![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি গর্বিত আমি বাঙালী।জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সব পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অর্থনীতির মূল সূচক জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রার গড় ৭৫ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। বর্তমানে অর্থনীতি যে পর্যায়ে পৌঁছে গেছে তাতে কোন বড় বাঁধা না এলে উচ্চ প্রবৃদ্ধি সম্ভব। অর্থনীতি বড় হওয়ার সঙ্গে নতুন নতুন খাত যুক্ত হয়েছে। চার নতুন সেবা খাতকে অর্থনীতিতে যুক্ত করা হয়েছে। খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে- ডেকোরেটর, নিরাপত্তা সেবা, নিয়োগ সেবা এবং পরিচ্ছন্নতা সেবা। এসব খাত থেকে জিডিপিতে প্রায় ৩৮ হাজার ৫৮ কোটি টাকা যুক্ত হবে এবং জিডিপি প্রায় শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক দশকের ব্যবধানে দেশে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে বড় ধরনের ঊলম্ফন হয়েছে। গত এক দশকে অর্থনৈতিক ইউনিটের ক্ষেত্রে ১১৮ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটেছে। এর ৭২ শতাংশই গ্রামভিত্তিক কুটির শিল্প, যা অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করছে। শহরভিত্তিক ইউনিটগুলো অনেক বড়। সেই তুলনায় গ্রামে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লাখ লাখ ইউনিট গড়ে উঠেছে। যারা অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা পালন করছে। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক মন্দা কিংবা রাজনৈতিক অস্থিরতায় এসব শিল্প ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত কম হয়। এমন অর্থনৈতিক ইউনিটের সংখ্যা ৫৮ লাখ ১৭ হাজার ৭২৪টি। অন্যদিকে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মোট শিল্প ইউনিটের ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ, পৌরসভায় ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ, উপজেলা পর্যায়ে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। অর্থনীতিতে গ্রাম বড় ভূমিকা পালন করছে এতে কোন সন্দেহ নেই। মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে রয়েছে বাংলাদেশ। কেননা এই পর্যায়ে উন্নীত হতে তিনটি সূচকের মধ্যে একটি ইতোমধ্যেই অর্জিত হয়েছে, দ্বিতীয়টির প্রায় কাছাকাছি এবং তৃতীয়টিতে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা পূরণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের স্বল্পোন্নত দেশের দুর্নাম ঘুচছে। বাংলাদেশে ২০১৪ সালের সর্বশেষ হিসাব মতে জিএনআই এক হাজার ১৯০ মার্কিন ডলার হয়েছে এবং পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১২ সালের হিসাবে মাথাপিছু জিএনআই ছিল ৮৪০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের বর্তমানে অবস্থান হচ্ছে ৬৫ দশমিক ৯৬। ২০১২ সালের সিডিপির পর্যালোচনা প্রতিবেদন অনুযায়ী ছিল ৫৪ দশমিক ৭। অর্থনৈতিক সংকট সূচকে স্বল্পোন্নত থেকে বের হতে প্রয়োজনীয় মান ৩২ বা তার কম। কিন্তু বর্তমানে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের কার্যক্রম চলছে। আশা করা হচ্ছে এ ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জিত হতে পারে। তবে ২০১২ সালের সিডিপির পর্যালোচনায় বাংলাদেশের মান ছিল ৩২ দশমিক ৪। এ বিষয়ে সরকারের একটি লক্ষ্যই রয়েছে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে যাওয়া। এর ফলে উন্নয়ন দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে। আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।
©somewhere in net ltd.