নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুলিশপ্রধানের পদ থেকে জনাব এ কে এম শহীদুল হকের পদত্যাগ দাবি করছি!!

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কিছু কিছু নিয়োগ বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য বিব্রতকর হয়েছে। অবশ্য সরকার তা নিয়ে বিব্রতবোধ করে কিনা সেটা ভিন্ন বিষয়। রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে অনেকেই বিব্রতবোধ করেন সেটাই আসল কথা। যেমন বর্তমান পুলিশপ্রধান আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক। সমাজকল্যান মন্ত্রী মহসিন আলী। এমন আরো উদাহরণ দেওয়া যাবে।

কিন্তু আমার এখনকার বক্তব্য বর্তমান পুলিশপ্রধানকে নিয়ে। সুস্পষ্টভাবে বর্তমান পুলিশপ্রধান একজন অযোগ্য লোক। পহেলা বৈশাখে টিএসসিতে নারীদের উপর বখাটেদের নির্যাতনকে তিনি কিছু বাজে ছেলেদের দুষ্টামি বলেছেন। যা এসব কাজে ওই ধরনের বখাটেদের আরো উৎসাহিত করেছে। একের পর এক ব্লগার হত্যায় পুলিশের ব্যর্থতা যেখানে প্রায় শতভাগ, সেখানে পুলিশপ্রধান বললেন, যদি কারো লেখা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে, তাহলে সে বিষয়ে পুলিশকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন। যা উল্টো ভিকটিমকেই দোষারোপ করার সামিল। যা সুস্পষ্টভাবে খুনিদের চাপাতিকেই সমর্থন করে। খুনিরা পুলিশকে না জানিয়ে চাপাতির ব্যবহার করেছে। খুনিদের ধরতে না পারার ব্যর্থতার দায় নিয়ে আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক কিন্তু এখনো পদত্যাগ করেননি।

ইনসপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ অব বাংলাদেশ একটি রাষ্ট্রীয় বাহিনীর কেবল প্রধানের পদ নয়, এটি একটি রাষ্ট্রের একটি বাহিনীর মর্যদাও তুলে ধরে। জনাব এ কে এম শহীদুল হক আইজিপি হবার পর থেকে এখন পর্যন্ত যতবার সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন, ততবারই গাড়লের মত কিছু কিছু অপ্রাসঙ্গিক মতামত দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের মর্যাদাকে বরং খাটো করেছেন বলেই আমার ধারণা। বাংলাদেশ পুলিশের মর্যাদা খাটো করে, এমন একজন ব্যক্তি সেই বাহিনীর প্রধানের পদে থাকাটা রাষ্ট্রের জন্যই বিব্রতকর। বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি নিজেও বিব্রতবোধ করি। পুলিশপ্রধান হয়ে তিনি চৌকিদারের মত কথা বলতে পারেন না।

পুলিশপ্রধানকে গোটা পুলিশ ডিপার্টমেন্টের অভিভাবকের মত গঠনমূলক এবং স্পর্শকাতর বিষয়ে অত্যন্ত বুদ্ধিমতার পরিচয় দিতে হবে। গাড়লের মত বাজারি কথা একজন পুলিশপ্রধানের কাছ থেকে বারবার প্রত্যশা করা যায় না। এ কে এম শহীদুল হকের মত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন কিছু নিয়োগ নিয়ে এখন বরং বিব্রতকর পরিস্থিতিতে দেশের সাধারণ মানুষ। যেমন সমাজকল্যান মন্ত্রী মহসিন আলী।

নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর আইজিপি’র এমন বক্তব্য গোটা জাতির জন্য খুবই হতাশাজনক এবং তাঁর অযোগ্যতারই বহিঃপ্রকাশ। এটা অনেকটা উল্টো ভিকটিমকেই দোষ দেওয়ার সামিল। সেই সাথে এ ধরনের বক্তব্য লেখক এবং ধর্মীয় উগ্রবাদীদের একটা ভুল মেসেজ দেয়।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এমন অপরিণামদর্শী এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন মন্তব্য চরমপন্থিদের আরও উস্কে দিবে এবং আসল খুনিদের আড়াল করবে। পুলিশপ্রধান এ কে এম শহীদুল হকের এমন মন্তব্য থেকে এটাও পরিষ্কার যে আমাদের পুলিশ প্রশাসন আসলেই খুনিদের ধরতে মোটেও আন্তরিক নয়। উল্টো তারা উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর মতলব করছেন।

আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক তাঁর এ বক্তব্য থেকে এটাই প্রমাণ করেছেন যে তিনি তাঁর দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণরূপে অক্ষম এবং জনগণের বাক স্বাধীনতা তাঁর হাতে মোটেও নিরাপদ নয়। আইজিপি এ কে এম শহীদুল হকের মত কেউ পুলিশপ‌্রধানের দায়িত্বে থাকলে পুলিশ যে কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা দেখাতে পিছিয়ে থাকবে এটা হলপ করেই বলে দেওয়া যায়।

আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক পুলিশ বাহিনীর সকল ব্যর্থতার দায়ভার স্বীকার করে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করবেন বলেই আমরা আশা করি। পুলিশ বিভাগের এমন হাজার হাজার ব্যর্থতাকে কিন্তু সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখারও সুযোগ রয়েছে। সরকার একদিকে মুখে বলছে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, অন্যদিকে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে খুনিরা খুন করে দিব্যি ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে, যা সরকারের কথার সঙ্গে কাজের অমিলকেই প্রমাণ করে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, নিহত নীলাদ্রী চট্টোপাধ্যায় নিরাপত্তা পেতে দুই থানায় জিডি করতে গিয়ে পুলিশের কাণ্ডজ্ঞানহীন অপারগতায় ব্যর্থ হয়েছেন। যার দায় বর্তমান পুলিশপ্রধান এ কে এম শহীদুল হকের উপরই বর্তায়। আমরা জনগণ সরকারকে ট্যাক্স দেই, সেই ট্যাক্সের পয়সায় পুলিশের বেতন হয়। আমরা এমন কোনো গাড়লকে পুলিশপ্রধানের স্থানে দেখতে চাই না, যার কারণে রাষ্ট্রের সাধারণ মানুষ আরো বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে। আলটিমেটলি নীলাদ্রী চট্টোপাধ্যায়কে নিরাপত্তা দিতে না পারার দায় বর্তমান সরকারকেই নিতে হবে।

বিচার বহির্ভুত যে কোনো হত্যাকাণ্ডের দায় যেমন সরকার এড়াতে পারে না, তেমনি এ কে এম শহীদুল হকের মত অযোগ্য ব্যক্তিকে পুলিশের প্রধানের স্থানে রেখে সরকার এ ধরনের পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করতেও পারবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা এ কে এম শহীদুল হকের মত অযোগ্য ব্যক্তিকে পুলিশপ্রধান হিসেবে দেখতে চাই না।

..................................
১০ আগস্ট ২০১৫
ঢাকা

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

হোৎকা বলেছেন: গরম ভাতে বিড়াল ব্যাজার,উচিত কথায় বউ ব্যাজার---পুলিশ প্রধানের ন্যায্য বক্তব্যে ঘটকবাবুর গোয়া একেবারে জ্বলে উঠেছে।

২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:১১

মোঃ ইমরান কবির রুপম বলেছেন: ঠিক বলেছেন ঘটক ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.