নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাসেল মেহেদী পারভেজ। পরিচিত হতে: web.facebook.com/rmparves

র ম পারভেজ

স্বপ্নময় পথিক। দেখা, শোনা ও জানাগুলিকে ব্লগের পাতায় রেখে যেতে চাই।

র ম পারভেজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

উন্নয়নের প্লাবনের সাথে সাথে সুইস ব্যাংকের ভল্টে বাংলাদেশিদের অর্থের বাড়-বাড়ন্ত!!!

০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:০০



২৯ জুন, ২০১৭ সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) দেশটির ব্যাংকগুলোর ২০১৬ সালের সামগ্রিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাতে দেখা যায়, বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে পাঁচ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা। এই অর্থ ভারত থেকে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থের প্রায় সমান। বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি আর ভারতের জনসংখ্যা ১৩০ কোটি। এই পরিসংখ্যান থেকে বাংলাদেশে দুর্নীতির মাত্রা ভালোই বুঝা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন প্রতিরোধ আইন কঠোর করায় বিশ্বব্যাপী এখন কালো টাকার প্রবাহ কমছে। এ কারণে সুইস ব্যাংকসহ বিভিন্ন দেশের সরকার ও ব্যাংক পাচারকৃত সম্পদের তথ্য সংশ্লিষ্ট দেশের হাতে তুলে দিচ্ছে। একইসঙ্গে সুইজারল্যান্ডের সরকার তাদের দেশে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের কর ফাঁকি দেওয়া অর্থ রাখার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব কারণে সুইস ব্যাংকে বিদেশিদের আমানতের পরিমাণ কমছে অার উল্টোদিকে বাংলাদেশিদের আমানতের পরিমাণ বাড়ছে ।

২০১৫ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকার পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা, ২০১৪ সালে ৪ হাজার ৪১৭ কোটি, ২০১৩ সালে ৩ হাজার ২৭৩ কোটি, ২০১২ সালে ২ হাজার ১৪ কোটি, ২০১১ সালে ১ হাজার ৩৪০ কোটি, ২০১০ সালে ২ হাজার ৭৩ কোটি, ২০০৯ সালে ১ হাজার ৩১৯ কোটি, ২০০৭ সালে ২ হাজার ১৩৯ কোটি, ২০০৫ সালে ৮৫৬ কোটি, ২০০২ সালে ২৭৫ কোটি, ১৯৯৯ সালে ৩৮৭ কোটি এবং ১৯৯৬ সালে ৩৩৭ কোটি টাকা ছিল সুইস ব্যাংকে।

বিএনপির ২০০১-২০০৬ শাসনামলের দুর্নীতি নিয়ে অনেক কালি খরচ হয়েছে। তাদের আমলে ২০০৫ সালে ৮৫৬ কোটি টাকা পাচার হয়েছে আর এই সরকারের আমলে ২০১৬ সালে ৫৫৬০ কোটি টাকা। গত কয়েক বছরে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে লুট হয়ে যাওয়া টাকা, সরকারের চলমান বড় বড় প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে যে ঘুষ আদান-প্রদান হয়েছে সেই ঘুষের টাকা, পণ্য আমদানি রফতানির ক্ষেত্রে আন্ডার ইনভয়েসিং অ্যান্ড ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে পাচার হওয়া টাকা যে সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত রাখা হয়েছে তা পাগলেও বুঝতে পারবে। সর্ষের ভিতরেই যখন ভূত তখন এসব বুঝতে পারবে না বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট, দুর্নীতি দমন কমিশন, এনবিআর, এটর্নি জেনারেলের অফিস। ফুটন্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত উঁনুনে পড়া-ই যেন এদেশের জনগণের অমোঘ নিয়তি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জয় বাংলা!


এগিয়ে যাচ্ছে দেশ! ১৩০ কোটির দেশৈর পাচারের সমকক্ষতা ১৬ কোটির!!!!!

পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়!!!!!!!!!!!

সুবোধ খালি পালীয়ে বেড়ায়! আইজদ্দিনের ঘরে খাবার নাই! পথ নারী ১০০ ট্যাকায় ইজ্জত বিলায়!!!!
এইসব ভাবলে কি চলে????

উন্নয়নের দলিয় চশমায় দেশের উন্নতি শৈনে শৈনে....

০২ রা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:২০

র ম পারভেজ বলেছেন: অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ, শীঘ্রই অর্থ পাচারে শীর্ষ স্থান দখল করবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.