নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাসেল মেহেদী পারভেজ। পরিচিত হতে: web.facebook.com/rmparves

র ম পারভেজ

স্বপ্নময় পথিক। দেখা, শোনা ও জানাগুলিকে ব্লগের পাতায় রেখে যেতে চাই।

র ম পারভেজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাফাত-সাদমানদের অপরাধের সমান অংশীদার এই রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার।

১৩ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২


ছবি সংগৃহিত

ভাবছিলাম কিছুই লিখবো না বনানির ধর্ষণ অভিযোগ নিয়ে; কোন লাভ হবে না এইসব নিয়ে লিখে-বলে, সারাদেশে প্রতিনিয়ত এরকম হাজারো ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। ।কিন্তু মনের ভেতরে শুধু এটিই অনুরণিত হচ্ছে এই ধর্ষণের দায় তো আমিও এড়াতে পারিনা; কারণ এই রাষ্ট্র, সমাজের বাইরে না আমি - যদি কিছু লিখেও নিজের দায়টুকু শোধ করতে পারি। খুবই সংক্ষেপে যদি বলতে হয় তবে শাফাত-সাদমানদের অপরাধের সমান অংশীদার এই রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার।
সংবিধানমতে রাষ্ট্র জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করবে, আইনের আশ্রয়লাভে সকলে সমান অধিকার লাভ করবে। কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা দেখলাম থানার ওসি বাবুকে অভিযোগ গ্রহণ করাতেই তিনদিন ব্যয় করতে হয়েছে অভিযোগকারীদের, তারপর আবার কথার মাধ্যমে পুর্নবার ধর্ষণ যে অভিযোগকারীরা দেহব্যবসায়ী কিনা!!! আর মামলাটি যখন আদালতে সাক্ষ্য-প্রমাণের জন্য উঠবে তখন নামি-দামি উকিলদের অশ্রাব্য শুনানির মাধ্যমে আরেকদফা ধর্ষণ হবে। রাষ্ট্র আইন ও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচারপ্রক্রিয়াকে এমন কঠিন করে রেখেছে যে ন্যায়-বিচার লাভ করা বর্তমানে এদেশে প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার। আর এইজন্যই ওসি মহাশয় ২২,০০০ টাকা বেসিকে সবমিলিয়ে ৪০,০০০ টাকাও যেখানে বেতন পান না সেখানে এক কোটি টাকা খরচ করে উত্তরা ক্লাবের মেম্বার হতে পারেন আর ধর্ষণের শিকার হয়েও সাধারণকে প্রমাণ করতে হয় যে তারা দেহব্যবসায়ী নন!!!
সমাজের দায় এখানে যে, এই সমাজ এখনও অসম্মতিকে সম্মান দিতে শেখেনি। না মানে না, এটা নিয়ে সমাজের কোন মাথা ব্যথা নেই কিন্তু রাতে কেন জন্মদিনের পার্টিতে মেয়ে হয়ে তারা গেলো তা নিয়ে খুবই সচকিত। কোন দেহব্যবসায়ীও যদি বলে না, তখন সেটা তার খদ্দেরকেও স্বীকার করে নিতে হবে কারণ সেই দেহের অধিকারীর পূর্ণ অধিকার আছে তার দেহের উপর।
অার পরিবারের দায় এখানে যে তারা তাদের সন্তানকে মূল্যবোধ শিখাতে পারেনি। শাফাত-সাদমানের পরিবার যেমন অপরাধী তাদের সন্তানদের বখাট্যতার জন্য তেমনি অভিযোগকারীদের পরিবারও দায়ী তাদের সন্তানদের সঠিকভাবে দেখাশোনা না করার জন্য। সোনাব্যবসায়ী বাবা তার চোরাচালানির অঢেল অর্থে সন্তানকে যেমন উচ্ছন্নে যেতে দিয়েছেন তেমনি অভিযোগকারীদের মা-বাবাও আধুনিকতার ঠেলায় সন্তানকে রাত-বিরাতে পার্টি করার সায় দিয়ে রেখেছেন।
সবশেষে শুধু এটুকুই আমার আশা থাকবে প্রমাণ সাপেক্ষে এই অপরাধের যথাযথ শাস্তি প্রদান করা হোক আর রাষ্ট্র, সমাজ আর পরিবারে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত হোক আর সঠিক অনুশাসনে সকলের জীবন চালিত হোক।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩

খালিদ১২২ বলেছেন: Sometimes money encourages to bad way

১৪ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:৩৪

র ম পারভেজ বলেছেন: :( :( :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.