নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাশকতা নয় কলম (লিখালিখি) দিয়ে প্রতিবাদ করতে চাই। মানবতার পাশে থাকতে চাই।

rezaul827

নাশকতা নয় কলম দিয়ে প্রতিবাদ করতে চাই। মানবতার পাশে থাকতে চাই।

rezaul827 › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম যার যার, উৎসব সবার ???

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩

- দাদা, পুজো দেখতে যাবেন না?
- না ভাই, সেটাতে আমার ধর্মে মানা আছে।
- কেন?
আমরা যখন গরু কুরবানি করি, সেই জায়গায় আপনাদের যাওয়া নিষেধ না?
হ্যাঁ নিষেধ। ভগবানের অভিশাপ পরে।
- ঠিক তেমনি, অন্য ধর্মের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জায়গায় যাওয়া আমাদের জন্যও নিষেধ... আমার ধর্মমতে পুজোর স্থানে অনবরত আল্লাহর গজব নাজিল হতে থাকে।
"তোমরা মুশরিকদের উপাসনালয়ে তাদের উৎসবের দিনগুলোতে প্রবেশ করো না। কারণ সেই সময় তাদের উপর আল্লাহর গযব নাযিল হতে থাকে।" ' - 'উমার ফারুক (রা) (তথ্যসূত্রঃ ইবনুল ক্বাইয়্যিম(রাহিঃ), আহকামুল জিম্মাহ ১/৭২৩-
যেখানে আল্লাহর গজব নাজিল হতে থাকে, সেখানে যাই কি করে?
- ঠিক আছে, পুজো উপলক্ষ্যে প্রসাদ খেতে তো পারবেন ?
- আপনার বাসায় অন্য যেকোনো সময় দাওয়াত খেতে যেতে পারব। এ বিষয়ে মানা নেই। কিন্তু পুজো উপলক্ষ্যে কিছু খেতে পারব না।
- ব্যাপারটা একটু অন্য রকম হয়ে গেল না?
- ধরুন, আমি আপনাকে গরুর মাংস খেতে বললাম... আপনি কি খাবেন? না। ঠিক তেমনি কিছু কিছু জিনিস আমাদের জন্য খাওয়া নিষিদ্ধ (হারাম), যেমন- মদ, শুকুরের গোশত, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে জবেহ করা গোশত, অন্য ধর্মের ধর্মীয় উৎসবের খাবার ইত্যাদি। সব ধর্মেরই নিষিদ্ধ কিছু বিষয় থাকে যা মানতে হয়।
- কিন্তু ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।
- ওটা হয়তো অন্যদের জন্য হতে পারে, কিন্তু আমাদের জন্য না... অন্য ধর্মের অনুষ্ঠানে গেলে যেখানে আমার নিজেরই ধর্ম থাকছে না, সেখানে যার যার ধর্ম নিয়ে কি করব?
- মানে বুঝিনি?
- মানে হল, ইসলাম ধর্মের মূলনীতি অনুযায়ী অন্য কারো ধর্মের উৎসবে স্বইচ্ছায় যোগদান করার অর্থই হল আল্লাহর সাথে শিরক করা। আর আল্লাহ সব গুনাহই মাফ করে দিবেন, একমাত্র শিরকের গুনাহ ছাড়া।
আল্লাহ বলেন “নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা তার সাথে শিরক করার অপরাধ ক্ষমা করবেন না। এ ছাড়া অন্য সকল গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দিবেন।” (সুরা নিসা: ৪৮)
- তাহলে আপনি কি অন্যদের অপছন্দ করেন?
- সেটা করব কেন? যার ধর্ম তার কাছে। আর ইসলাম এটাও শিক্ষা দেয়, অন্যদেরকে তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে কোন প্রকার বাধা না দিতে। আমি প্রয়োজনে আপনাদের নিরাপত্তা দিব, পুজামণ্ডপ পাহারা দিব, কেউ বিপদগ্রস্থ হলে তাকে সাহায্য করার জন্য ঝাঁপিয়ে পরব... এতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু সব ধর্মেরই কিছু বিধি নিষেধ থাকে... সেগুলো তো মানা উচিত।
- তাহলে?
- তাহলে একদিন আপনার বাসায় দাওয়াত দিয়েন। আমি গিয়ে খেয়ে আসব। সেটাতে কোন বিধি নিষেধ নেই। আমাদের নবীজিও (সা) অন্য ধর্মের লোকদের বাসায় গিয়ে খেয়ে এসেছেন। আর অবশ্যই আমার বাসায় আপনারো নেমন্ত্রন থাকল। আমি আপনাকে সম্মান করি, আপনি আমাকে করেন, অথচ দুজন দু'ধর্মের... এই যে একে অন্যের প্রতি সম্মান, এটাই হল প্রকৃত অসাম্প্রদায়িকতা।
.
.
.
সংশোধিত ও সংগৃহীত।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭

এই আমি রবীন বলেছেন: - আপননি গরু খান না?
- না।
- আপনি কি ইন্দু?
- না, আমার ডাক্তার ইন্দু হইতে পারে। আমারে গরু খাইতে না করছে।


********
"আমার ধর্মমতে পুজোর স্থানে অনবরত আল্লাহর গজব নাজিল হতে থাকে। "
আল্লা যেখানে 'হও' বল্লেই আসমান জমিন আলাদা হয়ে যায়, সেখানে আল্লা সেই ১৪০০ বছর ধরে ( আল্লা নবীজীর মাধ্যমে 'রিলোড' হওয়ার পর থেকে ধরলেও) ইন্দুদের ওপর গযব নাজিল করতাছে?

ভাইয়া, ইসলাম শান্তির ধর্ম। আপনি মনেঞয় ইহুদীদের পাল্লায় পরছেন।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৫

rezaul827 বলেছেন: আপনি নাস্তিকতার বাণী নিয়ে পরে থাকেন, উদাহারণ দিতে থাকেন। আমার কোন সমস্যা নেই। আপনাদের সাথে তর্ক করে আমার লাভ নেই কারণ আপনারা অল্প বিদ্যায় পন্ডিত, (অল্প বিজ্ঞানে নাস্তিক আর অধিক বিজ্ঞানে আস্তিক- কে বলেছিলেন মনে আছে? )। মুলত আপনারা নাস্তিক না ইসলাম বিদ্বেষী কিছু অমুসলিম।

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

নতুন বলেছেন: - দাদা, পুজো দেখতে যাবেন না?
- না ভাই, সেটাতে আমার ধর্মে মানা আছে।
- কেন?
আমরা যখন গরু কুরবানি করি, সেই জায়গায় আপনাদের যাওয়া নিষেধ না?
হ্যাঁ নিষেধ। ভগবানের অভিশাপ পরে।
- ঠিক তেমনি, অন্য ধর্মের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জায়গায় যাওয়া আমাদের জন্যও নিষেধ... আমার ধর্মমতে পুজোর স্থানে অনবরত আল্লাহর গজব নাজিল হতে থাকে।


বেশিরভাগ হিন্দুই গরু কুররবানি করায় কিছুই মনে করেনা।

আমার বন্ধুরা ঈদের দিন আমার বাড়ীতে দুপুরের খাবার খেতো.... তাদের মাঝে কয়েকজন হিন্দু এবং ১জন খৃস্টান ছিলো...

আমার হিন্দু ব্রামান বন্ধুর দাদীর শ্রাদ্ধে আমরা মুসলমান বন্ধুরাই সবাইকে খাইয়েছি।

সেই অনুস্ঠানে কয়েকজন বুড়ো হিন্দু এই প্রসংঙ্গ তুলতেই বন্ধুর কাকা প্রতিবাদ কররেছে এবং তাদের জবাব দিয়েছে।

আমি আমার বন্ধুকে কখনোই বলিনাই যে গরুর মাংস খাবি বরং মা সব সময় ওদের জন্য মুরগী রান্না করতো যখন ওরা আসতো। তেমনি আমার বন্ধুও কখনোই বলি দেওয়া পাঠার মাংস আমাদের খেতে দেয়নাই।

সাধারন মানুষের মাঝে ধম` নিয়ে সমস্যা হয়না। হয় কিছু অতি কট্টর অন্ধধামিকদের মাঝে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১

rezaul827 বলেছেন: “বেশিরভাগ হিন্দুই গরু কুররবানি করায় কিছুই মনে করেনা “
--- আপনি বেশিরভাগ বলতে কি বাংলাদেশের হিন্দুদের বুঝিয়েছেন ?
--- তাহলে যান ভারতে গিয়ে গরু কোরবানী দিয়ে আসেন বুঝতে পারবেন কত ধানে কত চাল ??
--- আর বাংলাদেশে বেশির ভাগ না কম ভাগ হিন্দু গরু কোরবানী কিছু মনে করে না।

৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৮

সনেট কবি বলেছেন:






রেজাউল ২৭ এর ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ পোষ্টে মন্তব্য-

ধর্ম যার উৎসব একান্তই তার,
তবে অন্যে তাতে বাধা দিবেনা মোটেও
এটুকু সৌজন্য কাম্য, সেটাও পায়না
মানুষেরা ভিন্ন ধর্ম মত থেকে সাদা।
উপাসনালয় ভাঙ্গা, বিতাড়ন করা
দেশ থেকে ভিন্নমত মানুষদেরকে,
মেরে কেটে দূর্বীসহ জীবনের মাঝে
আনা নরক যন্ত্রণা বন্ধ হোক এটা।

গরু কোরবানী হিন্দু উৎসব নয়
মুসলীম উৎসব নয় কালী পুজা
তাহলে এটা সবার কেমন কি হয়?
তারচে সৌজন্য চাই না ঘটানো কোন
ব্যাঘাত কারো ধর্মের কোন উৎসবে
এটুকু হলেই হবে রক্ষা মানবতা।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

rezaul827 বলেছেন: সহমত সকল ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করুক।

৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২

উদাস মাঝি বলেছেন: ভাল বলেছেন, এইভাবে বুঝালে হয়ত হিন্দু মুসলিম ভেদাভেদ অনেক কমে যাবে ।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৭

rezaul827 বলেছেন: এই দেশটি ছিল একটি ধর্মীয় সহবস্থানের দেশ। একসাথে সৌহার্দপূর্ণ বসবাসের ইতিহাস আমাদের হাজার বছরের। মাঝখানে কিছু কুলাঙ্গার প্রবেশ করে সেই ইতিহাসকে কলঙ্কিত করছে।
আমি হিন্দু বন্ধুদের বাসায় অন্নপ্রসান খেয়েছি, আবার তার পিতা মারা যাওয়াতে শ্বশানে গিয়ে শেষকৃত্য পর্যন্ত ছিলাম সহমর্মিতা জানাতে।
এখনও কোরবানি যখন শুধু খাসি কুরবানি দেয় তখন হিন্দু বন্ধুদেরকে বাসায় নিয়ে এসে দাওয়াত খাওয়াই।
বাড়ির পাশের কাকারা আমাদের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করতে। আমরাও ছোটরা তাদের বাসাতেই খেলাধুলা করতাম।

৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭

মাহিরাহি বলেছেন: দ্বীন ই ইলাহী - এক সেক্যুলার শাসকের ধর্ম

ভারতের মুঘল সাম্রাজ্যের সবচাইতে প্রতাপশালী সম্রাট ছিলেন আকবর।
সেক্যুলার শাসকগন, যারা ধর্ম কিংবা সামাজিক সংস্কারকে অগ্রাহ্য করে তার প্রজাদের কল্যানে রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে সেক্যুলার মতাদর্শে গড়ে তুলতে প্রয়াসী ছিলেন, তাদের তালিকার শীর্ষে আকবরকে স্থান দিতে আগ্রহী হবেন অনেকে।
যুগের সাথে তাল মিলিয়েই ইসলাম, হিন্দু, জৈন ধর্মের ভাল দিকগুলো একসাথে জড়ো করা হয়েছিল একটি ধর্মে। যে ধর্মের আইন কানুন করা হয়েছিল মানুষের সুবিধার দিকগুলো কথা চিন্তা করে। আকবর নিশ্চয় ভেবেছিলেন যুগের প্রয়োজন মেটাতে ব্যার্থ ইসলাম সেকেলে হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু ভারতবাসী ত দুরের কথা তার প্রধান সেনাপতি মানসিংহের মন গলেনি আকবরের এই নতুন ধর্মে। তবে আকবরের কিছু অনুসারী জুটে গিয়েছিল যাদের সংখ্যা ছিল সর্ব সাকুল্যে ১৯ জন। আমি নিশ্চিত ১৯ জন বেচারিদের অনেকেই ধর্মটিকে মেনে নিয়েছিল হয় পয়সার লোভে নচেত মৃত্যুভয়ে। নয়ত আকবরের মৃত্যুকালে এ ধর্মের অনুসারীদের সংখ্যা কমে ২ তে দাড়াত না। আকবর এবং বীরবল।
তথাকথিত প্রগতিশীল, আধুনিক মানসিকতা সম্পন্ন এই শাসকের চিন্তাধারা সাধারন মানুষকে একেবারেই ষ্পর্শ করতে ব্যার্থ হয়নি শুধু জ্ঞানী গুনি জনের সমর্থন আদায়েও ব্যার্থ হয়েছিল।
অথচ বিভিন্ন যুগের বিভিন্ন সমাজ কিংবা সমাজ ব্যাবস্থার সাথে কিংবা সমাজের মানুষদের কোন প্রকারের সমঝোতায় না আসা হাজার বছর ধরে অবিকল থাকা ইসলাম ধর্মের বিস্তার অপ্রতিরোধ্য ছিল সারা ভারত জুড়ে। লক্ষ কোটি ভারতীয়দের ধর্মান্তর ঘটেছিল ভারত জুড়ে। আকবরের ছেলে, নাতি পুতিরাও যেমন এই ধর্মের প্রসার ঘটিয়েছিলেন তেমনি ঘটিয়েছিলেন দরবেশ, ফকির আর সুফিরা। ইসলামের প্রসার এখনও ঘটছে ভারতের আনাচে কানাচে। অথচ আকবর আর আকবরের ধর্ম স্থান নিয়েছে ইতিহাসের পাতায়।

৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৯

কাউয়ার জাত বলেছেন: কমেন্টের জবাবগুলো ভালোই হচ্ছে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

rezaul827 বলেছেন: হ্যাঁ হ্যাঁ আপনার মন্তব্য আমাকে দারুণ অনুপ্রাণিত করছে। ধন্যবাদ

৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৭

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: আপনি অন্য ধর্মের উৎসবে যাবেন কি না যাবেন তা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত ব্যপার আবার অন্য কে যাবে না যাবে সেটাও তার ব্যক্তিগত ব্যপার। এই অন্যর ব্যপারে অযাচিত উপদেশ দেবার বদঅভ্যাসের কারনেই আমাদের দেশে যত গন্ডগোল।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫১

rezaul827 বলেছেন: আমার মতামত আমি ব্যাক্ত করেছি। ঠিক তেমনি আপনার মতামতও আপনি ব্যাক্ত করলেন। এখন একটু চুপ থাকেন।
আমার মুসলিম জাতী যারা জানেন না তাদের কে বলেছি আর যারা হিন্দু জাতী তারা যেন মন খারাফ না করে তাদেরকেও বলেছি।
আপনার মত সুশিল আছে বলেই দেশটা এত সুন্দর।

৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: @ লেখক (তিন নং মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য), উদাস মাঝি, নিরাপদ দেশ চাই আপনাদের সাথে একমত হলাম | নিজের ধর্মের সবকিছু পালন করতে হবে অন্যদের ধর্ম পালনে বাঁধা না দিয়ে | রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যেদিন মদিনায় ইন্তেকাল করলেন সেদিনও কিন্তু মদিনায় ইহুদিরা বাস করতো |তাদের ধর্মের কারণে বা ধর্ম পালনের কারণে কিন্তু তাদের মদিনা থেকে বের করে দেওয়া হয়নি |তারা তাদের ধর্ম পালন করেছে একটা ইসলামী স্টেটের মধ্যে থেকেই | এই উদাহরণের বাইরে আমাদের যাবার কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না | আর বাংলাদেশতো ইসলামিক স্টেট নয় | দেশটা শরিয়া আইনেও পরিচালিত হয় না | এখানে এতো ঝামেলা কেন হবে সেটাই আমি মাঝে মাঝে বুঝতে পারি না |

৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

পুকু বলেছেন: ভাই ধর্মের কচকচানি আর ভাল লাগে না।আপনার দেশে কি কে কতবড় ধার্মিক তার কম্পিটিশন হয় নাকি? আপনারা কি আবার মধ্যযুগে ফিরে যেতে চান নাকি।আমি ৭১ এর আগের বাংলাদেশ দেখেছি আর ২০১৭এর বাংলা দেশকে ও দেখছি।আপনার হয়তো শুনতে খারাপ লাগবে যে আপনারা দুই পা সামনের দিকে আর পাঁচ পা পেছনের দিকে এগুচ্ছেন।science, literature,philosophy এর থেকে বর্বর আরব cultureএর প্রতি বেশি ঝোক দেখছি ।Pakistan,Afganistan এর পরে BANGLASTHAN তো হতে যাচ্ছেনা?

১০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২০

গড়াই নদীর তীরে বলেছেন: কে কোথায় আছ পুকু নিকধারী দিব্যেন্দু বাবুর মাথায় এক মগ গো মুত্র ঢেলে দাও। বেচারার মাথা গরম হয়ে তার ছিড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

১১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৫

গড়াই নদীর তীরে বলেছেন: পুকু বাবু, বাংলা যদি Banglastan ও হয়, আশাকরি আপনার দেশ ইন্ডিয়ার মত নিকৃষ্ট হবেনা যে, মানুষের জীবনের চেয়ে গরুর জীবনের মূল্য বেশি হবে।

১২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯

রাফিন জয় বলেছেন: আমাদের নবীজিও (সা) অন্য ধর্মের লোকদের বাসায় গিয়ে খেয়ে এসেছেন।
দারুণ আন্তাজে কথা.... যার বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাবে, সে কোন ধর্মের, ঢিলা কুলুফ ব্যবহার করে কিনা, হালাম কাজ করে কিনা, হারাম ভক্ষক কিনা ইত্যাদি প্রশ্ন তাহলে কে তুলতো? আপনি কি জানেন না, অন্য ধর্মের কারো থেকে খাবার গ্রহণ করা এই কারণে হারাম করা হয়ছে!

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৪

rezaul827 বলেছেন: আপনি কি জানেন না একজন ইহুদি মহিলা হযরত মুহাম্মদ সা: কে দাওয়াত দিয়ে খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিলেন।

১৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০

এ আর ১৫ বলেছেন: এটা কি ধরনের ঘৃণা চর্চা ধর্মের নামে ---
আমরা যখন গরু কুরবানি করি, সেই জায়গায় আপনাদের যাওয়া নিষেধ না?

যেখানে খাশী, উট কোরবানি করে সেখানে তারা যেতে পারে ওটা যদি ও দেখার মত কিছু নহে । কথা শুনে মনে হয় গরু কোরবানি না করলে কোরবানি হবে না এবং গরু কোরবানি করা ঈমাণের অঙ্গ
"তোমরা মুশরিকদের উপাসনালয়ে তাদের উৎসবের দিনগুলোতে প্রবেশ করো না। কারণ সেই সময় তাদের উপর আল্লাহর গযব নাযিল হতে থাকে।" ' - 'উমার ফারুক (রা) (তথ্যসূত্রঃ ইবনুল ক্বাইয়্যিম(রাহিঃ), আহকামুল জিম্মাহ ১/৭২৩-
যেখানে আল্লাহর গজব নাজিল হতে থাকে, সেখানে যাই কি করে?


এটা কোরান বা হাদিসের বক্তব্য নহে

ধরুন, আমি আপনাকে গরুর মাংস খেতে বললাম... আপনি কি খাবেন? না। ঠিক তেমনি কিছু কিছু জিনিস আমাদের জন্য খাওয়া নিষিদ্ধ (হারাম), যেমন- মদ, শুকুরের গোশত, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে জবেহ করা গোশত, অন্য ধর্মের ধর্মীয় উৎসবের খাবার ইত্যাদি। সব ধর্মেরই নিষিদ্ধ কিছু বিষয় থাকে যা মানতে হয়।
আল্লাহর নাম ব্যথিত অন্য কারো নামে জবাই করা পশু পক্ষীর মাংস খাওয়া হারাম , মাংস ব্যথিত অন্য খাবার যেমন লুচি, পড়টা, নিমকো মিষ্টির ব্যপারে কোন নিষেধ নেই কোরানে । পুজার খাবার ২ রকম একটা হোল প্রসাধ যেটা পুজার বেদিতে মুর্তির সামনে রাখা হয় , অন্যটি হোল ভোগ যেটা দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদিত হয় না এবং সবাইকে খাওয়ানো হয় । পুজার প্রসাধ কখনো মাংস হয় না এবং একমাত্র আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে জবাই করা মাংস হারাম , ফল মুল মিঠাই মন্ডা সম্পর্কে ডিভাইনে কোন নিষেধ নেই ।

মানে হল, ইসলাম ধর্মের মূলনীতি অনুযায়ী অন্য কারো ধর্মের উৎসবে স্বইচ্ছায় যোগদান করার অর্থই হল আল্লাহর সাথে শিরক করা। আর আল্লাহ সব গুনাহই মাফ করে দিবেন, একমাত্র শিরকের গুনাহ ছাড়া।
আল্লাহ বলেন “নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা তার সাথে শিরক করার অপরাধ ক্ষমা করবেন না। এ ছাড়া অন্য সকল গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দিবেন।” (সুরা নিসা: ৪৮)

অন্য ধর্মের উৎসবে কে্উ যোগ দান করে কি ?কোন উৎসব দেখা আর যোগদান বা অংশ গ্রহন করা বা পালন করা কি এক জিনিস । মনে করুন আপনি গ্যালারিতে বসে খেলা দেখছেন , সেটা কি খেলাতে অংশ গ্রহন বা যোগদান , নাকি অবলোকন ।
কোন কিছু দেখা মানি সেইটাকে বিশ্বাষ হিসাবে গ্রহন করা বোঝায় না । যেহেতু অবলোকন মানে অংশ গ্রহন নহে সেহেতু বিশ্বাষ হিসাবে গ্রহন ও নহে সুতরাং এটা শরিক করা হতে পারে না । একজন পুজা অবলোকনের পর ও ওদের বিশ্বাষকে গ্রহন করেনি এটা তো তাদের শক্ত ঈমাণের প্রমাণ । যাদের ঈমাণ দুর্বল পুজা দেখলেই হিন্দুদের বিশ্বাষ গ্রহন করে ফেলে বা ফেলতে পারে তারা হোল দুর্বল ঈমাণের অধিকারি।

এই ধরনের ঘৃণা চর্চা সমাজের বন্ধন দুর্বল করে । এই অধরনের অপব্যাখা মুসলমানদের অন্য ধর্মকে ঘৃনা করতে শিখায় .
=== আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য এবাদতের নিয়ম কানুন নির্ধারন করে দিয়েছি যা ওরা পালন করে , তুমি ওদের তোমার প্রতিপালকের দিকে ডাক.. ওরা যদি তোমার সাথে তর্ক করে বল, তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ ভাল করেই জানেন। তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছ আল্লাহ কিয়ামতের দিন সে সে বিষয়ে তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন .। সুরা হজ ৬৭-৬৯
--- তার মানি হিন্দুদের স হ অন্য সব ধর্মের ইবাদতের নিয়ম কানুন আল্লাহ ঠিক করে দিয়েছেন ।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৪

rezaul827 বলেছেন: যেখানে খাশী, উট কোরবানি করে সেখানে তারা যেতে পারে ওটা যদি ও দেখার মত কিছু নহে । কথা শুনে মনে হয় গরু কোরবানি না করলে কোরবানি হবে না এবং গরু কোরবানি করা ঈমাণের অঙ্গ।

জবাব-১: বাংলাদেশে সাধারণত গরু কোরবানি বেশি দেওয়া হয়। আর আপনি কি দেখেছেন গরু কোরবানীর সময় কোন হিন্দু ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে কোরবাণী করা উপভোগ করে যেমনটা আমরা করি। যদি তাই হত তাহলে ভারতে গরু কুরবানি নিষিদ্ধ হল কেন ??

জবাব-২ : ইহা কোরআন বা সিহাহ সিত্তাহ হাদিসের বাণী না। উপরোক্ত বাণী হযরত ওমর রা: এর আর তার মূল্য বা তার মুখ নি:সৃত বাণীও মুসলিম উম্মাহের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ । মানেন আর মানেন উহা আপনার ব্যাপার।

জবাব-৩ : যদি খাবার দেবদেবীর নামে উৎসর্গকৃত না হয় তাহলে খাওয়া যায়েজ আছে। এ ব্যাপারে আমিও সহমত তবে খাবারে পঞ্চগব্য মিশানো আছে কি না তা যাচাই করে দেখতে হবে। আর আপনি কি নিশ্চিত যে, খাবারে পঞ্চগব্য মিশ্রিত নেই?


অন্য ধর্মের উৎসবে কে্উ যোগ দান করে কি ?কোন উৎসব দেখা আর যোগদান বা অংশ গ্রহন করা বা পালন করা কি এক জিনিস । মনে করুন আপনি গ্যালারিতে বসে খেলা দেখছেন , সেটা কি খেলাতে অংশ গ্রহন বা যোগদান , নাকি অবলোকন ।
জবাব-৪ : খেলাটাকে উপভোগ করা মানে খেলা পছন্দ করা। শিরক উপভোগ করা মানে শিরক পছন্দ করা। শিরক করা আর শিরক পছন্দ করা একই জিনিস।
তাছাড়া যে আল্লাহ তায়লা আপনাকে সৃস্টি করেছেন এবং { নিশ্চয় শিরক আল্লাহর কাছে অনেক ঘৃণিত কাজ }। যেটা আপনার সৃস্টিকর্তার কাছে অনেক ঘৃণিত সেটা আপনি কিভাবে স্বাচ্ছন্দে উপভোগ করবেন ?? মনে করুন আপনার পিতা বা মাতার কাছে অনেক ঘৃণিত একটা কাজ জুয়া খেলা / হাউজি খেলা- এখন আপনি জুয়া খেলেন কিন্তু যারা জুয়া খেলা সেই আসরে বসে বসে জুয়া খেলা দেখেন।

১৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১

মানিজার বলেছেন: এ আর ১৫ র উত্তর দিন ।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

rezaul827 বলেছেন: উত্তর দিয়েছি।

১৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: ধর্ম যার যার উৎসব সবার, শিরোনামের সাথে বক্তব্য কেমন মনে হচ্ছে না?

উৎসব সবারই যদি হতো, তাহলেতো ওত করে বলেও মুসলিম ভাইকে কেন হিন্দু ভাই’র পুজায় নিতে পারলো না।, উপস্থিত হওয়া ছাড়া উৎসব কেমনে?

মুল বক্তব্য ও মন্তব্যের প্রত্যিত্তরগুলো ভালো লাগলো।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

rezaul827 বলেছেন: ধন্যবাদ। পোস্টের মুল শিরোনাম এডিট করে দিয়েছি।

১৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫১

মানিজার বলেছেন: জবাব-৪ : খেলাটাকে উপভোগ করা মানে খেলা পছন্দ করা। শিরক উপভোগ করা মানে শিরক পছন্দ করা। শিরক করা আর শিরক পছন্দ করা একই জিনিস

তাইলে আর কুনু কতা নাই । আপনার ইস্ক্রু নিয়া সন্দেহ রইল না ।

১৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৫

এ আর ১৫ বলেছেন:
জবাব-১: বাংলাদেশে সাধারণত গরু কোরবানি বেশি দেওয়া হয়। আর আপনি কি দেখেছেন গরু কোরবানীর সময় কোন হিন্দু ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে কোরবাণী করা উপভোগ করে যেমনটা আমরা করি। যদি তাই হত তাহলে ভারতে গরু কুরবানি নিষিদ্ধ হল কেন ??
------- হিন্দুদের ইবাদতের সাথে মুসলমানদের ইবাদতের তুলনা করা চলে। আপনার মতে গরু জবাই হোল মুসলমানদের ইবাদত নামাজ নহে। জি হিন্দুরা নামাজ পড়া দেখতে আপত্তি করে না কিন্তু নামাজ পড়তে আপত্তি করে।
জবাব-২ : ইহা কোরআন বা সিহাহ সিত্তাহ হাদিসের বাণী না। উপরোক্ত বাণী হযরত ওমর রা: এর আর তার মূল্য বা তার মুখ নি:সৃত বাণীও মুসলিম উম্মাহের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ । মানেন আর মানেন উহা আপনার ব্যাপার। 
------ সুরা হজ ৬৭-৬৯ আয়াতে যেখানে আল্লাহ বলেছেন তিনি নিজে সব সম্প্রদায়ের ইবাদতের নিয়ম ঠিক করে দিয়েছেন সেখানে ওই বক্তব্য কোরান বিরুধি হয়ে যায়
জবাব-৩ : যদি খাবার দেবদেবীর নামে উৎসর্গকৃত না হয় তাহলে খাওয়া যায়েজ আছে। এ ব্যাপারে আমিও সহমত তবে খাবারে পঞ্চগব্য মিশানো আছে কি না তা যাচাই করে দেখতে হবে। আর আপনি কি নিশ্চিত যে, খাবারে পঞ্চগব্য মিশ্রিত নেই? 
----- পঞ্চগব্য কি জিনিস?


জবাব-৪ : খেলাটাকে উপভোগ করা মানে খেলা পছন্দ করা। শিরক উপভোগ করা মানে শিরক পছন্দ করা। শিরক করা আর শিরক পছন্দ করা একই জিনিস। 
---------- খেলা উপভোগ করা মানে যদি খেলায় অংশ গ্রহন করা আপনার কাছে তাহা হলে নামাজ দেখা মানে নামাজ পড়া। যদি কেহ আপনার সামনে নামাজ পড়ে এবং সেটা আপনি দেখছেন বা অবলোকন করছেন তখন আপনার নামাজ পড়া হয়ে যাবে। কারন দেখা আর ইবাদত করা এক জিনিস।
তাছাড়া যে আল্লাহ তায়লা আপনাকে সৃস্টি করেছেন এবং { নিশ্চয় শিরক আল্লাহর কাছে অনেক ঘৃণিত কাজ }। যেটা আপনার সৃস্টিকর্তার কাছে অনেক ঘৃণিত সেটা আপনি কিভাবে স্বাচ্ছন্দে উপভোগ করবেন ?? মনে করুন আপনার পিতা বা মাতার কাছে অনেক ঘৃণিত একটা কাজ জুয়া খেলা / হাউজি খেলা- এখন আপনি জুয়া খেলেন কিন্তু যারা জুয়া খেলা সেই আসরে বসে বসে জুয়া খেলা দেখেন।
-------- জুয়াতো সব ধর্মে নিষিদ্ধ কিন্তু ইবাদত কি সব ধর্মে নিষিদ্ধ? সব ধর্মের ইবাদতের নিয়ম কানুন যেখানে আল্লাহ নির্ধারন করে দিয়েছেন সুরা হজ ৬৭-৬৯ সেখানে জুয়া খেলার নিয়ম কানুন বিধাতা ঠিক করে দিয়েছেন ( নাউযুবিল্লাহ)। যে লোক জুয়া খেলা দেখে কিন্তু খেলে না তাকে কি জুয়ারি বলা যায় যে লোক নামাজ পড়েন কিন্তু দেখে তাকে কি নামাজি বলা যায় তাহোলে পুজা দেখলে পুজারি হ্য়য় কি করে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫

rezaul827 বলেছেন: পঞ্চগব্য
দুগ্ধ, ঘৃত, গোময়, গোমূত্র- এই পাঁচ সংস্কৃত পঞ্চ+গব্য ।

১৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

এ আর ১৫ বলেছেন: হুজুর :: এই যে আতাহার সাহেব আপনি মুসলমান হয়ে পুজা মন্ডপে কেন গেছেন , জানেন না পুজা মন্ডপে যাওয়া শিরিক করা এবং কবিরা গুণা !!
আতাহার হোসেন :: আপনার কথাটা মানলাম না , আমি তো পুজা করিনি ওখানে শুধু দেখেছি এবং ওদের মন্ডপের পাশে যে মন্চ বানিয়েছে সেখানকার সংস্বকৃতি অনুষ্ঠান মুলত দেখেছি । বড় বড় পুজা মন্ডপে একদিকে পুজার বেদি থাকে যেখানে পুজা হয় এবং অন্য দিকে সংস্বকৃতিক মন্চে নাচ গান কির্তন শ্যামা সংগিত ইত্যাদি হয় । প্রথমে ঢুকে দেখলাম হিন্দুরা পুজা করছে মুর্তির সামনে সেই সাথে ঢোল বাজানো হচ্ছে , দুই তিন মিনিট পুজা দেখে সংস্বকৃতিক মন্চের সামনে বসে অনুষ্ঠান দেখেছি , তার পর নৃপেনদা এসে লাড্ডু সিঙ্গারা দিল এবং সেই সাথে ভেজিটেল খিচুরি খেয়ে চলে এলাম ।
হুজুর ::: তোবা তোবা আপনি পুজার প্রশাদ খাইছেন , আপনি জানেন না পুজার প্রশাদ খাওয়া হারাম
আতাহার ::: ইসলামের নামে উল্টা পাল্টা কথা মিথ্যা কথা বন্ধ করেন দয়া করে , প্রশাধ টা তো কোন মাংস ছিল না , মাংস হোলে হামার বলা যেত , লাড্ডু সিঙ্গারা কি করে হারাম হয় ।
হুজুর ::: পুজার প্রশাধ হারাম , এর প্রমাণ কি আপনি দেখতে চান
আতহার ::::: মাংস ব্যথিত পুজার প্রশাধ যে হারাম না সেটা কি আপনি দেখতে চান ??
হুজুর :::: খালি খালি আজাইড়া পেচাল পাড়েন কেন
আতাহার :::: শুনুন কোরানে আল্লাহ তালা বলেছেন শুধু --- আল্লাহর নাম ছাড়া অন্য কারো নামে জবাই করা পশু পাখির মাংস হারাম এবং এই বিষয়টি শুধু মাংসের ক্ষেত্রে প্রজোয্য ,এবার আপনাকে একটা প্রশ্ন করি জীবনে কি কখনো পুজার মন্ডপে গেছেন ।
হুজুর :::: তোবা তোবা প্রশ্নই আসে না ।

আতাহার :::: শুনুন পুজার বেদির উপরে মুর্তির সামনে পুজার সময়ে যে খাবারটা থাকে তাকে প্রশাধ বলে , এবং বাহিরে প্যান্ডেলের পাশে বড় বড় হাড়ি ডেকচিতে সারা দিন যে রান্না হয় ঐ খাবার গুলোকে বলে ভোগ , ঐ মন মন হাড়ি ডেকচি ভরা ভোগ পুজার বেদির সামনে আনা হয় না এবং আলাদা ভাবে বিতরন করা হয় । যদি আপনার প্রশাধ খাওয়াকে হারাম মনে হয় তাহোলে ভোগটা খেতে পারেন ।

হুজুর :::: আমার মাথা খারাপ হয় নি যে ভোগ খাবো যাহা প্রশাধ তাহাই ভোগ এবং তাহাই হারাম

আতাহার ::: কোরানের আয়াত থেকে উদাহরন দিতে পারবেন একটাও , যেখানে কোরানে শুধু আল্লাহর নামে জবাই ছাড়া পশু পাখির মাংসকে হারাম করেছেন অন্য কোন খাবারকে নহে । প্রশাধ হোল যে খাবার দেবতার মুর্তির সামনে থাকে এবং দেবতার উদ্দেশ্য উৎসর্গ করা হয় এবং ভোগ হোল উৎসর্গকৃত খাবার গুলো নহে ।

শুনুন মাওলানা সাহেব পুজা দেখা মানে তাদের বিশ্বাষ গ্রহন করা নহে , যদি বিশ্বাষ গ্রহন করা হোত যদি আমি পুজা করতাম । আপনার লেকচার মারেন পুজা দেখলেই নাকি শিরিকি করা হয়ে যায় তাদের বিশ্বাষের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করা হয়ে যায় , আমি জীবণে বহু পুজা দেখেছি কিন্তু কখনো তাদের বিশ্বাষ গ্রহন করি নি । যাদের ঈমাণ দুর্বল তাদের পুজা না দেখাই ভালো কারন দেখলেই মুর্তির প্রতি তাদের ঈমাণ এসে যাবে ।
এবার হুজুর আপনাকে একটা প্রশ্ন করি - আমি একজন মুসলমান এবং আমার সামনে কয়েক জন মুসুল্লি নামাজ পড়ছে এবং আমি সেই নামাজ পড়া দেখছি কিন্তু পড়ছি না তাহোলে কি দেখার জন্য আমার নামাজ পড়া হবে ???

হুজুর :::: কি পাগলের মত কথা বলেন অন্যের নামাজ পড়া দেখলে কি কোন দিন নামাজ পড়া হয় !!!!!!

আতাহার :::: ও হয় না বুঝি কিন্তু মুসল্লিদের ঈমাণ আর আমার ঈমাণ এক তাহোলে ও নামাজ পড়া দেখার জন্য নামাজ হবে না !!!
হুজুর :::::: নিয়ত করে ওজু করে নামাজ নিজে না পোড়লে অন্য পড়াতে নিজের নামাজ কোন দিন হবে না যতই নামাজ পড়া দেখেন ।
আতাহার ::: ও মুসলমান হয়ে অন্য মুসলমানের নামাজ পড়া দেখলে নামাজ হবে না কিন্তু মুসলমান হয়ে অন্য বিশ্বাষের মানুষের পুজা করা দেখলে আমার পুজা করা হয়ে যাবে শিরিক করা হয়ে যাবে এবং হিন্দুদের বিশ্বাষ গ্রহন না করলেও আমার পুজা করা হয়ে যাবে ।
হুজুর ::: বড় বড় চোখ করে তাকায়
আতাহার :::: শুনুন হুজুর আপনি মাঠে বা টিবিতে যদি কোন খেলা দেখেন তখন আপনি দর্শক খেলোয়ার নহেন , আমি যদি অন্যের নামাজ পড়া দেখি আমি দর্শক নামাজি নহি এবং আমি যদি অন্যের পুজা করা দেখি তাহোলে আমি দর্শক পুজারি নহি । পুজা মন্ডপে যাই পুজা করতে না দেখতে এবং সেটা অল্প কিছুক্ষণ , বেশি ভাগ সময় কাটে মন্চের সামনে কালচারাল অনুষ্ঠান দেখে । আমি হিন্দুদের বা অন্য ধর্মের মানুষের সাথে এত মিশি এবং আমি তাদের ধর্ম গ্রন্থ ও পড়ি কিন্তু কখনো তাদের বিশ্বাষ গ্রহন করি নি , আমার ঈমাণ অত দুর্বল নহে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.