![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার স্মৃতিশক্তি ভিমরুলের চাইতে একটু বেশি।অবশ্য এতে আমার বেশ গর্বই হয়। আম্মা বাজার থেকে দারুচিনি আনতে বললে তেজপাতা আনার স্বভাবটা আমার সেই ছোটবেলা থেকেই আছে।
কিন্তু আজকে বাসে পরিচয় হওয়া মেয়েটার নাম,এখনও মনে আছে ভেবে নিজের প্রতি কেমন জানি confidence হারিয়ে ফেলছি।কিন্তু কেন মনে আছে ,সেটা হয়তো কয়েকশ বছর পরে প্রত্ত্বতাত্ত্বিক কোন গবেষণায় বেড়িয়ে আসবে।
এমন নয় যে ,আমি রোজই বাসে চলাফেরা করি, কিন্তু আজ বৃষ্টি বলে রিকশায় আসার উপায় ছিল না।
মেয়েটা , ওর নাম বলেছিল জুলেখা। প্রচণ্ড একটা বৈদ্যুতিক শক খেয়ে বললাম ,বাহ চমৎকার নাম।
মেয়েটার হাসি দেখে স্পষ্ট মনে হল সে আমার বোকামিতে বেশ খুশি। কিন্তু আমি যে ওর নামটা বিশ্বাস করি নি ,সেটাতো সে আর বোঝে নি ! ইদানীং মেয়েরা আর অপরিচিত কাউকে নিজের নাম বলে না ,সেটা আমি জানিই।
কিন্তু আমাদের মূল গল্প আসলে মেয়েটির নাম কিংবা আমার ভুলে যাওয়া নিয়ে নয়।এ দুটো এ গল্পের একেবারে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়। এবার আমরা গল্পের ভিতরে যেতে পারি।
-এফবি চালাও?
-হুম
-আইডি কি?
-‘অদ্ভুত ভুতুড়ে’
-অদ্ভুতই তো ,আবার ভুতুড়ে কেন?
কি মেয়েরে বাবা।
-তুমি কি রোজই এ বাসেই চলাফেরা কর?
বেশ বোকার মতো প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলাম একটা।
-সে জানালো হুম।
এ ঘটনা ঘটে গেছে সেই দুপুর বেলায় আর এখন রাত নয়টা। বাসায় আসার সময় আম্মুর মোবাইল ফোনে ২০০ টাকা ফ্লেক্সিলোড দেয়ার কথা ছিল ,সেটাও ভুলে গেসি। অথচ জুলেখা বেগমের নামটা এখনও মনে আছে।কাল যদি আবার বৃষ্টি হয়, তবে আবার বাসে করে বাড়ি ফিরবো। যদি আবার তাহার সনে দেখা হয়! কিন্তু বাসটার নামটা ঠিক মনে পড়ছে না, কিছুতেই না।
©somewhere in net ltd.