![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার ফেইসবুক id তে যোগাযোগ করুন। https://www.facebook.com/rinjurock2009?ref=tn_tnmn
{সতর্কীকরণ:কিঞ্চিত ১৮+ মনে হতে পারে।নিজ দায়িত্বে পড়বেন।}
প্রিয়াঙ্কার ঘোমটা টা সরিয়ে সবে গালে একটা চুমু দিতে যাবে সৌভিক,এমন সময়ে তারস্বরে খাটের তলা থেকে অ্যালার্ম বেজে উঠলো।সৌভিক চমকে উঠেছে। এটা নির্ঘাত ওই চ্যাংড়া মামাতো ভাইগুলোর কাজ।
মহা জ্বালা তো!পাঁচবছর চুটিয়ে প্রেম করার পর ফুলশয্যার রাতে যদি চরম মুহুর্তের শুরুতে অ্যালার্ম বাজে তবে কার না মাথা গরম হয়?দূর ছাই,বিকট আওয়াজটা থামেও না..
বাধ্য হয়ে সৌভিক অ্যালার্ম ঘড়িটা খুঁজতে খাট থেকে নামতে যাবে,পায়ে যেন কিসের একটা ছোয়া লাগল। চমকে উঠে দেখে খাটের তলায় একটা লিকলিকে কালোমত প্যাংলা লোক শুয়ে শুয়ে আরমোরা ভাংছে। প্রিয়াঙ্কা লজ্জা পেয়ে আবার ঘোমটা দিয়ে দিলো।
-“এই তুই কে রে?”
লোকটা পাত্তাও দিল না,উল্টে এদিক ওদিক চাইতে লাগল।
-“ওয়ে,কি এদিক ওদিক তাকাচ্ছিস?কে তুই?বিয়ে বাড়িতে দেখেছি বলে তো মনে হয় না।”
লোকটা সৌভিকের দিকে একটু অবাক হয়ে তাকিয়ে বলল,“আমাকে বলছেন?”
প্রিয়াঙ্কা ভয় পেয়ে সৌভিককে জড়িয়ে ধরে বলে, “চোর নাকি গো?বাবাগো বাঁচাও! কি সব্বোনেশে জায়গায় শশুরবাড়ি! ফুলশয্যার ঘরে চোর!”
“উফ!তুমি একটু চুপ করো তো,লোকটা কে সেটা জানতে হবে না,চেঁচিও না!” সৌভিক গজগজ করে উঠলো!
লোকটা খাটের তলায় কি যেন খুঁজছিল,হঠাত একটা লাল বলের মত জিনিস পেয়ে ডুকরে কেঁদে উঠলো।
-“তুমি আমাকে চুপ করতে বলছ,আর এই দেখো লোকটা ধরা পড়ে কাঁদছে!”
-“ঠিক ই বলেছ,চোর ই মনে হচ্ছে,এই তুই কে রে বেটা?নাম বল নয়তো পেদিয়ে বাপের নাম খগেন করে দেব!”
প্রিয়াঙ্কা,“ইশ!কি ভাষা তোমার,ছি!”
-“ধুর,চোরের সামনে আবার ভাষা!” সৌভিক স্বগতোক্তি করে উঠলো।
লোকটা এতক্ষণ কপাল চাপড়াচ্ছিল,হঠাত ঝেঝিয়ে উঠলো, “আমাকে চোর বলবেন না,আমি চোর নই,আমি চুমু!”
-“চর নয়তো তুই এখানে কি করছিস?আর কি নাম বললি,চুমু? একি অশ্লীল নাম,মেয়েমানুষের সামনে মুখ সামলে কথা বল,নয়তো....”
-“নয়তো কি?আপনি আমার একটা লোম ও ওপরাতে পারবেন না।আমি কে জানেন?আমি কামদেবের চ্যালা...টেরনিং নিচ্ছি!”
হাসি তে ফেটে পড়ল সৌভিক!লোকটা বলে কি?
-“কি নিচ্ছিস?টেরনিং?কামদেব এর চ্যালা? পেঁয়াজী মারা হচ্ছে এখানে?(প্রিয়াঙ্কার দিকে তাকিয়ে) ওগো,মোবাইল টা দাও তো..থানায় একটা ফোন করি।”
-লোকটা হঠাত আবার হাপুস নয়নে কাঁদতে শুরু করে দিলো..
-“না বাবু ওই কাজটি করবেন না..ভুল হয়ে গেছে...”
-“এখন আর কেঁদে কি হবে বাছাধন! আচ্ছা নাম বল তো..কি করছিস এখানে?”
-“আগ্গে,আমার নাম তো আগেই বলেছি,চুমু...!”
-“আবার ই আরকি হচ্ছে?”
-“না বাবু,সত্যি সত্যিই আমার নাম চু-মু !”
প্রিয়াঙ্কা এতক্ষণ চুপ করে ছিল,এবারে বলে উঠলো “এ আবার কি নাম?”
-“আগ্গে,কামদেবের পাঠশালায় সবার ই ছদ্দনাম থাকে!”
-“হুম,সেত বুঝলাম,কিন্তু এই কামদেব টা আবার কে?তার ট্রেনিং এর ই বা কেমন ছিরি,অদ্ভূত সব নাম নিতে হয় সেখানে পড়তে গেলে?” সৌভিক কৌতুহলী হয়ে প্রশ্ন করে।
-“ফুলশয্যা করছেন, আর কামদেব কে চেনেন না? রতিদেবীর হাজব্যান্ড..”
-“মানে ওই মদন দেবার কথা বলছিস?”
-“চুপ চুপ..ওই ডাকনামটা শুনলে গুরুজি রেগে যাবেন!”
-“উরি শালা!তা তুই এখানে কি মতলবে?”
-“আগ্গে,আমি হলাম গিয়ে ওনার চ্যালা,বিয়ের প্রথম রাতে বর-বৌএর মধ্যে রোমানস ঢেলে দি! বিয়ের পর ক’বার দুষ্টুমি করবেন,কটা ইয়ে হবে সে সব আমরাই ঠিক করে দিই!”
-“চুউপ!ধরা পড়ে এখন গল্প ফাঁদা হচ্ছে?প্রিয়াঙ্কা..মোবাইল টা...”
-“না না,মিথ্যে না,আমি পোমান দিচ্ছি...”
বলে লোকটা লাল বলটা হঠাত করে গিলে ফেললো! আর একি!গিলতেই গায়েব!প্রিয়াঙ্কা চমকে উঠে সৌভিক কে জাপটে ধরলো।
সৌভিকেরও বেশ ভয় ভয় করতে লাগল,এই ছিল,এই নেই! একি,লোকটা আবার কথা থেকে উদয় হলো?”
প্রিয়াঙ্কা ভয়ে ভয়ে বলল-“এই,তুমি এক্ষুনি কোথায় গিয়েছিলে?”
-“আমি কোথাও যাই নি,একটু আগেও এখানেই ছিলাম,এখনো এখানেই আছি,কিন্ত আপনারা দেখতে পাচ্ছিলেন না...কেউ ই পায়না আমাদের দেখতে...কিন্তু আমার ঘুমটাই এবার সব্বোনাশ দেকে আনলো!”
-“ঘুম!”
-“হ্যা,ঘুম!আজ রাতে আমার খালি এখানেই ডিউটি ছিল।এসে দেখি,আপনারা ঘরেই ঢোকেননি..তো,আমি ভাবলাম কি যে একটু ঘুম দিয়ে দিই।কিন্তু ঘুমের ঘোরে অ্যালার্ম ঘড়িতে ম্যাজিক করতে আর মুখে বল দিতে ভুলে গেছিলাম,তার পর যা হবার হলো...”
-“হাহাহা।তুই তো একদম সরকারী কেরানি রে!দাঁড়া তোর কামদেব বাবাকে রিপোর্ট করছি।ডিউটি তে এসে ঘুম!”
লোকটা নাম শুনেই সৌভিকের পা টা জাপটে ধরলো-“না বাবু না,এত বড় সব্বোনাশ করবেন না!চাকরি চলে গেলে বউ-বাচ্চা নিয়ে পথে বসতে হবে..”
-“এই এই কি করছিস?ছাড় ছাড়...পা ছাড় বলছি,আমার ধুতি খুলে যাবে যে,,,”
সৌভিক পা থেকে লোকটার হাতটা ছাড়িয়ে নিতে গেল কিন্তু চুমু পা ছারেই না!জাপটে ধরে আছে। সৌভিক হুটোপুটি করতে গিয়ে খাট থেকে পরেই গেল। কোমর এতে খুব লেগেছে,উঠে দেখে কোথায় কি? কোথায় প্রিয়াঙ্কা,কোথায় চুমু? চাদর পায়ে জড়িয়ে খাট থেকে পড়ে গেছে।
মা ছুটে এলেন।
-“ও বাবা,এ কি অলুক্ষুনে কান্ড..বিয়ের দিন পড়ে গেলি!পা ভাঙ্গলো নাকি,বাছা?”
আর পা!!স্বপ্ন টা জম্পেশ ছিল,সেটাই ভেঙ্গে গেল!অবশ্য মন খারাপ করে লাভ নেই। আজকে বিয়ে, ফুলশয্যা হতে আর দুদিন তো মতে বাকি!তার পর ই তো ও আর প্রিয়াঙ্কা...তবে এবার রিয়েল টাইম এ ঘরে ঢুকেই খাটের তলাটা চেক করে নিতে হবে...বলা তো যায় না....সৌভিক আপন মনে হেসে উঠলো।
২০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
অরিন্জয় বলেছেন: মহাশয়,কমেন্ট করলেন তো করলেন,এরকম ই করলেন?? একটু রিভিউ দিন!!
২| ২০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪
মাক্স বলেছেন: হা হা হা
গল্প ভালো হয়েছে!
২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ৭:৪০
অরিন্জয় বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯
বাংলার হাসান বলেছেন: কমেন্ট করলাম।