নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
প্রথম আলো তাদের ফান পেজ রস-আলো-তে সাতজন ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট খেলোয়াড় (ক্যাপ্টেন এমএস ধোনি, অজিংকা রাহানে, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, রবীন্দ্র জাদেজা, শিখর ধাওয়ান ও রবীচন্দন অশ্বিন)-এর ছবি অর্ধেক নেড়ে করে একটা ফেক বিজ্ঞাপন বানিয়েছে। যেখানে বাংলাদেশী পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের নাম ও ছবি ব্যবহার করে দেখানো হয়েছে টাইগার স্টেশনারি, এখানে বাংলাদেশে প্রস্তুতকৃত মুস্তাফিজ কাটার পাওয়া যায়। স্টেডিয়াম মার্কেট, মিরপুর, ঢাকা। এর ঠিক নিচে সাতজন ভারতীয় ক্রিকেটারের অর্ধেক নেড়ে ছবি দিয়ে সেখানে লিখেছে- আমরা ব্যবহার করেছি, আপনিও করুন।
প্রথম আলো বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় প্রথম শ্রেণীর দৈনিক পত্রিকা। সেই পত্রিকা এভাবে একটি জঘন্য ফেক বিজ্ঞাপন বানিয়ে বাংলাদেশী তরুণ পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও সাতজন ভারতীয় ক্রিকেটারকে যেভাবে অপমান করেছে, যে ভাষা ব্যবহার করেছে, যে রুচিবোধের পরিচয় দিয়েছে, তাতে এই দৈনিক পত্রিকায় যে কোনো রুচিশীল ব্যক্তি এখন আর কাজ করেন না, তা তারা হারে হারে প্রমাণ করেছে। একটি দৈনিক পত্রিকার রুচিবোধ, পছন্দ এবং ফান করার মত মেধা কতোটা দেউলিয়া হলে, তারা এমন একটি জঘন্য অপকর্ম করতে পারে, তা যে কোনো বোধসম্পন্ন ব্যক্তি-ই এর নিন্দা করবে।
ভারতীয় একটি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া এই সংবাদটি ছেপে সেখানে দাবি করেছে, বাংলাদেশের দৈনিক প্রথম আলো ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেটারদের নগ্নভাবে অপমান করেছে। 'বাংলাদেশী নিউজপেপার মকস ইন্ডিয়ান টিম' হেডিংয়ের ওই নিউজটিতে এখন পর্যন্ত ৬১৩টি কমেন্ট পড়েছে। যেখানে অধিকাংশ ভারতীয় জঘন্য ভাষায় এর প্রতিবাদ করেছে। পাশাপাশি তারাও বাংলাদেশকে জঘন্য ভাষায় গালাগালি করেছে।
এখন দেখার বিষয় আমাদের তথ্য মন্ত্রণালয় যার অধীনে দৈনিক পত্রিকা, তারা এখন প্রথম আলো'র বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়। প্রথম আলো'র যার মাথা থেকেই ফেক এন্টি কাটারের এই বিজ্ঞাপনের আইডিয়া আসুক না কেন, এটি যে শুধু বাংলাদেশের ক্রিকেটকেই অপমান করেছে তাই নয়, বাংলাদেশের জাতীয় দলের পেসার মুস্তাফিজকে নরসুন্দর বা নাপিতের সঙ্গে তুলনা করেছে। আর সাতজন ভারতীয় ক্রিকেটারকে দেখানো হয়েছে মুস্তাফিজের ক্লায়েন্ট। কী জঘন্য!
প্রথম আলো এমন ফান করার ঔদ্বত্ত্য দেখিয়েছে, যা বাংলাদেশকেও অপমান করার সামিল। কি নিয়ে ফান করা যায়, কতোটা ফান করা যায়, তা যদি প্রথম আলো'র মত একটি প্রথম শ্রেণীর দৈনিকের মেধা ও রুচিবোধে না কুলায়, তাহলে এর প্রথম ও প্রধান প্রতিবাদ হওয়া উচিত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। যাতে অন্য কোনো দৈনিক এমন ফান করার দুঃসাহস না দেখায়।
বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এভাবে ভারতীয়দের গালাগালির টার্গেট বানানোর প্রথম আলোর নীলনকশা মোটেও কেবল ফান-বিজ্ঞাপনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। অত্যন্ত পরিকল্পিত করেই প্রথম আলো বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বিশ্বে ছোট করার হীন উদ্দেশ্য নিয়েই এই জঘন্য কাজটি করেছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করার জন্য এটি প্রথম আলোর একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এটাকে হালকাভাবে দেখার কোনোই সুযোগ নেই।
বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের বিতর্কিত কোয়ার্টার ফাইনালের পর আইসিসি'র প্রেসিডেন্ট আহম মোস্তফা কামাল পদত্যাগ করেন। আইসিসি'র চেয়ারম্যান ভারতীয় শ্রীনিবাসনের সঙ্গে বাংলাদেশের মোস্তফা কামালের যুদ্ধ এখন অনেকটা প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। আগামী বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নাকানো চুবানো খাওয়ানোর জন্য বিভিন্ন মহল ঘোলা জলে মাছ শিকার করতে চেষ্টা করছে। তেমন একটি উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে প্রথম আলো যে অপকর্মটি করেছে, এটি বাংলাদেশ ক্রিকেটকেই বিশ্বে অপদস্থ করার সামিল।
এমনিতে এই প্রথম আলো আবার বাংলাদেশে ভারতীয় আনন্দবাজার পত্রিকার প্রকাশ্যে ও পরোক্ষভাবে বাংলাদেশে দালালি করে। এবার সেই প্রথম আলো কি উদ্দেশ্যে, কাদের পরামর্শে, কোন লক্ষ্যে এমন একটি অপরাধ করল, তা মোটেও যে সহজ কোনো ভাবনার প্রতিফলন নয়, এটা যারা মনে করবেন, তারা বোকার স্বর্গে বাস করবেন। প্রথম আলো অত্যন্ত গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এটি করেছে। এটাকে হালকাভাবে দেখার কোনোই সুযোগ নেই।
প্রথম আলো যথেষ্ট চিন্তা-ভাবনা করেই, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, সুচিন্তিত ভাবেই এই অপকর্মটি করেছে। যাতে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এক ধরনের ঝামেলা মোকাবেলা করতে হয়। তার মানে প্রথম আলো এই বিজ্ঞাপনের আড়ালে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ক্ষতি চায়, এটাই আসল কথা।
প্রথম আলো'র এই অপকর্মের তীব্র প্রতিবাদ করছি। পাশাপাশি এই অপরাধের জন্য প্রথম আলোকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়াার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করছি। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ছোট করার মত ঔদ্বত্ত্য প্রথম আলো কোথায় পেল, তার জবাবদিহিতাও সরকারকে এখন নিশ্চিত করতে হবে। নতুবা এমন সুযোগ নিয়ে ভবিষ্যতে অনেকেই আমাদের জাতীয় ক্রিকেট নিয়ে নানান কিসিমের ফান ও মস্করায় মেতে ওঠার সম্ভাবনা থাকবে। আশা করি, তথ্য মন্ত্রণলায় বিষয়টি সিরিয়াসলি বিবেচনা করবে। কারণ, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এই ঘটনাকে মোটেও সহজভাবে নেবে না। যা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য আসলে অভিশাপ বয়ে আনবে। যা আমরা মানতে পারি না।
প্রথম আলো'র এই জঘন্য অপকর্মের পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড নিশ্চয়ই এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে এর ব্যাখ্যা চাইতে পারে। যা দু'দেশের ক্রিকেট সম্পর্ককে ভবিষ্যতে আরো কঠিন করে তুলবে। যা প্রথম আলো'র পরিকল্পিত কোনো নীলনকশারই অংশ। আমরা প্রথম আলো'র এই ফানের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চাই। নইলে এভাবে কোনো দেশের জাতীয় ক্রিকেটারদের অপমান করার মত ঔদ্বত্ত্য যে কারোরই থাকা উচিত নয়, সেটি সবাইকে আগে উপলদ্ধি করতে হবে। নইলে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নানাভাবে প্রথম আলো'র মত অনেকেই পেছন থেকে কোপ মারার চেষ্টা করবে। যা এখনই শক্তহাতে দমন করতে হবে। এজন্য কোনো ধরনের শীতলতা বা গরিমসি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্যই ভয়ানক দুঃখসংবাদ ডেকে আনতে পারে। অতএব সাধু সাবধান।
১ ঝুলাই ২০১৫
ঢাকা
২| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:০৮
সপ্নময় তপু বলেছেন: ফালতু কথা, আপনার গুলো। এখানে অপমানিত হবার মতো কিছু দেখছিনা। আর প্রথম আলো ভারতীয় দের জন্য ছাপানো হয় না। ফান করার জন্য সবসময় কেতাবি ভাষা পাওয়া যায় না। আপনি মনে হচ্ছে যে কোন কারনেই হোক ইন্ডিয়ার হারটা সহজ ভাবে নিতে পারেননি।
৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:১৪
রাশেদুল ইসলাম রাজ বলেছেন: আলু পত্রিকার মার্কেটিং স্ট্রাটেজিটাই এরকম। মনে আছে শাহবাগ নিয়ে কি করছিল। যখন প্রথম আলু পত্রিকা নিয়ে মানুষ তেমন একটা মাথা ঘামানো বাদ দিল তখনই তারা ক্যামেরার সামনে সেই মেয়েটি প্রকাশ করে তাদের তৈরী আন্দোলনের বারোটা বাজিয়ে দিল। নিজের নাম কিন্ত ঠিকই কামিয়ে নিয়েছিল। আর এখনও ঠিক সেরকমই, যখন আলুর দাম কমে যাচ্ছে ঠিক তখনই এই কাজটা করলো। আর আলু পত্রিকা যে বাংলাদেশের স্বার্থের বিরোধী সেটা যারা আজও বুঝেনি তাদের জন্য শুধুই হতাশা.............
৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:৩৪
গাজী সুবন বলেছেন: মোস্তাফিজ নাপিত কে বলছে আপনারে,ভালোভাবে আগে দেখুন!!!স্টেশনারিতে কাটার পাওয়া যায়,যেই কাটার কিনে এনে খেলোয়াররা ব্যবহার করেছেন ৷ আর এই ব্যাপারটা সম্পুর্নটাই একটা প্রতিকি ব্যাপার এটা নিয়ে আহামরি কিছু হবে তা আমার মনে হয় না,,
৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:০১
মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: প্রথম আলো'র ফান বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ধ্বংস করার নীলনকশার অংশ না। এই পোস্ট আপানাদেরমত কিছু আবালদের ভারতপ্রীতির নমুনা। ফানটা প্রকাশ হয়েছে প্রথম আলোর রস+আলো'তে যেটা মুলত বিনোদন পত্রিকা। শুধু ভারতের ক্রিকেট খেলোয়াড় নয়, এখানে বিভিন্ন সময় বিশ্বের বিভিন্ন বিখ্যাত মানুষের প্যারোডি করা হয়েছে মজার জন্য। আর বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলোয়াড়দের নিয়েও ভারতের পত্রিকায় প্রচুর প্যারোডি করা হয়েছে। গুগলে সার্চ দিয়ে দেখেন। কই সেই ব্যাপারে তো কিছু বললেন না? ভারতীয়রা অনেক আগে থেকে বাংলাদেশীদের গালাগালি করে। নিজের দেশরে ভালবাসেন অন্যের দেশরে নিয়ে না।
৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এটা তো ফান ম্যাগাজিন- এটা নিয়ে এত উত্তেজিত হবার কি আছে??
যারা ফান বুঝবেন না এটা তাদের সমস্যা। ভারতীয়রা এর চাইতেও বেশি বাজে ভাবে আমাদেরকে অপমান করেছে খেলা নিয়ে। সেটা নিয়ে আপনার কাছ থেকে কোন পোস্ট পেলে ভালো লাগত।
৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০৫
শ্রাবণধারা বলেছেন: এর মধ্যে দোষের কিছুই দেখলুম না ।
দাদা দেখি বিরাট গভেষক, এর মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ধ্বংস করার নীলনকশা খুঁজে পেলেন । আপনার শানিট বুদ্ধি আর কল্পনাশক্তির প্রশংসা করতেই হবে দাদা - আমাদের সশ্রদ্ধ পেন্নাম গ্রহন করুন ।
৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৫৯
আমি সোহান !! বলেছেন: এটা ঠিক হয় নাই আমরা তাহলে ওদের থেকে আলাদা হলাম কিভাবে ?
৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৩০
হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: ফান বোঝার মতোও একটা লেভেল এর মেধার প্রয়োজন রয়েছে, ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি কেউ যদি এই সামান্য ফানটুকু বুঝতে না পারেন, তবে তাদের মেধার লেভেল নিয়ে আমি সন্দিহান....
১০| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:২৬
কাল্পনিক আমি বলেছেন: আরে আবালের বাচ্চা আবাল। তুই যদি ফান বুঝতি তাহলে কোন দিন এই কথা বলতি না।
১১| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪
রেজা ঘটক বলেছেন: ক্ষমা চেয়েছে প্রথম আলো!
১২| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৪
রেজা ঘটক বলেছেন: শেষ পর্যন্ত প্রথম আলো নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে তৈরি ব্যঙ্গচিত্রের জন্য ভারতবাসীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছে। এটা নিয়ে ফেসবুকে ও ব্লগে লেখার পর একশ্রেণীর লোক আমাকে নানান কিসিমের মন্তব্য করেছে। যারা এটি করেছিল বা এখনো করছে, তারা সবাই প্রথম আলো'র লেলিয়ে দেওয়া দালাল। এখন প্রথম আলো আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে তৈরি ব্যঙ্গচিত্রের জন্য ক্ষমা চাওয়ায়, ঐসব দালালদের এখন কী হবে???!!!
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:০৬
অভ্র হাসান আবির বলেছেন: সহমত,পোষণ করছি।রস+আলো'তে পারতপক্ষে বাংলাদেশকে ক্রীড়াঙ্গণে উর্দ্ধে রাখার প্রয়াস দেখা গেলেও তা কতটুকুন সংকীর্ণ মনমানসীকতা'র পরিচয় দেয়া হয়েছে তা "মোস্তাফিজকে নরসুন্দর বা নাপিত এবং সাতজন ভারতীয় ক্রিকেটার'কে তার ক্লাইন্ট হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে" উক্তি'টি থেকে সহজেই অনুমেয় এবং কাজ'টি খুব সু-চতুর ভাবেই করা হয়েছে......