নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ককসিপোলা

রিদুয়ানুল হক

নাফ কাননের কালো মানিক

রিদুয়ানুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ককসবাজার জেলার চকিরয়া উপজেলা ফাসিয়াখালীতে বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

২৩ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:২১

চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ঘুনিয়া এলাকয় মাতামুহুরী নদী থেকে এস্কেভেটর গাড়ী দিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকারী লক্ষণ দাশ ও তার সহযোগিদের অবিলম্বে গ্রেফতার দাবীতে গতকাল ২২ বিকাল সাড়ে ৪টায় জুলাই ঘুনিয়া অলিশাহ বাজার ষ্টেশনে ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের হিন্দু, মুসলিম, বড়–য়া, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিবর্গ ও সর্বস্তরের নারী-পুরুষের অংশ গ্রহণে বিশাল মানবন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়েছে। বিক্ষোভকালে তারা বলেন, জৈনক লক্ষণ দাশ নিজেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের কথিত নেতা পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন সহ প্রশাসনের অনুকম্পা পেতে চায়। ইউনিয়নের প্রায় ৩ হাজারের অধিক হিন্দু সম্প্রদায় সহ মুসলিমদেরও শতশত পরিবার নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। এমনকি লক্ষণ দাশ বেড়িবাঁধ দিয়ে বালি উত্তোলন ও চলাচলের ফলে ওই এলাকার বহু স্থাপনা, মন্দির, ক্যাং ঘর, শশ্বান ও প্রতিষ্টান ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। ঝুকিতে রয়েছে মসজিদ, মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্টানসহ হাজারো ঘর বাড়ি। তারা আরো জানান, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতাধীন কাবিখা প্রকল্পে সাড়ে ৩শত মে:টন গম বরাদ্ধ বেড়িবাঁধটি নির্মাণ করেন ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী। এমনকি ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য অনিমেষ রঞ্জন দে স্থানীয়দের পক্ষে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন। চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মাহাবুব উল আলম অভিযানে গেলে এর সত্যতা পান এবং বালি উত্তোলনে ব্যবহৃত এস্কেভেটর জব্ধ করেন। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে লক্ষণ দাশ গত ১৯ জুলাই পূণরায় বালি উত্তোলনের চেষ্টা করলে সন্ত্রাসী বাহিনীর সাথে স্থানীদের মধ্যে সংঘর্ষ লেগে যায়। এ ঘটনায় ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী’র কোন সম্পৃক্তা নেই। লক্ষণ দাশ একজন মাদক সেবী। পৌর এলাকা থেকে ঘুনিয়ার মাতামুহুরীর তীরে গিয়ে টংঘর নির্মাণ করে জুয়া খেলা সহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে।



মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এজেড দিদার হোসেন, ফাসিয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার, মাহবুবুল আলম এমইউপি, অনিমেষ রঞ্জন এমইউপি, দিগরপানখালী দারুল উলুম মহিলা মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রুহুল আমিন, দিগরপাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাস্টার আনোয়ার হোসেন, সাবেক প্রধান শিক্ষক মাস্টার গোলাম কাদের, অলিশাহ বাজার মসজিদের খতিব মাওলানা আবু বক্কর, ২নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি শামসুল আলম, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান লিটন, মুজিবুল হক আজিজ এমইউপি, সোনা ফকির, অলিশাহ বাজার কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন বাবু, বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিদুয়ানুল হক, ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি ফজল করিম মেম্বার, উত্তর ঘুনিয়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা জাফর আলম, ২নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল ধর, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অনুকুল দাশ, সাধারণ সম্পাদক নর উত্তম দাশ, যুবদল নেতা তুহিন, ভাগ্যধন বড়–য়া, হিন্দু সম্প্রদায়ের ছিনু বালা ধর, রিনা বালা ধর, রেখা ধর, বিধবালা ধর, জটিলালা ধর, ধুলুধর, বাপ্পী ধর, বিদ্যাবালা ধর শহ শত নারী-পুরুষ অংশ নিয়ে প্রতিবাদ জানান। ##

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.