![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হুমায়ুন আযাদ তার বিভিন্ন বইয়ে নানা ধরণের অশ্লীল কথাবার্তা লিখতো,মানে নারীদের নিয়ে রীতিমত যৌন সুড়সুড়ি দিত। ততকালীন সময়ে (এখন পোতিবাদ করা) নারীরা এইটাকে কাব্যিক ভাষা হিসেবে নিত,যেমন,বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের চুইঙ্গামের মত চিবাতে ইচ্ছে করে। এরকম আরো নানান কথাবার্তা।
গতকাল একটা নিউজ দেখলাম,জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টায় আশেপাশের মানুষ টের পেয়ে গেলে পালিয়ে যায় ধর্ষক। আমাকে একজন বলল,রিয়াজ ভাই ইউসুফ সরকার দেশটা ধ্বংস করে দিলো,আমি একটা সিগারেটে শেষ টান দিতে গিয়ে ইউসুফ সরকারের জন্য খোদার দরবারে বদদোয়া করলাম,ইয়া মাবুদ একটা সিগারেট কিভাবে ২০ টাকা হইতে পারে? তুমি ইউসুফ সরকারকে ধ্বংস কইরা দেও।
আজকে সোস্যাল মিডিয়ার কল্যানে দেখতে পেলাম,বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড একে অপরকে চুইঙ্গামের মত চিবাতে গিয়ে জঙ্গলে গিয়েছিলো,আশেপাশের মানুষজন টের পেলে বয়ফ্রেন্ড নামের অবৈধ স্বামী পালিয়ে যায়।
অনেকে বলে রিয়াজ ভাই শ্রোতের বিপরীতের মানুষ,এইটা হইতে পারেন। আবার আমি গুজব টুজবেও কান দিইনা,কিন্তু এই রমাদান মাসেই ক্বারীনের পাল্লায় পড়ে মন্দিরের মাথাবিহীন টিকটকারের সেই গড়াগড়ি আমাকে ইমোশনাল করে ফেলে,যদিও আমি পাব্লিকলি শেয়ার করিনি কথা বলিনি,কিন্তু ইমোশনাল ড্যামেজের শিকার হই।
মসজিদের ভেতরে আওয়ামীলের পুনাপুনিতে আওয়ামীলীগ ছানাদের প্রাণ যায়,বেশ কয়েকজন এই ব্যাপারে সরব হলে তাদেরকে বলি,আওয়ামীলীগ হইলো একটা ভিন্ন ধর্মী দল,ওদের রব আল্লাহ হইলেও ওদের খোদা হইলো হুক্কা মুজিব। ওরা মসজিদ থেকে মানুষ ধরে নিয়ে পিডাইতো,এই যে জুলাইতে দেখেন মসজিদে ঢুকে গুলি করছে,জানাজার নামাজ পড়তে দেয়নি,পুরা জুলাই জুড়ে গন গ্রেপ্তার করেছে। এই ষোলো বছরই মসজিদকে বাদ দিয়েছে? তো মসজিদে ঢুকে জ/বা/ই করে হ/ত্যা করবে এইটা তো ওদের ধর্মের খোদার আদেশই।
কিন্তু মজার ব্যাপার হইলো এই যে মসজিদে ঢুকে জ/বা/ই করে হ/ত্যা/র বিষয়টা মিডিয়া কিভাবে দেখালো? কোথাও আওয়ামী ধর্মের লোকদের কথা বলা হইছে? যমুনা টিভির রিপোর্টার আওয়ামী ধর্মের মিডিয়া পাড়ার সাম্বাদিক প্রদ্যুৎ কুমার সরকার ( সহ প্রচার সম্পাদক শিবচর আওয়ামীলীগ,প্রেসক্লাবের সম্পাদক) প্রচার করলো মসজিদে ঢুকেও শেষ রক্ষা হয়নি দুই ভাই সহ তিনজনের শিরোনামে,নিউজের কোথাও লিখা হয়নি,বরং দেখানো হয়েছে ইউসুফ সরকার কত ব্যর্থ।
আমি মিউজিক পাড়ার অনেকের সাথে এড থাকায় জুলাইয়ে দেখেছিলাম কিভাবে আওয়ামী ধর্মের দ্বিতীয় খলিফা ডাইনি হাসিনার পক্ষ পাতিত্ব করে হ/ত্যা/কা/ণ্ড কে জায়েজ করেছিলো তারা,মিডিয়ার লোকজন কিভাবে নিয়েছিলো সেসব ও দেখা। এরপর আলো আসবেই গ্রুপ লিক হলে সবাই যে যার মত চেপে যায়। কেউ কেউ বাধনের আশ্রয় নেয়,ফারুকি নামের উচ্ছিষ্ট বৃষ্ঠার হাত ধরে অনেকে নামকাওয়াস্তে আওয়ামী ধর্ম পালটিয়ে নিলেও ভেতরে ভেতরে ডাইনির পূজায় ব্যস্ত। এখন তারা আবারো শুরু করেছে মিথ্যাপ্রচার। কোন প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়াই বি-ন্ডিয়ার ভিডিও শেয়ার দিয়ে বলে বুঝাচ্ছে ইউসুফ সরকার কত ব্যর্থ। (পরবর্তীতে নাম সহ প্রকাশ করব,এদের মধ্যে অনেকেই আবার সরাসরি বিম্পিপন্থী হয়ে কাজ করছে,ইভেন অনেকের আত্মীয়স্বজন ও আছে)
রিজভি সাহেব নারী দিবস উপলক্ষে ডান বামে নারী নিয়ে হুংকার ঝেড়ে বললেন,বর্তমানে নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে,এই অবস্থা থেকে উত্তরণে জনগনের ভোটে নির্বাচিত বিএনপি সরকার দরকার। সব সেক্টরে নারীদের পূর্নাঙ্গ বিকাশ ঘটাতে সব ধরণের পদক্ষেপ নিবে বিএনপি। উনার দলের কাছে একজন ধর্ষিতা মুমূর্ষু বাচ্চা রুগীও গতকাল ছাড় পায়নাই,উনার দলের এক নারী বেগুনি শাড়ি পড়ে কুচি ভাজ দিয়ে ২০০/৩০০ নেতাকর্মীদের নিয়ে ধস্তাধস্তি করে ফুটেজ নিতে গিয়েছিলো,ততক্ষণে যে আশংকা ছিলো সেটাই হল। তারেক রহমানের হাতে গড়া ছাত্রদলের কর্মীরা রক্ত দিতে দেয়নাই,কারণ রক্ত দিবে তারেক রহমান,ধর্ষীতার রক্তের লিজ ইতিমধ্যে তারেক রহমান নিয়া নিছে। এই হল ক্ষমতার মসনদে বসার আগের অবস্থা। আজকে আবার একজন নেতা আরেকজন নেতার পায়ের রগ কেটে দিলো। কিন্তু উনাদের দাবী ইউসুফ সরকার দেশকে অস্থির বানিয়ে ফেলেছে,একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র,ব্যর্থ সরকার। উনাদের নেতা ফোনকলে ধর্ষিতার মায়ের সঙ্গে কথা বলে,নেতাকর্মী পাশ থেকে ঠিইইইক বলে,নিজেদের দলীয় শৃংখলা নেই,রাজনৈতিক ভিশন নেই,দায় চাপায় অন্যদের উপর।
রাষ্ট্রের এমন বেহাল দশার জন্য আওয়ামি ধর্মের লোকেরা যেমন সুযোগ পেলেই প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর জন্য বসে থাকে তেমনি ফ্রিল্যান্সার নেতার নেতা কর্মীরাও একিভাবে বসে থাকে,নিজেদের পুনাপুনি ও রাগ ঝাড়ে কখনো জামায়াত,কখনো শিবির,বৈছাআ,জানাপ কিংবা ইউসুফ সরকারের উপর।
দেশকে স্থিতিশীল করার উপায় কি??
প্রশাসনিক পরিবর্তন
আওয়ামী ধর্মের নিষিদ্ধকরণ
আওয়ামীপন্থী আমলা কামলাদের চাকুরিচ্যুত করে নির্বাসন(সকল সেক্টর থেকে)
সংবিধানে লাথি মেরে নতুন সংবিধান
মিউজিক প্রেমী সেনাপ্রধানের ইস্তফা
নাচের পুতুল চুপ্পুকে অপসারণ করা
ফারুকি টাইপের ধর্ম পরিবর্তন করা ব্যক্তিদের দিকে নজরদারী রাখা।
০৯ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৪
রিয়াজ হান্নান বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের চুইংগামের মতো চাবাতে ইচ্ছে করে।
বই: পাক সার জমিন সাদ বাদ। হুমায়ুন আজাদ।
কয়েকবছর আগে সারা সন্ধ্যা চুষতে চিবুতে ইচ্ছে হয়েছিলো চুয়িংগামের মতো এক তরুণীকে।
বই: আমার অবিশ্বাস। হুমায়ুন আজাদ।
আমার চোখের সামনে আমার মেয়ে বড় হচ্ছে, কিন্তু সামাজিক নিয়মের বেড়াজালে আমার হাত-পা বাঁধা।
বই: নারী। হুমায়ুন আজাদ।
চারদিকে যেভাবে ধ-র্ষণ বেড়ে গেছে, তাই নারী দিবস উপলক্ষে এনাকে স্মরণ করিয়ে দিলাম।
নোট: ছবির সাথে টুপি লাগিয়ে দিলাম যাতে সুশীল সমাজের কলম ধরতে একটু সুবিধা হয়।
২| ০৯ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের চুইংগামের মতো চাবাতে ইচ্ছে করে।
বই: পাক সার জমিন সাদ বাদ। হুমায়ুন আজাদ।
কয়েকবছর আগে সারা সন্ধ্যা চুষতে চিবুতে ইচ্ছে হয়েছিলো চুয়িংগামের মতো এক তরুণীকে।
বই: আমার অবিশ্বাস। হুমায়ুন আজাদ।
আমার চোখের সামনে আমার মেয়ে বড় হচ্ছে, কিন্তু সামাজিক নিয়মের বেড়াজালে আমার হাত-পা বাঁধা।
বই: নারী। হুমায়ুন আজাদ।
হুমায়ুন আজাদ কি নিজে তরুনীদের চুংঙ্গামের মতন চিবুতে চেয়েছেন? উনি এমন কথা বলেছেন?
৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৮
কামাল১৮ বলেছেন: কার মুখ দিয়ে কোন প্রসংগে কোন কথা বলেছেন সেটা উল্লেখ না করে শুধু বাক্যটি উল্লেখ করলে লেখকের মানসিকতা প্রকাশ পায় না।
তিনি একজন বহুমাত্রিক লেখক ছিলেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৪
নতুন বলেছেন: হুমায়ুন আযাদ তার বিভিন্ন বইয়ে নানা ধরণের অশ্লীল কথাবার্তা লিখতো,মানে নারীদের নিয়ে রীতিমত যৌন সুড়সুড়ি দিত। ততকালীন সময়ে (এখন পোতিবাদ করা) নারীরা এইটাকে কাব্যিক ভাষা হিসেবে নিত,যেমন,বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের চুইঙ্গামের মত চিবাতে ইচ্ছে করে। এরকম আরো নানান কথাবার্তা।
হুমায়ুন আযাদ কি বলেছিলেন নারীদের নিয়ে?