নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রযুক্তি ভালোবাসি, টেকনোলজি আমার পেশা ও নেশা।

rezaul827

প্রযুক্তি ভালোবাসি, টেকনোলজি আমার পেশা ও নেশা। নতুন কিছু শিখতে চাই, নতুন পৃথিবী গড়তে চাই।

rezaul827 › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকা শহরের যানজট সমস্যা সমাধানের সম্ভাব্য কৌশল প্রস্তাবনা

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০০

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস ঢাকার দীর্ঘস্থায়ী যানজট সমস্যার সমাধানে দ্রুত ও কার্যকর কৌশল খুজে বের করার পরামর্শ দিয়েছেন। বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি ঢাকা শহরের যানজট সমস্যা সমাধানের সম্ভাব্য কৌশল প্রস্তাবনা উপস্থাপন করলাম। যেহেতু প্রধান উপদেষ্টার সাথে আমার সরাসরি যোগাযোগ করার কোন মাধ্যম নাই, আবার গুগলে সার্চ দিয়ে সরকারি দপ্তরে কোন ইমেইলও খুজে পেলাম না। তাই যদি কেউ তার দৃস্টিতে আমার প্রস্তাবগুলো আনতে পারেন চির কৃতজ্ঞ থাকবো এবং জনগণ উপকৃত হবে।

যানজট সমস্যার সমাধানে আমরা নিম্নোক্ত দুই ধরণের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারি:

ক. তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ ও বাস্তবায়ন: যেগুলো বর্তমান পরিস্থিতিতে অবিলম্বে দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
খ. দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন: যেগুলো বাস্তবায়নে দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ ও পর্যায়ক্রমে উন্নয়ন প্রয়োজন।

তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ ও বাস্তবায়ন:

১. কর্মঘণ্টার পুনর্বিন্যাস ও ডিজিটালাইজেশন:

উদাহরণ: ব্যাঙ্গালোর ও সিঙ্গাপুর শহরে অফিস সময়ের ভিন্নতা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং এর সুফলও পাওয়া গেছে। অফিসগুলো নির্দিষ্ট সময়ের পরিবর্তে বিভিন্ন সময়ে শুরু ও শেষ হওয়ায় ট্রাফিকের চাপ নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

প্রস্তাবনা: ঢাকা শহরের বিভিন্ন খাতের অফিসের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কর্মঘণ্টা নির্ধারণ করা যেতে পারে। যেমন, কিছু অফিস সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এবং কিছু অফিস সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পরিচালিত হতে পারে। এতে একসঙ্গে সব অফিসে আসা-যাওয়ার চাপ কমবে। তদ্রূপ, বিভিন্ন স্কুলের সময়সূচী বিভিন্ন সময়ে নির্ধারণ করা যেতে পারে, যা রাস্তায় যানজট কমাতে কার্যকর হবে।

বাড়ি থেকে অফিসের কাজ বা ওয়ার্ক ফ্রম হোম:

উদাহরণ: প্যান্ডেমিকের সময় অনেক শহরে 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' পদ্ধতি চালু হয়েছিল, যা অফিসে উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দিয়েছিল এবং ট্রাফিকের চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছিল।

প্রস্তাবনা: বাংলাদেশের সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওয়ার্ক ফ্রম হোম পদ্ধতি গ্রহণ করতে উৎসাহিত করা যেতে পারে। বিশেষত, যেসব কাজ অনলাইন বা দূরবর্তীভাবে করা সম্ভব, সেগুলো অফিসের বাইরে থেকে করার ব্যবস্থা রাখা উচিত। এতে যানজট কমানোর পাশাপাশি কর্মীদের কাজের সুবিধা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে।

২. এলিভেটেড পার্কিং সিস্টেম / Smart Car Parking Crane:

যথাযথ পার্কিং ব্যবস্থা: ঢাকায় যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলিভেটেড বা মাল্টি-লেভেল পার্কিং সিস্টেম চালু করলে রাস্তায় গাড়ি রাখার স্থান সংকুলান হবে এবং রাস্তাগুলো যানজটমুক্ত ও পরিষ্কার থাকবে। শহরের প্রতিটি প্রধান সড়কের পাশে এই ধরনের এলিভেটেড পার্কিং ব্যবস্থা স্থাপন করা উচিত, এবং গাড়ির মালিকদের নির্দিষ্ট ফি দিয়ে এই পার্কিং সিস্টেম ব্যবহার করতে বাধ্য করা যেতে পারে। সামান্য জায়গা ব্যবহার করেই এই সিস্টেম নির্মাণ করা সম্ভব। নিচে কিছু উদাহরণ ও ভিডিও লিংক দেওয়া হলো:

উদাহরণ-১:
view this linkউদাহরণ-২:
https://www.youtube.com/shorts/R2Tn1sh7h-Y

উপকারিতা: এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন জনবহুল শহর যেমন টোকিও (জাপান), সিঙ্গাপুর, শাংহাই (চীন), দুবাই (সংযুক্ত আরব আমিরাত), এবং নিউ ইয়র্ক সিটি (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) সফলভাবে যানজট কমাতে সক্ষম হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য জানতে নিম্নোক্ত ওয়েবসাইটগুলো ভিজিট করা যেতে পারে:

সিঙ্গাপুর: Singapore Land Authority – Car Park Management
www.sla.gov.sg , Park+ – Smart Parking Solutions, http://www.parkplus.sg

টোকিও, জাপান: Sukiya – Automated Parking System, http://www.sukiya.com , Park24 – Japan’s Automated Parking, http://www.park24.co.jp

নিউ ইয়র্ক সিটি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: City of New York – Parking Management, www1.nyc.gov , Park It – Automated Parking Solutions , http://www.parkitnyc.com

দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত: Dubai Roads and Transport Authority (RTA) – Parking Solutions
www.rta.ae , Smart Parking Systems – Dubai , http://www.smartparking.ae

শাংহাই, চীন: Shanghai Smart Parking System , http://www.smartparking.cn , APCOA Parking – Automated Systems in China , http://www.apcoa.com


৩. ক. গাড়ির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ
খ. গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ

ক. গাড়ির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ:
ঢাকা ও সমগ্র বাংলাদেশে যানজট নিরসনের জন্য পুরনো গাড়ির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। বিশেষ করে ২০০৭ সালের পূর্বে নির্মিত সকল প্রকার পুরাতন গাড়ির লাইসেন্স ও রোড পারমিট বাতিল করা উচিত। এছাড়াও, ফিটনেসবিহীন বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহনের চলাচল নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন, যা রাস্তায় অকারণে জট সৃষ্টি করে। এছাড়াও নতুন গাড়ীর লাইসেন্স ও রোড পারমিট দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা তৈরী করা প্রয়োজন। যেমন- প্রতিমাসে অল্প সংখ্যক গাড়ির লাইসেন্স ও রোড পারমিট অনুমোদন দেওয়া। নতুন গাড়ি রাস্তায় নামানোর ক্ষেত্রে অনেক যাচাই বাচাই করে লটারীর মাধ্যমে অল্প সংখ্যাক গাড়ীর অনুমোদন দেওয়া।

প্রস্তাবনা: BRTA, যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে পর্যায়ক্রমে এইসকল গাড়ী ঢাকাসহ সমগ্র বাংলাদেশে থেকে উঠিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা।

খ. গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ:

বেইজিং শহরে নির্দিষ্ট দিনে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এই ধরনের নিয়ম ঢাকাতেও প্রবর্তন করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, গাড়ির প্লেটের শেষ অক্ষর বা স্টিকারের রঙের ভিত্তিতে সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে গাড়ির চলাচল বন্ধ রাখা যেতে পারে।

প্রস্তাবনা:
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (BRTA) এর তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা শহরে প্রায় ৪,০০,০০০ (চার লক্ষ ) প্রাইভেট কার চলাচল করে। এই সংখ্যাকে সপ্তাহের ৭ দিনে ভাগ করে, প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যক গাড়ির চলাচল সীমিত করা যেতে পারে। যেমন, ৪০০০০০ / ৭ = ৫৭১৪২ । এরপর, গাড়ির লাইসেন্স নাম্বারের শেষ সংখ্যা অনুযায়ী বিভিন্ন রঙের স্টিকার (লাল, সাদা, কালো, হলুদ ইত্যাদি) লাগানো হবে। সরকার থেকে ঘোষণা করা হবে যে, লাল স্টিকারযুক্ত গাড়িগুলো শনিবারের দিন চলাচল বন্ধ থাকবে, নীল স্টিকার রবিবার, সবুজ স্টিকার-সোমবার এভাবে সাতদিন পর্যায়ক্রমে বন্ধ থাকলে রাস্তাগুলোর উপর যানজটের চাপ কিছুটা হ্রাস পাবে । প্রয়োজনে এই নিয়ম আরও কঠোর করা যেতে পারে এবং সপ্তাহে দুই দিনও কার্যকর করা যেতে পারে।

বি:দ্র: এই পদ্ধতি মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহনের উপর প্রয়োগ করা যেতে পারে।


৪. গার্মেন্টস/অন্যান্য ফ্যাক্টরি রাজধানী থেকে স্থানান্তর:

ঢাকা শহরে গার্মেন্টস শিল্পের কারণে প্রচুর যানবাহন চলাচল করে, যা যানজটের অন্যতম কারণ। গার্মেন্টস শিল্প ও অন্যান্য ফ্যাক্টরিগুলোকে ঢাকার বাইরে স্থানান্তর করা হলে, শ্রমিকদের এবং পণ্য পরিবহনের জন্য রাজধানীতে আসা-যাওয়ার চাপ কমবে, যার ফলে ঢাকার ভেতরে যানজট অনেকটাই কমে যাবে।

প্রস্তাবনা:
গার্মেন্টস শিল্পের জন্য ঢাকার বাইরে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা যেতে পারে। এই অঞ্চলে উপযুক্ত পরিবহন ব্যবস্থা ও লজিস্টিক সাপোর্ট নিশ্চিত করা হবে, যা শ্রমিকদের জন্য উন্নত আবাসন ও সেবা প্রদানে সহায়ক হবে। এর ফলে, ঢাকা শহরের যানজট সমস্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে।

৫. ফুটপাত দখলমুক্ত করা ও বিকল্প ব্যবস্থা:

ঢাকা শহরের প্রধান রাস্তাগুলোর পাশে ফুটপাত দখল করে দোকান বসানোর কারণে সাধারণ পথচারীদের রাস্তা ব্যবহার করতে হয়, যা যানজটের সৃষ্টি করে। ফুটপাতকে পুনরায় পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত করতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে:

ফুটপাত দখলমুক্ত করা:
ফুটপাত থেকে সব অবৈধ দোকান ও স্থাপনা সরিয়ে নেওয়া উচিত, যাতে পথচারীরা নির্বিঘ্নে হাঁটতে পারেন। এর ফলে রাস্তায় মানুষের সংখ্যা কমবে, যা যানজট হ্রাসে সাহায্য করবে।

বিকল্প ব্যবস্থা:
ফুটপাতের দোকানদারদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার নির্দিষ্ট কিছু খালি জায়গা চিহ্নিত করে সেখানে একটি ছোট মার্কেট বা ফ্লেক্সিবল মার্কেট সিস্টেম তৈরি করতে পারে। এভাবে দোকানদাররা তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন এবং ফুটপাতও দখলমুক্ত থাকবে।

৬. ব্যাটারি/পেডেল চালিত রিক্সার নিয়ন্ত্রণ:

মেইন রাস্তায় ব্যাটারি/পেডেল চালিত রিক্সা নিষিদ্ধ:

ব্যাটারি ও পেডেল চালিত রিক্সাগুলোকে প্রধান সড়কে চলাচলের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত। মেইন রাস্তায় চলাচলের জন্য এসব যানবাহনকে কোনভাবেই অনুমতি দেওয়া যাবে না।

প্রস্তাবনা:
এই যানবাহনগুলোকে শুধুমাত্র গলি বা সাব-রাস্তাসমূহে চলাচল করতে দেওয়া হবে। এর বাস্তবায়নের জন্য ট্রাফিক পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে ছাত্র-ছাত্রীদের পার্টটাইম ট্রাফিক সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে, যা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সহায়ক হবে।

৭. কঠোর আইন ও সচেতনতা বৃদ্ধি

আইন প্রয়োগ:
সিঙ্গাপুর ও নিউ ইয়র্কের মতো শহরে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের জন্য কঠোর জরিমানা আরোপ করা হয়, যা যানবাহন চালকদের মধ্যে আইন মানার প্রবণতা বাড়ায়। বাংলাদেশে ট্রাফিক লেন মেনে চলা বাধ্যতামূলক করা উচিত এবং এর জন্য জরিমানাও বাড়ানো প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ, লেন ভঙ্গের জন্য বর্তমান জরিমানা দ্বিগুণ করা যেতে পারে। এছাড়া, নিয়মিত মুভিং ট্রাফিক পুলিশ দ্বারা অভিযান পরিচালনা করা হলে আইন লঙ্ঘনের সংখ্যা কমানো সম্ভব হবে।

সচেতনতা বৃদ্ধি:
গণমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া এবং সম্প্রদায়ের মাধ্যমে ট্রাফিক আইন মেনে চলার প্রচার চালানো যেতে পারে। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সচেতনতা ক্যাম্পেইন, ভিডিও, পোস্টার এবং ইনফোগ্রাফিক্সের মাধ্যমে মানুষকে ট্রাফিক নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতন করা যেতে পারে।

প্রস্তাবনা:

সচেতনতামূলক কর্মশালা: স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাফিক নিরাপত্তা বিষয়ে কর্মশালা আয়োজন করা উচিত। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি হবে।

সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইন: ফেসবুক, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামে নিয়মিত ট্রাফিক সচেতনতা পোস্ট এবং ভিডিও শেয়ার করা যেতে পারে। জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে এই ক্যাম্পেইনকে আরও জনপ্রিয় করা সম্ভব।

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট: একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা যেতে পারে, যা ব্যবহারকারীদের ট্রাফিক আইন এবং নিয়মাবলী সম্পর্কে আপডেট রাখবে। এতে ব্যবহারকারীরা তাদের এলাকায় আইন লঙ্ঘনের খবরও দিতে পারবেন।

স্থানীয় কমিউনিটি প্রচার: স্থানীয় সংগঠনগুলোর মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। এটি মানুষকে ট্রাফিক আইন মানার জন্য উদ্বুদ্ধ করবে।




৮। ক্যার-শেয়ারিং ও পাবলিক বাইসাইকেল সিস্টেম

ক্যার-শেয়ারিং প্রোগ্রাম:
বিকাশমান শহরগুলোতে, যেমন কুয়ালালামপুর (মালয়েশিয়া) এবং ব্যাংকক (থাইল্যান্ড), রাইড শেয়ারিং অ্যাপস যেমন Grab ও Go-Jek ব্যবহার করে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কমানো সম্ভব হয়েছে। এসব প্রোগ্রাম শহরের ভেতরে যাতায়াতের জন্য একটি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব বিকল্প হিসেবে কাজ করছে।

প্রস্তাবনা:

স্থানীয় রাইড শেয়ারিং ও বাই-সাইকেল: বাংলাদেশে স্থানীয় রাইড শেয়ারিং UBER, RIDE Share, PATHAO সহ বিভিন্ন অ্যাপ চলমান আছে। এগুলো ব্যবহার করার ব্যাপারে জনগণকে উব্দুধ্ করতে হবে। গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্যার-শেয়ারিংয়ের সুবিধা সম্পর্কে প্রচার চালানো। এ্যাপস ভিত্তিক সাইকেল রাইড সিস্টেম ঢাকা শহরে বৃদ্ধি করতে হবে। এই পদ্ধতিটি বর্তমানে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু আছে। ঢাকা শহরে ব্যাপকহারে এই রাইড বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।


৯. ছাত্রদের ট্রাফিক সহযোগী হিসেবে নিয়োগ

ট্রাফিক পুলিশের সহযোগী হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়োগ একটি কার্যকরী পদক্ষেপ হতে পারে। পার্ট টাইম হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীদের এই দায়িত্ব দেওয়া হলে তারা আয়ের সুযোগ পাবেন, পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রমে সহায়তা করে জনসাধারণের নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করবেন।

এই পদক্ষেপটি শুধু ছাত্রদের জন্যই নয়, বরং সমাজের জন্যও উপকারী হতে পারে। ছাত্রদের স্থানীয় এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে উৎসাহিত করা যেতে পারে। তারা তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবে এবং তাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে ট্রাফিক আইন মানার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

প্রস্তাবনা:

প্রশিক্ষণ কার্যক্রম: ছাত্রদের ট্রাফিক সহযোগী হিসেবে নিয়োগের পূর্বে তাদের ট্রাফিক আইন, সাইন ও সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করা উচিত। এর মাধ্যমে তারা দায়িত্ব পালনে আরো দক্ষ হবে।

বিশেষ পুরস্কার ও ভাতা প্রদান: নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য ছাত্রদের জন্য বিশেষ পুরস্কার বা সনদ প্রদান করা যেতে পারে, যা তাদের উৎসাহিত করবে। প্রয়োজনে মাসিক ভাতাও দেওয়া যেতে পারে।

সচেতনতা ক্যাম্পেইন: ছাত্রদেরকে ট্রাফিক সচেতনতা ক্যাম্পেইন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে, যেখানে তারা স্থানীয় কমিউনিটিতে ট্রাফিক আইন ও সুরক্ষা বিষয়ে আলোচনা করবে।

সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার: ছাত্রদের ট্রাফিক সহযোগী হিসেবে নিয়োগের মাধ্যমে তারা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাতে পারে, যা তাদের বন্ধুবান্ধব ও পরিবারে সচেতনতা সৃষ্টি করবে।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে এবং সমাজে ট্রাফিক আইন মানার সংস্কৃতির উন্নয়ন ঘটবে।


১০. ট্রাফিক সিগন্যাল লাইট সংস্কারঃ ঢাকা শহরে প্রায় অধিকাংশ জায়গায় সিগন্যাল লাইন নস্ট, পুলিশ হাত উঠিয়ে নামিয়ে দায়িত্ব পালন করে। সিগন্যাল গুলোতে কোন পর্যবেক্ষন ক্যামেরাও নেই।

প্রস্তাবনাঃ ঢাকা শহরে মোরে মোরে সকল প্রকার সিগন্যাল লাইট মেরামত করা, সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা এবং সিগন্যার লাইট মেনে চলার ব্যাপারে সকল উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সোস্যাল সাইট, টেলিভিশন, মসজিদসহ সকল জায়গায় প্রচার প্রচারণা করা।

১১. ভিআইপিদের জন্য হেলিকাপ্টার ব্যবহার:

বিদেশ থেকে আগত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বা অতিথিদের বিমানবন্দর থেকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাধারণত সড়কপথ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু, এই প্রক্রিয়ায় মূল সড়কগুলোতে দীর্ঘসময় যানজট সৃষ্টি হয়, যা অন্য যাত্রীদের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

যেমন, যখন একটি ভিআইপি গাড়ি সড়কে প্রবেশ করে, তখন নিরাপত্তার কারণে বিভিন্ন রাস্তা ব্লক করে দেওয়া হয়। এতে পুরো রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং সাধারণ মানুষের জন্য অসুবিধা সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে, ঢাকার মত শহরে যেখানে যানজট একটি মৌলিক সমস্যা, সেখানে এই সমস্যা আরো বাড়ে।

প্রস্তাবনা:
হেলিকাপ্টার সেবা: বিমানবন্দর থেকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে বা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সরাসরি হেলিকাপ্টার ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি দ্রুত, নিরাপদ এবং কার্যকরী উপায়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পরিবহন নিশ্চিত করবে।

নিরাপত্তা ও পরিকল্পনা: হেলিকাপ্টার উড্ডয়ন এবং অবতরণের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। হেলিপ্যাড স্থাপন এবং নিরাপত্তা কর্মীদের প্রস্তুতি নিশ্চিত করা আবশ্যক।

যানজট নিয়ন্ত্রণ: এই ব্যবস্থার ফলে সড়কে যানজট কমবে, কারণ ভিআইপিদের জন্য সড়ক অবরোধের প্রয়োজন হবে না। সাধারণ যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে এবং তারা সড়কে সমস্যা অনুভব করবেন না।

হেলিকাপ্টার ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভিআইপিদের পরিবহন প্রক্রিয়া আরো নিরাপদ, দ্রুত এবং কার্যকরী হবে। এতে করে যানজটের সমস্যা কমিয়ে জনসাধারণের চলাচলকে সহজতর করা সম্ভব হবে।

বিঃদ্রঃ বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিদের জন্যও এই পদ্ধিতি অনুসরণ করা যেতে পারে।


খ. দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন:


১. পাবলিক ট্রান্সপোর্টের আধুনিকায়নঃ

উন্নত ও নির্ভরযোগ্য পাবলিক ট্রান্সপোর্ট: সিঙ্গাপুরে পাবে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (MRT) এবং বাস সিস্টেমের সমন্বিত নেটওয়ার্ক, যা সুষ্ঠু যাতায়াত নিশ্চিত করেছে। ঢাকায় একইভাবে বিআরটি, মেট্রোরেল, পাতাল রেল এবং বাস সিস্টেমের উন্নয়ন করে জনসাধারণকে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার থেকে বিরত রাখা যায়।
মেট্রোরেল : ঢাকা শহরে মেট্রারেলের আরো পরিধি বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা।
পাতাল রেল: পাতাল রেলের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা। ইতিপূর্বে এধরণের পরিকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। লিংক-১. https://www.youtube.com/watch?v=qbFuXOz37A4 ২. https://www.youtube.com/watch?v=ZjMeDxHzcIM
বাস র্যাপিড ট্রানজিট (BRT): নির্দিষ্ট লেনে শুধু বাস চলাচল করে এমন ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে, যেমনটি ব্রাজিলের কুরিটিবা শহরে করা হয়েছে। লিংক- Click This Link

২. স্মার্ট ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমঃ

বর্তমান যুগে অনেক শহরে উন্নত ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে ট্রাফিক লাইটগুলি যানবাহনের ঘনত্ব ও গতির ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে, যা যানজট কমাতে এবং সড়ক নিরাপত্তা বাড়াতে সাহায্য করে।

উদাহরণ:
লন্ডন, যুক্তরাজ্য:
লন্ডনের স্মার্ট ট্রাফিক সিস্টেমটি সেন্সর এবং ক্যামেরা ব্যবহার করে ট্রাফিকের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। এর মাধ্যমে সিটি কর্তৃপক্ষ দ্রুত যানজটের তথ্য পায় এবং ট্রাফিক লাইটের সাইকেল পরিবর্তন করে যান চলাচল নির্বিঘ্ন করে।

নিউ ইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র:
নিউ ইয়র্কে "Traffic Management Center" রয়েছে, যা শহরের বিভিন্ন স্থানে বাস্তব সময়ের তথ্য সংগ্রহ করে। AI এবং ডেটা অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে সিটি কর্তৃপক্ষ দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং যানজট নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

বেইজিং, চীন:
বেইজিংয়ে স্মার্ট ট্রাফিক সিস্টেমের মাধ্যমে যানবাহনের গতির উপর ভিত্তি করে ট্রাফিক লাইটের সময়সীমা পরিবর্তন করা হয়। এতে করে সড়কের উপর যানবাহনের চাপে উল্লেখযোগ্য হ্রাস দেখা গেছে।

প্রস্তাবনা:
ঢাকায় প্রযুক্তির ব্যবহার:
ঢাকা শহরে AI ও সেন্সর-ভিত্তিক ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। এজন্য ট্রাফিক সিগন্যাল ও রাস্তায় সেন্সর স্থাপন করা উচিত, যা যানবাহনের গতির তথ্য সংগ্রহ করবে।

ডেটা অ্যানালিটিক্স:
সড়কে যানবাহনের গতির সাথে সাথে জনসাধারণের চলাচল বিশ্লেষণের জন্য ডেটা অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে করে সঠিক সময় ও স্থানে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

সচেতনতা বৃদ্ধি:
স্মার্ট ট্রাফিক সিস্টেমের কার্যকারিতা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার জন্য তথ্য প্রচার করা উচিত। বিশেষত নতুন প্রযুক্তি গ্রহণের ক্ষেত্রে জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।

মাল্টি-ফেসেটেড সমাধান:
স্মার্ট ট্রাফিক সিস্টেমের পাশাপাশি পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থার উন্নয়ন ও বাইসাইকেল ব্যবহারের উৎসাহিতকরণ, এই সমস্যার সার্বিক সমাধানে সহায়তা করবে।

স্মার্ট ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের কার্যকর ব্যবহার বাংলাদেশের শহরগুলোতে যানজট সমস্যার সমাধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে, যা নিরাপদ ও সাশ্রয়ী পরিবহন ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা করবে।

৩. রোড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও ফ্লাইওভার উন্নয়ন

সঠিক রোড ইনফ্রাস্ট্রাকচার একটি শহরের যানবাহন চলাচলের সুবিধা নিশ্চিত করে। জাপান ও সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত দেশে ফ্লাইওভার ও পরিকল্পিত রোড নেটওয়ার্ক নির্মাণের মাধ্যমে যানজট নিয়ন্ত্রণ ও ট্রাফিক প্রবাহ সহজ করা হয়েছে। এসব দেশের উদাহরণ থেকে বাংলাদেশেও শিক্ষা নিতে হবে।

উদাহরণ:
জাপান:
টোকিওর মত শহরে বৃহৎ ফ্লাইওভার ও স্বচ্ছন্দ্যকর রাস্তাগুলো অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছে, যা শহরের যান চলাচলকে সহজ করেছে। ফ্লাইওভারগুলো প্রধান সড়কগুলির উপর দিয়ে তৈরি, ফলে মূল সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ কমেছে।

সিঙ্গাপুর:
সিঙ্গাপুরে ফ্লাইওভার ও দ্রুতগতির সড়ক নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে রাস্তার গঠন করা হয়েছে, যা যানজট সমস্যার সমাধানে সহায়তা করেছে। এর ফলে জনগণের যাতায়াত ব্যবস্থা দ্রুত ও নিরাপদ হয়েছে।

ব্যাখ্যা:
ঢাকার বর্তমান রোড ইনফ্রাস্ট্রাকচার অনেক জায়গায় অপ্রতুল এবং অপরিকল্পিত। রাস্তার সংকীর্ণতা, অবৈধ পার্কিং এবং সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে যানজট ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিকল্পিত রাস্তা ও ফ্লাইওভারের অভাব ঢাকা শহরে ট্রাফিক ব্যবস্থার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

প্রস্তাবনা:
নতুন রোড নেটওয়ার্ক:
ঢাকার ভিতরে নতুন ও পরিকল্পিত রাস্তা তৈরি করতে হবে। বিশেষ করে, প্রধান সড়কগুলোর পাশে প্রশস্ত রাস্তা তৈরি করা উচিত, যাতে যানবাহনের প্রবাহ নির্বিঘ্ন হয়।

ফ্লাইওভার নির্মাণ:
গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা উচিত, যা প্রধান সড়কের উপর দিয়ে যাবে। এটি বিশেষ করে ব্যস্ত এলাকা এবং বাজারের কাছে যানজট কমাতে সাহায্য করবে।

ড্রেনেজ ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ:
সড়কের পাশাপাশি ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে যাতে বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশিত হয়। সড়কগুলোর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করা জরুরি, যাতে যানবাহন সুষ্ঠুভাবে চলাচল করতে পারে।

জনগণের অংশগ্রহণ:
নতুন রাস্তা ও ফ্লাইওভার নির্মাণের সময় স্থানীয় জনগণের মতামত নেওয়া উচিত। এতে করে প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে জনগণের সমর্থন বৃদ্ধি পাবে।

পরিকল্পিত ট্রাফিক সিগন্যাল:
নতুন সড়ক নির্মাণের সাথে সাথে উন্নত ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে, যা যানজট নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।

সঠিক রোড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও ফ্লাইওভার উন্নয়ন ঢাকা শহরের যানজট সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান হতে পারে। এটি জনগণের চলাচলকে সুরক্ষিত, দ্রুত এবং সুবিধাজনক করে তুলবে। আশা করি আমার প্রস্তাবনাগুলো সরকারের দৃস্টিতে আসবে এবং কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১০

শেরজা তপন বলেছেন: বেশ ভালো পরামর্শ কিন্তু মোটরসাইকেল নিয়ে তেমন কোন আলোচনা দেখলাম না আমাদের দেশে যানজটের জন্য মোটরসাইকেল একটা বড় ব্যাপার।
ঢাকা শহরে সাড়ে দশ লক্ষ প্রাইভেটকার বিষয়ক তথ্য আপনি কোথায় পেলেন আমার জানা নেই আমি যতদূর জানি যে ঢাকা শহরে সাড়ে তিন লক্ষ ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করে তারপরেও এ তথ্যটা আমার কাছে অতিরঞ্জিত মনে হয়েছে আমার মনে হয় ২ লক্ষ এর উপরে ব্যক্তিগত গাড়ি ঢাকায় চলাচল করে না।
আপনার সাদা লীন লাল সবুজ স্টিকারের গাড়ি যদি একেকদিন একেকটা চলাচল করে তাহলে বাকি একদিনের জন্য আর কেন ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকরা গাড়ি চালাবে।
বেশ ভালো পরামর্শ কিন্তু মোটরসাইকেল নিয়ে তেমন কোন আলোচনা দেখলাম না আমাদের দেশে যানজটের জন্য মোটরসাইকেল একটা বড় ব্যাপার।
ঢাকা শহরে সাড়ে দশ লক্ষ প্রাইভেটকার বিষয়ক তথ্য আপনি কোথায় পেলেন আমার জানা নেই আমি যতদূর জানি যে ঢাকা শহরে সাড়ে তিন লক্ষ ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করে তারপরেও এ তথ্যটা আমার কাছে অতিরঞ্জিত মনে হয়েছে আমার মনে হয় ২ লক্ষ এর উপরে ব্যক্তিগত গাড়ি ঢাকায় চলাচল করে না।
আপনার সাদা লীন লাল সবুজ স্টিকারের গাড়ি যদি একেকদিন একেকটা চলাচল করে তাহলে বাকি একদিনের জন্য আর কেন ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকরা গাড়ি চালাবে।

আপনি শুধু এই হিসাবটা দেখুন আপনার কোন আয়-রোজগার থাকুক বা না থাকুক একটা গাড়ি থাকলে অন্যান্য খরচ বাদে শুধু অগ্রিম আয়কর দিতে হবে আপনাকে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার থেকে শুরু করে দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত একটা ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য। ফিটনেস ট্রু পারমিট ট্যাক্স এইসব বাদেই। আর বাংলাদেশের বিআরটিএ যত ফাইন আদায় হয় এবং এখানকার ট্রাফিক সার্জেন্টরা যত ঘুষ আদায় করে তার ৭০ থেকে ৮০ভাগ এই প্রাইভেটকার মালিকদের কাছ থেকেই নিয়ে থাকে।
আপনার হিসেবে যদি সাড়ে ১০ লক্ষ প্রাইভেটকার শুধু ঢাকা শহরে চলাচল করে তাহলে এদের কাছ থেকে গড়ে চল্লিশ হাজার টাকা করে অগ্রিম হাইকোর্ট নিলে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা আয় করা আসে প্রতিবছর সরকারের। আর এই শহর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ১২ লক্ষ অবৈধ অটোরিকশা কোন লাইসেন্স ছাড়া কোন রকম ট্যাক্স না দিয়ে এবং কোন ধরনের ফিটনেস ছাড়া কোন রকম ড্রাইভিং এর নুন্যতম যোগ্যতা ছাড়া।
আপনি যদি তিন থেকে পাঁচ লক্ষ প্রাইভেটকারের কথাও ধরেন তাহলেও সেখানে দুই তিন লক্ষ প্রশিক্ষিত ড্রাইভার এর রুটি রুজি কিন্তু জড়িত।
আপনি যেসব দেশের উদাহরণ দিয়েছেন সে সব দেশের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা এত ভালো যে সেখানে ব্যক্তিগত গাড়ির খুব বেশি প্রয়োজন নেই বিশেষ করে শহরের মধ্যে চলাচলের জন্য।

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৪

rezaul827 বলেছেন: @শেরজা তপন : লাল স্টিকারযুক্ত গাড়িগুলো শনিবারের দিন চলাচল বন্ধ থাকবে, নীল স্টিকার রবিবার, সবুজ স্টিকার-সোমবার এভাবে সাতদিন পর্যায়ক্রমে বন্ধ থাকলে রাস্তাগুলোর উপর যানজটের চাপ কিছুটা হ্রাস পাবে । প্রয়োজনে এই নিয়ম আরও কঠোর করা যেতে পারে এবং সপ্তাহে দুই দিনও কার্যকর করা যেতে পারে।
বি:দ্র: এই পদ্ধতি মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহনের উপর প্রয়োগ করা যেতে পারে।

আমার পোস্ট আপডেট করেছি। আসলে ঢাকা শহরে মোট কতটি প্রাইভেট কার চলাচল করে তার সঠিক হিসাব বাহির করা কঠিন তবে কারণ রেস্ট্রিশেন ব্যতীত রাজনৈতিক প্রভাবেও গাড়ি চলাচল করে। তবে বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৪ লক্ষ। @শেরজা তপন : লাল স্টিকারযুক্ত গাড়িগুলো শনিবারের দিন চলাচল বন্ধ থাকবে, নীল স্টিকার রবিবার, সবুজ স্টিকার-সোমবার এভাবে সাতদিন পর্যায়ক্রমে বন্ধ থাকলে রাস্তাগুলোর উপর যানজটের চাপ কিছুটা হ্রাস পাবে । প্রয়োজনে এই নিয়ম আরও কঠোর করা যেতে পারে এবং সপ্তাহে দুই দিনও কার্যকর করা যেতে পারে।
বি:দ্র: এই পদ্ধতি মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহনের উপর প্রয়োগ করা যেতে পারে।

আমার পোস্ট আপডেট করেছি। আসলে ঢাকা শহরে মোট কতটি প্রাইভেট কার চলাচল করে তার সঠিক হিসাব বাহির করা কঠিন তবে কারণ রেস্ট্রিশেন ব্যতীত রাজনৈতিক প্রভাবেও গাড়ি চলাচল করে। তবে বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৪ লক্ষ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.