটি কাঁপানো শব্দে বইপ্রেমীদের মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়। অল্প সময়ের মধ্যে বইমেলা ফাঁকা হতে শুরু করে।

অমর একুশে বইমেলায় যারাই এই ককটেল চার্জ করুক না কেন, তাদের কদাকার অসুন্দরের চেয়ে সারাদিনের তারুণ্যের সৌন্দর্য অনেক বেশি শক্তিশালী। সৌন্দর্যই সত্য। আর মানুষ তাই ভালোবাসে। অসুন্দর কদাকার ভীরুতা মানুষ চিরকাল বর্জন করেছে, অপছন্দ করেছে, ঘৃণা করেছে। আজকের বইমেলায় দুবৃত্তদের এই অসুন্দর প্রচেষ্টাকে মানুষ ঘৃণায় উড়িয়ে দিয়ে আবারো রাত পোহালে সৌন্দর্যের কাছে যাবে মানুষ। আবারো প্রাণের বইমেলা প্রাঙ্গন মানুষের পায়ে পায়ে ভরে উঠবে। কারণ মানুষ এই সৌন্দর্যের পূজারী।

দুপুর বারোটার দিকে বইমেলায় গিয়ে যথারীতি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢু মেরে তারপর একাডেমি প্রাঙ্গনে বহেড়াতলায় গিয়ে নন্দনের স্টল খুলে বসি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বইপ্রেমীদের আগমনে বইমেলা প্রাঙ্গন মুখরিত হয়ে ওঠে। আজও ছুটির দিন হওয়ায় সকালটা ছিল শিশু প্রহর। ছোট্টমণিরা একাডেমি মঞ্চে কবিতা আবৃত্তি করেছে। গান করেছে। ছবি এঁকেছে। সকালটা ছিল ছোটদের দখলে। বেলা একটায় শিশু প্রহর শেষ হলে মেলা প্রাঙ্গনে তারুণ্যের জোয়ার লাগে। মুহূর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও একাডেমি প্রাঙ্গন মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে টইটম্বুর হয়ে যায়।

একাডেমি'র প্রচার কেন্দ্র থেকে বারবার ঘোষণা করা হচ্ছিল, যারা দলবেধে মেলায় এসেছেন, তারা যেন দলছুট হলে কোথায় ফের মিলিত হবেন, তা আগেই ঠিক করে নেন। কারণ, মানুষের স্রোতে আজ সত্যি সত্যিই বইমেলায় প্রাণের বান ডাকে।

বর্ধমান হাউসের সামনে কুদ্দুচ ভাই আর কবি দিলদার হোসেনের সঙ্গে আলাপ হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ ক্রিকেট কভার করতে গিয়ে পুলিশের কাছে ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভশনের সাংবাদিক গ্রেফতার হওয়ার খবর নিয়ে। এছাড়া বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশকে খুব দুর্বলভাবে উপস্থাপন করায় বিসিবির দক্ষতা ও পারঙ্গমতা নিয়ে। বাংলাদেশ নিশ্চয়ই মেলবোর্নে উপস্থাপিত বাঙালিয়ানার চেয়েও আরো উচুমানের সাংস্কৃতির সামর্থ্য ইতোমধ্যে অর্জন করেছে। একটি বিশ্ব আসরে বাংলাদেশকে আরো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার দায়িত্ব বিসিবি একটু সচেতন হলেই করতে পারতো। কিন্তু বিসিবি দায়সারা গোছের যে বাঙালি সংস্কৃতি অস্ট্রেলিয়ায় দেখালো, তা দেশের মুখকে বরং আরো খাটো করেছে। এক কথায় মেলবোর্নে বাংলাদেশের উপস্থাপনা ছিল খুবই দুর্বল আর সাটামাটা। আমাদের ক্রিকেট যেখানে অনেক উঁচুতে পৌঁছে গেছে, সেখানে আমাদের সংস্কৃতিকে এভাবে দুর্বলভাবে উপস্থাপনের কোনো মানে হয় না। আমরা এর চেয়েও উন্নত কালচারাল রিপ্রেজিন্টং সামর্থ্য রাখি। যার দায় বিসিবি কোনোভাবে এড়াতে পারে না।

বইমেলায় এরপর দেখা হল কথাসাহিত্যিক পারভেজ হোসেন ও কথাসাহিত্যিক রাখাল রাহার সঙ্গে। রাখাল আজ ছেলেকে নিয়ে মেলায় এসেছে। দেখে খুব ভালো লাগল। আড্ডা দিচ্ছিলাম আলীমের সঙ্গে। কিছুক্ষণ পর কবি ও গবেষক রণদীপম বসুদার সঙ্গে দেখা হওয়ায় চা খেতে বাইরে গেলাম। রণদা চা শেষে উদ্যানে ঢুকলেন। আমি আবার প্রাঙ্গনে ফিরে বহেড়াতলায় গিয়ে পেলাম শাকুর ভাইকে। নির্মাতা, লেখক ও স্থপতি শাকুর মজিদ। সঙ্গে বাপ্পী আর পলাশ। কিছুক্ষণ পরে আমাদের সঙ্গে যোগ দিলেন অপুদা আর ন্যান্সি আপা। রিন্টু ভাই আজ নাটকের রিহারসেলে ব্যস্ত। সেই সুযোগে অপুদা আর ন্যান্সি আপা পাঙ্খা লাগিয়ে বইমেলায় ঘুরছেন ফাগুনের বাতাস লাগিয়ে। ন্যান্সি আপা আর অপুদা আমার বেশ কিছু বই কিনলেন। যে কারণে আমরা আবার উদ্যানে গেলাম। আজ কিন্তু উদ্যানে প্রচণ্ড ভিড় ছিল। ধুলোও ছিল প্রচণ্ড। ভিড়ের কারণে উদ্যান থেকে বের হবার আজ বিকল্প এক্সিট গেট ছিল। তবুও বাংলা একাডেমির সামনে কালীমন্দির গেটে ধাক্কাধাক্কি লেগেই ছিল।

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, অমর একুশে বইমেলা আয়োজন নিয়ে বাংলা একডেমি এখন পর্যন্ত ভুল পথেই হাঁটছে। দুই জায়গায় মেলা হওয়ায় এখনো বইপ্রেমীরা বিভ্রান্তে রয়েছেন। প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে অনেকে আজ বইমেলায় ঢুকতে পারেনি। গোটা ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে অমর একুশে বইমেলা আয়োজন কতোটা যুক্তিযুক্ত, এটা এখনই ভাবার সময় এসেছে। এই মেলা সারা মাস জুড়ে হওয়ায়, ধীরে ধীরে এটি প্রায় প্রতি বছরই কোনো না কোনো ভাবে অগোছালো একটা জগাখিচুরি মার্কা বারোয়ারি মেলায় রূপ নেয় ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখ আসতে আসতে। আমাদের গোটা জাতির জাতীয় চরিত্রেই এই অগোছালো বাঙালিয়ানা বৈশিষ্ট্যটি সুস্পষ্ট। অমর একুশে বইমেলা আয়োজনে যেহেতু বাংলা একাডেমি সকল কর্তৃত্ব পালন করে। তাই বাংলা একাডেমিকেই এর সকল ব্যর্থতার দায় নিতে হবে। কিন্তু একাডেমির বয়স এখন ৬০ বছর। অমর একুশে বইমেলার বয়সও অনেক হয়েছে। চল্লিশের উপরে। অথচ যতই দিন যাচ্ছে, ততই অমর একুশে বইমেলার চেহারা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য থেকে কর্পোরেট বেণিয়ার দিকে ঝুকছে। যা বইমেলার প্রকৃত সৌন্দর্যকে নষ্ট করছে। যা একাডেমি এখনো অনুভব করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হচ্ছে।

অমর একুশে বইমেলা একাডেমি প্রাঙ্গনের বাইরে আয়োজনের সম্পূর্ণ বিপক্ষে আমি। একাডেমি'র ভেতরে যে জায়গা আছে, এবং দোয়েল চত্বর থেকে টিএসসি পর্যন্ত রাস্তায় যতটুকু জায়গা, এর মধ্যেই সুন্দর পরিকল্পনা করে, আরো গোছানো বইমেলা করা সম্ভব। একাডেমির মাথায় যদি ঘিলু থাকত, তাহলে নতুন ভবনটি আরো দক্ষতার সঙ্গে বানানো যেত। নতুন ভবনটি এখন যেভাবে করা হয়েছে, সেখানে আরো উন্নত নকশা করার সুযোগ ছিল। একেবারে নিচের দুটো ফ্লোর একুশের বইমেলার জন্য খোলা রাখা যেত। পুকুরটাকে ঘিরে এবং নতুন ভবনের দুই ফ্লোর মিলে পুরো একাডেমি চত্বরে যে জায়গা, তা দিয়েই সুন্দর করে, এই মেলা আয়োজন করা যেত। এখন নতুন ভবন হয়ে যাওয়ায়, এখনো একাডেমি প্রাঙ্গনেই সুন্দর ভাবে মেলা আয়োজন করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে কি কি করতে হবে? আমার পরামর্শ এরকম-

১. একাডেমি বর্তমানে বর্ধমান হাইসের পাশে যে মঞ্চটি করে, ওটাকে নতুন ভবনের সামনে পুকুর পাড়ে ট্রান্সফার করতে হবে। মঞ্চের বর্তমান জায়গাটি স্টলের জন্য বরাদ্দ দিতে হবে।

২. একুশে মেলায় শুধুমাত্র প্রফেশনাল মানসম্মত প্রকাশকদের জন্য স্টল বরাদ্দ দিতে হবে।

৩. বাংলা একাডেমি ছাড়া অন্যান্য সকল সরকারি, আধা সরকারি, মিডিয়া, স্পন্সর প্রতিষ্ঠান সহ বর্জ জিনিসগুলোর মেলায় স্টল দেওয়া বন্ধ করতে হবে।

৪. আমাদের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যারা বইমেলায় স্টল নেয়, এরা বইমেলার সৌন্দর্য নষ্ট করার জন্য আরেকটি বড় প্রতিবন্ধকতা। যেমন ধরুন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। এদের একুশে বইমেলায় স্টল কেন, কোন যুক্তিতে দেওয়া হবে? তারা সারা বছর কি করে? মেলা উপলক্ষ্যে তাদের কি এমন প্রকাশ পায়, যা বিক্রি করার জন্য বইমেলায় থাকতে হবে??? এমন অনেক প্রতিষ্ঠানকে খামাখা বইমেলায় টেনে আনা হয়। এটা সরকারি আদিখ্যেতা। বাংলা একাডেমির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় অদক্ষতা।

৫. লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে অন্য কোনো ধরনের প্রকাশনাকে স্টল বরাদ্দ না করা।

৬. একাডেমি মঞ্চে মাসব্যাপী যে সেমিনার করা হয়, বাংলা একাডেমির কি লজ্বাও লাগে না যে, ওই সেমিনারে যারা দর্শক বা শ্রোতা, এতোগুলো বছর কাদের তারা কি জ্ঞানগর্ভ কথামালা শোনান? এই সেমিনার চর্চা একাডেমির হলরুমেই করা যেতে পারে। আমার অভিজ্ঞতা বলে, এই সেমিনারগুলো বাংলা একাডেমি কর্তৃক গোটা ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে এক অকাল পাত্রে কন্যা দান করার মত ব্যাপার। অনেকটা উলুবনে মুক্তা ছড়ানো। যাদের মেলায় একটু বসে রেস্ট নেবার ইচ্ছে জাগে, তারাই কেবল ওই সেমিনারের চেয়ারগুলো দখল করে। ওখানে কেউ সেমিনার শুনতে বইমেলায় যায় না। এই সামান্য বিষয়টি বাংলা একাডেমি গত চল্লিশ বছরেও ধরতে পারেনি বা উপলব্ধি করতে পারেনি। যা বড়ই দুঃখের বিষয়।

৭. বিকালের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে পুকুর পাড়ে নতুন ভবনের সামনে নতুন ভাবে তৈরি করা মঞ্চে। সারা প্রাঙ্গনে সাউন্ড সিস্টেম ছড়িয়ে দেওয়া হবে। কে গান গাইছে, তা না দেখলেও, তা নিজ নিজ জায়গায় বসে শোনানোর ব্যবস্থা রাখা হবে।

৮. একাডেমির তিনটি গেটই উন্মুক্ত থাকবে। দোয়েল চত্বর আর টিএসসি এলাকায় নিরাপত্তা চৌকি বা মেটাল ডিটেকটটর বসানো উচিত। কারণ গোটা রাস্তায়ও স্টল বরাদ্ধ করা উচিত। রাস্তার দুইপাশে দুই সারি স্টল। যেখানে নতুন প্রকাশকদের বা ছোট প্রকাশকদের বরাদ্দ করা যেতে পারে।

৯. অমর একুশে বইমেলা শুরু করা যেতে পারে ১ লা ফাল্গুন। আর তা শেষ হবে ২১ ফেব্রুয়ারি। ১৩ তারিখে শুরু। ২১ তারিখে শেষ। সেক্ষেত্রে মেলা উদ্ধোধন করা যেতে পারে ১২ ফেব্রুয়ারি।

১০. অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, মেলার প্রথম দশদিন প্রকাশকরা নতুন বই আনায় ব্যস্ত থাকেন। এই সময় বই বিক্রিও কম হয়। মেলা ২৮ দিনের বদলে ১০ দিন (১২ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি) হলে, প্রকাশকরা বইমেলা শুরু হবার আগেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে আগ্রহী হবে। তখন ৯ দিন বইমেলায় বই বিক্রি করার সুযোগ পাবে। গোটা মাস জাতি বইমেলা নিয়ে অযথা সময় নষ্ট করছে। যা জাতীয় প্রোডাকশানকে অর্থনৈতিকভাবেও দুর্বল করছে। কারণ, এতোগুলো মানুষ গোটা মাস একই কাজে ব্যস্ত থাকছে। বিশ্বের কোথাও এমন অলস জাতি আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। একটা সিস্টেম করলে সেটায় তখন সবাই নতুন করে অভ্যস্থ হয়ে যাবে।

১১. ২১ শে ফেব্রুয়ারি বরং সারা রাত বইমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যেতে পারে। ২১ তারিখের বড় ভিড় এড়াতে এই কৌশল। তখন যারা সকালে যাবে, তারা আর বিকালে যাবে না। যারা সারা রাতের প্রস্তুতি নিয়ে যাবে, তারা আর দিনের বেলায় খামাখা বইমেলায় যাবে না। সেক্ষেত্রে ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টায় অমর একুশে বইমেলার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।



মোদ্দাকথা, অমর একুশে বইমেলাকে গোটা ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে করা, এবং উদ্যান ও প্রাঙ্গন মিলে করা একটা জগাখিচুরি বারোয়ারি মেলা করার সামিল। এটাকে পরিকল্পিত, সুন্দর, গোছানো একটা রূপে ১০ দিনে ছোট করে আনলে গোটা জাতির বরং উপকার হবে।

আজ বইমেলায় অনেকের সাথে দেখা হয়েছে। আড্ডা হয়েছে। আজ আর আলাদা ভাবে উল্লেখ করার কিছু নেই। আড্ডায় যারা ছিলেন, এই মুহূর্তে যাদের নাম মনে পড়ছে, তারা হলেন- কবি জুয়েল মোস্তাফিজ, কবি আহমেদ স্বপন মাহমুদ, কবি মামুন খান, কবি মঈন চৌধুরী, কবি জুয়েল মাজহার, কবি মুজিব মেহদী, কবি শেলী নাজ, কবি কবির হুমায়ুন, কবি খলিল মজিদ, কবি সরসিজ আলীম, কবি হানানআল আব্দুল্লাহ, কবি নীলসাধু ও শিমুল মাসুদ দম্পতি, কবি চঞ্চল আশরাফ, কবি সাফি সমুদ্র, লেখক ঋষি এস্তেবান, শিল্পী চারু পিন্টু, কবি সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, কবি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা টোকন ঠাকুর, লেখক তপন বড়ুয়া, কবি ও নির্মাতা আশরাফ শিশির, কবি কাবেরী রায় চৌধুরী, কবি চৈতি হক, কবি আলোড়ন খিসা, কবি সুমনা সাহা, শিল্পী শতাব্দী ভব প্রমুখ।

বইমেলায় ককটেল আতঙ্কের কারণে মেলায় ছুটির ঘণ্টা বাজার আগেই মেলা শূন্য হয়ে যায়। কিন্তু গোটা শাহবাগ জুড়ে আজ অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা হয়েছে। ঢাকার রাস্তায় আজও ছিল চরম যানজট। আগামীকালও বইমেলায় এমন উপচে পড়া ভিড় হবে, এটা এখনই বলে দেওয়া যায়। আর ২১ তারিখে তো বরাবরের মতই সবচেয়ে বেশি ভিড় হবে। রাষ্ট্রে রাজনৈতিক ক্যাচাল কমুক বা বাড়ুক, বইমেলায় সবাই যাবে। প্রাণের মেলায় সবাই যাবে, নিরাপদে যাবে। নিরাপদে বাসায় ফিরে আসবে। এটাই হোক আজকের প্রত্যাশা। সবাই বই কিনুন। প্রিয়জনকে বই উপহার দিন। সবাই ভালো থাকুন। অমর একুশে বইমেলা আয়োজন নিয়ে আমার প্রস্তাবনাগুলো (১১দফা'র) পক্ষে-বিপক্ষে আপনারা আরো যুক্তিসঙ্গত মতামত দিবেন বলেই আমি বিশ্বাস করি। জয়তু একুশে বইমেলা। জয়তু লেখক-প্রকাশক-পাঠক মিলনমেলা।



..............................

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ঢাকা







মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.