![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি গর্বিত আমি বাঙালী।জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।
বেগম জিয়া একদিকে জঙ্গীবাদের বিকাশ ঘটাচ্ছেন, অন্যদিকে সরকারী দলকে অভিশাপও দিচ্ছেন এই বলে যে, আল্লাহ জালেম, অত্যাচারী ও অবৈধ সরকারকে পরীক্ষা করছে। তারা কত খারাপ কাজ করতে পারে, কত দুর্নীতি করতে পারে। আবার হুমকিও দিচ্ছেন, যেদিন দড়ি ধরে টান দেবে, সেদিন এরা খানখান হয়ে যাবে। অর্থাৎ, তিনি বোমা মেরে সবকিছু গুঁড়িয়ে দেবেন। আইএস সদস্যরা ইরাক, সিরিয়াতে যেমন প্রাচীন ঐতিহ্য ও নিদর্শন ধ্বংস করছে বোমায়, তেমনি বাংলাদেশেও সেই একই পন্থাকে প্রাধান্য দেবেন। বলেছেনও, এই সরকারের সবার পরিণতি একই হবে। জনগণ (আসলে হবে জঙ্গীরা) তাদের সব জায়গা থেকে খুঁজে বের করবে। যেমনটা ১৯৭১ সালে আলবদর বাহিনী করেছিল। দেশজুড়ে রাজাকার-আলবদররা মুক্তিকামী জনগণকে তুলে নিয়ে হত্যা করেছিল, তেমন পন্থা তিনি অবলম্বন করবেন- এমন ইঙ্গিতই মেলে, তবে তিনি এটুকু আশ্বাস দিয়েছেন, যেন জঙ্গীদের হামলা থেকে রেহাই পাবার একটাই পথ, তা হচ্ছে ‘পালাবার পথ দেখে রাখুন।’ জঙ্গী হামলা থেকে রক্ষা পাবার জন্য সরকারী দলকে এভাবে হুঁশিয়ার করার ক্ষমতা একমাত্র বেগম জিয়াই রাখেন। আমরা তাই স্মরণ করতে পারি, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতকে সামনে রেখে জঙ্গী ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশ ধ্বংস তথা সরকার উৎখাত করে আল কায়েদা ও আইএসের সহায়তায় তিনি সরকার গঠন করবেন। পলাতক পুত্রকে দেশে ফিরিয়ে এনে ক্ষমতার সিংহাসনে বসাবেন। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি হয়ে গেছে। তিনি দলীয়কর্মীদের সে রাতে হেফাজতের পাশে দাঁড়ানোর জন্য যে উস্কানি দিয়েছিলেন, তাতে দলীয় কর্মীরা সাড়া দেয়নি। আর তা দেয়নি বলেই হেফাজতরা ঢাকায় ধ্বংসলীলা চালিয়ে অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়েছিলেন।
(চলবে............।।)
©somewhere in net ltd.