নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর ইতিহাসে, বাংলা ভাষায় সর্বপ্রথম টেলিভিশন চ্যানেলটির যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৬৪ সালের ২৫ শে ডিসেম্বর তারিখে ঢাকার ডিআইটি ভবনের অতি স্বল্প পরিসরে। পাকিস্তান টেলিভিশন হিসেবে শুরু হলেও, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পর একমাত্র রাষ্ট্রীয় এই টেলিভিশন চ্যানেলটি 'বাংলাদেশ টেলিভিশন' নামে চলমান।
১৯৭১ সালের উত্তাল মার্চে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ শুরু করেছিলেন তত্কালীন টেলিভিশন করপোরেশনে পাকিস্তান ঢাকার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী।
একাত্তরের, আগুন ঝরা মার্চের উত্তাল অসহযোগ আন্দোলন থেকেই টেলিভিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বীরোচিতভাবে অসহযোগ করেছিলেন। সবচেয়ে সাহসিকতার কাজ ছিল ২৩ মার্চ পাকিস্তানের জাতীয় দিবসে পাকিস্তানের পতাকা টেলিভিশনে প্রচার না করা। এটি ছিল অসীম সাহসিকতার দুর্ধর্ষ প্রকাশ।
২৩ মার্চ, ১৯৭১, সকাল। অফিস যাবার জন্য ঘর থেকে বেরিয়েছেন পাকিস্তান টেলিভিশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার কিংবদন্তী শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার। পথে দেখতে পেলেন দু’একটি সরকারি ভবন ছাড়া কোন বাড়িতে পাকিস্তানের পতাকা উড়ছে না। যেহেতু তিনি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ছিলেন, তাই সব অনুষ্ঠান তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী চলতো। সেদিন অফিসে গিয়ে, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে পাকিস্তানের পতাকা টেলিভিশনের পর্দায় সেদিন প্রদর্শিত হবেনা। ইঞ্জিনিয়ার সালাউদ্দিনকে একথা জানিয়েছিলেন তিনি। সে আমলে, রাত সাড়ে দশটায় অনুষ্ঠান বন্ধ করা হতো। কিন্তু তাঁর সিদ্ধান্ত ছিল, ২৩ মার্চ চ্যানেল বন্ধ হবে না। রাত বারোটার পরে আমরা অনুষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা আসবে। তাহলেই আর পাকিস্তানের পতাকা দেখাতে হবে না। উপস্থাপিকা মাসুমা খাতুন নির্ভয়ে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য একাত্ম হয়েছিলেন।
সেদিন রাতে সাড়ে নয়টা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত একনাগাড়ে বেজেছিল শিল্পী ফাহমিদা খাতুনের গাওয়া ‘আজ বাংলাদেশের হূদয় হতে কখন আপনি’ গানটি। রাত বারোটা এক মিনিটে অনুষ্ঠান ঘোষিকা মাসুমা খাতুন ঘোষণা করলেন, ‘এখন সময় রাত বারোটা বেজে এক মিনিট। আজ ২৪ মার্চ ১৯৭১। আজকের অনুষ্ঠানের এখানেই সমাপ্তি।’ ২৩ মার্চ ছিল পাকিস্তান দিবস। সেদিন ঢাকা টেলিভিশনে পাকিস্তানের পতাকা দেখানো হয়নি।
ছবিটি ষাটের দশকে তোলা ডিআইটি ভবন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সাথে যুক্ত এক ঐতিহাসিক স্থাপনা।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১২
তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য
২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কি যে সাহসী মানুষ তারা।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১২
তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: এই পর্ব টি তো আগে একবার পোষ্ট করেছেন।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১০
তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: না বড় ভাই,
এর আগে এটা পোস্ট করি নাই
৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাঁ শিহরণ জাগানিয়া
চমৎকার অজানা তথ্য,
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১২
তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য
৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০
শামচুল হক বলেছেন: ঘটনাটি জানা ছিল না জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১১
তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য
৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০৯
হাসান রাজু বলেছেন: রাত বারোটা এক মিনিটে অনুষ্ঠান ঘোষিকা মাসুমা খাতুন ঘোষণা করলেন, ‘এখন সময় রাত বারোটা বেজে এক মিনিট। আজ ২৪ মার্চ ১৯৭১। আজকের অনুষ্ঠানের এখানেই সমাপ্তি।’
শিহরনে শরীরের লোম দাড়িয়ে গেছে । অসাধারণ বুদ্ধিদীপ্ত চাল । স্যালুট ।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪
তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য
৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৬
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: চমৎকার তথ্য।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০৫
তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২২
আবু তালেব শেখ বলেছেন: অজানা কে জানা হল