নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্নময় পথিক। দেখা, শোনা ও জানাগুলিকে ব্লগের পাতায় রেখে যেতে চাই।
মহিমান্বিত্ব মাহে রমজান আমাদের মাঝে উপস্থিত, আল্লাহ আমাদের এই মাসের বরকত ও ফযীলতে অবগাহনের তৌফিক দান করুন। সংক্ষেপে দেখে নেয়া যাক পবিত্র কোরআনের আলোকে মাহে রমজানের বিভিন্ন বিধানসমূহ।
সূরা বাকারার ১৮৩ নম্বর আয়াতের মাধ্যমে রমজানের রোজা মুসলিমদের উপর ফরয করা হয়েছে।
[২:১৮৩] হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার।
পরবর্তী আয়াতেই অসুস্থ-সফরকালীন সময়ে রোজার বিধি-বিধান বিধৃত হয়েছে।
[২:১৮৪] গণনার কয়েকটি দিনের জন্য অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে, অসুখ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট দায়ক হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান করবে। যে ব্যক্তি খুশীর সাথে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণ কর হয়। আর যদি রোজা রাখ, তবে তোমাদের জন্যে বিশেষ কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে পার।
পবিত্র কোরআন যে রমজান মাসেই নাযিল করা হয়েছে তা ১৮৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে।
[২:১৮৫] রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা’আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।
১৮৭ নম্বর আয়াতে রোজাকালীন সময়ে হালাল এবং নিষিদ্ধ কার্যসমূহের বর্ণণা দেয়া হয়েছে।
[২:১৮৭] রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে, তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। আর যতক্ষণ তোমরা এতেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান কর, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেও না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ নিজের আয়াত সমূহ মানুষের জন্য, যাতে তারা বাঁচতে পারে।
আল্লাহ আমাদের সরল ও সঠিক পথে চলার এবং একইসাথে সকল অনাচার থেকে দূরে থাকার তৌফিক দান করুন (আমিন)।
২৯ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:১১
র ম পারভেজ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
২| ২৮ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:২২
বিজন রয় বলেছেন: ধর্মের বানী আজকাল কেউ মানতে চায় না।
২৯ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:১২
র ম পারভেজ বলেছেন: সত্যিই বলেছেন, ধর্মের চেয়ে অধর্মই এখন রাজত্ব করছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
কত সহজ করে বলা কোন জটিলতা বিহীন স্পষ্ট নির্দেশনা !
রমজান মোবারক হোক।