নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রহমানের আমলনামা

জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী

রিয়াদহ্যাপি০০৭

আমি গর্বিত আমি বাঙালী।জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।

রিয়াদহ্যাপি০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জন্মদিন শেষ পর্যন্ত পালন হলোই

২০ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩


দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কিছুটা গুণগত পরিবর্তন প্রত্যাশীরা আশা করছিলেন এবার ১৫ আগস্টে খালেদা জিয়া হয়তো তার জন্মদিন পালন থেকে বিরত থাকবেন। গণমাধ্যমেও এ নিয়ে নানা ধরনের খবরাখবর ও প্রতিক্রিয়া প্রকাশিত হয়েছে। সব মিলিয়ে ধারণা করা হচ্ছিল বেগম জিয়া হয়তো এবার ১৫ আগস্টে কেক কাটবেন না, জন্মদিন পালন করবেন না। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য তার দিক থেকে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুদিনে জন্মদিন পালন না করে উদারতার পরিচয় দেবেন। ১৫ আগস্টের আগে আগে তিনি চোখের চিকিৎসার জন্য লণ্ডন যাবেন বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি শেষ পর্যন্ত লণ্ডন যাননি। কেক কেটে জন্মদিন পালন করা থেকেও বিরত থাকেননি। তবে এবার ১৪ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে কেক না কেটে ১৫ আগস্ট রাত ৯টার দিকে গুলশানে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গুণমুগ্ধ সমর্থকদের উপস্থিতিতে আলোকসজ্জায় সজ্জিত কক্ষে কেক কেটে ৭০তম জন্মদিন পালন করেছেন বেগম জিয়া। রাজনৈতিক কৌশল ও নীতির প্রশ্নে বিএনপিতে নানা ধরনের বিবাদ-বিসম্বাদের যে খবর শোনা যায় তারই প্রতিফলন লক্ষ্য করা গেছে ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। দল পুনর্গঠনের কথা দীর্ঘদিন থেকে বলা হলেও বাস্তবে তার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। উল্টো কিছুটা অপ্রত্যাশিতভাবেই চারদিক থেকে বিএনপির সমালোচনা শুরু হয়েছে। কেবল আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা নিয়মিতভাবে বিএনপির দিকে সমালোচনার তীর নিক্ষেপ করছেন তা-ই নয়, দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে সাবেক নেতা ও বিএনপি ঘরানার বিশিষ্টজনরাও বিএনপির দিকে তোপ দাগতে ছাড়ছেন না। আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও। বেগম জিয়ার এবং তারেক রহমান দলীয় নেতৃত্ব থেকে সরে না দাঁড়ালে বিএনপি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না বলে কেউ কেউ ভবিষ্যদ্বানী করছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, বেগম জিয়া নন, নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে হবে সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে। তার ভুল ও হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণেই বিএনপি বর্তমানে খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে, যদিও বেগম জিয়ার প্রশ্রয় না পেলে তারেক এত ‘ঔদ্ধত্য’ দেখাতে পারতেন না। তবু যারা বেগম জিয়াকে দলের নেতৃত্বে রাখার পক্ষে তাদের যুক্তি হলো, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান তার মৃত্যুর পরও দলের মধ্যে সংকট দেখা দিয়েছিল। তখনও দলের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। দলটি টিকবে কি না সে প্রশ্নও উঠেছিল। কিন্তু জিয়াপত্নী খালেদা জিয়া দলের হাল ধরার পর, বলা যায়, দলটি রক্ষা পেয়ে যায়। শুধু তাই নয়, বেগম জিয়া পরিণত হন বিএনপির ‘ঐক্যের প্রতীক’-এ। এখন বিএনপি আবার বড় বিপর্যয়ের মুখে পৌঁছেছে। এখনো বেগম জিয়াকেই ঐক্যের প্রতীক হিসেবে দলকে রক্ষা করতে হবে। আর কারো পক্ষে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ রাখা সম্ভব হবে না। বেগম জিয়া যদি দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দেন কিংবা রাজনীতি ছেড়ে দেন তাহলে বিএনপির পরিণতি কী হবে, সেটা এখন ভাবার বিষয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.