নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।

শরীফ উদ্দীন

আমি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত না। কারণ ছাত্র রাজনীতি আমার কাছে ইচরে পাকামির মত মনে হয়। যাই হোক আমি বাবা-মা ও ছোট বোন কে নিয়ে ঢাকায় থাকি। আমার হবি হচ্ছে প্রাকৃতিক ছবি তোলা, গল্পের বই পড়া আর সুন্দর টলমলে পানিতে সাতার কাটা।

শরীফ উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস।................১

২৬ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:০৮

হাজার বছর আগে আমাদের প্রথম কবি কাহ্নপা বলেছিলেন "নগর বহিরেঁ ডোম্বি তোহোরি কুড়িয়া"। তার মত কবিতা লিখেছিলেন আরো অনেক কবি। তাদের নাম গুলোও আজ অদ্ভুত লাগে। লুইপা, কুক্কুরিপা, শবরপার মতো সুদূর রহস্যময় এই কবিদের নাম। তারপর কেটেগেছে হাজার বছর, দেখা দিয়েছে অজস্র কবি, উপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, গল্পকার। তারা সবাই মিলে সৃষ্টি করেছেন আমাদের অসাধারণ বাংলা সাহিত্য। বাংল সাহিত্য চিরকাল একরকম থাকেনি। কালে কালে পরিবর্তন হয়েছে। পরিবর্তনের এই ধারাকে বাংলা সাহিত্যিকগণ তিন ভাগে ভাগ করে ছেন। তা হল

১. প্রাচীন যুগ (৬৫০-১২০০)

২. মধ্য যুগ (১২০০-১৮০০)

৩. নব্য যুগ বা আধুনিক যুগ (১৮০০- আজ পর্যন্ত

যদিও নানান সাহিত্যিক নানা মত দিয়েছেন। কিন্তু উল্লেখিত মতটিই সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-১

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:২২

দূরন্ত বলেছেন: হুমম..

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:২৮

রণদীপম বসু বলেছেন: ধন্যবাদ, এরকম একটি লেখা শুরু করার জন্য। চলুক।

৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:৩৩

শরীফ উদ্দীন বলেছেন: আশা করছি চালিয়ে যাব।

৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৫

রুবেল শাহ বলেছেন: এটা কি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস হল --- ?

" নগর বহিরেঁ ডোম্বি তোহোরি কুড়িয়া " এ গুলোকে কি বলে --- ?
আপনি বাংলা সাহিত্যের আলোচনা করতে বসেছেন অথচ বিশদ কিছুই বলেননি মাত্র ১২টি লাইন দিয়ে আপনি বাংলা সাহিত্যের আলোচনার ভুমিক টানলেন------ ?

আপনি যেগুলোকে কবিতা বলছেন সেগুলোকে কবিতা বলে না, এ গুলো হল চর্যাপদ আর যাদের নাম টেনেছেন তাদেরকে বলা হয় পদকর্তা--------

বাংলা সাহিত্যের আলোচনা করতে হলে আগে আপনাকে চর্যপদের আলোচনা করতে হবে----------


চর্যপদ হল বাংলা সাহিত্যের অতি প্রাচীন নিদর্শন এই চর্যপদ ১৯০৭ সালে নেপালে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী পুঁথি হিসেবে আবিষ্কার করেন।
এটা হল বাংলাবাংলার প্রাচীনতম রূপ এই ভাষার আসল নাম অবহট্ট।
এই চর্যপদের ভাষার আরেক নাম হল "সন্ধ্যাভাষা"।


চর্যপদে ২৩ পদকর্তার নাম পাওয়া যায়, আর পদের সংখ্যা ৫০টি।

একটি পদ তুলে দিলাম


রাগ ( পটমঞ্জরী )
চর্যাপদ --- লুইপাদানাম্

কাআ তরুবর পঞ্চ বি ডাল।
চঞ্চল চীএ পইঠো কাল॥ ধ্রু॥
দিঢ় করিঅ মহাসুহ পরিমাণ।
লুই ভণই গুরু পুচ্ছিঅ জাণ॥ ধ্রু॥
সঅল সমাহিঅ কাহি করিঅই।
সুখ দুখেতেঁ নিচিত মরিঅই॥ ধ্রু॥
এড়ি এউ ছান্দক বান্ধ করণক পাটের আস।
সুনুপাখ ভিতি লেহু রে পাস॥ ধ্রু॥
ভণই লুই আম্‌হে ঝানে দিঠা।
ধমণ চমণ বেণি পিণ্ডি বইঠা॥ ধ্রু॥

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস জানতে হলে পড়ুন মাহবুবুল আলম স্যারের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস।

চর্যাগীতিকা - মুহম্মদ আবদুল হাই ও আনোয়ার পাশা

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস --- গোপাল রায়


আপনার পোষ্টের জবাবে কিছু বললাম কোন কট্ক্ষ নয়------- আলোচনা করুন বিশদ ভাবে। আমাদের বাংলা সাহিত্যে এত ছোট নয় যে মাত্র ১২ লাইনে তার ভুমিকা শেষ করা যাবে আলোচনা তো পরের কাথা------------
তার পরেও শুভেচ্ছা ------------ আশা করি আগামিতে বিশদ আলোচনাময় পোষ্ট পাব আপনার কাছ থেক------------

২৬ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১:৫০

শরীফ উদ্দীন বলেছেন: ধীরে জনাব। আপনি দেখতে মনে হয় ভুল করেছেন। এটা একটি ধারাবহিক পোষ্ট। আর আপনি হুট করে বলে দিলেন চর্যাপদের পদ ৫০টি, আর এর ভাষার নাম অবহট্ট। এটকি হল! আমার মনে হয় আপনি বুঝতে সামান্য ভুল করেছেন। মাহবুবুবুল আলম স্যারের বইটি আরেক বার ভাল করে পড়ুন। সাথে গোপাল হালদারের বাংলা সাহিদত্যর রূপরেখা (১ম খন্ড) ও সুকুমার সেনের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস পড়তে পারেন।

২৬ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:১৯

শরীফ উদ্দীন বলেছেন: ধন্যবাদ গঠন মূলক আলোচনার জন্য। বিশদ আলোচনা করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করব।

৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:৪৭

রুবেল শাহ বলেছেন: চর্যপদের সংখ্যা কবে বৃদ্বি পেল ভাই------ আমি জানি ৫০টি, কেন আপনি তো মাহবুবুবুল আলম স্যারের বইটি ভাল ভাবেই পড়েছেন তাই না----সেখানে ভাষার নাম অবহট্ট বলা হয়নি ?
তাহলে কি বলা হয়েছে বলুন তো ?

সাহিত্যে আলোচনা নিয়ে পোষ্ট অথচ মাত্র ১২ লাইন, বিন্তু কেন ?

আর একটি কথা চর্যাপদ কত টি বলবেন কি ?
আমি যেহেতু হুট করেই বলেছি চর্যাপদের ভাষার নাম অবহট্ট , তাহলে আপনিই বলুন চর্যাপদের ভাষার নাম কি বলেছেন বাংলা সাহিত্যিকরা-------- ?

২৭ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:৫০

শরীফ উদ্দীন বলেছেন: ভাই একটু সবুর করেন। সময়ে সব দেখতে পাবেন। বাংলা সাহিত্যত শুধু চর্যাপদ নিয়েই গঠিত না। এটা বিশাল একটি সমুদ্র। তাই বুঝে শুনে লিখতে হয়। ৫০/৫১ পদ আর অবহট্ট ভাষার ব্যাখ্যা আমার পরের পোষ্টেই পাবেন। তবে আমার পরীক্ষা হেতু একটু সময় লাগছে আরকি।

৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৮:৫৭

সব্যসাচী বলেছেন:
আরো গঠনমূলকভাবে আপনার পোস্টের এই সিরিজ চলুক। ধন্যবাদ।

২৭ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:৫১

শরীফ উদ্দীন বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.