![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাম্প্রতিক সময়ে মহিলাদের জন্য বাসে আলাদা আসন বরাদ্দ এবং সেখানে পুরুষরা বসলে জেল-জরিমানার বিধান করে একটি আইন পাস করা হয়েছে। আইনটি কার কাছে কেমন লেগেছে সে বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না, কিন্তু আমার কাছে নিঃসন্দেহে এটিকে একটি সুন্দর আইন বলে মনে হয়েছে। অনেকে কথা তুলেছে যেখানে মহিলারা নারী-পুরুষ সম অধিকার নিয়ে চেচায় সেখানে তাদের জন্য আলাদাভাবে এরকম একটি আইন পাস করা হবে কেন। হ্যাঁ, যুক্তি অনুযায়ী তাদের কথা হয়ত ভুল নয়। কেননা সম অধিকার মানে এই নয় যে মহিলাদের জন্য বাসে আলাদা করে আসন বরাদ্দ করতে হবে এবং সেখানে পুরুষরা বসলে জরিমানা করা হবে। আসলে মহিলাদের সম অধিকার নিয়ে যে আন্দোলন, আমি নিজেও তার পক্ষপাতি না। মহিলারা এমনিতেই অনেক বেশি অধিকার ভোগ করে থাকে। সেখানে তারা অবহেলিত হওয়ার অজুহাতে সম অধিকার নিয়ে যে আন্দোলন করে তা হাস্যকরই বটে। থাক, আর সেদিকে যাব না। মূল প্রসঙ্গে আসি। বাসে মহিলারা যেকোন সিটে বসতে পারবেতো বটেই পাশাপাশি তাদের জন্য বাসের সামনের দিকে কিছু সিট বরাদ্দ করা এবং সেখানে কোনো পুরুষ বসলে জরিমানার আইনটি কেন আমার কাছে ভাল লেগেছে তা বলছি।
বর্তমানে শহরাঞ্চলের গণপরিবহনের দূরাবস্থার কথা কারো অজানা নয়। প্রায় সময়ই মানুষকে গাদাগাদি করে চলাচল করতে হয়। দাঁড়িয়ে ঝুলে ঝুলে গেলেও একজনের গায়ের সাথে আরেকজনের গা লেগে থেকে। একটাবার কল্পনা করুনতো, এরকম অবস্থায় আপনি আপনার মা, বোন, বউ, ভাবী কিংবা গার্লফ্রেন্ডকে দেখতে কি স্বস্তি বোধ করবেন? অসংখ্য পুরুষের গাদাগাদিতে আপনার মা, বোন, বউ, ভাবী কিংবা গার্লফ্রেন্ড পিষ্ট হবে আপনি কি সহ্য করতে পারবেন? পারবেন না। তেমনি এসব গণপরিবহনে যেসব মহিলারা উঠে তারাতো কারো না কারো মা, বোন, বউ, ভাবী কিংবা গার্লফ্রেন্ড নাকি? তবে তাদের জন্য আলাদা সিট বরাদ্দ করলে আমাদের আপত্তি হবে কেন? আপনি যদি বাসে আপনার বোনকে নিয়ে উঠে দেখেন একটামাত্র সিট খালি আছে তবে সেই সিটে আপনি বসবেন নাকি আপনার বোনকে বসাবেন? আপনি একটা সিটে বসে কোথাও যাচ্ছেন, আকস্মিকভাবে যদি দেখেন আপনার এক বোন বাসে উঠে সিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে আছে, তবে আপনি কি উঠে তাকে আপনার সিটে বসতে দিবেন না? অবশ্যই দিবেন। তবে আমরা কেন অন্যের মা, বোন, বউদের প্রতি এই ধরনের অবহেলা করবো? আর তাছাড়া আপনার চোখের সামনে কোনো একটা মেয়ে অসংখ্য পুরুষের গাদাগাদির মাঝে দাঁড়িয়ে পিষ্ট হবে সেটাই কি আপনার কাছে ভালো লাগবে? অবশ্যই লাগবে না যদি আপনি মানবীয় গুণাবলী সম্পন্ন প্রকৃত পুরুষ হয়ে থাকেন। তাহলে একটা বাসে মহিলাদের জন্য আলাদা কয়েকটা আসন বরাদ্দ করলে আমাদের এতো লাগে কেন?
অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, মহিলারাতো বাসের যেকোন সিটেই বসতে পারে, তবে তাদের জন্য আলাদা সিট বরাদ্দ করার দরকার কী! হ্যাঁ, মহিলারা সব সিটেই বসতে পারে। কিন্তু গণপরিবহনগুলোতে কি আদৌ বসার জন্য কোনো সিট খালি থাকে? বেশিরভাগ সময়ই সেসব সিট বুকড হয়ে যায় বাস যেখান থেকে ছাড়ে সেখান থেকেই। আর সেসব সিটের সবই দখল করে থাকে বলতে গেলে পুরুষেরা। এমতাবস্থায় পরের স্টপেজে কোনো মহিলা উঠতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই তার জন্য সিট খালি পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তাদের জন্য আলাদা সিট বরাদ্দ থাকলে তারা সহজেই সিট পেয়ে যায়। আপনি নিশ্চয় চাইবেন না একটা মহিলা বাসের অসংখ্য পুরুষের গাদাগাদিতে পিষ্ট হতে হতে ঝুলতে ঝুলতে যাক। তবে তাদের জন্য আলাদা সিট বরাদ্দের ব্যাপারটা মেনে নিতে সমস্যা কোথায়? আসুন আবেগ দিয়ে চিন্তা না করে বিবেক দিয়ে চিন্তা করি। একটা বাসে আর কতজনই মহিলা থাকে? চার, পাঁচ, সাত, আট? তবে একটা চল্লিশ-পঞ্চাশ সিটের বাসে সংখ্যা লঘু এসব চার-পাঁচজন মহিলার জন্য আলাদা সিট বরাদ্দ করা যেতেই পারে যা পুরোপুরিই যৌক্তিক। আর জেল-জরিমানা? সেটার বিধান না করলে যে আমরা কিছু কিছু ঘাড় ত্যাঁড়া বাঙালি পুরুষ বসা থেকে দমতাম না। সে হিসাবে জেল-জরিমানার আইনটি কি খারাপ কিছু হয়েছে? প্রশ্ন রাখলাম আপনার কাছেই।
লিখায়: রিহানুর ইসলাম প্রতীক
ফেসবুকে লেখক: Rihanoor Protik
১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:১৩
রিহানুর ইসলাম প্রতীক বলেছেন: বাস সমিতি আইন মানতে বাধ্য। যত সমস্যা করি আমরা বাসে উঠা পুরুষরাই।
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩০
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: হুম তা ঠিক।
৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১২
শোভ বলেছেন: স্বামী স্ত্রী এক সাথে পুরুষ সিটে বসে আছে নারী সিট খালি পরে আছে । এক জন পুরুষ সেই বাসে দাড়িয়ে যাচ্ছে পুরুষ সিট খালি নেই তাই বসতে পারছে না এটাকে আপনি কি বলবেন ?
১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭
রিহানুর ইসলাম প্রতীক বলেছেন: সেটা সেই স্বামী স্ত্রীর বিবেকবোধের প্রশ্ন।
৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬
বনসাই বলেছেন: শোভ বলেছেন: স্বামী স্ত্রী এক সাথে পুরুষ সিটে বসে আছে নারী সিট খালি পরে আছে । এক জন পুরুষ সেই বাসে দাড়িয়ে যাচ্ছে পুরুষ সিট খালি নেই তাই বসতে পারছে না এটাকে আপনি কি বলবেন?
এই মন্তব্য পড়ে লগ ইন না করে পারলাম না।
প্রথমত- বাসে পুরুষ সিট বলে কিছু নেই; সব সিটেই মহিলা, শিশু ও প্রতিবন্ধী বসতে পারবেন। কেবলমাত্র তাদের জন্যে নির্ধারিত সিটে পুরুষ বসতে পারবেন না। নতুন আইনের আগে ৯টি নির্দিষ্ট সিটে বসে পড়া পুরুষদের কমন উপাধি ছিল, হাফলেডিস।
দ্বিতীয়ত- ৯টি সিট খালি রেখেও নারী ইচ্ছা করলে অন্য সিটে বসে যেতে পারেন, কারো কিছু বলার কোনো সুযোগ নেই।
তৃতীয়ত- স্বামী-স্ত্রী কোনো কারণ ছাড়াই আলাদা আলাদা বসতে যাবেন কেন? তারা সবসময় পাশাপাশি বসে যাবেন। শুধু স্বামী-স্ত্রী কেন! যাত্রা সঙ্গী কোনো নারী হলে তিনি পুরুষ সঙ্গীর পাশেই বসে যেতে পারেন যদি সেটা তিনি চান।
চতুর্থত- সামান্য একটু পথ একটু দাঁড়িয়ে যাওয়াই যায়; আগামী ১৫ তারিখ থেকে ঢাকাতে সিটিং সার্ভিস থাকছে না তখন কত পুরুষই বসার সুযোগ পাবে না।
পঞ্চমত- পুরুষ সেই যিনি যে কোনো পরিস্থিতিতেই নিজের আসনটিতে একজন মহিলাকে অবলীলায় বসার সুযোগ করে দেন।
৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮
রিফাত হোসেন বলেছেন: বাস সিটের প্রাধান্য নিয়ে সমসাময়িক ভাবনা , আমার ভাবনা।
৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভাল লিখেছেন।
৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:২৯
টারজান০০০০৭ বলেছেন: মহিলাদের জন্য আলাদা বাস , আলাদা স্কুল , কলেজ , ইউনিভার্সিটি, চাকুরী, আলাদা বাসস্থান , আলাদা দেশ দরকার। নাহলে তাহাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হইবে না, এই ক্যাচালও থামিবে না। নারী ও পুরুষের একসাথে থাকারই দরকার নাই ! বাচ্চাকাচ্চা হইবো হ্যাচারিতে , মানুষ হইবো ডেকেয়ারে ! সব ক্যাচাল ফিনিশ !
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৩
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: প্রশ্ন আমাদের কাছে রেখে কিচ্ছু হবেনা। আমাদের কথায় তো আর বাস সমিতি চলে না।