নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রযুক্তি ভালোবাসি, টেকনোলজি আমার পেশা ও নেশা।

rezaul827

প্রযুক্তি ভালোবাসি, টেকনোলজি আমার পেশা ও নেশা। নতুন কিছু শিখতে চাই, নতুন পৃথিবী গড়তে চাই।

rezaul827 › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিলম্বে বিবাহ, একটু ভাবুন, নিজের মনকে প্রশ্ন করুন ??

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশে গড় বিয়ের বয়স প্রায় ত্রিশ। কিন্তু একজন মেয়ে প্রথম সেক্স করে গড়ে সাড়ে ষোল বছর বয়সে।
এরপর প্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছর) হলে লিভ টুগেদারে যায় কিংবা ইচ্ছেমত পছন্দের পার্টনার খুঁজে নেয়। ফলে তাদের জন্য বিয়ের অতটা প্রয়োজন হয় না।
আমাদের দেশেও বর্তমানে পশ্চিমা সমাজকে অনুসরন করতে গিয়ে মেয়েরা এখন লেখাপড়া শেষ করে অর্থাৎ আটাশ বা ত্রিশের কাছাকাছি গিয়ে বিয়ে করতে ইচ্ছুক হচ্ছে।
কিন্তু সমস্যাটা কোথায় তৈরি হচ্ছে?
এদেশে একটা মেয়ের menarche বা পিরিওড শুরু হয় গড়ে ১২-১৩ বছর বয়সে। সে বিয়ে করছে ৩০ বছর বয়সে। আর menopause বা পিরিওড বন্ধ হচ্ছে গড়ে ৪৯ বছর বয়সে।
এর মানে দাঁড়াচ্ছে, কেউ যদি ত্রিশ বছর বয়সে বিয়ে করে, তাহলে তার প্রজননকাল (১৫ থেকে ৪৯ বছর) এর প্রথম অর্ধেক সময়ই সে অবিবাহিত অবস্থায় কাটাচ্ছে। এরপর ত্রিশে গিয়ে বিয়ে করছে, এবং বাকি অর্ধেক প্রজননকাল সে বিবাহিত অবস্থায় কাটাচ্ছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রথম অর্ধেক প্রজননকালই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপুর্ন। এই সময়টাতেই একজন মানুষের শারীরিক চাহিদা ও অনুভুতি সবচেয়ে বেশি থাকে। পশ্চিমারা এসময় বিয়ে না করলেও তাদের শারীরিক চাহিদা ঠিকই মেটাচ্ছে (তাদের ধর্মবোধ প্রায় শুন্য কিংবা পরকাল নিয়ে অতটা চিন্তাবোধও নেই)।
আমাদের দেশে দেশীয় ও ধর্মীয় সংস্কৃতির কারণে সাধারণত বিয়ের আগে কেউ সেক্সও করে না। ফলে এদেশের নারীরা এই গুরুত্বপুর্ন সময়টাতে এ থেকে দূরে থাকছে। এরপর তারা এমন এক সময় বিয়ে করছে, যে সময় থেকে শারীরিক চাহিদা ও অনুভুতিও কমতে থাকে।
পুরুষদের ক্ষেত্রেও একই বিষয়।
গবেষণায় দেখা গেছে ছেলেদের libido বা যৌনআকাঙ্ক্ষা বিশ বছরে সর্বোচ্চ্য লেভেলে থাকে ও আটাশ বছর পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকে। এরপর চল্লিশ বছর পর্যন্ত ধীরে ধীরে কমতে থাকে। চল্লিশ বছর পর এই কমার হার দ্রুত হয়। একজন পঁয়তাল্লিশ বছরের লোকের অনুভুতি একজন পঁচিশ বছরের লোকের অনুভুতি অপেক্ষা অর্ধেক হয়।
এই কারণে দেখা যায় ,একটা নির্দিষ্ট বয়স পার হলে অনেকে বাকি জীবন বিয়ে ছাড়াই থেকে যায়।
তাহলে পশ্চিমা চিন্তা মাথায় ঢুকিয়ে দেরি করে বিয়ে করার ফলে ক্ষতি কাদের হচ্ছে?
যৌনসম্পর্কের ফ্রিকুয়েন্সি বা পরিমাণ বয়স বাড়ার সাথে সাথে কমে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, একজন ২০-২৯ বছর বয়সী বিবাহিত মেয়েদের ৭২ ভাগ সপ্তাহে ৪ বার বা এর বেশি সেক্স করে, সেখানে ৩০-৩৯ বয়সীদের সংখ্যা মাত্র ২৮ ভাগ।
একজন মেয়ে যদি ত্রিশ বছরে বিয়ে করে, তার পার্টনারের বয়স কমপক্ষে পঁয়ত্রিশ হবে ধরে নেওয়া যায়। কিংবা তার বেশিও হতে পারে। ফলে, একটা গ্যাপ তৈরি হয় ও একজন আরেকজনের চাহিদা মেটানোর ঘাটতিও তৈরি হয়। এর ফলে এদেশে পরকিয়ার হার বা বহুগামিতার সংখ্যাও বাড়ছে।
এবার আসি দ্বিতীয় পয়েন্টে... এটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপুর্ন।
যেসব দেশে বিয়ের বয়স বেশি, তাদের ফার্টিলিটি রেট বা সন্তানধারণ ক্ষমতার হারও অনেক কম। তারা দেরীতে বিয়ে করছে, অন্যদিকে তাদের জনসংখ্যাও কমছে।
এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত, ত্রিশের পর থেকে মেয়েদের সন্তানধারণ ক্ষমতা কমতে থাকে। পঁয়ত্রিশের পর থেকে এই ক্ষমতা আরো দ্রুত কমতে থাকে এবং চল্লিশে গিয়ে এই ক্ষমতা অর্ধেকে নেমে আসে।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে ক্রমোসোমাল এবনরমাল বাচ্চা হওয়ার হারও বাড়তে থাকে। ত্রিশ বছরে প্রথম বাচ্চা নিলে প্রতি ৩৬৫ টি বাচ্চার মধ্যে একজন ও চল্লিশ বছরে বাচ্চা নিলে প্রতি ৬৩ টি বাচ্চার মধ্যে একজন বাচ্চা ক্রমোসোমাল এবনরমালিটি নিয়ে জন্মগ্রহন করতে পারে।
তাছাড়া ত্রিশের পর প্রথম বাচ্চা নিলে ব্রেস্ট ক্যান্সার বা স্তনের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়।
ত্রিশের পরে বাচ্চা নিলে মিসক্যারিজ হয়ে বাচ্চা মরে যাওয়ার হার ও বাচ্চার ডাউন সিনড্রোম হওয়ার চান্স বেশি থাকে। এর পেছনে বয়স বাড়ার সাথে সাথে ডিম্বানু ও শুক্রানুর গুণগত মান কমে যাওয়া দায়ী।
পুরুষদের ক্ষেত্রে বয়স পঁয়তাল্লিশ বছর পার হয়ে গেলে বাবা হওয়ার সক্ষমতা বিশ বছরের পুরুষদের চেয়ে পাঁচগুণ কমে যায়।
আমার নিজের অভিজ্ঞতাই বলি… আমার দেখা মতে তরুণী (১৯-২২) বয়সী মায়েরাই সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যবান বাচ্চার জন্ম দেয়।
এবার আসি, দেরি করে বিয়ের ধারণা এল কিভাবে?
পৃথিবীতে যখন জনসংখ্যা বাড়তে থাকল, তখন বিজ্ঞানীরা এর পেছনে কারণ খুঁজতে লাগলো।
ডেভিস এবং ব্লেক এর ফ্রেমওয়ার্ক থেকে জনসংখ্যা বিজ্ঞানী জন বোনগার্টস (আমি নিজেও উনাকে গুরু মানি) একটা ফর্মুলা দেন। সেখানে তিনি দেখান, মেয়েরা দেরি করে বিয়ে করলে ফার্টিলিটি (সন্তানধারণের) হার কমে যায়। অন্যদিকে জনসংখ্যা বিজ্ঞানীরা আরেকটি ফর্মুলা দেন, মেয়েদের আয় বাড়লে ফার্টিলিটি কমে।
মেয়েদের দেরীতে বিয়ের উৎসাহ ও তাদের আয় বৃদ্ধি কিভাবে করা যায়, এর পেছনে গবেষণায় দুটো জিনিস বের হয়ে আসে। একটা হল, নারী শিক্ষা বৃদ্ধি, আরেকটি হল নারীর ক্ষমতায়িত
এই দুটো বিষয় নিয়ে প্রচার হতে হতে পৃথিবীর জনসংখ্যার নিয়ন্ত্রণে আসছে বটে, কিন্তু একসময় এর মূল অর্থই পাল্টে যেতে থাকে।
দেরীতে বিয়ের ফলে একদিকে পরকিয়া, ডিভোর্স বাড়ছে, অন্যদিকে সন্তানধারণ ক্ষমতাও কমছে। জাপানের কোন মেয়ে এখন চল্লিশের আগে বিয়ে করতে চায় না, অথচ জাপানের জনসংখ্যা এখন নেগেটিভ দিকে যাচ্ছে... কানাডায় প্রতি বছর পাঁচ লক্ষ অভিবাসী নিতে হচ্ছে তাদের জনসংখ্যার সংখ্যা ঠিক রাখার জন্য, রাশিয়াতে বাচ্চা হলে ফ্ল্যাট দেওয়া হচ্ছে, তবুও কেউ তেমন বাচ্চা নিতে আগ্রহী নয়।
যারা দেরীতে বিয়ে করতে আগ্রহী, তারা ব্যাপারটা নিয়ে একটু ভেবে দেখতে পারেন।

Writer : ডাক্তার তারাকি হাসান মেহেদী

রেফারেন্সঃ
1. Increased infertility with age in men and women; Dunson et al. Journal of Obstetric and Gynaecology, (January 2004).
2. Age and reproductive outcome: The fertility society of Australia
3. The variability of female reproductive ageing; Velder ER et al. Pubmed, (Mar-Apr 2002).
4. Changes with age in the level and duration of fertility in the menstrual cycle; David B. Dunson et all. Journal of human reproduction (2002).
5. Durex Network Research Unit 2009, Face of Global Sex report, 2005 – 2009, Oxford University Press.
6. Nutritional status and age at menarche in a rural area of Bangladesh, Chowdhury S et al; Annals of Human Biology (May-Jun, 2000).
7. Female sexual dysfunction in a population-based study in Iran: M R Safarinejad. International Journal of Impotence Research (2006)
8. Proximate determinants of fertility: John Bongaarts

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ফিজিওলোজিক্যালী সঠিক তথ্য

২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১৯

ওমেরা বলেছেন: মানুষসহ দুনিয়ার যাবতীয় সব কিছু তৈরী করেছেন আল্লাহ ।মানুষকে ক্ষমতা দিয়েছেন দুনিয়া পরিচালনার জন্য কিন্ত ক্যাটালগ হিসাবে দিয়েছেন কোরআন । কিন্ত আমরা মানুষরা সেটা রেখে নিজেরা মাত্বরবী করি । কাজেই আর ও কতকিছুই হবে ।

লিখাটা অনেক ভাল লাগছে ধন্যবাদ ।

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২০

শাহীবুল বারী বলেছেন: একদম মিথ্যে নয়, তবে মেয়েদের বিয়ের পরে পড়াশুনা ব্যাপার টা কিন্তু হয়ে উঠে না আমাদের দেশে ।।।

২৭ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১০

rezaul827 বলেছেন: তবে েইচ্ছা থাকলে সবই সম্ভব

৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সবার কাছে বেশী টাকা থাকলে আমাদের দেশেও দ্রুত বিয়ে হত, কিন্তু প্রতিষ্ঠিত হতে হতেই সময় চলে যায়। আর মেয়েরাও এখন উচ্চশিক্ষিত হচ্ছে। তাই দেরি হচ্ছে...

৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫২

প্রোলার্ড বলেছেন: আমাদের সমাজ বাল্যপ্রেম না ঠেকিয়ে বাল্য বিয়ে ঠেকাতে তৎপর। কোনটা সমাজের জন্য ক্ষতিকর ?

৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০৮

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: দুই বছর যাবৎ পাত্রী খুঁজতেছি! এই বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না বঙ্গদেশে বিবাহ করাটা এখন একটা বিশাল প্যারার ব্যপার, মেয়ের বাপেরা তাদের মেয়েদেরকে বুড়ি বানাবে, তবুও সরকারী চাকরিজীবী আর বড় ব্যবসায়ী ছাড়া বিবাহ দিবেনা! X((

২৭ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

rezaul827 বলেছেন:

৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১০

মিঃ আতিক বলেছেন: চট্টগ্রাম ও নোয়াখালি বিভাগে বিয়ের গড় বয়স ৩৫ এর বেশী হবে বলে আমার ধারনা :P

২৭ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

rezaul827 বলেছেন: :P

৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১৪

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লেখা।

আজকাল ছেলে এবং মেয়েরা প্রতিষ্টিত হতে চায়। যখন প্রতিষ্টিত হয় তখন সমস্যা শুরু হয়।

৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: বিয়ের বাজারে দুই ধরণের মেয়ের কদর বেশি - কম বয়সী সুন্দরী আর ভালো চাকরিজীবী (ভালো চাকরিজীবী বলতে ব্যাংকার, ডাক্তার, সরকারি কর্মকর্তা ইত্যাদি)। সবচেয়ে বিপদে আছে যাদের মাস্টার্স শেষ অথচ চাকরি হচ্ছে না। এই দলের বেশিরভাগই হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আর ভূইফোড় প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে পাশ করা। চাকরিও হচ্ছে না, বয়স বেশি হবার কারণে বিয়েও হচ্ছে না।
তেনারা নারী ক্ষমতায়নের কথা বলে কিন্তু ভদ্র পরিবারের একটা মেয়ে নিঃসংকোচে করতে পারবে এরকম একটা চাকরির ব্যবস্থা করতে পারে না।

২৭ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১২

rezaul827 বলেছেন: সহমত, সঠিক কথা বলেছেন

১০| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০০

পুকু বলেছেন: তাহলে আমরা কি তাড়াতাড়ি বিয়ে করে বাচ্চা পয়দা করে কুকুর বেড়ালের মতো জীবন যাপন করবো।কারণ আমাদের যা socio-economical status তাতে এর চাইতে ভাল জীবন আশা করা যায় না।অবশ্য আপনার মতো ডাক্তার হলে আলাদা কথা!!জন্ম দেওয়াটা বড় কথা নয় বড় কথা মানুষের মতো করে বাঁচা।নুন আনতে পানতা ফুরায়-জীবনে আরএকটি জীবনকে নিয়ে আসা রিতিমতো অমানবিক।এর চাইতে western life style better নয় কি? অবশ্য আপনার লেখার উদ্দেশ্য যদি পশার বৃদ্ধির strategy হয়ে থাকে তবে আলাদা কথা! যে দেশে পথেঘাটে বাচ্চারা ভিক্ষা করে সেই দেশে আপনার উপদেশ কতটা গ্রহণযোগ্য তা ভাবিবার অবকাশ রাখে।ভাল থাকুন।ধন্যবাদ।

১১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৩৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অত্যন্ত চিন্তার বিষয়।

১২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

Al Rajbari বলেছেন: ভাববার বিষয়-!! :-& :-&

১৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৩৪

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: যৌক্তিক তথ্য

১৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৪৩

আখেনাটেন বলেছেন: দিল্লী কা লাড্ডু!!!!

১৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৩৮

বারিধারা বলেছেন: এখানে ভাবাভাবির আসলেই কিছু নাই। একটা সংসার সামলানোর মর বয়সে না পৌঁছালে কোন বাবা মা-ই তার মেয়েকে বিয়ে দেবেনা। আর এখনকার বাস্তবতা তো একদম অন্যরকম। লেখাপড়া শেষ না করলে শ্বশুরবাড়িতে একটা মেয়ের দাম একেবারেই শূন্যের কোঠায়। এই বাস্তবতাকে অস্বীকার করে কেবলমাত্র শারীরিক চাহিদা বা স্বাস্থ্যবান বাচ্চা জন্ম দেয়ার লোভে কোন পাগলেও ১৭/১৮ বছর বয়সে বিয়ে করতে রাজি হবেনা। মেয়েদের ১২/১৩ বছর বয়সে পিরিয়ড শুরু হয়ে ৪৮ বছরে শেষ হলে কি হবে, গড়ে একটা মেয়ে তো ৬০/৭০ বছর বাঁচে - এই বেঁচে থাকার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবেনা?

অল্প বয়সে একটা মেয়ে সুন্দরী না হোক, শারিরিকভাবে খুব আকর্ষণীয় হয়ে থাকে, কিন্তু এই আকর্ষণ কয়দিন থাকে? বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্কের জন্য এই শারীরিক আকর্ষণের দাম আছে। কিন্তু বিয়ে দুজন নারী পুরুষের আত্মিক বন্ধন। এই বন্ধনের জন্য স্বামী স্ত্রীর কাছাকাছি বয়সে বিয়ে হওয়া বাঞ্ছনীয়। মে-নভেম্বর সম্পর্ক টিকে থাকে, কিন্তু তাতে ভালবাসা বোঝাপড়া - এঈ ব্যাপারগুলো একেবারেই থাকেনা।

১৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: নাবিক সিনবাদ বলেছেন,বঙ্গদেশে বিবাহ করাটা এখন একটা বিশাল প্যারার ব্যপার, মেয়ের বাপেরা তাদের মেয়েদেরকে বুড়ি বানাবে, তবুও সরকারী চাকরিজীবী আর বড় ব্যবসায়ী ছাড়া বিবাহ দিবেনা!
একতম ঠিক কথা বলেছেন।

১৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২৪

বিপরীত বাক বলেছেন: পুকু বলেছেন: তাহলে আমরা কি তাড়াতাড়ি বিয়ে করে বাচ্চা পয়দা করে কুকুর বেড়ালের মতো জীবন যাপন করবো।কারণ আমাদের যা socio-economical status তাতে এর চাইতে ভাল জীবন আশা করা যায় না।অবশ্য আপনার মতো ডাক্তার হলে আলাদা কথা!!জন্ম দেওয়াটা বড় কথা নয় বড় কথা মানুষের মতো করে বাঁচা।নুন আনতে পানতা ফুরায়-জীবনে আরএকটি জীবনকে নিয়ে আসা রিতিমতো অমানবিক।এর চাইতে western life style better নয় কি? অবশ্য আপনার লেখার উদ্দেশ্য যদি পশার বৃদ্ধির strategy হয়ে থাকে তবে আলাদা কথা! যে দেশে পথেঘাটে বাচ্চারা ভিক্ষা করে সেই দেশে আপনার উপদেশ কতটা গ্রহণযোগ্য তা ভাবিবার অবকাশ রাখে।ভ


বারিধারা বলেছেন: এখানে ভাবাভাবির আসলেই কিছু নাই। একটা সংসার সামলানোর মর বয়সে না পৌঁছালে কোন বাবা মা-ই তার মেয়েকে বিয়ে দেবেনা। আর এখনকার বাস্তবতা তো একদম অন্যরকম। লেখাপড়া শেষ না করলে শ্বশুরবাড়িতে একটা মেয়ের দাম একেবারেই শূন্যের কোঠায়। এই বাস্তবতাকে অস্বীকার করে কেবলমাত্র শারীরিক চাহিদা বা স্বাস্থ্যবান বাচ্চা জন্ম দেয়ার লোভে কোন পাগলেও ১৭/১৮ বছর বয়সে বিয়ে করতে রাজি হবেনা। মেয়েদের ১২/১৩ বছর বয়সে পিরিয়ড শুরু হয়ে ৪৮ বছরে শেষ হলে কি হবে, গড়ে একটা মেয়ে তো ৬০/৭০ বছর বাঁচে - এই বেঁচে থাকার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবেনা?

অল্প বয়সে একটা মেয়ে সুন্দরী না হোক, শারিরিকভাবে খুব আকর্ষণীয় হয়ে থাকে, কিন্তু এই আকর্ষণ কয়দিন থাকে? বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্কের জন্য এই শারীরিক আকর্ষণের দাম আছে। কিন্তু বিয়ে দুজন নারী পুরুষের আত্মিক বন্ধন। এই বন্ধনের জন্য স্বামী স্ত্রীর কাছাকাছি বয়সে বিয়ে হওয়া বাঞ্ছনীয়। মে-নভেম্বর সম্পর্ক টিকে থাকে, কিন্তু তাতে ভালবাসা বোঝাপড়া - এঈ ব্যাপারগুলো একেবারেই থাকেনা।

১৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:২০

বাকরখানি বলেছেন:

Writer : ডাক্তার তারাকি হাসান মেহেদী

=p~
ডাক্তার সাবের ব্লগ ঘাটাইলাম একবার। সর্ববিষয়ে মহাপন্ডিত!
এরিস্টটলের জামানা শেষ অনেক আগেই। এখন কেউ যদি নিজেরে সর্ববিষয়ে ওস্তাদ মনে করে তাইলে বুঝতে হৈব হে একটা বিরাট বিশাল গাধা আর নাইলে স্টিফেন হকিংএর চেয়েও বড় কিছু একটা। আর কিছু কৈতাম না।

১৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

রাতু০১ বলেছেন: যৌক্তিক তথ্য।
মন্তব্যগুলো পড়াতেই মজা :D :) ;)

২০| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমার এক বন্ধুর বলা সত্য ঘটনা মনে পড়িল ! তাহাদের কিছু শিক্ষক ছিলেন ভয়াবহ টাইপের ! একবার একজন শিক্ষক ক্লাসের মধ্যে জিজ্ঞেস করিলেন , আচ্ছা তোমরা বিবাহ করিবে কবে ? একজন ছাত্র উত্তর কহিলেন , স্যার আমরা লেখাপড়া করিয়া পাশ করিয়া আগে নিজের পায়ে দাড়াইবো , তাহার পর বিবাহ করিব ! শিক্ষক কহিলেন , তোমরা নিজের পায়ে দাঁড়াইতে দাঁড়াইতে তোমাদের যা বয়স হইবে, তখন তোমাদের ইয়ে আর দাঁড়াইবে না !

আপনার পোস্ট খুবই যুক্তিযুক্ত। একারণেই আমি বাল্য বিবাহের সমর্থক। এবিষয়ে আমার পোস্টও আছে ! যাহারা বিলম্বে বিবাহ সমর্থন করেন তাহাদের হয় পশ্চিমা বিশ্বের মতন গার্ল ফ্রেন্ড আছে যাহার সাথে নিয়মিত ইয়ে করেন অথবা তাহাদের ইয়ে দাঁড়ায় না অথবা দড়ি দিয়া বাইন্ধা রাখেন !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.