নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের পথে হাঁটছি অবিরত। বেঁচে আছি তবু নিঃশেষের অপেক্ষায়।

সুলতান মুহাম্মদ রিয়াজ চৌধুরী

সুলতান মুহাম্মদ রিয়াজ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পশু নিয়ে রাস্তায় খোলামেলা চাঁদাবাজি! দেখার কেউ নেই

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৮



২০১৭ সালের ঈদ উল আজহার আগের দিন সকালে পটিয়ার শান্তিরহাটে একটি মহিশকে দেখেছিলাম হঠাৎ পাগল হয়ে একের পর দুর্ঘটনার জন্ম দিতে। স্থানীয় জনগণ মহিশটি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু থেকে করলে ও রাস্তায় চলমান প্রায় ২৫ টি গাড়ি ভেঙ্গে ও শতাধিক মানুষকে আহত করে বুধপুরা বাজার এলাকায় মহিশটি মানুষের নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে রক্তাক্ত মহিশটিকে ধরে মানুষ কি করেছে আমার জানা নেই। প্রায় বছরখানেক আগে চকবাজারের রসুলবাগ আবাসিক এলাকায় ও একটা মহিশ হঠাৎ পাগল হয়ে একই রকম ঘটনা করতে দেখেছি। ওইদিন মহিশটি রসুলবাগ এলাকায় দুইজন ও সৈয়দশাহ রোডে একজন মানুষ মারার পরে জনগণের নিয়ন্ত্রণে আসে। বহু সংবাদ মাধ্যমগুলোতে খবরটি প্রচারিত হয়েছিল সেদিন। দুইটি ঘটনাই আমার নিজ চোখে দেখা। ঘটনাগুলো গৃহপালিত সামান্য শরীরের পশুর। যে পশুগুলোকেই আদিম পশু পালন যুগ থেকে মানুষ নিজ ঘরে পুত্রের আদরে পালন করে আসছে। সেই সামান্য শরীরের পশুগুলো হঠাৎ পাগল হয়ে যদি ভাংচুর ও মানুষ হত্যার মতো ঘটনার জন্ম দিতে পারে তাহলে চিন্তা করুন এই মস্তবড় বন্য জানোয়ারটি রাস্তায় হঠাৎ পাগল হলে কি কি দুর্ঘটনার জন্ম দিতে পারে।




আমি অবাক হই যখন দেখি সামান্য পানের দোকান দিয়ে হালাল ব্যবসা করতে এই দেশে ট্রেড লাইসেন্স লাগে। অথচ প্রকাশ্যে জানোয়ার নিয়ে গাড়ি আটকিয়ে চাঁদাবাজি করতে এই দেশে কখনো ট্রেড লাইসেন্স লাগে না। এই চাঁদাবাজগুলো কখনো প্রশাসনের নজরে পড়ে না। পড়বে কিভাবে? তারা তো প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ঘরে বিনামূল্যে দু'মাসের মাছ-মাংস ঢুকিয়ে দিয়ে যায়। বিনিময়ে রাস্তায় চাঁদাবাজি করে নিরীহ মানুষ মারে।

এই দেশের প্রেক্ষিতে এটা সত্যি যে, যতদিন এই দেশে কোন চাঁদাবাজ হাতির উদ্ভট আচরণে রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ মরেনি ততদিন পর্যন্ত এই দেশে কোন চাঁদাবাজ হাতিকে রাস্তায় নিষিদ্ধ করা হবে না। আমার দেখা সবচেয়ে বড় বাস্তবতা হল- এই দেশে প্রশাসনের বিবেক নাড়তে মানুষের মৃত্যু লাগে। মৃত্যুর পরে আবার বিচার দাবিতে মানবন্ধন লাগে। তবু বিবেক নড়ে কয়েকদিনের জন্য। তারপর এই বিবেক আবার উধাও হয়ে যায় বাসায় বিনামূল্যে আসা মাছ-মাংসের জোয়ারে। অন্যদিকে নিরীহ জনগণের সংসারে যোগ দেয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ঘরের জোয়ারের বিপরীতে সুখের ভাটা।

চাঁদাবাজ হাতিগুলো কোন মন্ত্রী/এমপি/ওসি/ম্যজিস্ট্রেটের গাড়ি আটকায় না। তাদের গাড়ি আটকিয়ে বলে না প্রত্যাশিত চাঁদা না দিলে গাড়ি উল্ঠিয়ে দিবো। তারা তো প্রটোকল নিয়ে চলে। এই প্রটোকল তাদের জনগণের তীক্ত অনুভূতি থেকে দূরে রাখে। তাই তারা এসব বোঝার সুযোগ পায় না। চারপাশে দালালের যুক্তির ভিড়ে তারা এসব বুঝে ও বুঝে না। দিনশেষে মানুষ ভুক্তভোগী হয়ে আহাজরি করে প্রশাসন কে গালি দেয়। এই আহাজরি ও গালি যদি প্রটোকল ভেদ করে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কান পর্যন্ত পৌঁছাতো তাহলে বাংলাদেশ আরো বিশ বছর আগে সিঙ্গাপুর হয়ে যেতো।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১০

রাজীব নুর বলেছেন: চাঁদা বাজী করবে না তো কি করবে? এত বিশাল প্রানী। না খেয়ে তো আর থাকতে পারে না। একটা হাতী দৈনিক ১৫০০ টাকার খাবার খায়। এই টাকা আসবে কোথা থেকে? একটা জলজ্যান্ত প্রানী চোখের সামনে দেখতে পারছেন। চিড়িয়া খানায় যেতে হচ্ছে না। এই খুশীতেই তো হাতীকে ১০ টাকা দেওয়া যেতে পারে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০২

সুলতান মুহাম্মদ রিয়াজ চৌধুরী বলেছেন: মনে করেন আপনার ১০ টি বউ পালনের সামর্থ্য নেই। তবু আপনি যদি ১০ টি বিয়ে করে সবাইকে বউ দেখার সুযোগ দিয়ে টাকা দিতে বাধ্য করেন আপনাকে কয়জনে টাকা দিবে? বরং উষ্ঠা খাবেন। তেমনি বনের প্রাণী পালনের সামর্থ্য না থাকলে পালন করবে কেন? প্রাণী বলে প্রতিবাদ করতে গিয়ে উষ্ঠা খাইতে হচ্ছে। জলজ্যান্ত প্রাণী দেখার স্বাদ তো আমার নেই্। তবু টাকা দিতে বাধ্য হলাম। এ কি চাঁদাবাজি নয়?

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:১৭

মেগাট্রনের পঞ্চম প্রেতাত্মা বলেছেন: সামান্য পানের দোকান দিয়ে হালাল ব্যবসা করতে এই দেশে ট্রেড লাইসেন্স লাগে। অথচ প্রকাশ্যে জানোয়ার নিয়ে গাড়ি আটকিয়ে চাঁদাবাজি করতে এই দেশে কখনো ট্রেড লাইসেন্স লাগে না।

:( :(
অনেক ভাল কথাই বলছেন ভাই।
হাতি দেশের উন্নয়নের এগিয়ে যাওয়ার গতি আটকাতে পারবেনা। বরং সরকারকে বিশেষ উপায়ে ট্যাক্স দিয়ে দেশকে আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভুমিকা রাখবে।
আপনার মতামতে দেশের এগিয়ে যাওয়ায় গতিতে বিপর্যয় ঘটাতে পারে।
পরিশেষে বলবো ভালো লেগেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.