নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হইচই, হট্টগোল এড়িয়ে চুপচাপ, নিরিবিলিতে লুকিয়ে থাকতে ভাল লাগে।

রিম সাবরিনা জাহান সরকার

যা-ই লিখি, কাঠবিড়ালীর মত এখানে জমিয়ে রাখি। https://rimsabrina.blogspot.com/

রিম সাবরিনা জাহান সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

খাদ্যরস ৪-কাছিম দৌড় ও রসালো পিজ্জা

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:১৮


ট্রেন চলছে ঢিমেতালে। কু-ঝিকঝিক টাইপ না হলেও ঝিমুনিতে ঘুম এসে যাচ্ছে। জানালা বাইরে বিকেলের শেষ রোদটা আলো ছড়িয়ে আগুনমাখা ফিনিক্স পাখি হতে চাইছে যেন। তবে গ্রিক পুরাণে এ মুহূর্তে মন ভরবে না। দরকার ঐ ডুবন্ত সূর্যটার মত গোল জব্বর একখানা ইটালিয়ান পিজ্জা। খিদেটা আকাশ সমান বিশাল হবার আগেই মুঠোফোনের বোতাম চাপলাম।

‘হ্যালো, ‘ফোন পিজ্জা’ বলছি। কি অর্ডার করবেন, বলুন?’।
‘একটা পিজ্জা ‘ফাভোরিট’। দশ মিনিটের ভেতর আসছি’।

‘ফোন পিজ্জা’ হল বাসার কাছের স্টেশন লাগোয়া টেক-অ্যাওয়ে। ইচ্ছে করলে পেতে রাখা সস্তা প্লাস্টিকের চেয়ার-টেবিলে বসে আমুদে ‘ডাইন-ইন’ও করা চলে। আর ফাভোরিট মানে Favourite। আগে বার কয় চেখে দেখা হয়েছে এবং অতুলনীয় স্বাদ একেবারে কলিজায় গিয়ে লেগেছে। ফাভোরিট পিজ্জা তাই পছন্দের খাদ্য তালিকায় টপ ফেভারিট ইদানীং।

গরমাগরম পিজ্জার অপেক্ষায় কমলা সূর্যের পানে একটা লোভাতুর দৃষ্টি ছুড়ে চেয়ে রইলাম। এই চাহনিতে কবিতা নেই। খবিতা আছে। খিদে মেশানো কাব্যিকতার নাম খবিতা।

এই অস্থির খবিতার কারণ হল, সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দৌড়ে আসা হয়েছে আজকে। মিউনিখের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় তাদের গ্রাম গ্রাম চেহারার সবুজ ঘেরা গারশিং নামের অতিকায় ক্যাম্পাসে ম্যারাথনের আয়োজন করেছে। ছাত্র-শিক্ষক সবাই দৌড়েছে। এমন কি রাশভারী

বিভাগীয় ডীন আর চেয়ারম্যানরাও হাফপ্যান্ট-শর্টস পরে নেমে পড়েছে। সেখানেই ছিল এগারো আর সাড়ে পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন। ভাবলাম, এগারো কিলোমিটার দৌড়ানো কিছুটা ভুতের বেগাড় হয়ে যায়। তাছাড়া মাছ-মুরগি খাওয়া নরম সরম বাঙালি ঠ্যাঙ। আরামপ্রিয় চেহারাতেও বেশ একটা ফার্মের মুরগি-ফার্মের মুরগি ভাব আছে। হাত ভাঁজ করে দাঁড়ালে দূর থেকে ঠিক চিকেন উইংসের মত দেখায়। এমন লোকের জন্যে তাই সাড়ে পাঁচই সই।

খেলনা পিস্তলে যেই না ঠুস্ হল, অমনি ছাত্র-শিক্ষক সবাই বেদম দৌড় শুরু করলো। এ যেন একশো মিটার স্প্রিন্টে উসাই বোল্ট হবার সুবর্ন সুযোগ। মাঝখান থেকে মৃদুমন্দ আয়েশী বেগে দৌড় শুরু করা মিস চিকেন উংইস বোকা বনে গেলাম। চোখের পলক না পড়তেই দুই পাশ থেকে বাকিরা ভোজবাজির মত উধাও। পড়ে রইল শুধু এক ভলান্টিয়ার।

‘কি হল, হাল ছেড়ে হাঁটছো কেন। জগিংয়ের মত দৌড়ালেও তো পারো‘।

জবাব না দিয়ে বাঁকাচোকা হাসলাম। এর চেয়ে উর্ধগতি যে আর সম্ভব না, কি করে বোঝাই। তাছাড়া, দৌড় শুরু করতে না করতেই পা ধরে আসছে খুব। এই ভলান্টিয়ার ছোকড়া বিদায় হলে খানিকক্ষন জিরিয়ে নিতাম। তিতিবিরক্ত লাগছে। গালের ভেতর গালি পর্যন্ত চলে এল, ‘ম্যারাথনের গুষ্টি কিলাই, ধ্যার্..’।

মনের কথা বুঝতে পেরেই বোধহয় ভলান্টিয়ার ছেলেটা নিশানাগুলো টপাটপ তুলে নিয়ে রাস্তা মাপলো। সামনের পথ আবার ডান-বাম দু’দিকে চলে গেছে। ভাল বিপদ!

‘এ্যাই, নিশান তুললে কেন? এখন যাবো কোন দিকে?’।
গা ঝাঁকানো দায়সারা উত্তর আসলো, ‘ডানে চলে যাও। তুমি ছাড়া তো আর কেউ নেই পিছে। ফ্ল্যাগগুলো তুলে কাজ এগিয়ে রাখি’।

অগত্যা ডানেই ভিড়ে গেলাম। একেবারে একাবোকা হয়ে পড়ে খুব যে বোকা বোকা লাগছে, ঠিক তাও না। পাশ দিয়ে ছোট্ট খাল বয়ে যাচ্ছে। সেখানে বেলেহাঁসদের ভাল আড্ডা জমেছে। গাছে গাছে পাখির কিচিরমিচির। হালকা বাতাসে দোলা লেগে সবুজ পাতায় উইন্ডচাইম বাজছে মিহি তানে। বাঁ দিকে আদি অন্ত বিছানো মাঠ। পায়ে পায়ে বদলে যায় তার দৃশ্যপট। কখনো তাতে ফসল, কখনো ফুল, কখনো শূন্য মাঠে একাকী ট্রাক্টর ধাতব শরীর নিয়ে উদাস দাঁড়িয়ে। এক-আধটা ইলেকট্রিক খাম্বা যেন বিকট কাকতাড়ুয়া সেজে পাহারায়।

জুন মাসের এই নাতিশীতোষ্ণ বিকালের পরতে পরতে বুনো ফুলের মত তীব্র মাদকতা ছড়ানো। গারশিং ক্যাম্পাসের চারকোনা দালানগুলোর আড়ালে যে এমন এক আশ্চর্য লুকানো জগত আছে, তা তো জানাই হত না আজকের ম্যারাথনে না এলে। ইশ্, সাথে ফোন থাকলে দুর্দান্ত কতগুলো ছবি তুলে নিতাম পটাপট।

ছটফটে টগবগ শব্দে ঘাড় ঘোরালাম। দুর্দান্ত সুঠাম দেহের বিশাল বাদামী ঘোড়া কেশর ফুলিয়ে এগিয়ে আসছে। এ পথে লোকে সাইকেল চালায়। এখন ঘোড়াও যে চলে দেখছি। ঘোড় সওয়ার এক আশি পেরোনো দাদু গোছের ভদ্রলোক। শখের ঘোড়ায় সৌখিন বৈকালিক ভ্রমনে বেড়িয়েছেন বোধহয়। বাভারিয়ান স্টাইলে ছাটা ইয়া মোচের ফাঁক থেকে গমগমে স্বরে বললেন, ‘কি দারুন বিকেল!হাঁটতে বেরিয়েছো বুঝি?’।

হাঁটা আর ম্যারাথনের ভেতর যে মোটা দাগ আছে, সেটা আর মচু দাদুকে বোঝাতে গেলাম না। টাড়াহুড়ো করে ভদ্রতার হাসির সাথে ‘শুভ সন্ধ্যা’ জানিয়েই দমে গেলাম। যদিও সন্ধ্যা হবার বহুত বাকি। উত্তরে ভদ্রলোক তার বাহারি টুপিটা সামান্য খুলে অভিবাদন জানিয়ে হ্যাট্ হ্যাট্ ঘোড়া হাঁকিয়ে দিগন্তে হারালো। তাকে এখন মোটেও দাদু দাদু লাগছে না। বরং ওয়েস্টার্ন ছবি থেকে উঠে আসা পোড় খাওয়া দুঁদে কাউবয়ের মত দেখাচ্ছে। বিকালের রোদে সবকিছু অন্যরকম দেখায় হঠাৎ হঠাৎ।

ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্যা হর্স মিলিয়ে যেতে না যেতেই হুড়মুড়িয়ে চলে এল ম্যারাথন পার্টি। এরা এগারো কিলোমিটারের দল। এক পাক ঘুরে সাড়ে পাঁচ কিলো খতম দিয়ে দুই নম্বর চক্কর দিচ্ছে। বিনা বাক্যব্যয়ে তাদের সাথে মিশে গেলাম। এ শর্মা যে সেই আগের সাড়ে পাঁচেই ঝুলে আছে, সে সত্যকে আলপটকা ক্যামোফ্লেজ পরিয়ে দিলাম। একজন আবার মায়া করে পানির বোতল এগিয়ে দিলে চোখে-মুখে দু’ফোঁটা ছিটিয়ে নিলাম। অভিনয়টা বেশ উঁচু দরের হচ্ছে।

ঝটপট তারা ঝেঁটিয়ে বিদায় নিল। টিকিও দেখা যাচ্ছে না। আবার একা পড়ে ক্যাম্পাসের নিস্তরঙ্গ রূপটা দেখায় মন দিলাম। তবে কাছিম দৌড় চলছেই। খরগোশেরা তেড়ে ফুড়ে বেড়িয়ে গেলে যাক। হু কেয়ারস!

সুড়ঙ্গের যেমন শুরু আর শেষ আছে, এই আপাত সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার ম্যারাথনও খতম হল এক সময়ে। উফ্, বাড়ি যাব এখন এক দৌড়ে।

লাল ফিতা ছুঁতেই কে যেন মাইক্রোফোন হাতে ছেঁকে ধরল, ‘আপনার অনুভূতি কি?’।
জবাবে, এক নিশ্বাসে বলতে চাইলাম, ‘খুব ভাল লেগেছে, এই প্রথম ম্যারাথনে নাম লেখানো, এমন আয়োজন আরো হোক, ইত্যাদি।
অথচ অবাক করে দিয়ে মুখ দিয়ে শুধু বেরোলো, ‘ভ ভ ভ ফ ফ ফ ...’।
আয়োজক চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে থেকে সামলে দিল, ‘অ্যা, ইনি মনে হয় তার মাতৃভাষায় আনন্দ প্রকাশ করছেন। তার জন্যে তালি হবে, তালি। সেই সাথে আজকের ম্যারাথনের সমাপ্তি ঘোষনা করছি। লাগাও ডিজে গান...’!

বুম বুম ডিজে গানের বদলে ফুল ভলিউমে হেভি মেটাল সঙ্গীত ছাড়া হল। বিখ্যাত জার্মান ব্যান্ড ‘রামস্টাইন’ তাদের প্রলয়ংকারী সুর-লয়ে ক্যাম্পাসে দোজখ নামিয়ে দিতে লাগলো। লোকজন উৎসবের আমেজে বিয়ারের বোতলে চিয়ার্স ঠোকা শুরু করেছে।

খুঁজেপেতে সাথে আসা কলিগদের দেখা মিলল। তারা তুমুল আগ্রহে কার কত সময় লেগেছে ম্যারাথন শেষ করতে, তাই নিয়ে পড়েছে।

পাক্কা ছাপান্ন মিনিটে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দৌড়ে মনে হয় রেকর্ড করে ফেলেছি। যেখানে বাকিদের লেগেছে ইনুশ কি বিশ মিনিট বড় জোর। তবে এই আকাশ-পাতাল ব্যবধান নিয়ে কারো মাথাব্যথা দেখা গেল না। বরং এই ক্ষীণপ্রান বাঙালি মেয়ে যে তাদের সাথে মাঠে নেমেছে, তাতেই পেটানো শরীরের শক্তপোক্ত জার্মানগুলো বেজায় খুশি।

আরো কিছুক্ষন বাৎচিত সেরে কলিগদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিলাম। তারাও খালি বেঞ্চি খুঁজে খাবারের স্টলগুলো বরাবর পা চালালো। আজকে তাদের মেন্যুতে আছে কারি উর্স্ট আর ব্রেৎজেল। কারি উর্স্ট হল মশলার সসে মাখানো ঝাঁঝালো সসেজ। আর ব্রেৎজেল হল জার্মানির বিখ্যাত রুটি বিশেষ। যা কিনা মাথা বরাবর ছুড়ে মারলে আপনি এক ঘায়ে অক্কা যাবেন-এমনই শক্ত তার বাইরের খোলস। কিন্তু ভেতরে অদ্ভূত নরম। আপাত-কাঠখোট্টা জার্মানরা যেমন আর কি।

কিন্তু আজ অমৃতে অরুচি। মন বলছে সে একটা নরম তুলতুলে পিজ্জা খেতে চায়। এবং এই পিজ্জা সে মনের আনন্দে তাড়িয়ে তাড়িয়ে, পা নাড়িয়ে নাড়িয়ে, একদম একা একা খেতে চায়। এমন অঘোম আহবানে সাড়া না দিয়ে উপায় নেই। ঝটপট ট্রেন ধরে উঠে বসলাম জানালা ঘেঁষে। মন বড় জ্বালা।

বার দুই ট্রেন বদলে অতঃপর এসে পৌঁছানো গেল কাঙ্ক্ষিত স্টেশনে। মিউনিখ থেকে দূরের শহরতলী অটোব্রুন। ট্রেন থামতেই পড়িমরি ছুটলাম। ভীষন তাড়া যে। স্টেশন-লাগোয়া ‘ফোন পিজ্জা’ টেক-অ্যাওয়ের তাওয়া থেকে ধোঁয়া উঠিয়ে আমার অর্ডার দেয়া পিজ্জাটা নামলো বলে।

‘হেই সাবরিনা, ঠিক টাইমে হাজির তুমি। পিজ্জা তৈরি!’। রেস্তোরাঁর ব্যস্ত বাবুর্চী সিনান উইঘুর তার কালো ক্যাপের নিচ থেকে ছুড়লো কথাগুলো। সিনান জাতে তুর্কি। এই ইটালিয়ান পিজ্জার ব্যবসা তার বাবার। এখন হাত ঘুরে তার হাতে এসে পড়েছে। এবং সেই সুবাদে তুর্কি বা উইঘুর রেস্তোরাঁর আদলে এক বাটি মরিচের ঝাল সস বহাল তবিয়তে তার অস্তিত্ব জানান দেয় টেবিলের কোনা থেকে। এই ঝালের কঠিন সমঝদার হওয়াতে সিনান তার রেগুলার কাস্টমারের নামটা খুব চেনে।

অতি যত্নে সে মরিচের সস আর বিশাল এক পিজ্জা নামিয়ে হেঁশেলে হারিয়ে গেল। সে কাজের লোক। আলাপে তার উৎসাহ নেই। আর আমি খাওয়ার লোক। আলোচনায় আগ্রহ নেই।

সপ্তাহের মাঝের দিন বুধবার। লোকে তেমন হামলে পড়ে খানাখাদ্য অর্ডার করছে না। সপ্তাহান্তে যেমনটা করে। তাই রেস্তোরাঁর ব্যস্ততা কম। জানালায় গাড়িঘোড়ার আনাগোনা গুনতে গুনতে ডুব দিলাম উষ্ণ পিজ্জার এক টুকরোয়। মাখনরঙা মোজ্জারেলা চিজ-এর খানিকটা চুইং গামের মত লম্বা হতে হতে শেষ অবধি তার পিজ্জা পরিবার ছেড়ে নতুন ঠিকানায় চলে এল। এই নতুন ঠিকানা হল রাক্ষসের পেট। ম্যারাথন দৌড়ে এসে এখন রাক্ষুসে খিদে পেয়ে বসেছে।

সুবিশাল থালাজোড়া রুটির ময়দানে রঙের ছড়াছড়ি। সাদা মাশরুমের ডানে-বামে লাল টমেটো আর সবুজ ক্যাপসিকাম। কালচে বেগুনি জলপাই টুকরোগুলো থেকে অপার্থিব সুঘ্রান আসছে। এই আহ্বান উপেক্ষা করা ভরপেট লোকের পক্ষেও দুঃসাধ্য।

ঝাল সস ছড়িয়ে পুরো পিজ্জাটাকে আগুনের গোলা বানিয়ে ফেলেছি। সিনান উইঘুর চোখের কোনা দিয়ে মুচকি হেসে পিজ্জার এই হেভি মেটাল চেহারাটা একবার দেখে গেল। ঠান্ডা কোকের বোতলে ঝাল নিভিয়ে আরো একটা তেকোনা টুকরো হাতে তুলে নিলাম। এই ত্রিভুজকে কোন জ্যামিতি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাবে না। এ যে গনিতের উর্ধে। অরিগানো পাতার রোস্টেড ঘ্রানের সাথে অলিভ অয়েলের বাসনা মিশে যে তরঙ্গ তৈরি হয়েছে, তার সংজ্ঞাই বা পৃথিবীর কোন ফিজিক্স দিবে। এই রসের বিশ্লেষন রসায়ন দিয়েও কি সম্ভব।

ইতং বিতং অদরকারী চিন্তাগুলোকে সাথে নিয়ে জ্যামিতির গোল খাতা থেকে সবক’টা ত্রিভুজ উড়িয়ে দিতে সময় লাগল না।

বিকালটা উড়ে গেছে কোন ফাঁকে। পশ্চিমের আকাশে লালিমা মেখে সন্ধ্যা নেমে এসেছে টুপ করে। এক মন তৃপ্তি নিয়ে পূবের দিকে বাড়ির পথে ধরলাম কাছিম বেগে অলস পায়ে।

বি.দ্র. লেখাটি ২৯।০১।২৩ তারিখে 'হাল ফ্যাশন' অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয়েছে। https://www.haal.fashion/food/7puhn8b4ac

-ডঃ রিম সাবরিনা জাহান সরকার
মিউনিখ, জার্মানি



মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৪১

সোনাগাজী বলেছেন:



জার্মান জাতি মনে রাখবে ম্যারাথনে এক বাংগালী নারীও ছিলো; ওরা ছবি তুলেছে তো?

পিজ্জার ( লার্জ ) ডাম ডলারে কত হবে?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৪৪

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: ছবি তোলার ব্যাপারে এখানকার লোকজনের উৎসাহ কম। আমি নিজেও মুখচোরা ধরনের। তাই আগ বাড়িয়ে ছবির কথা বলাটা মাথায় আসে নি।
বড় পিজ্জা বোধহয় এই ৯-১০ ডলার।

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:৩৪

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: পিজা আমার পরিবারে খারারের শুন্য স্থান পূরণ করার মত, প্রায় প্রতি সপ্তাহেই এক স্লাইস খাওয়া হয়।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৪৯

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: আমারও অবস্থা কাছাকাছি। এক কি দু সপ্তাহ অন্তর অন্তর এই পিজ্জা হাউসে হানা দেয়া হয়।

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:১৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এই জীবনে এখন পর্যন্ত একবারই পিজ্জার স্বাদ নিয়েছি, ভালো লাগেনি।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৫৪

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: ইচ্ছে করছে অনুরোধ করতে যে আরেকবার ভাল কোনো রেস্তোরাঁয় গিয়ে দ্বিতীয়বার ট্রাই করে দেখবেন।

৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:০৭

নয়া পাঠক বলেছেন: সকাল বেলায়ই এমন মজার একটা গল্পের স্বাদ আপনার বহুকাঙ্খিত লার্জ সাইজের পিজ্জাকেও হার মানিয়ে গেল। এক নিঃশ্বাসে প্রায় গোগ্রাসে গিলে নিলাম সবটুকু। কিন্তুক মরিচের সস বিছিয়ে দেওয়া পিজ্জার ছবি না দেখে হতাশ হলাম।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:০২

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: আপনার মজার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। শুরুর ছবিটাতেই কিন্তু মরিচের সস বিছিয়ে দেওয়া পিজ্জা দেখা যাচ্ছে। হয়তো ছবিতে ঝালের লেভেলটা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।

৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: চট্টগ্রামে একটা রেস্টুরেন্ট আছে। নাম "সেইন্ট'স ক্যাফে" । ঐটার পিজ্জা আন্তর্জাতিক মানের । কখনো চট্টগ্রাম আসলে আপনাকে সেখানে পিজ্জা খাওয়ার দাওয়াত রইল। পোস্টটি সত্যি উপভোগ করেছি।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:০৫

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: অবশ্যই এবং অবশ্যই যাবো এবং খাবো। পড়ার জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ নেবেন।

৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: পিজা আমার কেন জানি পছন্দ হয় না।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:১৫

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: সব খাবার কি আর সকলের পছন্দ হয়? আমার যেমন ভর্তা ভাল লাগে না। পান্তা ভাতে স্বাদ পাই না , আরো কত কি।

৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:১৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
পিজ্জার আমার বেশ পছন্দের। আপনার পোস্টটাও বেশ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:২১

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: আমারো খুব বেশি প্রিয়। সময় নিয়ে পড়ার জন্যে কৃতজ্ঞতা।

৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৫৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: পিজার চেহারাটা তেমন রসালো নয়, তবে আপনার বর্ননা রসালো হয়েছে। ভাল লেগেছে পড়তে। +++++++

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:২৩

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: আর আপনার সরেস মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.