![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি গর্বিত আমি বাঙালী।জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।
সেনানিবাসে জন্ম নেয়া দলটির জনকও ছিলেন সেনানায়ক। বহুদলীয় রাজনীতি খোলার জন্য তাকে বাহবা দিয়েও বলতে হয় তার কাছে কি আসলে এর কোনো বিকল্প ছিল? বঙ্গবন্ধু ও চার জাতীয় নেতার হত্যাপর্বের ধকল সামলিয়ে বাংলাদেশ তখন সবে জেগে উঠছিল। এর সঙ্গে ছিল তখনকার সাচ্চা বাম রাজনীতি। বাংলাদেশকে চাইলেই পাকিকরণ করা যাবে না এটা বুঝে সব দলকে মিটিং করতে দেয়া ঘরোয়া রাজনীতির নাম আর যাই হোক গণতন্ত্র হতে পারে না। জেনারেল জিয়ার রাজনৈতিক দলটির বড় সৌভাগ্য এ দেশের কনফিউসড ও লেখাপড়া না জানা মানুষগুলোর সেন্টিমেন্টকে বরাবর নিজেদের সঙ্গে পেয়েছে তারা। সে শক্তির পেছনে ছিল অন্ধ ভারত বিরোধিতা, পাকিদের প্রতি প্রচ্ছন্ন ভালোবাসা আর ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি। জামাতের সঙ্গ নিয়ে বিএনপি এমন এক পরিবেশ তৈরি করে ফেলেছিল যাতে মনে করা হতো বাংলাদেশ আর কখনো তার আসল চেহারায় ফিরতে পারবে না। কিন্তু এটি সব সম্ভবের দেশ। এখানে আবহাওয়ার মতো মানুষও ধরা-বাঁধা কোনো ছকে চলে না। যার যা প্রাপ্য তাই বুঝিয়ে দেয় তারা। বিএনপিকে যেমন এরা সম্মান আর গদি দিয়েছে তেমনি ঘৃণা দিতেও কসুর করেনি। এবার তাদের অতীত পাপ আর কুকর্ম ভুলে গণতন্ত্রে ফেরার পথ যখন প্রায় খুলছিল তখন নির্বাচন বর্জনের নামে আবারো পিছিয়ে গেল তারা। সময় কি এই ভুল মাফ করবে আসলে? গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম আর মায়াকান্নাই যদি সত্য প্রতিবাদ করা যেত। বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি শক্তিশালী বিরোধী দলের প্রয়োজন আজ সবার কাছেই অনুভূত হচ্ছে। বিএনপি সে দায়িত্ব পালন করতে পারবে কিনা সেটাও এখন মুখ্য হয়ে উঠছে। খালেদা জিয়ার ক্যারিশমা আর নেতৃত্বদানের যে শক্তি সেটা যেন প্রায় লপো পাওয়ার পথে। আগের বিএনপি আর এখনকার বিএনপিতে আকাশ-জমিন ফারাক।
©somewhere in net ltd.