নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

খাল বিল, নদী দখল হয়ে যাচ্ছে, নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পরিবেশ হারিয়ে যাচ্ছে অনেক কিছু

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫০

দখল হয়ে যাচ্ছে খাল, বিল, ঝিল, হাওর, জলাশয়। আর এতে বেচে থাকা অনেক প্রাণী, মাছ, উদ্ভিদ আজ বিলুপ্ত । ভরাট হয়ে যাছে নদী মাতৃক দেশের সব নদী। আগ আমাদের বাড়ির সামনের বিলেই পাওয়া যেতো লালা শাপলা ফুল। গত ৫বছর ধরে এইখানে আর তা দেখিনা। সাদা শাপলা কম হলেও চার প্রকারের ছিলো। যদিও নাম জানিনা। এখানে অনেক জেলে নিজের মতো মাছ মারতো। ছোট ছোট মাছ আর এখন আর খাল বিলে পাওয়া যায় না। সব চাষ করা হাইব্রিড। , আসুন দেখি আমরা কি কি হাড়িয়ে ফেলেছি।
১) শাপলা শালুক, ভেট, ==আগের নিচু জমিতে, খালে, বিলে শাপলা পাওয়া যেতো। আর এই শাপলা ফুলের যেই ফলের আকারে জন্মায় তাকে স্থানীয় ভাষায় ভেট বলে। ভেটের বিজ দিয়ে খৈ হয়। আর এটি অত্যন্ত সুস্বাদু খাদ্য। এখন সব খাল বিল ভরাট করে ইটের ভাটা, বিভিন্ন মিল কারখানা হয়ে যাওয়ায় পানি হয়ে যাচ্ছে বিষাক্ত। আর এই পানিতে জলজ উদ্ভিদ নষ্ট হয়ে মরে যাচ্ছে।


২)বিলীন হয়ে যাওয়া দেশী মাছ, = বাজারে এখন অনেক প্রজাতির মাছ খোঁজে পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও তা আর দেশি নাই। চাষ করা। আর নদীর অনেক মাছ ই এখন বিলুপ্ত প্রায়।
এক সময়ের অতি পরিচিত দেশী প্রজাতির মাছ বিশেষ করে মাগুর, চাপিলা, শিং, পাবদা, টাকি, রুই, কাতল, মৃগেল, চিতল, রিটা, গুজি আইড়, , কৈ, বোয়াল, খৈলসার মতো সুস্বাদু দেশীয় মাছগুলো এখন আর তেমন দেখা যায় না। ফলি, বামাশ, টাটকিনি, তিতপুঁটি, আইড়, গুলশা, কাজলি, গাং মাগুর, চেলা, বাতাসি, রানি, পুতুল, টেংরা, পাবদা, পুঁটি, সরপুঁটি, চেলা, মলা, কালোবাউশ, শোল, মহাশোল, গোঙসা, রায়াক, রয়না, বাতাসি, বাজারি, বেলে প্রভৃতির প্রায় ৬৫ প্রজাতির মাছ নদ-নদীতে পাওয়া যেত। এর মধ্যে কিছু মাছ পাওয়াই যায় না।
বিলুপ্ত হওয়া প্রজাতিগুলোর মধ্যে রয়েছে নান্দিনা মাছ, মহাশোল, পাঙ্গাশ, রাণী, পান, রিটা, খলিসা, বৈচা, ফলি, পাবদা, চেং মাছ, বাঘাইর, সিলন, লাচু, এলগনা, গলদা চিংড়ি, টাকামাছ, কুচিয়া, নাপিত, তেলো টাকি,, তারাবাইম, দারকিনা , ভেটকি মাছ, রাঘা বা ঘাওরা মাছ, , কাকিলা বা কাইক্কা মাছ ইত্যাদি।


কাইক্কা বা কাকিলা মাছ


৩)নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ, জলজ প্রাণী বিলুপ্ত হচ্ছে বিলুপ্ত হচ্ছে পানিতে থাকা অনেক প্রাণি। গুই শাপ, সহ ব্যাঙ, আর নানান প্রজাতির সাপ, ।

৪স্বাধীন জেলে পেশা আগের দিনে যারা একেবারে গরীব ছিল। তারা নদীতে, খালে বিলে।মাছ ধরে জীবন নির্বাহ করতো। কারন সেখানে মাছ ধরলে কারো অনুমতি লাগে না। টাকা দেয়া লাগে না। জলাশয় থাকে মুক্ত। আর মাছ থাকে সব দেশী। তাই তারা মাছ মারতো আর বাজারে বিক্রি করতো। খাল বিল দখল হয়ে যাওয়ার পর এসব আর নাই। মাছে ভাতে বাঙ্গালি হলেও, হলেই দেশী মাছ কমে যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে আমাদের খাল বিলের সাথে বেচে থাকা অনেক পেশা।

৫( অনেক পাখি ওআজ বিলুপ্ত , বক, পানকৌড়ি, বালি হাস, আরো অনেক পাখি যারা খাল বিলে বাস করতো আজ আমরা আর তা দেখতে পাইনা। আমাদের কি করা দরকার ছিলো?


শহর গুলোতে বন্যা হয় দেখুন আপনার শহরে যে লেক গুলো ছিলো। খাল গুলো ছিলো। অনেক গুলো দখল হয়ে গেছে। আপনি কি মনে করেন না। যে পানি এই খাল, লেক ধরে রাখতো। সেই জল।কোথায় যাবে যখন সেই খাল বিল দখল হয়ে যাচ্ছে।
আপনি গ্লাসে তাকান এক গ্লাসে দুই মগ পানি ঢালুন। কি হবে? পানি উপচে যাবে। তো আপনার টেবিলে গ্লাস থাকলে পানি ঝড়বে টেবিলে পরে ঘরে। তেমনি আপনার শহরে লেক, খাল গুলো দখল হয়ে গেলে সেই পানি তো আপনার বাসার সামনেই আসবে। বন্যা হবে রাস্তায়।


কিছু ছবি দেখুন গুগল হতে

কৃষি জমিতে পানির অভাব দেখা দিচ্ছে,
অন্যদিকে গ্রাম বাংলার খাল হারিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের সেচ ব্যবস্থায় দেখা দিচ্ছে সংকট। সেচের অভাবে সঠিক সময়ে সঠিক ফসল ফলাতে পারছে না তারা। তাই খাল ধ্বংস হয়ে গেলে কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের কৃষি-অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়বে। যদিও এখন বিজ্ঞান অনেক এগিয়ে। পানি তোলার পাম্প আছে। তবে পাম্প দিয়ে কি সব সময় পানির চাহিদা পূরন হয়। অনেক এলাকা আছে পাম্প ৩,৪মাস পানি তুলতেই পারেনা। অনেক নিচে থাকার পরেও। আত সবাই কি পাম্প ক্রয়ের সামর্থ রাখে?

৭)ময়মনসিংহ তে নদীর পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে
মনপুরা নয়, মরাপুরা। বিলাইজুড়ি অথবা লাউতি। দারুণ সুন্দর সুন্দর নাম। মরাপুর খালের পানি মৃত। শুধু কী তাই? এ পানির রং রক্ত লাল, সবুজ।
ময়মনসিংহ: মনপুরা নয়, মরাপুরা। বিলাইজুড়ি অথবা লাউতি। দারুণ সুন্দর সুন্দর নাম। মরাপুর খালের পানি মৃত। শুধু কী তাই? এ পানির রং রক্ত লাল, সবুজ। লাউতির রং বেগুনি। এসবই ভালুকার খাল পানির বৈশিষ্ট্য।
ভালুকার নদীর নাম ক্ষীরু। এক সময় যার পানি ছিল মিষ্টি। সুপেয়। এখন বিস্তীর্ণ এ শিল্প বেল্টের পানির অপর নাম বিষের নহর। অপরিকল্পিত শিল্পায়নের ভয়াবহ পরিবেশ দূষণের আগ্রাসনে ভালুকা এখন রীতিমতো বিপর্যস্ত।

ময়মনসিংহের ভালুকায় শিল্পায়নের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় চলছে পরিবেশ দূষণ। শিল্পবর্জ্য ফেলে এখানে পরিবেশ দূষণ অব্যাহত রয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত শিল্পবর্জ্য স্থানীয় প্রকৃতি ও জীবন যাত্রায় বিরূপ প্রভাব ফেলছে।


ভালুকার ক্ষীরু নদীর পানির রং বদলে গেছে। বলতে গেলে ক্ষীরু এখন আলকাতরার নদী। ঘন জেলির মতো পানি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।

সূত্র মতে, গ্যাস ফ্যাক্টরি নিট ফেব্রিজ ফ্যাশন, টেক্সটাইল কটন, স্পিনিং ইত্যাদি নামের বিভিন্ন শিল্পগ্রুপের ৩৫টি কারখানাই অপরিশোধিত বর্জ্যরে উৎস। পাইপ লাইন, খাল, কৃষিজমি থেকে জলাশয়গুলোতে প্রবাহিত হচ্ছে দূষিত পানি। হবিরবাড়ির লাউতি খাল এখন বর্জ্য অপসারণের পাইপ লাইন।(বাংলা নিউজ ডট কম)

প্রকৃতির আশীর্বাদ হিসেবে পাওয়া যে নদীর এত দান, সেই নদীর প্রাণ কেড়ে নিতে চলছে যেন প্রতিযোগিতা। স্বাধীনতার আগে বাংলাদেশে নদ নদীর সংখ্যা ছিল সাত শরও বেশি, এখন তা ৪০৫টিতে নেমেছে। বেসরকারি সংস্থাগুলোর তথ্যে নদীর সংখ্যা আরো কমে ২৩০ টিতে নেমেছে। ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত ‘মিজানুর রহমানের ত্রৈমাসক প্রত্রিকা’র নদীসংখ্যায় বাংলাদেশ নদীর সংখ্যা ২৬০ থেকে ২৭০ টি বলে উল্লেখ রয়েছে। অর্থাৎ সাড়ে চার দশকে প্রায় পাঁচ শ’ নদী মরে গেছে, নদীপথের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ উভয়ই কমেছে। নদীর সঙ্গে কমছে নৌপথও

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
আজ থেকে ২০ বছর আগে অসংখ্য খাল বিল নালা ছিল। আজ কিছুই নেই। সব নষ্টদের দখলে চলে গেছে। তাই এখন আমাদের চাষের মাছ খেতে হয়।
সরকারের উচিত যথাযথ দায়িত্ব পালন করা। আসলে যাদের হাতে দায়িত্ব ওরাই তো চোর।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: প্রকৃতির আশীর্বাদ হিসেবে পাওয়া যে নদীর এত দান, সেই নদীর প্রাণ কেড়ে নিতে চলছে যেন প্রতিযোগিতা। স্বাধীনতার আগে বাংলাদেশে নদ নদীর সংখ্যা ছিল সাত শরও বেশি, এখন তা ৪০৫টিতে নেমেছে। বেসরকারি সংস্থাগুলোর তথ্যে নদীর সংখ্যা আরো কমে ২৩০ টিতে নেমেছে। ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত ‘মিজানুর রহমানের ত্রৈমাসক প্রত্রিকা’র নদীসংখ্যায় বাংলাদেশ নদীর সংখ্যা ২৬০ থেকে ২৭০ টি বলে উল্লেখ রয়েছে। অর্থাৎ সাড়ে চার দশকে প্রায় পাঁচ শ’ নদী মরে গেছে, নদীপথের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ উভয়ই কমেছে। নদীর সঙ্গে কমছে নৌপথও।

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আমার মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য।

গ্রামটির নাম চর লোহানিয়া । স্থানীয়রা বলেন, চর লৌনিয়া । আমি কখনো এ গ্রামে যাইনি । আমার জন্ম ওবং বেড়ে ওঠা শহরে । শুনেছি লোহানিয়া গ্রামে কোনো খাল বিল নেই। কিন্তু একসময় এগ্রামে খাল বিল পুকুরের অভাব ছিল। প্রচুর মাছ পাওয়া যেত।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: জি। আপনার গ্রাম কোন জেলায়??


আমরা যদি সবাই একদিন সচেতন হয়ে কলম ধরি। হয়তো আমরা বাকি বেচে থাকা নদীগুলো রক্ষা করতে পারবো

৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

করুণাধারা বলেছেন: অতি চমৎকার পোস্ট! জানিনা এই পোস্টে পাঠক সংখ্যা কম হলো কেন! তবে আমি খুবই মুগ্ধ হয়েছি- আপনার বিষয়বস্তু নির্বাচনে এবং তারপর চমৎকার ছবি সহ পোস্ট রচনে!

আসলে খাল বিল নদী ভরাট হয়ে যাওয়ার বিরূপ প্রভাব কেউ ভাবছে না, এটা একটা ভয়ঙ্কর ব্যাপার। আপনার এই পোস্টটা সচেতনতামূলক, অসংখ্য ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৪

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।।। আমাদের বাকি বেচে থাকা খাল বিল গুলো বাচাতে হবে

৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: পোষ্টটা সত্যিই বিস্ময়কর!
একসময় আমাদের বাড়ির সম্মুখ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালে নেমে নানান ধরনের মাছ ধরতাম।যেমন শোল,টাকী,শিং,মাগুর ইত্যাদি ইত্যাদি।কিন্তু আজ একযুগেরও বেশী সময় পর গিয়ে দেখি খালটার মরা মরা ভাব।কোন মাছ নেই তাতে।পড়ে আছে ময়লা আবর্জনা শেওলা।
এরপর বক,পানকৌড়ি,ঘুঘু পাখি,সহ অনেক ধরনের পাখির দেখা পেতাম,এখন সব বিলুপ্ত প্রায়।এখন টুনটুনি পাখিরও দেখা পাই না।
আহা! কি অপরুপ ছিল সেই সময়টা।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: শারস নামে একটা পাখি ছিলো আর দেখা যায়না। শকুন তো দেখিনা কত বছর ধরে

৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

Monthu বলেছেন: সাধারণের ভাবনার জায়গাটা তৈরি করে দিতে প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন। সামাজিক গণআন্দোলনের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। দখলদার এবং দূষণকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক কার্যকর শাস্তির বিধান রেখে আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। নদী এবং পানিসম্পদ রক্ষায় জনগণের করণীয় কী? এই বিষয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বার্ডকে গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা ও প্রকাশনা বের করতে হবে। নদী ও পানিসম্পদ রক্ষা করতে না পারলে আমাদের কী কী ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে তার সচিত্র প্রতিবেদন মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে। জনগণকে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করে কর্মসূচি প্রণয়ন ও পালন করতে হবে। আজকের এই পরিস্থিতিতে নদী দখল রোধ ও দূষণমুক্ত করতে হলে রাষ্ট্রকে কঠোর হতে হবে আইনের সঠিক প্রয়োগের ক্ষেত্রে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৭

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে

৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪

Monthu বলেছেন: বাংলাদেশ সুপেয় পানির এক অমূল্য ভাণ্ডার। পৃথিবীর মোট সুপেয় পানির ১৭% আছে বাংলাদেশে। এর যথাযথ ব্যবহার করে আমরা নিজেদের অনেক উন্নতি করতে পারি। অথচ এই সম্পদ ব্যবহারে কোনো উদ্যোগ বা পরিকল্পনা শাসক দলগুলোর নেই। আমাদের নদীগুলোকে দূষণমুক্ত করতে এবং পানিসম্পদকে রক্ষা করতে না পারলে আমাদের অবস্থা হবে হরাধনের ‘দশটি ছেলে’ গল্পের মতো। আমাদের নদীগুলো দিয়ে বছরে কী পরিমাণ পানি প্রবহিত হয়, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কত, পানিপ্রবাহ ও নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড়ের ধারণক্ষমতার ভারসাম্য কতটুকু, এই পানির কতটুকু সাগরে যায়, আর কতটুকু সেচ-গৃহস্থালি ও শিল্পকারখানায় ব্যবহার করি; নৌপরিবহনসহ মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও বিকাশের জন্য নদীর নাব্য কতটুকু প্রয়োজন, নদীভাঙন, বন্যা ও খরা রোধ করার জন্য কী করণীয়, ভূ-গর্ভস্থ পানির পরিমাণ কত, নদীগুলো দিয়ে কী পরিমাণ পলি আসে এবং সেগুলোর কী গতি হয় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সমন্বিত সমীক্ষার মাধ্যমে যে মহাপরিকল্পনার প্রয়োজন ছিল আজ পর্যন্ত তার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যেটা হচ্ছে তা অন্ধের হাতি দেখার মতো। তাৎক্ষণিক কিছু পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে যা দীর্ঘমেয়াদি পরিস্থিতির জটিলতাকে আরো বাড়িয়ে তুলছে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৯

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪

Monthu বলেছেন: এদিকে নদী দখলের প্রতিযোগিতা শুধু বড় বড় শহর, নগর, বন্দর, গঞ্জেই সীমাবদ্ধ নয় এর সীমা এখন সর্বত্র। দখলের ফলে প্রশস্ত ও খর¯্রােতা নদী অনেক জায়গায় খালে পরিণত হয়েছে বা দিক পরিবর্তন করেছে। আর এই দখলদারদের মধ্যে রয়েছে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, আমলা, ব্যবসায়ীসহ প্রভাবশালী মহল। এদের থাবা থেকে নদীগুলো বাঁচাতে হবে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৯

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

Monthu বলেছেন:
ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা ও ত্রিশালে ব্যাপক হারে শিল্পায়ন হচ্ছে। প্রতি বছরই যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান। বাড়ছে কর্মসংস্থান। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে শিল্পায়নের ফলে সৃষ্টি হচ্ছে নানা সমস্যা। ভারি ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান চলায় নষ্ট হয়ে গেছে গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাট। সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতার। কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে দুষিত হয়ে গেছে নদী-খাল-বিলের পানি। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় সরকারি বনের জমি দখল করে গড়ে উঠেছে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান। বাদ যাচ্ছে না স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিটে মাটিও।
বিএনপি নেতারা বলছেন, ক্ষমতায় গেলে দখল করা জমি উদ্ধার করে পরিকল্পিত শিল্পায়ন করবেন। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, আবার ক্ষমতায় গেলে ভালুকায় অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা করবেন তারা। ভালুকার বনভূমি ও পরিবেশ রক্ষায় পরিকল্পিত শিল্পায়ন গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের নেতারা। ময়মনসিংহে ভালুকা, ত্রিশাল, গৌরীপুর ও নান্দাইলে চার শতাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি এই বিষয়ে লেখার চিন্তা করছিলাম। জমি দখল। বাড়ি দখল।

৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮

Monthu বলেছেন: অপরিকল্পিতভাবে ময়মনসিংহের ভালুকা ও ত্রিশালে গড়ে উঠছে শিল্প প্রতিষ্ঠান। কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে দূষিত হয়ে গেছে নদী-খাল-বিলের পানি। অভিযোগ রয়েছে, সরকারি বনের জমি দখল করে গড়ে উঠেছে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান। বিএনপি নেতারা বলছেন, বনের জমি দখলে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা জড়িত। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, ক্ষমতায় গেলে ভালুকায় অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা করবেন তারা।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩০

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ

১০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

Monthu বলেছেন: লিংক

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৭

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেক তথ্য জানালেন

১১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহ! অপূর্ব । চমৎকার একটি পোস্ট পড়লাম , সঙ্গে ছবিগুলি ও মন ভরিয়ে দিল। শিরোনামে , হারিয়ে যাচ্ছে অনেক কিছু। পারলে একটু ঠিক করে নিন প্রিয় মামুন ভাই ।


শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয়

১২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: মামুন ভাই,
কাইক্কা মাছের প্রথম ছবিটা অনেক ভাল লেগেছে, এই মাছের ভাজা খেতে একটু বেশিই মজা লাগে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৫

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
গ্রামে আগে অনেক পাওয়া যেতো। এখন কমেযাচ্ছে। কবে যে একেবারে বিলিন হয়ে যাবে কে জানে

১৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩১

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: সবাইকে ভালোবাসা র সাথে ধন্যবাদ

১৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৮

নজসু বলেছেন:




খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট।

দুঃখজনক হলেও সত্যি চোখের সামনে দেখা জিনিসগুলো একদিন নাই হয়ে যাবে। :(

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩০

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: উন্নত দেশে শিল্প এলাকা আর কৃষি এলাকা আলাদা থাকে। আর বাংলাদেশে বসত বাড়ি যেনো বেশি সেই এলাকাতে তারা শিল্প এলাকা ঘোসনা করে দিয়েছে। এরা যে কি চায়।কার ভালো চায় বুঝিনা

।।

১৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: উন্নত দেশে শিল্প এলাকা আর কৃষি এলাকা আলাদা থাকে।
....................................................................................... সহমত
কিন্ত আমাদের দেশে লোক বেশী জমিকম
তাই ঘটছে উলট পালট সব

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩৬

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: হুম। আপনার কথাও ঠিক আছে।। তবে সিলেটে আমি দেখেছি। অনেন এলাকায় কয়েক মাইল কেন ১০০কিলোমিটার এও কোন মানুষ নাই। সরকার সেই সব বিরান ভুমিতে কেন মিল, ফেক্টরি গুলো কে সরিয়ে নেয়না? কারন আছে সেখানে মানুষ নাই কম দামে শ্রমিক পাওয়া যাবে না। আর যে এলাকায় মানুষ বেশি কম মূল্যে শ্রমিক পাওয়া যাবে এরা সেখানে যায়।

১৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০৪

রাকু হাসান বলেছেন:



এমন একটা টপিক নিয়ে লেখায় অভিনন্দন মামুন।ভাই ,খুব ভয়ানক অবস্থার দিকে যাচ্ছি আমরা :(

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৩

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়েছেন। সুন্দর মন্তব্য করলেন




তারা বলে যে দেশে শিল্প উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু তারা এটা বলেনা যে শুধু শিল্পপতি দের উন্নতি হচ্ছে। কেনো যে সব এলাকায় মানুষ কম, মানুষ বাস করেনা সেখানে শিল্প স্থাপনা করা যেতনা? বলুন? যেতো তারপরেও।।।।

১৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: গ্রামে গেলে আগে রাণী/নানী মাছ বলে একটা মাছ খেতে পারতাম, সম্প্রতি এটা বিলুপ্ত হয়ে গেছে প্রায়।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৫

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: হুম। নাপিত মাছ আর বাজারে পাওয়ায় যায়না।সিলেটে একটা মাছ আছে বাঘ মাছ। সেটাও প্রায় বিলুপ্ত। পাওয়া যায়। কম

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৬

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: শিল্প উন্নতি হচ্ছে। ধনী হচ্ছে শিল্পপতি রা। আর জমি হাড়াচ্ছে কৃষক

১৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:

শিল্প উন্নতি হচ্ছে। ধনী হচ্ছে শিল্পপতি রা। আর জমি হাড়াচ্ছে কৃষক

কঠিন একটি সত্য কথা বলেছেন।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৯

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ

১৯| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮

চাঙ্কু বলেছেন: বিলের মাছ কিছুদিন পরে যাদুঘরে গিয়ে দেখা লাগবে! :((

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২০

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: শুধু মাছ না। সুস্থ মানুষ ও। বিষাক্ত পানি। আর বিষ দেওয়া মাছ, খাদ্য খেয়ে সুস্থ মানুষ খুজে পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২১

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ঠিক বলেছেন।।।

২০| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: আব্দুল্লাহ্ আল মামুন ,




খাল বিল, নদী দখল হয়ে যাওয়ার কারনে হারিয়ে যাওয়া প্রানী বিশেষ করে মাছ ও উদ্ভিদের কথা লিখে ও ছবি দেয়াতে পোস্টটির গুরুত্ব বেড়েছে অনেকখানি । সময়োপযোগী একটি পোস্ট ।

তারপরেও আমাদের যদি একটু হুশ হতো !!!!!!!!

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৩

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আমাদের সরকার ইচ্ছা করলেই নদী পরিবেশ বাচাতে পারে। ভালুকা গাজিপুর, ময়মনসিংহ তে বাড়ি ঘর এর পাশে মিল ফেক্টরি না করে। যেখানে মানুষ কম বাড়ি ঘর নাই সেখানে করতে পারতো? কেন করেনা কে জানে।।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৫

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: মানুষ নদী এসবের ক্ষতি না করেও শিল্প উন্নয়ন করতে পারা যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.