নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার প্রধান মিত্র বৃটেন ও ফ্রান্সের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক নীতি কী? ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক নীতি কী? রাশিয়ার মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক নীতি কী? এই রাঘব বোয়ালদের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক নীতির আড়ালেই আসলে মধ্যপ্রাচ্য সমস্যা জড়িত। এরা মধ্যপ্রাচ্যের তেল নিজেদের দখলে রাখতে চায়। আর সেখানে নিজেদের তৈরি করা অস্ত্র বিক্রি করতে চায়। তেল দাও অস্ত্র নাও। খুব সরল অথচ জটিল সমীকরণ। মার্কিন ও ব্রিটিশ মদদপুষ্ট মিডিয়া এটাকে নানান কিসিমের গালগপ্পো বানিয়ে বাজারে যা ছাড়ে, গোটা দুনিয়া তাই খেয়ে শ্রেফ ঝিমায়।
আজকের আইএস কাদের তৈরি? এর সঠিক ও এককথায় জবাব হলো যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা এটা তৈরি করেছে। ইরাকে সাদ্দাম হোসেন, লিবিয়ায় মোয়ামের গাদ্দাফী ও মিশরে হুসনে মোবারকের উত্থান ও পতনের পেছনে কারা? ওই একই জবাব। যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা। এর বাইরে আবার মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিটি দেশের সঙ্গে এদের আলাদা দরকষাকষির ব্যাপার আছে। যেমন মিশর।
আবার সিরিয়ার ব্যাপারটা একুট ভিন্ন। হাফিজের পতন কেন হয়নি? কারণ হাফিজের খুটির জোর হলো ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিন যতক্ষণ হাফিজের মিত্র ততক্ষণ হাফিজ টিকে থাকবে। এখন আইএস বা ইসলামী স্টেট কারা কোথায় কিভাবে আসল? এর জবাব খুঁজতে বেশি পণ্ডিত হবার দরকার নেই।
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল রাষ্ট্রটি কোন নীতির আড়ালে গঠন করা করা হলো? ইসরাইলের অস্তিত্ব মধ্যপ্রাচ্যে যতদিন আছে, যতদিন মধ্যপ্রাচ্যে তেল থাকবে, ততদিন মধ্যপ্রাচ্য সমস্যার কোনো শেষ নাই। হিসাব খুব সোজা। মাঝখানে বারবার মার্কিন ও তাদের মিত্রদের মদদে একবার আল-কায়েদা, একবার আইএস এমন নানান কিসিমের নাম দিয়ে বহির্বিশ্বের জন্য ধাধা তৈরি করা হয়।
একটা জিনিস একটু চিন্তা করলেই বোঝা যায় যে, আল-কায়েদা বা আইএস-এর কিন্তু নিজেদের অস্ত্র তৈরি করার কোনো ক্ষমতা নাই। তারা রাঘব বোয়ালদের অস্ত্র কিনেই কথিত ইসলামী স্টেট কায়েম করতে চায়। আসল কথা হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা মধ্যপ্রাচ্যে যতদিন তেল থাকবে ততদিন নানান অযুহাতে তেল বনাম অস্ত্র ব্যবসাটি চালাবে। আর এ কাজে তাদের আব্বা হলো ইসরাইল। এরা চাইলে আল-কায়েদা বা আইএস দুই মাসে নাই হয়ে যায়। এরা চাইলে আইএস একটা সত্যিকার ভাবেই ইসলামী স্টেট গঠন করবে। এরা না চাইলে গঠিত হবে না।
মধ্যপ্রাচ্যের তেলে কে কতোটা ভাগ বসায়, বিশ্বমানবতা নিয়ে তারা ততটা মিথ্যার লুকোচুরি খেলে। আমরা সহজ মানুষেরা আবার এদের মিডিয়ায় প্রচারিত মানবতার জয়গান শুনে এদের একেবারে আশ্রয়দাতা বানিয়ে ফেলি। সমস্যা যারা তৈরি করছে, তৈরি করছে এসি রুমে বসে মিটিং করে, দেন দরবার করে, তারাই আবার প্রকাশ্যে হয়ে যাচ্ছে বড় বড় মানবতাবাদী। কী হাস্যকর!!
পুতিন যদি হাফিজের পেছন থেকে জাস্ট সমর্থন উঠিয়ে নেয়, হাফিজ আর সিরিয়ার ক্ষমতায় একদিনও থাকতে পারবে না। এখানে আসল খেলাটা মার্কিন ও মিত্ররা বনাম রাশিয়া। আর মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র বারবার বদল হবে এসব রাঘব বোয়ালদের তেল ও অস্ত্র বিক্রির নিশ্চয়তা টিকিয়ে রাখতেই। যে দুই ব্যবসায়ী মধ্যপ্রাচ্যের সমস্যার জন্য দায়ী, তারা কিন্তু একঘাটে বসেই কলকাঠি নাড়ছে। একজন তেল ব্যব্সায়ী অন্যজন অস্ত্র ব্যবসায়ী। মাঝখানে এর সঙ্গে ইসলামকে নানান ফরম্যাটে তৈরি করেই এরা এই ব্যবসাটি করছে। তাই কখনো আল-কায়েদা কখনো আইএস বা ইসলামী স্টেট নানান নামে এদের বানানো হচ্ছে।
সমস্যার প্রধান জায়গাটি আড়াল করে কুতুবরা এটাকে সমাধানের চেষ্টা করে গোটা বিশ্বকে দেখাতে চায় যে, দেখো আমরা কত বড় মানবতাবাদী। কী হাস্যকর!
একবার ভাবুন তো, আইএস-এর অস্ত্রের যোগান যদি এসব কুতুবরা বন্ধ করে দেয়, কতদিন এরা ইরাক-সিরিয়া-লিবিয়া-মিশরের ওই জায়গা নিজেদের দখলে রাখতে পারবে? একমাসও পারবে না। এটা স্রেফ একটা রাজনৈতিক বাণিজ্য। সেখানে সাধারণ মানুষ হলো শ্রেফ বলির পাঁঠা। মধ্যপ্রাচ্যের শরনার্থীদের লাইন যতই লম্বা হোক না কেন, যত দেশই এদের আশ্রয় দিক না কেন, যতক্ষণ তেল থাকবে, ততক্ষণ সেখানে রাঘব বোয়ালরা অস্ত্র ব্যবসাটি চালিয়ে যাবেন। ততক্ষণ মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্রে নানান অদল-বদল হবে। মাগার আর আমরা মানবতা বলে চিল্লাচিল্লি করে যাব। সমস্যা না বুঝে, সমস্যা সমাধান কাদের হাতে, তা না বুঝে, মধ্যপ্রাচ্যে কার কতোটা স্বার্থ তা না বুঝে, মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে যতোই বানানো নাটক দেখানো হোক, সমাধানও ওই রাঘব বোয়ালদেরই হাতে।
ডাল মে কুচ কালা হ্যেয়। মধ্যপ্রাচ্যে যারা সমস্যা তৈরি করেছেন, তাদেরই এটা সমাধান করতে হবে। কিন্তু তাদের বানানো মিথ্যে মানবতার আড়ালে সারা বছর তাদের মিডিয়া থেকে মিথ্যা প্রপাগান্ণ্ডায় গোটা বিশ্ব একটা ধোয়াশার মধ্যে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যের আসল সমস্যা কুতুবদের হাতেই। সমাধানও ওই কুতুবদের হাতে। শুধু আয়লান কুর্দিরা বছর বছর এভাবে মরে যাবে, তাতে কুতুবদের কার্পেটের নিচে আটকে রাখা গোপন কৌশলটির কোনো বদল হবে না। যেদিন মধ্যপ্রাচ্যের তেল শেষ হবে, সেদিন ওখানে কারো আর কোনো স্বার্থ থাকবে না। অটোমেটিক মধ্যপ্রাচ্য সমস্যা বন্ধ হয়ে যাবে। সুতরাং তেল যতক্ষণ আছে, ততক্ষণ কুতুবদের এই নানান কিসিমের নাটক আমরা কেবল দেখেই যাব। সারা বছর আয়লান কুর্দিরা মরতেই থাকবে। বিশ্ব মানবতা বলে কিছু নেই। এটা একটা বানানো নাটক।
.................................
৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ঢাকা
২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৬
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সমস্যা কার তৈরী? যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র
আল-কায়েদা/আইএস কাদের তৈরী? যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র
এদের অস্ত্র কারা দেয়? যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র....
ভাই সবই তো বুঝলাম, তাইলে এতগুলান আরব রাষ্ট্র বইসা বইসা কি খালি হেরেমখানায় বেলী ড্যান্স দেখে..???
মিডল ইস্ট যদি তেল সাপ্লাই বন্ধ করে দেয় তবে পৃথিবী অচল হতে দুই দিনও লাগবে না...কিন্তু তারা তা করবে না...কারন ঐ যে বললাম...বেলী ড্যান্স!
নিজেরা কামড়া-কামড়ি করলে অন্যরা তো সুযোগ নেবেই...
বিদ্রঃ ইরাকে মিসাইল হামলা কিন্তু করা হয়েছিল সৌদি ঘাঁটি এবং আরব সাগর থেকেই
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ভাল লাগলো।