| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোট ছোট ব্যাপারে বার বার ডাক্তার এ দৌড়াইতে মনে চায় না ।
কয়েক দিন ধরে ব্যয়াম করছি, পেটের জন্য ব্যায়াম করার পরের দিন কোমরা ব্যাথা হয় । ![]()
আগেও হত লম্বা সময় ফুটবল খেলার কারনে । ডাক্তার এক্স রে করল কোন সমস্যা ধরা পরে নাই । বলল সবারই এমন হয় মাঝে মাঝে । আমার ধারনা বান্ড-শাইবে এর সমস্যা । এটা দুই হাড্ডির মধ্যবর্তী জেল সম্ভবত, স্কুলে পড়েছিলাম । কিন্তু প্রকটময় নন, শুধু মাত্র অতিরিক্ত এক্সার সাইজে হয়, লম্বা সময় দৌড়ালে হয় । মনে হয কোমর টা ধরে এল । ![]()
ডাক্তার এর কাছে গেলেই ব্যথার অসুধ দিবে নয় তো থেরাপী দিবে । বয়স্কদের সাধারণত এই রোগ হয় ও চিরস্থায়ী থাকে বলে শুনেছি ।
এটা কি চিরস্থায়ী রোগ ?
০৭ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪২
রিফাত হোসেন বলেছেন: লোল
২|
০৭ ই মে, ২০১২ বিকাল ৫:৩৬
েমা আশরাফুল আলম বলেছেন: ব্যায়ামের পর ভালো করে ম্যাসাজ করতে হবে, ব্যাথা বেশি হলে ব্যায়াম বন্ধ রাখুন। পেইন কিলার খেতে পারেন। তবে আমার মনে হয়, এটা একটা মেকানিকাল প্রবলেম, প্যাথোলজিক্যাল নয়।
০৭ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪২
রিফাত হোসেন বলেছেন: ব্যায়াম তো ৫ মিনিট ই করি
মানে পেটের জন্য ।
৩|
০৭ ই মে, ২০১২ বিকাল ৫:৪৩
ইকরাম উল্যাহ বলেছেন: আহমদ জাদীদ, ইশতিয়াক চয়ন, রিপেনডিল, আলিম আল রাজি, আরও অনেকেই!
কই ট্যাগ হয় না ক্যান সামুতে! ধুর
০৭ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪২
রিফাত হোসেন বলেছেন: ?
৪|
০৭ ই মে, ২০১২ বিকাল ৫:৪৪
মামহাসান৪৬২ বলেছেন: contact with me [email protected]
০৭ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪২
রিফাত হোসেন বলেছেন: লোল ।
আপনি কই থাকেন ?
৫|
০৭ ই মে, ২০১২ বিকাল ৫:৪৪
হাবীব কাইউম বলেছেন: কোমরব্যথা হলে চিরমুক্তির জন্য আসলেই কী করা উচিত?
০৭ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৩
রিফাত হোসেন বলেছেন: এটা অনেকেরই আছে ।
৬|
০৭ ই মে, ২০১২ বিকাল ৫:৪৮
দুরন্ত রিফাত বলেছেন: আপনি মনে হয় একটু বেশি H. মারেন।ছাইড়া দান ভালা হয়ে যাবে।
০৭ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৩
রিফাত হোসেন বলেছেন: এইচ মারেন . বুঝলাম না ।
কারে কি মারি ?
৭|
০৭ ই মে, ২০১২ বিকাল ৫:৫০
রোবান মাহমুদ বলেছেন: মাঝে মাঝে পেটের ব্যায়াম করলে কোমর ব্যথা হবে। কিন্তু রেগুলার ব্যায়াম করলে আর ব্যাথা হয়না। তাছাড়া লম্বা সময় ফুটবল খেললে কিংবা শরীরের উপর অতিরিক্ত স্ট্রেস পরে এমন কোনও কাজ করলেও ব্যাথা হতে পারে। এগুলো স্বাভাবিক। ব্যাক পেইন।
স্বাভাবিক দৈনন্দিন কাজ করতে যদি কোনও সমস্যা না হয় অর্থাৎ ব্যাথা না করে তাহলে চিন্তার কিছু নেই।
আপনার পস্রাবে যদি কোনও সমস্যা থাকে অর্থাৎ, পস্রাবে জ্বালাপোড়া, কালার হলুদ হয়ে যাওয়া, এবং আপনার কোন পায় যদি মাঝে মাঝে ফুলা ফুলা মনে হয় তাহলে অবশ্যই কোন কিডনি বিশেষজ্ঞ কে দেখাবেন।
উপরের সমস্যা না থাকলে এবং তবুও ব্যাথাটা থেকে গেলে একজন অর্থপেডিক্স সার্জনের পরামর্শ নিতে পারেন। কারণ, হাড়ের ক্ষয় রোগ হলেও এরকম হতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে এটা ধরা পড়লে অল্প কিছুদিন বিশ্রাম নিলেই ঠিক হয়ে যায়।
টিপস গুলো আমার ভাই,ভাবি থেকে প্রাপ্ত। তারা দু জনেই ডাক্তার।
ধন্যবাদ।
০৭ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৯
রিফাত হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ, যদি ক্ষয়রোগ হত তাহলে কি রিপোর্টে ধরা পড়ত মানে এক্সরে তে ? আমি ২ বার করিয়েছি , ১ বার সরকারী হাসপাতাল আকাহা থেকে আরেকবার বেসরকারী এক্স রে ক্লিনিক থেকে ।
৮|
০৭ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৮
মাস্টার বলেছেন: দুরন্ত রিফাত বলেছেন: আপনি মনে হয় একটু বেশি H. মারেন।ছাইড়া দান ভালা হয়ে যাবে।
০৭ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৯
রিফাত হোসেন বলেছেন: বুঝলনাম হা মানে কি ?
৯|
০৭ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৩
ওসমাণ বলেছেন: আপনার সম্ভবত ডিলেইড অনসেট অব মাসেল শোরনেস এর কারনে এটা হচ্ছে। এর প্রধান কারন হচ্ছে, আমরা এক্সারসাইজ এর আগে ওয়ার্ম আপ এবং এক্সারসাইজ এর পর কুল ডাউনের যে সকল অবশ্য কর্তব্য ব্যাপার গুলো থাকে, তা মানি না। এর কারনে মাংশ পেশি গুলো এক্সারসাইজ এর জন্য প্রস্তুত হয় না এবং এক্সারসাইজ এর পর যে মাসেল শোর নেস তৈরি হয় তার ঠিক মত হিলিং হয় না। এই জন্য ব্যাথা হয়। আপনার উচিৎ হবে একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলে এই বিষয় গুলো শিখে নেয়া।
০৭ ই মে, ২০১২ রাত ৮:০৫
রিফাত হোসেন বলেছেন:
আমি ভারী এক্সার সাইজ করার আগে ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম , শরীরের ৬ টা পেশীকে ব্যায়ামে সিমুলেট করতে পারে এরকম যন্ত্র + ৩০ মিনিট দৌড়াই এরপরও যদি শুধু কোমরেই হয় তাহলে কি করতে পারি ???
আর মূল ব্যাপারটা হল এটা শুধু কোমরেই হয় , আর করিই মাত্র ৫ মিনিট ।
অনেকেই শুনি কোমর ব্যাথা পান, উপুড় হয়ে অনেকক্ষণ কাজ করার ফলে এটাও কি মুস্কেল শোরনেস এর কারণে ?
১০|
০৭ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২২
নোবিতা রিফু বলেছেন: কোমর ব্যাথা বীরেনদ্র
কোমর ব্যাথাতে ভোগেন অনেকেই, অধিকাংশ পরিসংখ্যান মতে ৭০% লোকের ও বেশি জীবনের কোনো না কোনো সময় কোমর ব্যাথাতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।কোমর ব্যাথা কেন হয় ? চিকিৎসা বা প্রতিকার কি? এ জিঞাসা সব কোমর ব্যাথার রোগির ই।
কোমর ব্যাথার কারনbr /> কোমর ব্যথা কোনো একক রোগ নয় বরং অনেক রোগেই কোমর ব্যাথা হতে পারে।
অধিকাংশ (৮০-৮৫% ভাগ) ক্ষেত্রে কারন খুজে পাওয়া যায় না, যাকে বলা হয়"Non Specific Low Back Pain" বা Mechanical Low Back Pain"।কোমর এর অস্বাভাবিক অবস্থান বা পরিস্থিতি এর কারন বলা হয়ে থাকে ,যেমন বেশিক্ষন কোমরের অস্বাভাবিক অবস্থান ,ঝুকে পড়ে কাজ করা ,ভারি জিনিস তোলা, ইত্যাদি।
১৫-২০ ভাগ ক্ষেত্রে কোমরের প্রদাহ, টিউমার,বাত রোগ, আঘাত,বয়স জনিত, হাড় বা জয়েন্টের ক্ষয় রোগ যেমন Osteoporosis, Osteoarthritis ইত্যাদি।
কোমরের হাড়,পেশি, ডিস্ক বা জয়েন্ যে কোনো টা থেকেই ব্যাথা হতে পারে।কোমরের বাইরের থেকেও খুব কম ক্ষেত্রে ব্যথার উৎপত্তি হতে পারে।
কিডনী থেকে কি কোমরে ব্যাথা হয়?
হতে পারে। তবে 0. ১% ভাগের ও কম ক্ষেত্রে কিডনিরোগ কোমর ব্যথার কারন।আর প্রস্রাব পরীক্ষা বা কিডনির পরিক্ষা যেমন আল্ট্রাসোনোগ্রাফী, ইউরোগ্রাফি ইত্যাদিতে পরিক্ষায় কিডনী রোগ তো ধরা পড়বে।সুতরাং কোমর ব্যাথা কিডনী থেকে কিনা দুস্চিন্তা করা খুব যুক্তিপুর্ন নয়।
কাদের কোমর ব্যথা বেশি হয়?
৩০ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সে কোমর ব্যথা বেশি হয়
পুরুষ মহিলা সবার ই কোমর ব্যথা হতে পারে।
পেশা:-যে সমস্ত পেশাতে অধিকক্ষন একনাগাড়ে বসে বা দাড়িয়ে থাকতে হয়,ঝুকে পড়ে কাজ করার দরকার পড়ে,- তাদের ঝুকি বেশি।
শরীরের গঠন:-পেট মোটা , অত্যধিক ওজন,মহিলা, কর্মহীনতা,কম কায়িক পরিশ্রম ইত্যাদি ও কোমর ব্যাথার কারন।
মানসিক দুশ্চিন্তা,অবসাদ,সাংসারিক বা কর্মক্ষেএে অশান্তি ইত্যাদি ও আনুসন্গিক কারন।
কোমর ব্যথা কি মারাত্মক রোগ?
বেশিরভাগ ক্ষেএে নয়।নিচের ক্ষেএগুলোতে পরীক্ষা নিরীক্ষা ওচিকিৎসা করা জরুরীbr /> রোগির বয়স ২০ থেকে কম বা ৫৫ বছরের বেশি হলে।
ওজন কমতে থাকলে বা জ্বর থাকলে।
ব্যথা যদি রাতে বাড়ে, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে এবং বিশ্রামে ব্যথা না কমে বেড়ে যায়।
ব্যথার হেরফের না হয়ে খালি বাড়তে থাকে।
প্রস্রাব পায়খানার নিয়ন্রন না কোরতে পারলে।
পা বেশি দুর্বল বা অসাড় হলে বা এ গুলো ক্রমশঃ বাড়তে থাকলে।
রক্ত পরীক্ষায় ESR ,CRP বেশী থাকলে।
কি কি পরীক্ষা করা দরকার?
প্রাথমিকভাবে:- কোমরের X-Ray, Blood routine test, urine routine Exam ই যথেষ্ট।
MRI এর দরকার আছে কি?
পরীক্ষাটি ব্যায়বহুল এবং সবখানে পাওয়া যায় না।কোমর পরীক্ষাতে খুবই উপযোগী।কোমরের মাংশপেশী,ডিস্ক, হাড়, সমস্ত কিছুর দোষ ই নির্নয় সম্ভব।ডিস্ক প্রোলাপ্স , টিউমার, স্পাইনাল কর্ড,- এ গুলোর নির্নয়ে বিশেষ উপযোগি।
X-Ray,MRI কতটা দরকার?
খুব বেশী নয়।X-Rayর অসুবিধা হলো মাএ ১০%ক্ষেএেX-Ray তে অস্বাভাবিক কিছু ধরা পড়ে।X-Ray, এর আরেকটা অসুবিধা হলো এ গুলোর সাথে রোগির উপসর্গের মিল খুজে পাওয়া যায় না অনেক যায়গায়। যেমন ৫০ বছরের পর প্রায় সবার ই হাড় ক্ষয় থাকে X-Ray বা MRI তে , কিন্ত এই বয়সের মাত্র৫% লোক কোমর ব্যথায় ভোগেন।X-Ray তে খরচ কম,প্রাথমিক পরীক্ষা হিসেবে করা যেতে পারে। MRI তে ২০-৪০% ক্ষেত্রে উপসর্গ না থাকলেও কিছু না কিছু অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ে।সুতরাং শুধু X-Ray, বা MRI এর ভিত্তিতে চিকিৎসা করা ঠিক নয়,এই রিপোর্ট গুলোকে রোগির অবস্থার সাথে মিলাতে হবে।
কোমর ব্যাথার জন্য অপারেশান দরকার কিনা?
অপারেশানের দরকার পড়ে ২% ভাগের কম ক্ষেত্রে। ডিস্ক প্রোলাপস হোলে অপারেশান করে ডিস্ক এর কিছু অংশ কেটে ফেলা হয়।ডিস্ক প্রোলাপসের অনেক ধরনের অপারেশান আছে, যন্ত্রের দ্বারা বা ছুরি কাচি চালিয়ে ডিস্ক কেটে ফেলা যেতে পারে।যন্ত্রের দ্বারা অপারেশন এ ক্ষতি কম এবং ফলাফল ভাল।অপারেশনের তাৎক্ষনিক ফল ভাল কিন্ত দীর্ঘ কালিন ফলাফল, ততো উৎসাহব্যন্জক নয়।
ডিস্ক প্রোলাপ্স কি?
আমাদের মেরুদন্ড একটার পর একটা কশেরুকা (Vertebra) দিয়ে তৈরী।দুটো কশেরুকা র মধ্যে থাকে ডিস্ক(intervertebral Disc) আর ডিস্কের ঠিক পিছন দিয়ে নার্ভ গুলো নেমে যায় সারা শরীরে।৩০ বছর বয়সের পর থেকে ডিস্ক গুলো শক্ত ও ভংগুর হতে থাকে আর মেরুদন্ডের উপর চাপ পড়লে, যেমন ভারি জিনিস তুলতে গেলে, বা মেরুদন্ডের অস্বাভাবিক নড়াচড়াতে, বসা থেকে উঠে দাড়াতে গেলে, আঘাত পেলে এবং অনেক সময় স্বাভাবিক কাজকর্মতেই ডিস্ক পেছনের দিকে সরে গিয়ে নার্ভের উপর চাপ দিয়ে কোমর থেকে পায়ের পিছন দিয়ে পায়ের পাতা পর্যন্ত ব্যাথা করতে পারে। এ রকম এক নার্ভ হোলো সায়াটিক(Sciatic) নার্ভ, যেটা মরুদন্ডের ভিতর থেকে বেরিয়ে থাই এর পিছন দিয়ে চলে গেছে পায়ের পাতা অবধি। এই নার্ভের মুলের উপর চাপ পড়তে পারে আর তখন কোমর থেকে উরুর পিছন দিয়ে পাতা অবধি ব্যাথা হয় , এটাকে বলা হয় সায়াটিকা, Sciatic নার্ভের ব্যাথা হল সায়াটিকা, কোমরের ব্যাথাকে বলে লাম্বাগো(Lumbago) আর দুটোকে একসাথে মিলিয়ে (Lumbago-Sciatica syndrome)লাম্বাগো সায়াটিকা সিনড্রোম।
একিউট এবং ক্রনিক কোমর ব্যাথা:-আকস্মিক অল্প কিছুদিনের ব্যাথা হল একিউট এবং দীর্ঘকালীন বা ৩ থেকে ৬ মাসের বেশি কালের ব্যাথা হল ক্রনিক কোমর ব্যাথা বা ক্রনিক ব্যাক পেইন। দু ধরনের ব্যাথা কিন্ত আলাদা এবং এদের ফল ও কিন্ত দু রকম। একিউট কোমর ব্যাথা ৯৫% ভাগ ক্ষেএে এমনকি বিনা চিকিৎসায় ভাল হয়ে যায় ৬ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে।ক্রনিক ব্যাক পেইনের চিকিৎসা কস্টসাধ্য এবং অনেক ক্ষেত্রে পুরাপুরি সারে না।
কোমর ব্যাথার চিকিৎসা কি?
সবচে' প্রথম কোনো কারন আছে কিনা তা বের করতে হবে। এর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ এবং পরীক্ষার দরকার পড়তে পারে।
আকিউট কোমর ব্যাথাতে :- বিশ্রাম(rest), ব্যাথার ঔষধ(analgesics), পেশী শিথিলকারী("Muscle relaxant"), ঘুমের ঔষধ, ভিটামিন,ইত্যাদি ।
বিশ্রাম: -শক্ত, সমান , বিছানায়, এক বালিশে ঘুমানো উচিত। বিশ্রাম ২/৩ দিনের বেশী নেওয়া উচিত নয়।ব্যাথার কারনে একান্ত বাধ্য না হলে শুয়ে থাকা উচিত নয়।যথা শীঘ্র সম্ভব স্বাভাবিক চলাফেরা, কাজকর্ম শুরু করা ভাল।শক্ত মানে কাঠের উপর বা মেঝেতে ঘুমাতে হবে এমন নয়, একটা মাঝারি মানের তুলার তোষকে ঘুমানো যেতে পারে।আর খেয়াল রাখতে হবে বিছানা যেন সমান হয়।
ফিজিওথেরাপী:-অধিকাংশ ফিজিওথেরাপী ব্যাথার উপশম করে। আর এর ভাল দিক হল এটার পার্শ প্রতিক্রিয়া নেই।SWD(শর্ট ওয়েভ ডায়াথার্মি), MWD(মাইক্রোওয়েভ ডায়াথার্মি), UST(আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপী), TENS(ট্রান্সকিউটেনাস ইলেক্ট্রিক নার্ভ স্টিমুলেশান) ,IRR(ইনফ্রারেড রেডিয়েশান)ইত্যাদি ।এ গুলোর নিরাময় দীর্ঘ স্থায়ী নয়। প্রয়োজন অনুযায়ী একাধিক বার নেওয়া যেতে পারে।এ গুলো ধনন্তরী কিছু নয়।
ব্যাথার ঔষধ:- ব্যাথার জন্য ব্যাথা নিরাময়কারি ঔষধ ব্যবহার করা হয়।
এ গুলোর মধ্যে প্যারাসিটামোল, NSAIDS(Nonsteroidal Anti Inflammatory Drugs), যেমন:-ডাইক্লোফেনাক, ন্যাপ্রোক্সেন, আইবুপ্রোফেন ইত্যাদি।
বেশী ব্যাথা হলে:-ট্রামাডোল,টাপেনটাডোল বা মরফিন জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
মাংশপেশী শিথিলকারী ঔষধ যেমন:-টিজানিডিন, টলসোপ্রিন, ইত্যাদি
ঘুমের ঔষধ:-যেমন ডায়াজেপাম, ব্রোমাজেপাম ইত্যাদি ভাল ঘুমের পাশাপাশি, মাংশপেশী শিথিল করে ও উত্তেজনা প্রশমনে সাহায্য করে।
অবষাদ নিরাময়কারি ঔষধ :-যেমন অ্যামিট্রিপটাইলিন,নরট্রিপটাইলিন ব্যাথা নিরাময়ে সহায়ক।এ গুলোর মানে এই নয় যে মানসিক রোগ ব্যাথার কারন।এই ওষুধগুলো ক্রনিক কোমর ব্যাথায় বিশেষ উপকারি।
সহযোগী ব্যাথার ঔষধ যেমন গ্যাবাপেনটিন,প্রিগ্যাবালিন ঔষধগুলো ও ক্রনিক কোমর ব্যাথায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।অনেক ক্ষেএে উপকারি।
সমস্ত ঔষধের ই পার্শ প্রতিক্রিয়া আছে। সুতরাং যত কম ডোজ বা কম দিন খেয়ে পারা যায় তত ভাল।পার্শ প্রতিক্রিয়া গুলো হলbr />
প্যারাসিটামোল:- খুব খারাপ পার্শ প্রতিক্রিয়া নেই।লিভারের ক্ষতি করতে পারে।তবে খুব শক্তিশালী বেদনা নাশক নয়।
NSAIDS(Nonsteroidal Anti Inflammatory Drugs);- কার্য কর ব্যাথা নিরাময়কারী এবং সবচেয়েবেশী ব্যাবহৃত হয়।এগুলোর পার্শ প্রতিক্রিয়া হল:- গ্যাস্ট্রিক আলছার, কিডনীর জন্য ক্ষতিকর।
গ্যাস্ট্রিক আলছারের ঔষধ যেমন: রেনিটিডিন, ওমেপ্রাজল,ল্যানসোপ্রাজল ইত্যাদি এই জাতীয় ঔষধের সাথে দেয়া উচিত।NSAIDS জাতীয় ঔষধ ঘুলোর মধ্যে, ছেলিকক্সিব,এটোরিকক্সিব ইত্যাদি ঔষধ পাকস্থলির ক্ষতি কম করে।
ট্রামাডোল,টাপেনটাডোল ঔষধ গুলো:- বমি, মাথাঘোরা, দুর্বল লাগা করে।এগুলো বেশ শক্তিশালী এবং কিডনি বা পাকস্থলির ক্ষতি করে না। ১০%থেকে ২০%লোক এই গুলো সহ্য করতে পারেন না।
মাংশপেশী শিথিলকারি ঔষধ গুলো থেকে দুর্বল লাগা থেকে মাথা ঘোরা হতে পারে। অনেকেই এ গুলো সহ্য করতে পারেন না।
কোমরে ইনজেকশান:-ষ্টেরয়েড ওষুধ যেমন হাইড্রোকারটিসোন বা ট্রাইআমছিনোলোন, অসংবেদনকারী ওষুধের সাথে মিশিয়ে কোমরে ইনজেকশান দেয়া হয়।এটাকে বলা হয় এপিডুরাল ষ্টেরয়েড।অনেক ক্ষেত্রে উপকারী কিন্ত অব্যর্থ কিছু নয়। সঠিক রোগি নির্বাচন জরুরী।অপারেশনের পুর্বে বিকল্প হিসেবে চেষ্টা করা যেতে পারে।
ট্রাকশান:-কোমরে টানা দিয়ে রোগিকে শুইয়ে রাখা হয়।চিকিৎসাটি চেষ্টা করা যেতে পারে তবে খুব কম ক্ষেত্রে কার্যকর।
ঠান্ডা বা গরম সেক :-ব্যাথা নিরাময়ে সহায়ক।অ্যাকিউট কোমর ব্যাথায় ঠান্ডা এবং ক্রনিক কোমর ব্যাথায় গরম সেক বেশী সহায়ক।বরফের প্যাক, গরম প্যাক, ইলেকট্রিক প্যাড, পানির বোতল সব কিছুই ব্যবহার কার যেতে পারে ।
করসেট:-কোমরের সাপোর্ট হিসেবে করসেট ব্যব হার করা হয়ে থাকে।বেশিদিন ব্যব হার করা উচিত নয়।করসেট এর সাথে ব্যায়াম করা জরুরি, না হলে কোমরের মাংশপেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
কোমরের ব্যায়াম:-ক্রনিক কোমর ব্যাথায় বিশেষ উপকারী।আ্যকিউট কোমর ব্যাথায় ব্যায়াম করা উচিত নয়।
একাধিক বিশেষঞ চিকিৎসা:-ইদানিং কালে দেখা গেছে যে, একাধিক বিশেষঞ চিকিতসা ক্রনিক কোমর ব্যথায় উপকারী,এটাকে বলা হয় "Multi disciplinary rehabilitation approach"
কোমর ব্যথার সাধারান উপদেশbr />
শক্ত সমান বিছানায় ঘুমাবেন।
ভারী জিনিশ তুলবেন না।
ঝুকে পড়ে কাজ করবেন না।
কোমর বাকিয়ে কাজ কোরবেন না।
সোজা হয়ে বসবেন, দাড়াবেন ও হাটবেন।
দুঃশ্চিন্তা করবেন না।
কোমর ব্যাথার যে কোনো প্রশ্নে বিস্তারিত জানিয়ে ই মেইল করুনbr /> [email protected]
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:০৯ | বিষয়বস্তুর স্বত্বাধিকার ও সম্পূর্ণ দায় কেবলমাত্র প্রকাশকারীর...
২ টি মন্তব্য১৪৬ বার পঠিত,
পোস্টটি ২ জনের ভাল লেগেছে
১. ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:৩৫
ছন্দ্বহীন বলেছেন: আপনাকে ব্লগে স্বাগতম স্যার।
এখানে আপনি লিখলে সত্যিই অনেকে উপকৃত হবে..
আমার বাড়িতে আসবেন সার..
শুভ ব্লগিং..
২. ১৭ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:০১
আসমান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, লেখাটা পড়ে অনেক জানতে পারলাম
১১|
০৭ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৫
নোবিতা রিফু বলেছেন: কোমর ব্যথা বা ব্যাকপেইন
লিখেছেন marmarita ১২ জুন ২০১১, সন্ধ্যা ০৬:৪২
<< আগের পোস্ট পরের পোস্ট >>
এখন অনেকেরই এই সমস্যা--
যদি কারো উপকারে আসে,,,,,,,,,,,,,,,
এই ব্যায়াম গুলো থেরাপিস্ট-এর কাছ থেকে জানতে হলে হাজার হাজার টাকার প্রয়োজন!
থেরাপিস্ট একেকটা ব্যায়ামের বিনিময়ে হাজার থেকে পনেরশত টাকা নেয়!
বেশীরভাগ মানুষই জীবনের কোনো না-কোন সময় কোমর ব্যথাজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন। আমাদের দেশে প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে চার জন জীবনের কোন না-কোন সময়ে এই সমস্যায় ভুগেন।
কোমর ব্যথার কারণ:
কোমর ব্যথার অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে ৯০ ভাগ হচ্ছে ‘মেকানিক্যাল সমস্যা’। মেকানিক্যাল সমস্য বলতে মেরুদন্ডের মাংসপেশি, লিগামেন্ট মচকানো, আংশিক ছিড়ে যাওয়া, দুই কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক সমস্যা, কশেরুকার অবস্থানের পরিবর্তন ও মেরুদন্ডের নির্দিষ্ট বক্রতার পরিবর্তনকে বোঝায়। চলাফেরা, জীবিকার ধরন, খুব বেশী ভার বা ওজন বহন, মেরুদন্ডের অতিরিক্ত নড়াচড়া, একটানা বসে বা দাঁড়িয়ে কোনো কাজ করা, মেরুদন্ডে আঘাত পাওয়া সর্বোপরি কোমরের অবস্থানগত ভুলের জন্য হয়ে থাকে। অন্যান্য কারণের মধ্যে বয়সজনিত মেরুদন্ডে ক্ষয় বা বৃদ্ধি, অস্টিওআথ্রাইটিস বা গেঁটে বাত, অস্টিওপোরোসিস, এনকাইলজিং স্পনডাইলোসিস, মেরুদন্ডের স্নায়বিক সমস্যা, টিউমার ক্যান্সার, বোন টিবি, কোমরের মাংসপেশির সমস্যা, পেটের বিভিন্ন ভিসেরার রোগ বা ইনফেকশন, বিভিন্ন স্ত্রীরোগজনিত সমস্যা, মেরুদন্ডের রক্তবাহী নালির সমস্যা, অপুষ্টিজনিত সমস্যা, মেদ বা ভুঁড়ি অতিরিক্ত ওজন ইত্যাদি।
উপসর্গ
কোমরের ব্যাথা আস্তে আস্তে বাড়তে পারে বা হঠাৎ প্রচন্ড ব্যথা হতে পারে। নাড়াচড়া বা কাজকর্মে ব্যাথা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে পারে। ব্যাথা কোমরে থাকতে পারে বা কোমর থেকে পায়ের দিকে নামতে পারে অথবা পা থেকে কোমর পর্যন্ত উঠতে পারে। অনেক সময় কোমর থেকে ব্যাথা
মেরুদন্ডের পেছন দিক দিয়ে মাথা পর্যন্ত উঠতে পারে। রোগী অনেকক্ষণ বসতে বা দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। ব্যাথার সঙ্গে পায়ে শিন-শিন বা ঝিন- ঝিনজাতীয় ব্যথা নামতে বা উঠতে পারে, হাঁটতে গেলে পা খিচে আসে বা আটকে যেতে পারে, ব্যথা দুই পায়ে বা যেকোনো এক পায়ে নামতে পারে। অনেক সময় বিছানায় শুয়ে থাকলে ব্যাথা কিছুটা কমে আসে। এভাবে দীর্ঘদিন চলতে থাকলে রোগীর কোমর ও পায়ের মাংসপেশির ক্ষমতা কমে আসে এবং শুকিয়ে যেতে পারে, সর্বোপরি রোগী চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
যেহেতু আধুনিক এই যুগেও কোমর ব্যথা একটি আন্তর্জাতিকভাবে ¯^xK…Z ¯^v¯’¨ সমস্যা; তাই এ সমস্যার সমাধানে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।
প্রতিকার
মেডিসিন: চিকিৎসকরা রোগীকে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর সাধারণত ব্যথানাশক এনএসএআইডিএস গ্রুপের ওষুধ, মাসল্ রিলাক্সজেন ও সেডেটিভজ- জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করে থাকেন। অনেক সময় মেরুদন্ডের ভেতর স্টেরয়েড- জাতীয় ওষুধও প্রয়োগ করে থাকেন। যেহেতু ওয়ুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে সেজন্য অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ সেবন করা আবশ্যক। এই চিকিৎসাব্যবস্থার পাশাপাশি চিকিৎসক রোগীকে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন,12pt; line-height: 130%; font-family: 'Siyam Rupali'"> আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি, jv¤^vi ট্রাকশন ও বিভিন্ন ব্যায়াম দিয়ে থাকেন। তা ছাড়া চিকিৎসা চলা অবস্থায় কোমরে নির্দিষ্ট অর্থোসিস বা ব্রেস প্রয়োগ করে থাকেন। তবে এই জাতীয় চিকিৎসা যেখানে সেখানে না করাই ভাল।
সার্জারি: যদি দীর্ঘদিন মেডিসিন চিকিৎসা চালানোর পরও রোগীর অবস্থার পরিবর্তন না হয় রোগীকে অবস্থা অনুযায়ী কোমর-মেরুদন্ডের অপারেশন বা সার্জারীর প্রয়োজন হয়। এ জাতীয় সার্জারী সাধারণত নিউরো বা অর্থোসার্জন করে থাকেন। সার্জারীর পরবর্তীতে রোগীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নির্দেশমত নির্দিষ্ট ব্যায়াম দীর্ঘ দিন চালিয়ে যেতে হয়।
প্রতিরোধ: কোমর ব্যথা উপরে উল্লিখিত চিকিৎসা পদ্ধতিতে ভালো হওয়ার পরও আবার দেখা দিতে পারে। যেহেতু কোমর ব্যথা বারবার দেখা দিতে পারে বা যারা এখনো এ জাতীয় সমস্যায় ভোগেননি, তারা নিচের পরামর্শ মেনে চলতে পারেন। তবে ব্যায়াম করার আগে আপনার জন্য কী ব্যায়াম, তার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ ভুল ব্যায়ামের কারণে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। সুনির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম শুরুর আগে কিছু স্ট্রেচিং ব্যায়াম করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
¨ পায়ের কাফ মাসল্ বা মাংসপেশির স্ট্রেচিং:
দেয়ালের কোণে গিয়ে এক পা সামনে এক পা পেছন দিয়ে দাঁড়ান। পেছনের হাঁটু সোজা রেখে সামনে ঝুঁকে দুই হাত দিয়ে সামনের দুই পাশের দেয়ালে ধাক্কা দিন। এতে পায়ের কাফ মাসল্ে টান পড়বে।
¨ কোয়াড্রিসেপস বা উরুর সামনের মাংসপেশির স্ট্রেচিং:
সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যেকোনো এক হাঁটু ভাঁজ করে ওই পায়ের গোড়ালি wbZ‡¤^i সঙ্গে লাগাতে চেষ্টা করুন। এতে ঊরুর সামনের মাংসপেশিতে টান পড়বে।
¨ হ্যামস্ট্রিং বা ঊরুর পেছনের মাংসপেশি স্ট্রেচিং:
টুল বা বেঞ্চের ওপর এক পা সোজা করে রেখে পায়ের পাতা এক হাত দিয়ে নিজের দিকে টানতে হবে। এতে ঊরুর পেছনের মাংসপেশিতে টান লাগবে।
¨ নিতম্ব বা হিপের সামনের মাংসপেশির স্ট্রেচিং:
ডান হাঁটু ভাঁজ করে বসে বাম পায়ের পাতা সোজাভাবে ফ্লোরে রাখুন। এরপর সামনে ঝুঁকুন। একইভাবে অন্য পায়ের জন্য করুন। এতে wbZ‡¤^i সামনের মাংসপেশি টান হবে।
¨ ইলিওটিবিয়াল ব্যান্ড স্ট্রেচিং:
এক পায়ের সামনে অন্য পা ক্রস করে চাপ দিন। এতে ইলিওটিবিয়াল ব্যান্ডে টান পড়বে।
অবস্থাগত কোমর ব্যথা সায়াটিকা রোগ বা ডিস্ক প্রলেপস রোগের ব্যায়াম:
প্রথমে সতর্কতার সঙ্গে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার কনুইয়ের ওপর ভর করে বুক ও মাথা খুব ধীরে ধীরে ওপরে ওঠান। প্রতিবেলায় ছয় বার করুন।
উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ অবস্থা থেকে দুই হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে মাথা ও বুক তুলুন, যেন তলপেট বিছানায় লাগানো থাকে। পাঁচ সেকেন্ড এভাবে থাকুন ব্যায়ামটি ১০ বার করুন।
উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুটি কোমরের পেছনে রাখুন। এ অবস্থায় নিচের দিকে তাকিয়ে ধীরে ধীরে মাথা ও বুক ওপরের দিকে ওঠান। পাঁচ সেকেন্ডে রাখুন। আস্তে আস্তে নামান। দিনে দুই বেলা পাঁচ থেকে ১০ বার করুন।
উপড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। বুক ও মাথা মেঝের সঙ্গে লাগিয়ে রাখুন। এবার দুই হাত একসঙ্গে দু-তিন ইঞ্চি উঠিয়ে কয়েক সেকেন্ড রাখুন। এবার ডান হাত ও বাম পা একসঙ্গে উঠিয়ে কয়েক সেকেন্ড রাখুন, এবার নামিয়ে ফেলুন। একইভাবে বাম হাত ও ডান পা উঠিয়ে নামিয়ে ফেলুন।
স্পন্ডাইলসিস, মাংসপেশি বা লিগামেন্টজনিত সমস্যা, স্নায়বিক সমস্যাজনিত ব্যায়াম:
চিৎ হয়ে শুয়ে হাত দুটো ভাঁজ করে বুকের ওপর রাখুন, হাঁটু দুটি ভাঁজ করুন। এবার আস্তে আস্তে মাথা, কাঁধ ও পিঠ ফ্লোর বা বিছানা থেকে ওপরে তুলুন, বেশি ওপরে তুলবেন না। (যাদের ঘাড়ে ব্যাথা আছে তারা ও ব্যায়ামটি করার সময়ে মাথার পেছনে হাত রাখুন)।
চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার ডান পা ভাঁজ করে বুকের কাছে নিয়ে আসুন, পা সোজা করে আস্তে আস্তে নামিয়ে ফেলুন। একইভাবে অন্য পায়ের জন্য করুন।
তৃতীয় ব্যায়ামটি আগের ব্যায়ামের মতো একটি ব্যায়াম। সোজা হয়ে দাঁড়ান। এবার কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে পেছনে ঝুঁকুন। এবার ধীরে ধীরে সোজা হন।
অ্যারোবিক ব্যায়াম:
স্ট্রেচিং ব্যায়াম ও নির্দিষ্ট ব্যায়াম ছাড়াও মেরুদন্ডের সুস্থতা ও কোমর ব্যথার জন্য প্রয়োজন অ্যারোবিক ব্যায়াম। যেমন-
সাঁতার কাটা।
নিয়মিত হাঁটা।
আস্তে আস্তে দৌড়ানো।
দৈনন্দিন কাজে সতর্কতা
নিচ থেকে কিছু তোলার সময়:
কোমর ভাঁজ করে কিংবা ঝুঁকে তুলবেন না। হাঁটু ভাঁজ করে তুলুন।
কোন কিছু বহন করার সময়:
ঘাড়ের ওপর কিছু তুলবেন না।
ভারী জিনিস শরীরের কাছাকাছি রাখুন।
পিঠের ওপর ভারী কিছু বহন করার সময় সামনের দিকে ঝুঁকে বহন করুন।
দাঁড়িয়ে থাকার সময়:
১০ মিনিটের বেশি দাঁড়িয়ে থাকবেন না।
হাঁটু না-ভেঙে সামনের দিকে ঝুঁকবেন না।
দীর্ঘক্ষণ হাঁটতে বা দাঁড়াতে হলে উঁচু হিল পরবেন না।
অনেকক্ষণ দাঁড়াতে হলে কিছুক্ষণ পর পর শরীরের ভর এক পা থেকে অন্য পায়ে নিন।
দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হলে ছোট ফুট রেস্ট ব্যবহার করুন।
যানবাহনে চড়ার সময়:
গাড়ি চলানোর সময় স্টিয়ারিং হুইল থেকে দূরে সরে বসবেন না। সোজা হয়ে বসুন।
ভ্রমণে ব্যাথা সময় jv¤^vi করসেট ব্যবহার করুন।
বসে থাকার সময়:
আপনার চেয়ারটি টেবিল থেকে বেশি দূরে নেবেন না।
সামনে ঝুঁকে কাজ করবেন না।
কোমরের পেছনে সাপোর্ট দিন।
এমনভাবে বসুন যাতে ঊরু মাটির সমান্তরালে থাকে।
নরম গদি বা সিপ্রং যুক্ত সোফা বা চেয়ারে বসবেন না।
শোয়ার সময়:
উপুড় হয়ে শোবেন না। ভাঙা খাট, ফোম বা সিপ্রংয়ের খাটে শোবেন না।
সামন তোশক ব্যবহার করুন।
বিছানা শক্ত, চওড়া ও সমান হতে হবে। শক্ত বিছানা বলতে সমান কিছুর ওপর পাতলা তোশক বিছানোকে বোঝায়।
মেয়েরা যেসব নিয়মকানুন মেনে চলবেন:
অল্প হিলের জুতো বা স্যান্ডেল পরুন, বিভিন্ন জুতোর হিলের উচ্চতা বিভিন্ন না হওয়াই উচিত।
তরকারি কাটা, মসলা পেষা, কাপড় কাচা ও ঘর মোছার সময় মেরুদণ্ড সাধারণ অবস্থায় এবং কোমর সোজা রাখুন।
কোমর ঝুঁকে বাচ্চকে কোলে নেবেন না। ঝাড় দেওয়া, টিউবওয়েল চাপার সময় কোমর সোজা রাখবেন।
পানি ভরা কলস বা বালতি, ভারী আসবাবপত্র তুলতে প্রথমে হাঁটু ভাঁজ করে বসবেন এবং কোমর সোজা রাখবেন।
মার্কেটিং বা শপিংয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট দাঁড়ানো বা হাঁটার পরে বিশ্রামের জন্য একটু বসবেন।
বিছানা গোছানোর সময় কোমর ভাঁজ না-করে বরং হাঁটু ভেঙে বসা উচিত।
কোমর ব্যথা বেশি হলে বিছানা থেকে শোয়া ও ওঠার নিয়ম:
চিৎ হয়ে শুয়ে এক হাঁটু ভাজ করুন।
এবার অন্য হাঁটুটি ভাজ করুন। হাত দুটি বিছানায় রাখুন।
এবার ধীরে ধীরে এক পাশ কাত হোন।
পা দুটি বিছানা থেকে ঝুলিয়ে দিন, এবার কাত হওয়া দিকের হাতের কনুই এবং অপর হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে ধীরে ধীরে উঠে বসুন।
দুই হাতের ওপর ভর দিয়ে বসুন এবং মেঝেতে পা রাখুন।
এবার দুই হাতের ওপর ভর দিয়ে সামনে ঝুঁকে দাঁড়ান।
ওজন কমান:
খাদ্যাভাস পরিবর্তন করুন:
গরু, খাসির মাংস, ডালজাতীয় খাবার, মিষ্টিজাতীয় খাবার, তৈলাক্ত খাবার খাদ্য তালিকা থেকে কমিয়ে শাকসবজি, তরিতরকারি, ফলমূল খাদ্য তালিকায় বেশি করে রাখুন।
নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করুন এবং যাদের দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস আছে, তা বন্ধ করে রাতে শিগাগিরই শুয়ে পড়ুন।
(সংগৃহিত)
ধন্যবাদ ডা.মো: সফিউল্যাহ্ প্রধানকে!
ডা.মো: সফিউল্যাহ্ প্রধান
লেকচারার ,বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ,ঢাকা।
চেম্বার: ঢাকা পেইন এন্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টার
২ প্রবাল হাউজিং, রিং রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
মোবাইল: ০১৭১৬৩০৬৯১৩।
বিষয়শ্রেণী: বিবিধ
শেয়ার করুনঃ
৪০০ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য ১৪ জনের পছন্দ রেটিং দিতে লগইন করুন
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্যের জবাব দিতে সমস্যা হলে এখানে ক্লিক করুন এবং নতুন পাতায় মন্তব্য লিখুন
১ 298828 ১২ জুন ২০১১; সন্ধ্যা ০৬:৪৭
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : অনেক কিছু জানলাম। + সহ ধন্যবাদ।
১২ জুন ২০১১; সন্ধ্যা ০৭:২৫259161
marmarita লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ
২ 298831 ১২ জুন ২০১১; সন্ধ্যা ০৬:৪৮
বিহঙ্গ লিখেছেন : পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
১২ জুন ২০১১; সন্ধ্যা ০৭:৩১259178
marmarita লিখেছেন : ভাল থাকবেন অনেক ধন্যবাদ
৩ 298836 ১২ জুন ২০১১; সন্ধ্যা ০৬:৪৯
আবু সাইফ লিখেছেন : অনেক কিছু জানলাম। + সহ ধন্যবাদ।
১২ জুন ২০১১; সন্ধ্যা ০৭:৩২259180
marmarita লিখেছেন : আমার ব্লগ বাড়িতে বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ
৪ 298842 ১২ জুন ২০১১; সন্ধ্যা ০৬:৫৩
আলোক লিখেছেন : প্লাস সহ প্রিয়তে।
১২ জুন ২০১১; সন্ধ্যা ০৭:৩৪259184
marmarita লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ শাহ্ ফখরুল ইসলাম সাহেব! >
৫ 298880 ১২ জুন ২০১১; সন্ধ্যা ০৭:২৫
প্রগতিশীল লিখেছেন : খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনটা অনেক জরুরি।
১২ জুন ২০১১; সন্ধ্যা ০৭:৩৬259191
marmarita লিখেছেন : ঠিক বলেছেন!আমার ব্লগ বাড়িতে বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ
৬ 298894 ১২ জুন ২০১১; সন্ধ্যা ০৭:৩৬
হক্ক কথা লিখেছেন : প্লাস সহ প্রিয়তে ।
১২ জুন ২০১১; সন্ধ্যা ০৭:৩৭259194
marmarita লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
৭ 298908 ১২ জুন ২০১১; সন্ধ্যা ০৭:৪৫
albashar লিখেছেন : পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
১২ জুন ২০১১; সন্ধ্যা ০৭:৫২259203
marmarita লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
৮ 300113 ১৩ জুন ২০১১; সন্ধ্যা ০৭:০১
সময় গেলে সাধন হবে না লিখেছেন : ব্যায়ামগুলো ছবিসহ দিলে আরো ভাল হতো।
১৩ জুন ২০১১; রাত ০৯:২৭260636
marmarita লিখেছেন : সংগ্রহে নাই!ধন্যবাদ
৯ 306121 ১৮ জুন ২০১১; রাত ১১:১০
শিয়াল পন্ডিত লিখেছেন :
১৯ জুন ২০১১; সকাল ১০:১৫267501
marmarita লিখেছেন :
১০ 363694 ৩১ জুলাই ২০১১; সকাল ০৭:৩৪
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : আপনার লিখাটি খুবই উপকারী । আপনাকে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য ।
৩১ জুলাই ২০১১; সকাল ১০:০৭329439
marmarita লিখেছেন : আমার ব্লগ বাড়িতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
১১ 363821 ৩১ জুলাই ২০১১; সকাল ১০:৪৮
জহিরুল ইসলাম তাহা লিখেছেন : উপকারী পোষ্ট,
শিরোনামে কপিপেষ্ট কথাটি না লেখাই ভালো , তাহলে পড়ার আগ্রহ থাকেনা, কপিপেষ্ট কথাটি একদম শেষে লিখলেই ভালো I Think..........
৩১ জুলাই ২০১১; সকাল ১০:৫০329487
marmarita লিখেছেন : আমার ব্লগ বাড়িতে বেড়াতে আসার জন্য এবং পরামর্শের জন্য অনেক ধন্যবাদ
৩১ জুলাই ২০১১; দুপুর ০১:৪৮329764
marmarita লিখেছেন : এডিট করে দিলাম!
৩১ জুলাই ২০১১; বিকেল ০৫:২৭330022
জহিরুল ইসলাম তাহা লিখেছেন :
১২ 378853 ১০ অগাস্ট ২০১১; দুপুর ০২:২০
হক্ক কথা লিখেছেন : দরকারী একটি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
১০ অগাস্ট ২০১১; দুপুর ০২:৪৮345889
marmarita লিখেছেন : আমার ব্লগ বাড়িতে বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ
১৩ 385472 ১৪ অগাস্ট ২০১১; রাত ১১:৩৪
প্যারাসিটামল লিখেছেন : বা: বা: আপনার সুন্দর দরকারী পোষ্টের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ । তবে আপনার লেখার মধ্যে গ্যাপগুলো কমিয়ে দিলে মনে হয় ভাল হয় । সিদ্ধান্ত নিয়েছি নতুন ব্লগার হিসেবে সালতামামীর পোষ্টের সমস্ত পোষ্ট গুলো একে একে পড়ব । তার ধারাবাহিকতা হিসেবে আপনার পোষ্ট দিয়েই শুরু করলাম আজ । সালতামামী পোষ্টের জন্য প্রিয় ব্লগার চাটি গাঁ থেকে ভাইয়াকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই । আপনাকে ও এতসুন্দর দরকারী উপকারী পোষ্টের জন্য মোবারকবাদ জানাচ্ছি ।
১৪ অগাস্ট ২০১১; রাত ১১:৪১353139
marmarita লিখেছেন : ভাল লাগল জেনে যে আপনি সালতামামীর পোষ্ট থেকে আমার এই পোষ্ট পড়েছেন!আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য লিখতে লগইন করুন
১২|
০৭ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৬
নোবিতা রিফু বলেছেন: কোমর ব্যথায় করণীয়!
লিখেছেনঃ ডাঃ হাসান (তারিখঃ শনিবার, ১৩/০৮/২০১১ - ১৯:৩৪)
কোমর ব্যথা এমন একটি রোগ যা শুধু আমাদের দেশেই না আজ তা উন্রত দেশগুলোতেও এক চিন্তার বিষয় এবং সমস্যা বটে। আজ মানুষ তার জীবিকার জন্য এবং অর্থ উপার্যনের জন্য যে সময় ব্যয় করে এবং পাশাপাশি যে পরিমাণ পরিশ্রম করে তাতে দেখা গেছে মানুষের জীবন একসময় দুর্বিসহ হয়ে উঠে।
প্রথমে আমাদের জানতে হবে কোমর ব্যথা কি এবং পরে জানতে হবে কি তার প্রতিকার বা সমধান। তাহলে আসুন দেখি আমরা তা জেনে নেই।
কোমর ব্যথা হচ্ছে আমাদের শরীর কোমর অংশের নিচের দিকে ব্যথা। আমাদের দেহে সাধারণত ২৯ টি মেরুদন্ড আছে যার মধ্যে কোমরে আছে ৫টি। এই ৫টি মেরুদন্ড থেকে আবার ৬ জোড়া নার্ভ আমাদের শরীরের নিচের অংশে সাপ্লাই হয়েছে। সাধারণত এই অংশিটিতে যদি কোন রকম সমস্যা দেখা দেয় তাহলেই আমাদের কোমর ব্যথা দেখা দেয়।
একন প্রশ্ন হলো কারা এই কোমর ব্যথার রোগী হবে?
খুবই সাধারণ ভাবে এর ব্যাক্ষা দেওয়া যায় যা আমি আমার প্রিয় পাঠক ভাইদের উদ্দ্যেশে নাম্বার আকারে দিবো।
১। সাধারণত যারা ভারী উত্তলনের কাজ করে।
২। সাধারণত যারা দিনমজুর।
৩। রিক্সা চালক
৪। যারা কোন কারণে একসিডেন্ট করে কোমরে চোট পেয়েছে।
৫। যারা পিচ্ছিল খেয়ে পড়ে গেছে। এদের মধ্যে মহিলারাই বেশী থাকে।
৬। যারা অনেক্ষণ দাড়িয়ে কাজ করে।
৭। যারা অনেক্ষণ বসে এবং সামনে ঝুঁকে কাজ করে।
৮। যারা সাধারণত শক্ত বিছানায় ঘুমায়। (নূন্যতম ৩-৫ বছর)
৯। যারা গাড়ি চালায়।
১০। যারা সাধারণত কুজো হয়ে হাঁটে বা বসে।
১১। যাদের বয়স ৪০-৫০ বছরের উর্ধ্বে।
১২। যাদের ওজন সধারণ নিয়মের থেকে বেশি। মানে যারা একটু বেশি মোটা।
১৩। গর্ভকালীন কোমর ব্যাথা ইত্যাদি।
আসলে কোমর রোগী যে কার তা বলে শেষ করা যাবে না। তবে আমি এক কথায় উত্তর দিতে চাই একজন সুস্থ ব্যক্তিরও কোমর ব্যথা হতে পারে যদি সে তার কোমরের প্রতি যত্নশীল না হন।
প্রতিকারঃ
আসলে কোমর ব্যথার স্থায়ী কোন প্রতিকার নাই। আমি একে ডায়াবেটিস রোগের সাথে তুলনা করব। ডায়াবেটিস রোগটি হলে সাধানত মানুষ কি করে? ডায়াবেটিসের রোগী যখন দেখে সে ডায়াবেটিসে অক্রান্ত ঠিক তখন থেকে সে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে। ঠিক তেমনি কোমর ব্যথা ডায়াবেটিসের মত একটি রোগ। যেদিন থেকে আপনি এই রোগে আক্রান্ত হবেন ঠিক সেই দিন থেকে যদি তা নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারেন তাহলে আপনি সুস্থ্য থাকবেন অন্যথায় কোমর ব্যথা আপনার জীবনকে এক নরকে পরিণত করবে।
কোমর ব্যথা দেখা দিলে প্রথমে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিবেনই তারপরও প্রাথমিক চিকিতসা হিসেবে সাধারণ মানের যে কোন একটি পেইন কিলার খেয়ে নিবেন। এই ধরনের ব্যথা দেখা দিলে দেরী না করে যত তাড়াতাড়ি পারবেন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
ব্যথা দেখা দিলে কার কাছে যাবেন?
সাধারনত যে কোন রোগের জন্য আমরা প্রথমে মেডিসিনের ডাক্তারের কাছে যাই তারপর ঐ ডাক্তার আমাদের ঠিক কেরে দেন কার কাছে যেতে হবে সঠিক চিকিতসার জন্য। কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশের ডাক্তার রোগী ছাড়তে চান না। তারপরও আমাদের রোগীদের কিছু করণীয় আছে। যদি এমন রোগ দেখা দেয় তাহলে আমরা প্রথমে একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ- কে দেখাব তারপর দেখব তিনি কি বলেন। প্রতিবারের মত তিনি কিছু ওষধ দিবেন যা আমাদের সেবন করতে হবে। এই ওষধ সেবনের উপর নির্ভর করে আমাদের অন্য ডাক্তার কাছে স্বরনাপন্ন হতে হবে।
সাধারণত আমরা যে ভুলটি করি তা হলো আমরা প্রথমেই একজন অর্থপেডিক্স বিশেষজ্ঞ-র কাছে যাই। এক দৃষ্টিতে তা ঠিক আছে কিন্তু সময় বাঁচাবার জন্য আমদেরকে একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞর কাছে যেতে হবে। তিনিই পারেন আপনার এই রোগের সঠিক চিকিতসা করতে। যা আপনার ব্যস্ত জীবন থেকে সময়কে বাঁচাতে।
আশা কারি আমার প্রিয় পাঠক ভাইরা আমার এই লেখা দ্বারা একটু হলেও উপকৃত হবেন। তারপরও যদি কোন পরামর্শের প্রয়োজন হয় তাহলে আমাকে প্রশ্ন করতে পারবেন আমি আমারা সামর্থ অনুযায়ী আপনাদের সমাধান দিব।
আমার লেখাতে যদি কোন ভুল থাকে তাহলে দয়া করে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। কারণ আমি অনেক ব্যস্ততার মাঝে এই লেখাগুলো লেখি যা অনেক সময় আমার পড়ার সময় হয় না।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডাঃ হাসান
ডাঃ হাসান-এর ব্লগ মন্তব্য প্রদানের জন্য লগইন অথবা রেজিস্টার করুন
২৫৮ বার পঠিত Twitter-এ প্রকাশ করুন
মন্তব্য
শনিবার, ১৩/০৮/২০১১ - ২০:৩০ তারিখে নুরহাদি বলেছেন
নরম বিছানায় আমার ঘুম ভাল হয় না এবং কখনও সকালে কোমর ব্যথা করে। কিন্তু হালকা শক্ত বিছানায় ঘুম ভাল হয় এবং কোমর ব্যথাও করে না।
মন্তব্য প্রদানের জন্য লগইন অথবা রেজিস্টার করুন
শনিবার, ১৩/০৮/২০১১ - ২১:১২ তারিখে উদাসী পথিক বলেছেন
পোস্টের জন্যে ধন্যবাদ।
*************************************************************************************
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ বসে অপেক্ষা করবার অবসর আছে।
মন্তব্য প্রদানের জন্য লগইন অথবা রেজিস্টার করুন
শনিবার, ১৩/০৮/২০১১ - ২২:৪২ তারিখে শাহ্নাজ বলেছেন
এই কোমর ব্যথায় অস্থির আছি
মন্তব্য প্রদানের জন্য লগইন অথবা রেজিস্টার করুন
শনিবার, ১৩/০৮/২০১১ - ২৩:২৬ তারিখে দুরন্ত.. বলেছেন
আপু একভাবে শুয়ে বসে ব্লগাইলে এই ব্যাথা জীবনেও যাবে না।
****************************
ঘৃণার চাষাবাদ জারি থাকুক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।মানবতা মানুষের জন্যই সংরক্ষিত থাক।পশুদের জন্য বরাদ্দ থাক শুধুই উগ্র ঘৃণার দাবানল।
মন্তব্য প্রদানের জন্য লগইন অথবা রেজিস্টার করুন
শনিবার, ১৩/০৮/২০১১ - ২৩:৪১ তারিখে খারাপ মানুষ বলেছেন
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
Only constant is change
মন্তব্য প্রদানের জন্য লগইন অথবা রেজিস্টার করুন
শনিবার, ১৩/০৮/২০১১ - ২২:৪৫ তারিখে জামাতহেটার(M.R.9) বলেছেন
আপনার পোষ্টগুলো অনেক উপকারী। নিয়মিত লিখবেন আশা করি।
....................................................................................
আমরা ছুডলোক, গালিবাজ। জামাত শিবির ছাগুর বিরুদ্ধে গালাগালি করেই যাব, প্রতিরোধ করেই যাব। সুশীলতার মায়েরে বাপ। আমরা ছাগু ও সুশীলদের উত্তমরূপে গদাম দিয়ে থাকি
মন্তব্য প্রদানের জন্য লগইন অথবা রেজিস্টার করুন
শনিবার, ১৩/০৮/২০১১ - ২৩:০৮ তারিখে দুরমুজ বলেছেন
কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশের ডাক্তার রোগী ছাড়তে চান না।
এই কথাটি কি একটু বুঝিয়ে বলবেন?
লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্য প্রদানের জন্য লগইন অথবা রেজিস্টার করুন
রবিবার, ১৪/০৮/২০১১ - ২১:৫১ তারিখে ডাঃ হাসান বলেছেন
ধন্যবাদ আপনাকে কারণ আপনি আমার লেখাটি অত্যান্ত ধৈর্য দিয়ে পড়েছেন।
আসলে আমার কথাটি একটু চিন্তা করে দেখেন আমাদের দেশে ডাক্তার রা কিন্তু খারাপ না। খারাপ হচ্ছে আমাদের দেশের পরিবেশ এবং আমাদের চিন্তা করার ক্ষমতা। একজন ডাক্তার যদি রোগীকে অন্য কোন ডাক্তারের কাছে পাঠায় ভালো চিকিতসার জন্য তাহলে আমেদের দেশের রোগীরা মনে করে তিনি ভালো মানের ডাক্তার না অথবা তিনি কিছু জানেন না। তাই আমাদের ডাক্তার রা সাধারণত রোগীকে ছাড়তে চান না।
আশা করি আমার কথার উত্তর বুঝতে পেড়েছেন।
ধন্যবাদ আবারো আপনাকে।
ডাক্তার
মন্তব্য প্রদানের জন্য লগইন অথবা রেজিস্টার করুন
রবিবার, ১৪/০৮/২০১১ - ২১:৫৬ তারিখে ডাঃ হাসান বলেছেন
ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আমাকে অনেক রোগী প্রশ্ন করেন সিরাজাম সম্পর্কে। সিরাজাম হচ্ছে একধরনের হিট থেরাপী। এই চিকিতসা পদ্ধতিটি প্রথম প্রচলন হয় চীন দেশে যা চীনের অত্যান্ত যুক্তন্তরকারী থিওরী ট্রেডিশনাল মেডিসিনের আলোকে তৈরী।
আপনি চাইলে তা ব্যবহার করতে পারেন। তবে একটি কথা মনে রাখবেন আপনার শরীরের একটি থার্মাল টেম্পেরেচার আছে যা আপনার নার্ভাস সিস্টেমটি মেইনটেন করে। তাই খুব একটি বেশি ব্যবহার না করাটাই ভালো। যদি ব্যবহার করে উপকার পেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার শরীরের থার্মাল ইফেক্ট এর উপর নজর রাখবেন।
ধন্যবাদ।
ডাক্তার
মন্তব্য প্রদানের জন্য লগইন অথবা রেজিস্টার করুন
শনিবার, ১৩/০৮/২০১১ - ২৩:২৩ তারিখে দুরন্ত.. বলেছেন
কাজের পোষ্ট। আরও লেখা চাই।
****************************
ঘৃণার চাষাবাদ জারি থাকুক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।মানবতা মানুষের জন্যই সংরক্ষিত থাক।পশুদের জন্য বরাদ্দ থাক শুধুই উগ্র ঘৃণার দাবানল।
মন্তব্য প্রদানের জন্য লগইন অথবা রেজিস্টার করুন
শনিবার, ১৩/০৮/২০১১ - ২৩:৪১ তারিখে সিরাজুল লিটন বলেছেন
উপকারী দরকারী পোস্ট।
.
.
__________________
অপণা মাংশেঁ হরিণা বৈরী।
মন্তব্য প্রদানের জন্য লগইন অথবা রেজিস্টার করুন
শনিবার, ১৩/০৮/২০১১ - ২৩:৪২ তারিখে আবু হাফসা বলেছেন
আপনার লেখা অত্যন্ত উপকারী। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আশা করি নিয়মিত বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে লেখা অব্যাহত রাখবেন। উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কে একটি পোস্ট দিবেন কিন্তু।
আবু হাফসা
মন্তব্য প্রদানের জন্য লগইন অথবা রেজিস্টার করুন
রবিবার, ১৪/০৮/২০১১ - ০৮:৫৩ তারিখে সরল মানুষ বলেছেন
আপনার পোস্টগুলি খুবই দরকারি। আশা করি নিয়মিত লিখবেন।
------------------------------------
উপদেশের চেয়ে দৃষ্টান্ত বেশী শিক্ষণীয়
মন্তব্য প্রদানের জন্য লগইন অথবা রেজিস্টার করুন
রবিবার, ১৪/০৮/২০১১ - ১২:৩৬ তারিখে দাদু ভাই বলেছেন
আমার লাম্বারে ৪ টি ও সার্ভিক্যালে ৩ মোট ৭ টি Vertebra Degenerative। পিজি ও সিআরপি হাসপাতালে (মেডিসিন বিষেসজ্ঞ কথা উল্লেখ করলাম না) চিকিৎসা করিয়েও কোন ফল পাইনি। কামের কাম যা হইছে ৫/৬ বছর টাকাত শ্রাদ্ধ আর ব্যাথার ঔষধ খাওয়া। পরিশেষে খোঁজ পেলাম "CERAREM THERAPUTICS" এর। বিনা মূল্যে ২ মাস সেবা গ্রহন করার পর একটা মেসিন কিনে নিয়েছি এবং বিগত ৪ বছর যাবত কোন ঔষধের প্রয়োজন হয় না। এই "CERAREM THERAPUTICS" সমন্ধে আপনার মতামত কী?
ধন্যবাদ জনগুরুত্বপূর্ন পোষ্টের জন্যি।
~***********************~
//যার সাথে সংসার করা সম্ভব নয় তার সাথে পিরিতের কথা বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।
মন্তব্য প্রদানের জন্য লগইন অথবা রেজিস্টার করুন
সোমবার, ১৫/০৮/২০১১ - ২১:৪৯ তারিখে ডাঃ হাসান বলেছেন
ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আমাকে অনেক রোগী প্রশ্ন করেন সিরাজাম সম্পর্কে। সিরাজাম হচ্ছে একধরনের হিট থেরাপী। এই চিকিতসা পদ্ধতিটি প্রথম প্রচলন হয় চীন দেশে যা চীনের অত্যান্ত যুক্তন্তরকারী থিওরী ট্রেডিশনাল মেডিসিনের আলোকে তৈরী।
আপনি চাইলে তা ব্যবহার করতে পারেন। তবে একটি কথা মনে রাখবেন আপনার শরীরের একটি থার্মাল টেম্পেরেচার আছে যা আপনার নার্ভাস সিস্টেমটি মেইনটেন করে। তাই খুব একটি বেশি ব্যবহার না করাটাই ভালো। যদি ব্যবহার করে উপকার পেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার শরীরের থার্মাল ইফেক্ট এর উপর নজর রাখবেন।
ধন্যবাদ।
ডাক্তার
মন্তব্য প্রদানের জন্য লগইন অথবা রেজিস্টার করুন
১৩|
০৭ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৯
নোবিতা রিফু বলেছেন: আরে! আসল কথা বলতে ভুলে গেছি, কোমর ব্যাথার সবচেয়ে অব্যারথ ব্যাম হচ্ছে এইটা... ![]()
০৭ ই মে, ২০১২ রাত ৮:১০
রিফাত হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ পড়লাম ।
এটা তখনই হয় যখন বাকা হয়ে কাজ করি অনেকক্ষণ আর ব্যায়মের সময় ।
সাধারণত হয় না ।
১৪|
০৭ ই মে, ২০১২ রাত ৮:৩২
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: গরম পানির শ্যাক দেন।আর মুভ মালিশ করেন।
০৭ ই মে, ২০১২ রাত ৯:০৬
রিফাত হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ
১৫|
০৭ ই মে, ২০১২ রাত ৮:৪৭
মাস্টার বলেছেন: @নোবিতা রিফু, প্রথম পোস্ট টা কি জাকারিয়া স্যার এর আছিলো ??
১৬|
০৭ ই মে, ২০১২ রাত ৮:৪৮
মাস্টার বলেছেন: @লেখক, বুঝলেন না?? H মানে কি সেটা বুঝতে হলে তো আপনাকে ক্রসফায়ারের এই পোস্টে নিয়া যাইতে হয়
০৭ ই মে, ২০১২ রাত ৯:০৬
রিফাত হোসেন বলেছেন: এখনও বুঝি নাই , মনে হয় বয়স হইছৈ আমার
এর পুরা অর্থ কি ? এইচ এর ?
১৭|
০৭ ই মে, ২০১২ রাত ৯:১৩
খাতা কলম বলেছেন: হঠাৎ কোমর ব্যথা কেন? কি আকাম করছেন
১৮|
০৭ ই মে, ২০১২ রাত ৯:৪৪
ওসমাণ বলেছেন: আপনার সমস্যা টি http://www.sasthabangla.com এর প্রশ্ন উত্তর বিভাগে দিলে আমরা চেস্টা করব সমাধান দেবার।
০৮ ই মে, ২০১২ রাত ১২:৪৪
রিফাত হোসেন বলেছেন: ওওওও
আপনারা বুঝি ডিজিটাল কায়দায় ঘরে বসে বসে রোগীর সেবা করেন ?
দোয়া করেন মাসল টাসল হইলে পরথম টেরাইটা আপনারে দিয়া শুরু করবার, দয়া কইরা না করবেন না । ![]()
১৯|
০৭ ই মে, ২০১২ রাত ১১:৩৯
নাইটফল বলেছেন:
২০|
০৭ ই মে, ২০১২ রাত ১১:৪০
নাইটফল বলেছেন: নবিতা রিফু মেলে(ছেলে রূপী মেয়ে) :-&
২১|
০৮ ই মে, ২০১২ রাত ১২:৩৯
ইকরাম উল্যাহ বলেছেন: ওসমাণ বলেছেন: আপনার সমস্যা টি http://www.sasthabangla.com এর প্রশ্ন উত্তর বিভাগে দিলে আমরা চেস্টা করব সমাধান দেবার।
আরেকজন আইছে এড করতে
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মে, ২০১২ বিকাল ৫:৩৬
মাস্টার বলেছেন: কইরে!!! সামুর ডাক্তার রা গেলি কই!!! খুব তো সেদিন লাফাইলি , এইবার বিনা পয়সায় চিকিতসা দিয়া যা...
উস্তাদ , খাড়ান আপনে। আইতাছে সব