|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 

মোটরবাইক শেয়ার অ্যাপস "পাঠাও" ইতিমধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। রাজধানীর মধ্যে এই সার্ভিস এখন নারী-পুরুষ অনেকেই নিচ্ছেন। তবে তুলনামূলক ভাবে অর্থ ও সময় সাশ্রয়ী এই সার্ভিসটিকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে একশ্রেণীর রাইডার কাজ করছেন। এরা নিজেরা লাভবান হচ্ছেন, কিন্তু বিরূপ প্রতিক্রিয়া/ পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। আর পাঠাও কর্তৃপক্ষও আর্থিক ভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন, তেমনি তাদের সুনামও নষ্ট হবার হুমকি তৈরি হয়েছে।
"পাঠাও" রাইডারদের কমন একটি অভিযোগ হলো মোট ভাড়ার ২০% চার্জ হিসেবে পাঠাও কেটে নেয়। ফলে যেসব মোটরবাইকের মাইলেজ কম তারা স্বভাবতই চার্জের এই হারে অখুশি। এক্ষেত্রে আমার মতো অনেক যাত্রীকেই রাইডারদের একটি কন্ডিশনের কথা শুনতে হয়। সেটা হলো, পাঠাও অ্যাপসের বদলে কন্ট্রাক্ট বেসিস যেতে হবে। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে অন্য রাইডার খুঁজতে বলেন। এ পর্যন্ত চার ভাবে এ ব্যাপারটি আমার কাছে অ্যাপ্রোচ করা হয়েছে।
১. রাইডার এলেন, তারপর সরাসরি জিজ্ঞেস করলেন কোন প্রোমো কোড অ্যাকটিভ করা আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে পাঠাও অ্যাপসের মাধ্যমেই যাবেন, নতুবা কন্ট্রাক্ট বেসিস যাবেন। সেজন্য যে ভাড়াটি প্রথমে শো করে সেটির চেয়ে ১০/২০ টাকা বাড়িয়ে তারপর দামাদামি শুরু করেন।
২. রাইডার রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করে ফোনে সরাসরি বলেন যে তিনি অ্যাপসের মাধ্যমে যাবেন না। যদি যাত্রী রাজি হন তবেই তিনি আসবেন। নতুবা ক্যান্সেল।
৩. এই প্রকারের রাইডার বাইকে যাত্রী উঠানোর পূর্বমুহূর্তে বলবেন তার মোবাইলের ইন্টারনেট ডাটা বা চার্জ শেষ প্রায়। তাই যে ভাড়াটি অ্যাপসে প্রথমে শো করে সেটি থেকে ১০/২০ টাকা বাড়িয়ে ভাড়া দাবি করেন। এতে রাজি না হলে যা ভাড়া দেখায় সেটিই অন্তত দিতে বলেন।
৪. রাইড শুরু হয়েছে। দেড়/ দুই কিলোমিটার আসার পর রাইডার বাইক থামিয়ে বললেন অ্যাপস-ই তো চালু করিনি। তখন তিনি চালু করার ভান করে আবার অ্যাপসে দেখানো ভাড়াটি রাইডারকে দেখিয়ে বলবেন এই ভাড়াটি মনে রাখুন। আবার দেড়/ দুই কিলোমিটার আসার পর মোবাইল বের করে মোবাইল রিস্টার্ট দিয়ে বলবেন অ্যাপস চালুই হয়নি। মোবাইল হ্যাং করেছে। ফলে রাইড শেষ করে কিন্তু পূর্বে দেখানো ভাড়াটিই দিতে হয় যেহেতু অ্যাপসটি তো রাইডারে চালুই করেনি। অথচ যাত্রী নিয়েছে কিন্তু সে অ্যাপসের মাধ্যমেই। ২০% টাকা কমিশন বাবদ পাঠাওকে না দিয়ে মেরে দেবার জন্য এভাবে অ্যাপস চালু না করেই একশ্রেণীর রাইডার নিয়মিতই রাইড চালিয়ে যাচ্ছে। 
এখন কথা হলো রাইডার ও যাত্রীর সেতুবন্ধন হয়েছে পাঠাও অ্যাপসের মাধ্যমে। সুতরাং, সেটিকে এড়িয়ে চলাটা তো আসলে অসততা। বেড়াই যদি ক্ষেত রক্ষার বদলে ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় তখন স্বাভাবিক ভাবেই অসততার প্রশ্ন তো আসবেই। 
অনেক সময় যাত্রীরা নিজেদের প্রয়োজনেই কন্ট্রাক্ট বেসিস যেতে রাজি হন। কিন্তু মূল ভূমিকা তো রাখেন একজন রাইডার। তিনি যদি সৎ থাকেন তবে এই বিব্রতকর পরিস্থিতির তো উদ্ভব হয় না। বিষয়টা পাঠাও-এর একজন নিয়মিত যাত্রী হিসেবে আমার জন্য অন্তত বেশ বিব্রতকর। পাঠাও কর্তৃপক্ষ আসা করি এ বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেবেন।
প্রসঙ্গগত, উবারে যাত্রী বা চালক কেউ একজন ট্রিপ ক্যান্সেল করলেও হিস্ট্রিতে সেটি থেকে যায়, ফলে কমপ্লিন করার সুযোগ থাকে। কিন্তু পাঠাও-এ সেটি নেই। ফলে কোন যাত্রীরও সুযোগ থাকে না পরবর্তীতে কোন কিছু জানানোর।
আরেকটি বিষয় হলো, কেউ সাধারণত সব সময় অসৎ হতে চায় না। আমার মতে, পাঠাও যদি রাইডারদের কাছ থেকে এই চার্জ কমায় তবে এই সমস্যা আশা করি সলভ হবে। তখন অল্প কিছু টাকার জন্য এরকম অসৎ হওয়া মানুষের সংখ্যাও অনেক কমে যাবে।
 ৬ টি
    	৬ টি    	 +২/-০
    	+২/-০২|  ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭  দুপুর ২:৪২
০৩ রা আগস্ট, ২০১৭  দুপুর ২:৪২
টারজান০০০০৭ বলেছেন: আমাদের দেশের সব প্রোডাক্ট ও সার্ভিসের কোয়ালিটি কন্ট্রোলের জন্য কি করা যায় ? সব কিছুরই এমন অবস্থা ! প্রথম প্রথম ভালো , তারপরই লেজেগোবরা !
৩|  ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭  রাত ১০:৫০
০৩ রা আগস্ট, ২০১৭  রাত ১০:৫০
নেক্সাস বলেছেন: আমাদের দেশে কিছুই টিকেনা শেষ পর্যন্ত
৪|  ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭  রাত ১১:২৪
০৬ ই আগস্ট, ২০১৭  রাত ১১:২৪
আলিদুজ্জামান বিশ্বাস বলেছেন: কর্তৃপক্ষের উচিত রেট কমানো যাতে প্রথমে যাত্রী এবং রাইডার আকর্ষিত হয়। পরবর্তীতে চাহিদার উন্নতি-অবনতির দিক মাথায় এনে রেট বাড়ানো বা কমানো ব্যাপারটি আসতে পারে।
  ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭  রাত ১২:১৮
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭  রাত ১২:১৮
রিজভী বলেছেন: একমত।
৫|  ১২ ই আগস্ট, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৭:৩৪
১২ ই আগস্ট, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৭:৩৪
জাহিদ হাসান বলেছেন: পাঠাও এর মত টানাও,করাও, ঠেঙ্গাও সার্ভিস চাই!
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭  রাত ১:১১
০৩ রা আগস্ট, ২০১৭  রাত ১:১১
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: পাঠাও রাইডারদের কথা কি বলবো ৪ বার ৪ জনের সাথে কথা বলেও শেষ পর্যন্ত সিএনজি নিতে হয়েছে। এসব ফালতু রাইডারদের জন্য সেবাটির দুর্নাম হচ্ছে।