নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে আমি কোন ব্লগার নই মন চায় তাই লিখি তথ্য-উপাত্ত সবার সাথে শেয়ার করি ।\nজব এর পাশাপাশি এয়ার টিকেট ও ট্রাভেল ভিসার ব্যাবসা করি ।\nধন্যবাদ\n

তানজীর আহমেদ সিয়াম

তানজীর আহমেদ সিয়াম

তানজীর আহমেদ সিয়াম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুড়ানো ( পর্ব ৩১ )-১৮ এপ্রিল, ১৯৭১

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩৮

১৮ এপ্রিল, ১৯৭১ সালের এদিন বিদেশের মাটিতে সর্বপ্রথম বৈদেশিক দূতাবাস ভবনের শীর্ষে পাকিস্তানের পরিবর্তে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উড়িয়েছিলেন কোলকাতায় অবস্থিত হাই কমিশনের ডেপুটি কমিশনার এম হোসেন আলী।

একাত্তরের মার্চে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলেও বাংলাদেশের সরকার গঠিত না হওয়ায় বিভিন্ন দেশে পাকিস্তানের দূতাবাসে কর্মরত বাঙালিরা বিদ্রোহের সুযোগ পাননি। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার ১৭ এপ্রিল তদানীন্তন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহুকুমার বৈদ্যনাথতলায় (মুজিবনগর), শপথ গ্রহণ করে।

সরকার গঠিত হবার পর শ্রদ্ধেয় কূটনীতিক এম,হোসেন আলীই প্রথম বীর, যিনি কূটনৈতিক ফ্রন্টে বাংলাদেশের পক্ষে লড়াইয়ে যোগ দেন। সেদিন কোলকাতার ডেপুটি হাই কমিশনে কর্মরত মোট ১০৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে বাঙালি ৬৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী পাকিস্তান পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য ঘোষনা করার ফলে মূহুর্তের মধ্যে পাকিস্তান দূতাবাস পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ মিশনে।

সেখানেই থেমে যাননি তিনি। বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ে কাজে লেগে যান তিনি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুজিবনগর সরকার হোসেন আলীকে ভারতে বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক নিযুক্ত করে। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের মানুষের জন্যে খাদ্য ও আশ্রয় নিশ্চিতের লক্ষ্যে ভারতের সরকারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করেন হোসেন আলী। মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতে প্রশিক্ষণের বিষয়েও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

মোহাম্মদ হোসেন আলী, ১৯২৩ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি পাবনা জেলার ভাঙ্গুরা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯৪৫ সালে লেখাপড়া শেষ করার পর হোসেন আলী ১৯৪৯ সালে পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগদান করেন। সত্তরের দশকে তাকে ভারতে পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়। হোসেন আলী ১৯৮১ সালের ২ জানুয়ারি ইন্তেকাল করেন।

তাঁর স্ত্রী বেগম ফয়জুন্নেছা আলী পাঁচ বছর পূর্বে ২০১৪ সালে মারা যান। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে কলকাতা উপ-দূতাবাসে যে পতাকা উত্তোলন করা হয় সেটি সেলাই করেছিলেন বেগম ফয়জুন্নেছা আলী ও তার দুই কন্যা জলি ও ইয়াসমিন। ওই পতাকা এখন ঢাকায় জাদুঘরে রক্ষিত আছে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ। ইতিহাসের এক প্রায় অজানা অধ্যায় তুলে ধরার জন্য !
আপনার তথ্যসূত্র জানিতে চাই। আপনি কি ব্যক্তিগতভাবে তাহাকে বা তাহার পরিবারকে চিনেন ?

১২ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:২৬

তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: দুক্ষিত
লিংক টা খুজে পাচ্ছি না :(

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: এই বিষয়টা আমার জানা ছিল না।

১২ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:২৬

তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: :(

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:০৫

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: একটা অজানা বিষয় জানা হল।

১২ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:২৫

তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: জানাতে পেরে আমি ধন্য :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.