নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেলিব্রেটি মাত্রই তার ভক্ত আছে। কারও বা বেশি, আবার কারোও বা কম। ভক্তদের নানান আবদারের কারণে অনেক সেলিব্রেটি কখনো-সখনো বিরক্ত হলেও মনে মনে কিন্তু তারা খুশিই হন। যে সেলিব্রেটির কাছে কোন ভক্ত কোন প্রকার আবদার করেন না, তার মতো অভাগা সেলিব্রেটি পৃথিবীতে নেই।
একটি কথা আমরা সকলেই কম-বেশি জানি যে, সেলিব্রেটিরা হলেন পাবলিক প্রোপার্টি। পাবলিক তাদেরকে সেলিব্রেটির মর্যাদা দেন বলেই তারা অন্যদের থেকে আলাদা। ফলে কোন সেলিব্রেটির ভক্ত সবর্দা সেই সেলিব্রেটির বিভিন্ন বিষয়কেই খেয়াল করে, আলোচনা করে, সমালোচনা করে।
সেলিব্রেটির পার্সোনাল লাইফে অধিকাংশ ভক্ত হয়তো সরাসরি ইন্টারফেয়ার করার ক্ষমতা রাখেন না। কিন্তু আলোচনা-সমালোচনা করার অধিকার তিনি রাখেন। কারণ তিনি যার ভক্ত, তাকে তিনি পাবলিক প্রোপার্টি বলেই অধিকার ফলাতে চান।
এতো ভূমিকার মূল কারণ হলো- সাম্প্রতি অভিনেত্রী সুমাইয়া শিমুর বিয়ে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেন বিরাট এক ঝড় বয়ে গেল। শিমু এ কাকে বিয়ে করলেন, বর দেখতে এমন কেন, শিমু শেষ পর্যন্ত টাকার লোভে এমন লোককে বিয়ে করলো- এরকম অসংখ্য বিষয় বিভিন্ন জনের স্ট্যাটাস বা কমেন্টে দেখা যায়।
পরবর্তীতে দেখা গেল, সেগুলো নিয়েই অনেক চিন্তাশীল ব্যক্তিবর্গরা অনলাইন নিউজ পোর্টাল বা নিজের ফেসবুকেই ইয়া বড় বড় প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখে একাকার করে ফেললো। ভক্তের লেখায় বর্ণবাদ প্রকাশ পেয়েছে, শিমুর নিজের জীবন সঙ্গীনী নিজে বাছাই করার ক্ষমতা রয়েছে, শিমুর কি পার্সোনাল লাইফ নাই- সহ অসংখ্য মতামত সম্বলিত লেখা পড়লাম। কিন্তু এতো কিছুর কি আদৌ কোন দরকার ছিল?
সেলিব্রেটিকে নিয়ে ভক্ত যা খুশি সেটাই বলবে, কারণ এটা তার অধিকার। সেই অধিকারের সে অনধিকার চর্চা করলো, কি না করলো, সেটা দেখার দায়িত্ব তো কাউকে দেয়া হয়নি? তবে কেন অহেতুক এই বিতর্ক?
একজন সেলিব্রেটিকে সর্বদা মনে রাখতে হয় তার ভক্তরাই তার টিকে থাকার থাকার মূল অনুষঙ্গ। যে সেলিব্রেটির ভক্তদের কোন ডিমান্ড নেই, তার হাতে কোন কাজও থাকে না। আর কোন কাজ না থাকলে তার সেলিব্রেটি ইমেজও থাকে না।
এটা ঠিক যে, উপমহাদেশের ভক্তরা এখনো অনেকটা ছেলেমানুষিকরে। কোন সেলিব্রেটি মারা গেলে তার জন্য আত্মহত্যার ঘটনা তো ভুরি ভুরি। যারা এসব উপদেশনামা লিখেছেন তারা কেউ মারা গেলে কি পরিবারের লোক ছাড়া কাউকে দুফোঁটা চোখের জল ফেলার জন্যও পাবেন? পাবেন না।
কিন্তু একজন বিখ্যাত সেলিব্রেটি মারা গেলে তার ভক্তরা যে কি পরিমাণ উন্মাদ হতে পারে সেটা চিত্রনায়ক মান্না মারা যাবার পর দেখা গিয়েছিল।
তাই একজন সেলিব্রেটিকে নিয়ে তার ভক্তরা আলোচনা-সমালোচনা করবে না তো, কি যদু-মধুকে নিয়ে করবে!
২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:২৭
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: চেহারা কোন ব্যাপার না। যার মন সুন্দর, যে সৎ চরিত্রবান তার চেহারা কাল হলেও সুন্দর।
৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:৩৩
রিফাত হোসেন বলেছেন: ভক্ত না, তবে উনি অভিনয় ভাল করতে পারেন, এটা বুঝি।
আর অভিনেত্রী শিমু তেমন আহামরী সুন্দরী নন কারণ চামড়া ফরসা মানেই সুন্দরী নয়, যা নিয়ে ভক্তরা চিন্তা করবে কার সাথে মানাবে কি মানাবে না।
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: চেহারা কোন ব্যাপার না। যার মন সুন্দর, যে সৎ চরিত্রবান তার চেহারা কাল হলেও সুন্দর। ++
তবে এটা ঠিক, সম্ভবত উনি স্ট্যাটাস চিন্তা করেই বিয়ে করেছেন। যদি প্রেম না করে থাকেন। প্রেমের ক্ষেত্রে রং স্ট্যাটাস কিছুই কাজ করে না।
আর বিয়ে না করে একজন একজনের চেহারা দেখে বা লোকের কথায় শুনে সুন্দর, যে সৎ চরিত্রবান বুঝাও যায় না।
তবে আমাদের অনধিকার চর্চা থেকে বিরক্ত থাকতে হবে। অত বড় সেলিব্রেটি না উনি, যেভাবে পোষ্ট করেছেন।
৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:২০
কোলড বলেছেন: Sorry but the groom is FUGLY!
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না!
'ভক্ত' হলেই কি ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে সমালোচনা করার অধিকার পেয়ে যাবে, কেউ তো আর তার ব্যাক্তিগত জীবন দেখে ভক্ত হয় নি, হয়েছে কাজ দেখে। সমালোচনাটা সেটার মধ্যে থাকাটই বাঞ্ছনীয়!
বাঙ্গালী সবসময়ই হীনমন্যতায় ভোগা একটি জাতি, সে নিজে কালো হয়ে কেন শিমুর মত বউ পেল না - এই আক্ষেপ থেকেই বোধহয় এই সমালোচনার জন্ম!