নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রযুক্তি ভালোবাসি, টেকনোলজি আমার পেশা ও নেশা। নতুন কিছু শিখতে চাই, নতুন পৃথিবী গড়তে চাই।
বরাবরের ন্যায় যেকোন ইস্যুতে আমরা বাঙ্গালী জাতী ২ ভাগে বিভক্ত।
ক। রোহিঙ্গারা আমাদের ভাই, তাদের আশ্রয় দিন।
খ। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া উচিত হবে না, তারা সন্ত্রাসী, আমাদেরই অনেক সমস্যা, তারা পরবর্তীতে কক্সবাজারের স্বাধীনতা চাইবে।
আমার কিছু কথা .........
➡ যদি আপনি সিরাতে ইবনে হিশাম পরে থাকেন তাহলে তৎকালিন সময় মক্কার কাফের মুশরিকদের অত্যাচারে একদল মুসলিম (মুহাজির) তাদের স্ত্রী, সন্তান ও সম্পত্তি ত্যাগ করে মদিনায় হিজরত করেছিলেন। তখন মদিনার মুসলিমরা (আনসারগণ)- তাদের সাদরে গ্রহণ করেছিলেন এবং মদিনার মুসলিমরা মক্কার মুসলিমভাইদের জন্য তাদের আবাদী সম্পত্তির কিছু অংশ, খেজুর বাগান এমনকি যাদের ২/৩টি স্ত্রী ছিল তাদের ১ জনকে তালাক দিয়ে মদিনার মুসলিম ভাইদের সাথে বিবাহ দিয়েছিলেন।যদিওবা মদিনার মুসলিমরা অর্থ সম্পদে খুব একটা শক্তিশালি ছিল না। {এখানে উল্লেখ্য যে তৎকালিন সময়ে বহু বিবাহ বা তালাকপ্রথা সামাজিক দৃস্টিতে দোষের কিছু ছিল না}
আল্লাহ বলেন, ‘হিজরতকারী ও আনসারদের মধ্যে যারা অগ্রগামী এবং যারা তাদের অনুসরণ করেছে, আল্লাহ তায়ালা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে। তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন এমন জান্নাত যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে প্রস্রবণগুলো। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। এটাই হলো মহাসফলতা।’ (সূরা তওবা : ১০০)।
#সে দৃস্টিতে আমরা বলতে পারি আরাকানের মুসলমান ভাই-বোনগণ আমাদের জন্য মুহাজির স্বরূপ।
➡ দ্বিতীয়ত : বাংলাদেশ গরীব মুসলিম প্রধান দেশ। আমরা কোনরকম ২টা ডাল-ভাত খেয়ে বেচে থাকি, লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক সহ দেশে হাজারো সমস্যা এখানে আরাকান মুসলিমদের দায়িত্ব কি শুধু আমাদের একার ??? সারাবিশ্বের মুসলিম দেশগুলো কেন প্রতিবাদ করছে না। রাষ্ট্রপ্রধানরা মুখে কুলুপ বেধে আছে কেন ?? কেন মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছেনা ??? অন্যান্য মুসলিম দেশসমূহকেও আরাকান মুসলিমদের দায়িত্ব নিতে হবে।
➡ তৃতীয়ত : একদল ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রায়ই বিভিন্ন জায়গায় কমেন্ট করতেছে রোহিঙ্গাদেরকে অস্ত্র দিয়ে ট্রেনিং দেয়া হোক তারপর আরাকানে পাঠিয়ে দেয়া হোক। --- আরো ভাই আপনি কি বাংলাদেশের ক্ষতি চান না উন্নতি চান ?? এখান থেকে যদি তাদের অস্ত্র আর ট্রেনিং দেওয়া হয় তাহলে বর্হিবিশ্ব আমাদের দেশকে সন্ত্রাসীদের মদদদাতা/আরএসআর এর মদদদাতা হিসাবে চিহ্নিত করবে এবং আমাদের সরকারের উপর চাপ বাড়বে পরিশেষে পাকিস্থানের মত একটা অকার্যকর রাষ্ট্রে বাংলাদেশ পরিণত হবে। সুখে খেতে ভুতে কিলাই তাই না ??
➡ চতুর্থত : কিছু ব্যাক্তিকে ফেসবুকে বলতে দেখতেছি যে, রোহিঙ্গারা ইচ্ছে করে শরনার্থী হওয়ার জন্য নিজেরা নিজেদের বাড়ীতে আগুন দিচ্ছে। বিবিসির ১২ জন সাংবাদিক একটা প্রতিবেদন ইংরেজীতে তৈরী করেছে উহা কি দেখেছেন ?? তারপরেও কি যুক্তি দিবেন? বিবিসির সাংবাদিকরাও আরাকান মুসলিম অথবা রাজাকার।
➡ পঞ্চমত : কিছু অতি উৎসাহী বাংলাদেশের মুসলিম ভায়েরা আবার ফতুয়া দিচ্ছেন যে, যারা বিবাহ করেননি তারা এক একটি করে মুসলিম রোহিঙ্গা নারীকে বিবাহ করেন। -- এই যে জনাব, অতি আবেগে কোন সিদ্ধান্ত নিবেন না। ইসলামী শরীয়তের বিধান বলে বিবাহে কুফু মেইনটেইন কর। -- কুফু মানে আপনার পরিবার, অর্থনৈতিক অবস্থা, চরিত্র, দ্বীনদারী ইত্যাদিতে সমান বা সামান্য কমবেশি হতে হবে তাহলে সংসার টিকবে নতুবা ভেঙ্গে যাওয়া বা সারাজীবন অশান্তি নিয়ে বেড়াতে হবে।
➡ ষষ্ঠত : আর এক শ্রেণীর মানুষ দেখলাম তারা বলতেছেন যে, এই রোহিঙ্গারা একদিন আমাদের কাল হয়ে দাড়াবে তারা একসময় কক্সবাজার তথা চট্টগ্রামের স্বাধীনতা চাইবে। -- আরো ভাই পৃথিবীতে একমাত্র একটাই দেশ আছে ইসরাইল- যে দেশের আশ্রয় প্রার্থী ইহুদীরা আজ নিজেদেরকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করেছে এবং এখনও ফিলিস্তিনিদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত। এছাড়া আমার জানামতে পৃথিবীতে আর ২য় কোন জাতী নেই, যে জাতী শরনার্থী হয়ে পরবর্তীতে সে জায়গার স্বাধীনতা চেয়েছে।
➡ সপ্তমত : রোহিঙ্গা জাতী দীর্ঘ ৫০ বছর শিক্ষার কোন আলো পায়নি, সে দেশের নাগরিকত্ব পায়নি, তারা শোষিত ও লাঞ্চিত।
বর্হিবিশ্বকে তাদের সমস্যা বুঝানোর মত তাদের মধ্যে শিক্ষিত তেমন কেউ নেই।েআবার স্বাধীনতার সংগ্রাম করার জন্য একজন নেতার প্রয়োজন হয় তাদের সেইরকম বড় মাপের নেতাও নেই।
তারা সাধারণত কুসংস্কারে ভরা এবং অপরাধপ্রবণ জাতী। মাদকের ব্যবসা সহ বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকান্ডে তারা প্রায়ই জড়িয়ে পরে। আমাদের দেশের জন্যও এরা এক প্রকার হুমকি যদি তাদেরকে নিয়ন্ত্রনে না রাখা যায়।
## এখন আমাদের ও সরকারের করণীয় কি ??-- { যদিওবা আমার মত একজন নগন্য পাগলের লিখাগুলি সরকারের চোখে পরবে না, তারপরেও বলি... }
➡সরকারকে অবশ্যই রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন করতে হবে। {যা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে}
➡এক শ্রেণীর বাংলাদেশী পায়খানার কীট (প্রতারক), মানে দালাল, এই দালালরা যেন রোহিঙ্গা নারীদেরকে প্রলোভন বা বিদেশে চাকুরী দেয়ার নাম করে কোন প্রকার শারিরিক নির্যাতন বা অর্থ আত্মসাৎ করতে না পারে সেদিকে প্রশাসনকে নজর রাখতে হবে।
➡ শরনার্থী শিবির সব সময় পাহাড়া দিয়ে রাখতে হবে এবং তারা যেন কোন অবস্থাতেই আমাদের শ্রম বাজারে বা মুল শহরে প্রবেশ করতে না পারে।
➡ রোহিঙ্গারা যেন প্রকার মাদক ব্যবসা বা অপরাধ মুলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়তে না পারে সেদিকে তীক্ষ দৃস্টি রাখতে হবে। প্রয়োজনে মাঝে মাঝে শিবিরে তল্লাসি চালানো যেতে পারে।
.
উপরে উল্লেখিত মতামত ছারাও আর কি কি করা যেতে পারে অথবা রোহিঙ্গা সম্পর্কে আপনার মতামত কি ? মন্তব্য করুন।
২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
"এমনকি যাদের ২/৩টি স্ত্রী ছিল তাদের ১ জনকে তালাক দিয়ে মদিনার মুসলিম ভাইদের সাথে বিবাহ দিয়েছিলেন। "
-এটা বাংলাদেশে চালু করা দরকার; আমাদের অনেকে বেকার থাকায় বিয়ে করতে পারছেন না। আপনার স্ত্রী বর্তমানে কয়জন?
৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৯
ফয়েজ উল্লাহ রবি বলেছেন: সুন্দর পোস্ট শুভেচ্ছা রইল।