নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কল্পবিলাসী আমি বাস্তবতা থেকে অজ্ঞাত নই। আমি সেই বিহঙ্গিনী যে ডানা ভর্তি ভালোবাসা নিয়ে পাখা মেলতে চাই চিলের সাথে সুদূর আকাশে.. ডানা ঝাপটিয়ে লিখে যেতে চাই স্বরচিত কল্পকথা ও মুক্তির মন্ত্র I

তানজিম চেতনা

কল্পবিলাসী আমি বাস্তবতা থেকে অজ্ঞাত নই। আমি সেই বিহঙ্গিনী যে ডানা ভর্তি ভালোবাসা নিয়ে পাখা মেলতে চাই চিলের সাথে সুদূর আকাশে.. ডানা ঝাপটিয়ে লিখে যেতে চাই স্বরচিত কল্পকথা ও মুক্তির মন্ত্র I

তানজিম চেতনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইনের নীরবতা, অতঃপর বিসর্জিত মানবতা_______

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৫

আজ ssc পরীক্ষা শেষ হয়ে যখন পরীক্ষার্থীরা হল থেকে বের হচ্ছিল তখন এক লোক অত্যধিক স্পীডে রাজশাহী পি.এন স্কুলের মূল ফটকের সামনে দিয়ে বাইক নিয়ে যাচ্ছিল।



লোকটির এমন অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে রাজশাহী অগ্রণী স্কুলের এক পরীক্ষার্থী তাকে অত্যধিক ভদ্রতার সহিত বলেছে, পরীক্ষার্থীরা এখন বের হচ্ছে, আপনি এত স্পীডে এই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন কেন? আস্তে চালান।



আর কুনু কথা হবেনা নীতি মেনে, তৎক্ষণাৎ বাইক থেকে নেমে লোকটি উচ্চবাচ্য শুরু করে এবং পরীক্ষার্থীটিকে চড় থাপ্পড় মারতে থাকে!! :||



এক সহৃদয় ব্যক্তি, হয়ত অভিজিৎ রায়ের মৃত্যুতে মানবতায় অবক্ষয় হয়েছে জেনে উনার অন্তরে মানবতাবোধ জাগ্রত হয়েছিল.. :p সেই বোধ থেকেই তিনি ঘটনাটির প্রতিবাদ জানান। তাকে দেখে আরো কিছু অভিভাবকের মানবতাবোধ জাগ্রত হয় এবং তারাও প্রতিবাদের জন্য এগিয়ে আসে। :)



ফলাফল: ঐ অসভ্য বাইকওয়ালার কাছে পাজ্ঞেরীও চড় থাপ্পড় খেয়ে লাঞ্চিত হন। :(



এহেন অবস্হায় আরেক সহৃদয় মহিলা পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত পুলিশের সাহায্য চান।



এবং জেনে অবাক হবেন, পুলিশ সাহায্য করেছে!! পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভদ্র লোকটার মার খাওয়া দেখেছে ও মজা নিয়েছে কিন্তু প্রতিবাদ করেনি। :|| :( এইবার আসি অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ড নিয়ে , এইখানে একটা প্রশ্ন হচ্ছে যে অভিজিৎ রায়ের মৃত্যুর দায়ভার কি শুধুই মানবতার ?? এই দায় আইন শৃঙ্খলারও কি হতে পারেনা, যা এইসব মানুষরূপী পশুদের প্রশ্রয় দিচ্ছে? হয়ত সেইদিনও হাজারো দর্শকের ভিড়ে দাঁড়িয়ে দায়িত্বরত কোন পুলিশ কর্মকর্তা থ্রিলার মুভির মজা নিচ্ছিল, বাসায় গিয়ে তার সন্তান ও প্রেয়সীকে শোনাবে!! :-&



আমি যখন অভিজিৎ রায়ের মৃত্যুর কথা জানলাম এবং এটাও জানলাম, ছবি তোলার মানুষ আছে কিন্তু বাঁচানোর মানুষ নেই। :(



বিশ্বাস করুন.. আমি লোকগুলোকে ধিক্কার দেওয়ার আগে নিজেকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমি হলে কি করতাম?



কোন স্পষ্ট উত্তর নিজের কাছে পাইনি, মনে এক অজানা সংশয় ছিল।



সংশয়ের কারণ আজ জানলাম। যে দেশের আইন ক্রাইমকে প্রশ্রয় দেয়.. সেই দেশে আর যাইহোক, কারো অন্তরে বিদ্রোহের রক্ত সহজে ক্ষরিত হতে পারেনা। তার মানে এই না যে কখনোই বিদ্রোহের রক্ত ক্ষরিত হবে না।



বাঙ্গালীদের আবেগ যখন তাদের সংশয়কে ছাপিয়ে যাবে তখন আবারো বাঙ্গালী হিংস্র বাঘ হয়ে উঠবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.