![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কল্পবিলাসী আমি বাস্তবতা থেকে অজ্ঞাত নই। আমি সেই বিহঙ্গিনী যে ডানা ভর্তি ভালোবাসা নিয়ে পাখা মেলতে চাই চিলের সাথে সুদূর আকাশে.. ডানা ঝাপটিয়ে লিখে যেতে চাই স্বরচিত কল্পকথা ও মুক্তির মন্ত্র I
পর্ব ১-
জীবনে সফল হতে সবাই চায় । কিন্তু এই সোনার হরিণটা সবার হাতে আসে না ।
একটা শিশু যখন জানে তার খেলনা কেনা হচ্ছে না টাকার অভাবে অথবা সে কোন এক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তার বাবার উপার্জন অক্ষমতার কারণে তখন সেই ছোট বাচ্চাটিও চায় সফলতার স্বর্ণশিখরে পৌছাতে । আমার মতে সুযোগ সুবিধা বলতে একটা ভালো স্কুলে পড়া, ভালো কাপড় পরা, বছরে অন্তত একবার পরিবার নিয়ে ছুটে যাওয়া এইসব প্রয়োজনীয়তাকে বোঝায় । যদিও অনেকের মতে এইগুলো বিলাসিতা । কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এইগুলো বিলাসিতা নয় ।সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য এইগুলো অপরিহার্য । এইটা যে শুধু আমার কথা তা নয়, এইটা বিজ্ঞানী ও মনোবিজ্ঞানীদের কথা ।
যাই হক মূলকথায় আসি । বাচ্চাটা যখন পদে পদে এ সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কিন্তু তার স্কুলের বন্ধু বা পাশের বাসার বন্ধুটিকে এই সকল সুযোগ সুবিধা অবলীলায় পেতে দেখছে তখন সেও সফল হওয়ার স্বপ্নটি লালন পালন করতে থাকে । শিশুটা বড় হওয়ার সাথে সাথে তার প্রয়োজনও বাড়ে, চাহিদাও বাড়ে এবং অভাববোধটা আরও সুস্পষ্ট হয়, সাথে সাথে তার সফল হওয়ার জেদটাও বাড়তে থাকে । কিন্তু সকলে সফল হতে পারেনা । গোটা বিশ্বের সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখা কোটি কোটি শিশুর মধ্যে মাত্র শ’খানেক
শিশু জীবনে সফল হতে সক্ষম । স্বপ্ন তো সবাই দেখে, জেদ তো অনেকেরই আছে তাহলে সবাই পারেনা কেন ?
কারণ তাদের কি তাহলে ঈশ্বর প্রদত্ত কোন প্রতিভা(God Gifted Talent) নাই !?
আসলে সত্যি বলতে ঈশ্বর প্রদত্ত প্রতিভা নজরুলের আমল পর্যন্তই শেষ দেখা গেছে । তারপরের যত সাফল্য ও অর্জন তার মধ্যে ঈশ্বর প্রদত্ত প্রতিভা অন্তত আমি দেখিনি ।
এখন হইত বলবেন , মার্ক জুকারবারগ, সাকিব আল হাসান , বিল গেট্স এইরকম আরও অনেকের কথা । কারণ বর্তমানে এরাই পৃথিবী কাপিয়ে রেখেছে এবং এদের মধ্যে অধিকাংশই graduate না । তাহলে এরা কীভাবে সফল হল ?? তাদের কাছে কি তাহলে ঈশ্বর প্রদত্ত সেই ক্ষমতাই আছে……………
নাহ , এইটা পুরোপুরি সঠিক কথা নয় , কেননা তাঁরা সফল মূলত তাদের পরিশ্রমের জোরে । শুধুই তাই নয় । তাদের সফলতার পিছনে তাদের মা-বাবাও সহায়ক ভুমিকা পালন করেছেন । অর্থাৎ তাদের পরিশ্রম ও মা-বাবার সহযোগিতা তাদের সাফল্যের মূল কারণ । কিন্তু যে তাঁরাই শুধুই ঈশ্বর প্রদত্ত প্রতিভার অধিকারী সেটা পুরোপুরি সঠিক না । হয়ত এখন আর একটা কথা আসতে পারে যে , বিল গেট্স যখন ছোট ছিল তখন তাঁর শিক্ষক তাঁর মা-বাবাকে দেখে বলেছিল বিল অনেক মেধাবী ছাত্র – এইটা নিঃসন্দেহে ঈশ্বর প্রদত্ত প্রতিভাবানের পরিচয় হতে পারে ।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এইটা ঈশ্বর প্রদত্ত প্রতিভার পরিচয় না , কারণ প্রতিটা শিশুই একটা না একটা বিশেষ গুণাবলী নিয়েই পৃথিবীতে আসে। বর্তমান যুগের বাচ্চাদেরই খেয়াল করেন, তারা কেও কি কারও থেকে কম যায় ? সবাই এত্ত এত্ত মেধাবী কিন্তু সফলতা কি সবাই পাবে ? এই ক্ষেত্রে বিল গেট্স এর একটা কথা আমার মনে আসছে –
“If you know how to use your intelligence , you can reach to your goal and target”
আসলে প্রতিভা বা ট্যালেন্ট সকলের মধ্যেই সমানভাবে থাকে কিন্তু সকলেই সেইটা অনুধাবন করতে পারে না । এই জন্য কারও কারও ক্ষেত্রে এইটা সুপ্ত অবস্থায় থেকে যায় সারাজীবনের জন্য ।
আমরা যখন কাওকে কান নাড়াতে দেখি তখন অবাক হয় । ভাবি এইটা সে কিভাবে পারলো ? আমি কেন পারি না !!
কিন্তু এইটা কি জানেন কি যে প্রতিটা শিশুই জন্মের সময় কান নাড়ানোর প্রতিভা নিয়েই জন্মায় । তবুও আমরা কান নাড়াতে পারি না, কেন ? কারণ – চেষ্টা , অনুশীলন ও সাহসের অভাবে
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪৫
তানজিম চেতনা বলেছেন: ধন্যবাদ!!
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৪
সোহান ফয়সাল খান বলেছেন: ালো লিখেছেন