আমাদের নদী

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৮

নদীমাতৃক দেশ আমাদের বাংলাদেশ। কী রূপ! কী লাবণ্য! যৌবনে যেন চিরযৌবনা। পৃথিবীর আর কোথাও এমনটা হইত নেই। নামের সেকি বাহার। কোথাও রূপচাঁদের রূপসা, কোথাও মাইকেলের কপোতাক্ষ, কোথাও জীবনানন্দের ধানসিঁড়ি। আরও আছে অদ্বৈত মল্লবর্মণের তিতাস একটি নদীর নাম কিংবা মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ্মানদীর মাঝি।

কত গান, কত কবিতা, কত গল্প, কত ছবি। এ নদীর ছোঁয়ায় যেন জেগেছে সব। কোথাও আব্দুল আলীমের সর্বনাশা পদ্মা নদী, কোথাও শেফালী ঘোষ ও শ্যামসুন্দর বৈষ্ণবের লুসাই পাহাড় থেকে কর্ণফুলী। চারিদিকে যেন নদীর জয়জয়কার। আছে সুপ্রাচীন ব্রহ্মপুত্র নদ। আছে পাহাড় ঘেঁষে আসা শঙ্ক কিংবা সাঙ্গু। আছে টেকনাফের নাফ আর তেঁতুলিয়ার মহানন্দা। আছে সিলেটের সুরমা আর ঢাকার বুড়িগঙ্গা। আছে বরিশালের কীর্তনখোলা আর চট্টগ্রামের কর্ণফুলী।

কত বিচিত্র আর কত মাধুর্য। এখানেই শেষ নই। শীতলক্ষ্যার নারায়ণগঞ্জে আছে প্রধান নদী বন্দর। চাটগাঁর হালদাতো এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র। আর মেঘনাতো দেশের বৃহত্তম ও দীর্ঘতম নদী। প্রতিনিয়ত আরও কত নদী এ দেশের বুকে বয়ে চলেছে। অবিরাম তাদের ছুটে চলা। কুমিল্লার গোমতী, মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী, কক্সবাজারের বাঁকখালী, কুষ্টিয়ার গড়াই। নদীর যেন শেষ নেই। করতোয়া, ধরলা, ইছামতি, কুমার, কুশিয়ারা, চিত্রা, আড়িয়াল খাঁ। আছে উত্তরের প্রান তিস্তা নদী।

যতই জেনেছি ততই মুগ্ধ হয়েছি, যতই দেখেছি ততই মুগ্ধ নয়নে চেয়েছি, এ সুন্দর দেশটা আমার, এ সুন্দর দেশটা আমাদের, এ সুন্দর দেশটা সবার, এ সুন্দর দেশটা পদ্মা মেঘনা যমুনার।



আজাহার উদ্দিন আহমেদ (রিজভী)
৪র্থ বর্ষ, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

৪ টি +১/-০