![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহিলাটি রিক্সা চালাতেন। বাংলার সমাজে একজন মহিলা কতটা অসহায়ত্বের শিকার হলে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে তা আঁচ করা আমার পক্ষে অনেক কঠিন। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তার ছবি জনগণ দেখেছে। আমি ও দেখেছি। ফেইসবুকে ও তাকে নিয়ে অনেক গর্ববোধের কথা দেখেছি। টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছি তাকে নিয়ে শিরোনাম। সবাই তাকে সাধুবাদ জানিয়েছিল এই বলে যে তিনি ভিক্ষা না করে উপার্জন করে খাচ্ছে। হোক নারী হয়ে ও সে রিক্সাওয়ালা তবু তার উপার্জনটা শ্রমের কারো করুণার নয়। আমার ও স্যালুট জানাতে ইচ্ছে করেছিল নিয়তির কাছে নত না হওয়া এই অদম্য সাহসী নারীকে। কিন্ত সে বেশিদিন পারেনি তার এই পরিশ্রমভিত্তিক উপার্জনকে টিকিয়ে রাখতে। তার অদম্য হয়ে ওঠার গল্পে হানা লেগেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার। ব্যাটারিচালিত রিক্সা চালানোর কারণে তার রিক্সাটি নিয়ে গেছে পুলিশ। অসহায় নারীটি উপার্জনের সম্বল হারিয়ে এখন কেঁদে কেঁদে ভিক্ষা করে বেড়াচ্ছে। গত কিছুদিন আগে দেখেছিলাম সারাদেশ ব্যাপী ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বাঁশখালীর সি আই পি মুজিবুর রহমানের আর্থিক সহায়তায় ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাঁশখালী এলাকার ৫০ ভিক্ষুক পরিবারকে ভ্যানগাড়ি দেওয়া হয়েছে যাতে তারা ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে উপার্জন করতে পারে। এই মহিলাটির বিষয়টি তার চেয়ে ও ভিন্ন। তার রিক্সাটি কারো করুণায় প্রাপ্ত নয়। বরং পেটের দায়ে গ্যারেজ থেকে ভাড়াচালিত রিক্সা চালানোর আয় দিয়েই কেনা। বয়স্ক নারী হওয়ায় শরীরের ব্যর্থতায় হয়তো সে ব্যাটারি চালিত রিক্সাকে উপযোগী হিসেবে বেছে নিয়েছিল। ভিক্ষা না করে, বেশ্যাবৃত্তি না করে, ছিনতাই না করে, মাদক ব্যবসা না করে সে রিক্সা চালিয়ে উপা্র্জন করত। এটা কি তার অপরাধ? সারাদেশের সকল আসহায় মানুষকে পুনর্বাসনে যেখানে সরকারি/বেসরকারি সংস্থাসমূহ ব্যর্থ সেখানে স্ব-উদ্যোগে পুনর্বাসিত এই নারীকে পুরস্কার না দিয়ে বরং রিক্সা কেড়ে নিয়ে রাস্তায় বসিয়ে দেয়া হয়েছে। ভিক্ষার থলে নিয়ে তার কান্নায় প্রকম্পিত হচ্ছে প্রতিদিন চট্টগ্রাম শহরের প্রায় প্রতিটা রাস্তা ও গলি। কত ভিআইপি কে আমরা আইন অমান্য করতে দেথি। কত পুলিশকে দেখি ঘুষ বাণিজ্য করতে ও সগর্বে বেআইনি গাড়ি চালাতে। তাদেরকে কখনো আইনের আওতায় আনতে দেখলাম না। শুধু আওতায় আসে জীবনের সাথে যুদ্ধ করা এই মানুষগুলো। যারা উপার্জন দিয়ে শিল্প গড়ে না। শুধু তিনবেলা আহার জোগাড় করে। অন্যদিকে সে পুরুষ নয়। তবু পুরুষ শাসিত এই সমাজে সে যে অসংখ্য প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা্ করে বেরিয়ে এসেছে। ভিক্ষা না করে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেছে তার জন্য তাকে পুরস্কৃত করা দরকার। সে জায়গায় তার রিক্সাটি কেড়ে নেওয়া আমার মনে হয় ঠিক হয়নি।যদি ও আইন তা সাপোর্ট করে না তবু আমি মনে করি Law is not equal at all. কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইন অসমান হলে কিছু নারী ভিক্ষুক যদি পুনর্বাসিত হয় তাহলে আমার মনে হয় সেটাই সবচেয়ে ভালো হবে দেশের জন্য। বিবেকের উদয় হোক আইনের তবে তার দেখায় পুনর্বাসিত হওয়ার স্বপ্ন দেখবে অসংখ্য নারী ভিক্ষুক।
২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬
শাহ আজিজ বলেছেন: এই ইঞ্জিন চালিত রিকশা নিয়ে একটা অস্পষ্টতা রয়ে গেছে । আমাদের এলাকার মধ্যে অনেক চলে তবে মেইন রোডে যায় না। সরকারের কি সমস্যা হয় তা জানিনা তবে এটুকু বুঝি বুড়ো মানুষদের রোজগারের একটা সুস্থ পথ বন্ধ করা হচ্ছে একধরনের খাসলতি থেকে । ইঞ্জিনের স্পীড কমিয়ে দিন । ওদের কষ্ট লাঘব করুন।
৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আমাদের দেশের আইন দুর্বল'কে আরো দুর্বল অর্থাৎ গরীব, অসহায়, অনাহারী, নিপীড়িত মানুষদের আরো নিঃশ্ব, হতাশ করে ছাড়ললেও সবল, টাকাওয়ালা ভি.আই.পি'দের জন্য বরাবরই শীতল।
বিবেক কবে জাগবে!
৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫
মো: ইমরান হোসেন বলেছেন: দেশের আইন শুধু গরিবের জন্য।
৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শ্লা'র আইন!!!! সব আমজনতার জন্যে!
পোষ্টের সহমত।
৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:১৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: গরীবের পেটে লাথি মারার নাম হচ্ছে আইন।
৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এমন যেন আর না হয়।
পড়ে কস্ট লাগছে, হায়! মানুষ !
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩০
কামরুননাহার কলি বলেছেন: পুলিশ হয়তো ঐ নারীর কাছ থেকে ঘুষ খেতে পারে না তাই হয় তো এই নারীর সাথে এমন আইনগীরি দেখাতে গেছে।