![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফাঁসিয়াখালী রসিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সভাপতির অবৈধ হস্তক্ষেপের কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান হুমকির সম্মুখীন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য যথাক্রমে আবু বক্কর ছিদ্দিকী ও আলহাজ্ব মমতাজ আহমদ লিখিত অভিযোগে জানান, উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের রসিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৯১সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এলাকায় শিক্ষা প্রসারে অসামান্য ভূমিকা পালন করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। ওই বিদ্যালয়ের জন্য রসিদ আহমদ চৌধুরীসহ স্থানীয় আরও ৬জন ব্যক্তি (১.৫৩) এক একর তিপান্ন শতক জমি দান করেন। তারা সেই জমির ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর ধীরে ধীরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সুনাম পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে রসিদ আহমদ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করার সুবাদে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এছাড়াও বিদ্যালয়ের উন্নয়ন সংস্কারের জন্য সরকারীভাবে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওইসব বরাদ্দ লুটপাট করতে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভাপতি নিজেই বিধি বহির্ভূতভাবে পছন্দের লোক নিয়ে প্রকল্প কমিটি গঠন করেন। প্রকল্পের সমুদয় অর্থ লোপাট করে আত্মসাৎ করেন। উক্ত প্রকল্পের কাজের কোন প্রকার রের্কডপত্র বিদ্যালয়ে নাই। কোন শিক্ষক অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রতিবাদ করলে বহিস্কার করার হুমকি দেন তিনি। তার এসব অনিয়ম ঢাকতে ২০০৫সালে সরকারী একটি প্রজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। পরবর্তী ২০০৭সালে তিনি নিজেই উক্ত মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন। এতে করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি শূন্য হয়ে পড়ে। যা এখনো বিদ্ধমান রয়েছে। কিন্তু রসিদ আহমদ চৌধুরী নিজেকে সভাপতি দাবী করে নিয়ম বর্হিভূতভাবে শিক্ষক/কর্মচারী নিয়োগ অব্যাহত রাখেন। এছাড়াও তিনি নিজে এবং অপর দুই ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে বেতন-ভাতাদি সহ নানান সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছেন। এভাবে তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য এবং ফান্ডের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এদিকে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন যোগদানের পর থেকে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাসারিতার অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক অভিভাবক ও এলাকাবাসী। তিনি গোপনে তার সহধর্মীনী পারভীন আক্তার রীনাকে লাইব্রেরীয়ান পদে নিয়োগ দেখিয়ে সহকারী শিক্ষক (সমাজ বিজ্ঞান) পদে এমপিওভূক্ত করেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে এসব অনিয়ম ও দূর্নীতি তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া রশিদ আহমদ চৌধুরী ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, দাতা সদস্য ও অভিভাবকমহল শিক্ষামন্ত্রনালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের এসব দূর্নীতির ব্যাপারে এলাকাবাসী ও অভিভাবক মহল অবগত রয়েছেন। এতে তাদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। চকরিয়া. কম [yt|
©somewhere in net ltd.