![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি গর্বিত আমি বাঙালী।জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।
ছিটমহল বিনিময় বা স্থলসীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন বাংলাদেশ ও ভারতের বহুমুখী এবং ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ধাপ হিসেবে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ এলাকার মানুষের জন্য দ্রুত নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি সীমান্ত এলাকার অর্থনীতি সবল করাই চ্যালেঞ্জ। ছিটমহলের মানুষের সঙ্গে সঙ্গে আমরাও আনন্দিত। কারণ, দীর্ঘদিনের একটি অমীমাংসিত ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধান হলো। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আস্থার ভাবটা আরও বেশি জোরালো হলো। সেই আস্থার ওপর ভিত্তি করে আমরা আশা করি, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অন্য দিকগুলোতে এগিয়ে যাওয়া যাবে। দ্বিতীয়ত, দুই দেশের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ প্রায় সাত দশক ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছিল। তাদের ঠিকানা ছিল না, তাদের নাগরিক সুবিধা ছিল না। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো তাদের কোনো পরিচয় ছিল না। আজ (গতকাল) থেকে তারা বাংলাদেশ ও ভারতের সাধারণ নাগরিকের মতো নিজ নিজ দেশের নাগরিক সুবিধা পাবে। পরিচয় অর্জন বা নাগরিক সুবিধা পাওয়ার ক্ষণ তাদের সবার ব্যক্তিগত জীবনের জন্য একটি ইতিবাচক পরিবর্তন। শুধু এখনকার ছিটমহল বিনিময়ের এলাকায় নয়, সমগ্র সীমান্ত এলাকার অর্থনীতিকে সবল করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। কারণ এত দিন ধরে সীমান্ত এলাকা আমাদের কাছে নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের আধার বলেই আমাদের কাছে পরিচিত। এখন দুই দেশের পক্ষ থেকেই আমরা যদি বিশেষ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারি, তাহলেই সীমান্ত এলাকার এই ভাবমূর্তি পরিবর্তন করা সম্ভব হতে পারে। আজকের এ আনন্দের দিনে উভয় দেশের কল্যাণের জন্য এই দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করা প্রয়োজন। সব ক্ষেত্রেই যেন এই সদিচ্ছা, সৃজনশীলতা ও ইতিবাচক পদক্ষেপ থাকে সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮
মামুন ইসলাম বলেছেন: কথা সত্য বলেছেন ।