![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেসবুকে আমি www.facebook.com/ripon.ishi
১ ঘন্টা ধরে পার্কের বেন্সটিতে বসে আছে নীলা।
প্রতিদিনের মতো আজও শফিক দেরি করছে। প্রচন্ড রাগ হচ্ছে নীলার।
মোনা প্রায়ই নীলাকে বলতো,
"কি আছে শফিকের মধ্যে?
ক্ষ্যাত একটা ছেলে, জীবনে তো একটা গিফটও দিলো না,
কোথাও ঘুড়তেও নিয়ে গেলো না। কেনো ছেড়ে দিচ্ছিস না ওকে"?
নাহ্... এভাবে আর চলছে না। আজ একটা সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।
নীলা আজ ঠিক ছেড়ে দেবে শফিককে..
হাপাতে হাপাতে নীলার পাশে এসে বসে শফিক।
শফিক : ইয়ে, মানে.. রাস্তায় অনেক জ্যম ছিলো আজ।
রাগ কোরো না প্লিজ...
নীলা : প্রতিদিনি তো জ্যাম থাকে, একটু আগে বের হতে পারো না?
শফিক : তুমিতো জানোই টিউশনিটা শেষ করতে করতেই দেরী হয়ে যায়।
নীলা : তুমি আবার এই শার্টটা পড়েছো ?
তোমাকে কতবার বলেছি, এই নোংরা শার্টটা গায়ে দিয়ে আসবে না..
একটা শুকনো হাসি দেয় শফিক। যার কোনো অর্থ হয় না..
শফিক : আমার পরের টিউশনিটার সময় হয়ে যাচ্ছে, যেতে হবে।
আবার রেগে যায় নীলা...
নীলা : তোমার টিউশনি তো ২ টায়, এখন ১.১৫ বাজে।
শফিক : হেটে যাবো তো, এখান থেকে ৩০ মিনিটের মতো লাগবে।
হঠাৎ মনটা খারাপ হয়ে যায় নীলার।
এই প্রচন্ড রোদের মধ্যে ৩০ মিনিট পথ হেটে যেতে হবে শফিক কে,
ভাবতেই চোখের কোনায় জল চলে আসলো নীলার। কিইবা করার আছে?
এই টিউশনি করেই পড়ালেখা, নিজের চলার খরচ যোগাতে হচ্ছে শফিককে।
নীলা ব্যাগ থেকে একটা ১০০ টাকার নোট বের করলো তারপর
শফিকের নোংরা শার্টটার পকেটে ঢুকিয়ে দিয়ে বললো
"হেটে যাওয়ার দরকার নেই, রিকসা করে যেও"
শফিক কোনো বাক্য ব্যয় না করে হাটা দেয়।
নীলা আজও পারলো না,
পারলো না শফিকের মতো ক্ষ্যাত ছেলেটাকে ছেড়ে দিতে।
আর কখোনো পারবে বলেও মনে হয় না।
মায়া পড়ে গেছে !!
যা মুছে ফেলার সাধ্য নীলার নেই;
এই জগতের কারোরি নেই।
Shahedul Hasan
২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৪
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।
শুভকামনা ।।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩
ইয়াশফিশামসইকবাল বলেছেন: পুরাই হুমায়ুন আহমেদ ের নকল