![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার ফেইসবুক id তে যোগাযোগ করুন। https://www.facebook.com/rinjurock2009?ref=tn_tnmn
আমি বাক্যহারা,স্তব্ধ। দু চোখের জল ধরে রাখতে পারছি না, দামিনী কে মনে আছে আপনাদের? তার মৃত্যু,দুখখিত ধর্ষণের পর অপমৃত্যুর পাঁচ মাসও কাটেনি,তারই মধ্যে সারা শরীরে সংক্রমণ নিয়ে এইমসের শয্যায় এ বার মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে পাঁচ বছরের শিশু। কি দোষ ছিল বাচ্চা শিশুটির??
১ সে যথাযত জামা-কাপড় পরেনি?
২ বাজে-বখাটে ছেলেদের সাথে রাত-বিরেতে ঘুরছিল?
৩ খারাপ অঙ্গভঙ্গি করছিল??
না,এদের কোনটাই নয়,কারণ হলো সে মেয়ে। হা,এটাই চরম বাস্তব,দেশ এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমরা পরে আছি,মধ্যযুগের অন্ধকারে।
ঘটনার সূত্রপাত পাঁচ দিন আগে। গাঁধীনগরের বাচ্চা মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার বাড়ির লোক থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নথিভুক্ত করেনি। বলেছিল, আশেপাশে খুঁজে দেখুন।
গত কাল মেয়েটিকে তারই বাড়ির একতলার একটি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়
তাঁদেরই এক প্রতিবেশী যুবক বাচ্চা মেয়েটিকে চার দিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে সেখানে। মেয়েটির সারা গায়ে ক্ষতচিহ্ন, কালশিটে। ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে এ বার আবার থানায় গেলেন বাবা-মা। অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের বলল, “মেয়েকে জীবিত অবস্থায় ফিরে পেয়েছেন! এই যথেষ্ট।” সাধারণত পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ক্ষেত্রে মেয়েটির বাবা-মায়ের হাতে পুলিশই গুঁজে দিল ২০০০ টাকা ঘুষ!
প্রথমে একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শিশুটিকে। সেখানকার চিকিৎসক আর কে বনশল জানিয়েছেন, মেয়েটির গলাতেও কালশিটের দাগ। চিকিৎসকদের সন্দেহ, ধর্ষণের পর তাকে গলা টিপে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল। বনশল বলেন, “গায়ে হাত দিলেই যন্ত্রণায় ককিয়ে উঠছিল শিশুটি। অ্যানাস্থেসিয়া করে পরীক্ষা শুরু করি। আর তাতেই শরীর থেকে পাওয়া গেল মোমবাতি, ২০০ মিলিলিটারের তেলের বোতল।” পাকস্থলীতে সংক্রমণের জন্য খাবারও দেওয়া যাচ্ছে না। চিকিৎসক-জীবনে এত ভয়ানক অভিজ্ঞতা আগে কখনও হয়নি, বলছেন বনশল।
আমি আর লিখতে পারছি না,বাস্তবের দিকে তাকিয়ে দেখুন, কবে বদলাবে দেশ?
news link
আমি ফেইসবুক এও ঘটনাটা নিয়ে লিখেছি,পড়ে দেখতে পারেন।
©somewhere in net ltd.