নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রবাহূত

রবাহূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার শৈশব এবং জাদুর শহর। (দ্বিতীয় কিস্তি)

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০১

প্রায়ই একটা ঘটনা ঘটত, বিকাল কি সন্ধ্যায় ঘুম থেকে উঠলে বুঝতাম না, সকাল নাকি বিকাল। কতক্ষণ মাথাটা ভোম হয়ে থাকত। এমনই এক বিকেলে ঘুম থেকে উঠে দেখি আকাশে কি মেঘ! কি মেঘ! কি মেঘ!! গহন দেয়া একেবারে, ভোর কি সন্ধ্যা বোঝার উপায় নাই।এমন আচ্ছন্ন চারিধার। আমাদের ঘরখানা ছিল দোতলার টানা বারান্দার শেষ মাথায়, ঘর থেকে বের হয়ে বামে গেলেই বারান্দা শেষ, দু-তিন ধাপ সিঁড়ি নামলেই গাড়ীবারান্দা, গোল থাম বেয়ে একদিকে উঠে এসেছে বাগান বিলাশের বিশাল ঝাড়, ফুল ছিল কিনা আজ মনে নেই কিন্তু মেঘ ছিল আকাশে অমন মন কেমন করা মেঘ আর দেখেছি কিনা জানিনা, দিনটির কথা কেনই বা মনে পরে জানি না, তবে এখনো অমন মেঘ জমলেই সেই বিকাল কি সন্ধ্যা আমার মনে আসবেই। মানব জীবনের এই ত এক আক্ষেপ কোন কিছুর বিনিময়েও পাওয়া যাবে না এক দন্ড, কি এক পল, কি মুহূর্ত!

আকাশটা কি বিশাল ছিল, সবসময় ভাবতাম, যদি রাস্তার শেষ মাথাটায় একদিন পৌছাই নিশ্চয়ই আকাশটাকে ধরতে পারব। কাব্যি করলে বলতে পারি সে আকাশটা আজো অধরাই থেকে গেল। আকাশ অধরা থাকলেই কি বহু পথের শেষ দেখেছি। বহু কানা গলি, গলি ঘুপছি ঘুরে, সেই বায়ান্ন গলি, তেপান্ন বাজার এর ঢাকা আজ মেগা সিটি, এতে আপ্লূত হবার বিশেষ কিছু নেই, এ শুধুই জনমিতির খেল, ভানুমতির খেল। বড় ঈমাম্বারা, চামেরি হাউস, রোজ গার্ডেন, বড় কাটরা, ছোট কাটরা এগুলই শুধু ঢাকা নয়, সবচেয়ে বড় যা ছিল তা ঢাকার প্রান, বুড়িগঙ্গা। অনেক শহর দেখেছি, দেশে কিংবা বাইরে শহর গুলো কমবেশি কোন না কোন নদীর ধারে, যে গুলো খুব সতস্ফূর্ত শহর, আপন মনে বেরে গেছে, ম্যানহাটন এর মত গ্রীড আয়রন প্যাটার্ন নয়,( আড়াআড়ি আর দীঘলে চৌখুপি রাস্তাই হচ্ছে গ্রীড আয়রন প্যাটার্ন) কেতাবি ভাষায় স্পন্টেনেওয়াস গ্রউথ যাদের, নদীর ধার ঘেঁষে ঘেঁষে শহর চলেছে নদীও চলেছে শহর বেড়েছে, নদী তো বাড়েনি কিন্তু বেড়েছে নদীর নাব্যতা, নদীর রূপ, নদীর উচ্ছল যৌবন কে ধরে রেখেছে, কোটি কোটি মুদ্রার বিনিময়ে হলেও কারন এ নদীই যে শহরের প্রাণ। প্যারিসের “ ল্য সিন”, বারলিনের “ দ্য স্প্রী” ম্যানহাটন এর “হাডসন রিভার”, অ্যাস্টারডেমের “অ্যামস্টেল”, মস্কোর “ভ্লগা”, আগ্রার “যমুনা”, কত্ত শত নাম আসছে মনে কিন্তু হায় এমন করুণ হতশ্রী, হতযৌবন, নদ কোথাও কেউ দেখেনি, এমন নিকষ কাল জল, এত পঙ্কিল, এত অবহেলিত নদী দ্বিতীয়টি বুঝি এই পৃথিবীতে আর নেই। কিসের হেরিটেজ! কিসের ডিজিটাল!! কোন ভায়াগ্রাও কাজে দিবেনা আর! এ যৌবন গেছে চলে! কোন সঞ্জীবনী সুধাই বুঝি কাজ করবে না আর। এ ক্যামন ধারা মানুষ আমরা বুঝি না! শহর শুধু উত্তরেই যাচ্ছে, যেতে যেতে সেই ঠেকল কোথায় তুরাগে, নদী বাঁচলেই শহর বাঁচবে! এ সহজ উপপাদ্য। নদী বাঁচবে কিনা জানিনা, স্বপ্ন বেঁচে থাকবে কিনা জানিনা, স্মৃতিরা বেঁচে থাকবে, সেই মেঘ মেদুর বিকেলটির মত। কত জল জমা হয়ে ছিল, এ শহর টিকে নিয়ে, আজ কাজের ফাঁকে ফাঁকে এক খাড়ির দেখা পেয়ে তোরে ফুরে বেরিয়ে আসছে সব জল। এ শহরের আমি কেউ নই তবু এ শহর জানে আমার প্রথম সব কিছু! আমার হার জিত, আমার লড়াই, ফুট নোটে লিখা শেষ না হওয়া কবিতা, কান্না হাসির ফোঁড়ন, সব সব সব-কিছু, পালাতে চাই যত সে আসে আমার পিছু পিছু।

পায়ে পায়ে চলতে চলতে কখন যে এ শহর পৌঁছে গেছে খাদের কিনারে , কেউ বুঝেই উঠতে পারলাম না। নব্বই পর্যন্ত বেশ একটা শ্বাস প্রশ্বাস নেবার মত সচল ছিল। রিক্সা করে অনায়াসেই যে কোন কোথাও যাওয়া যেত, বেশ ফুর ফুরে মেজাজে। মানুষ ও ছিল ম্যানেজেব্ল নাম্বারে। তারপর কি যে হল, কেউ কিছু বুজবার আগেই একেবারে তলানিতে এসে ঠেক্লাম।কি অদ্ভুত!
টিয়া পাখি গুলো এখন কোন আকাশে ওড়ে!
সেই মেঘময় আকাশ দেখে কোন বালক-মন কি আর অবাক হয়!!
আকাশটা কোথায় গেলে আগের মত অতটা খোলা পাব যেখানে পথের সাথে মিশে গেছে!!!

দুর্বিনীত দালান সারির ফাঁক ফোঁকরে, কিংবা টেলিগ্রাফের তারে লটকে থাকে আদখানা আকাশ, মেঘ দল অলখেই চলে যায়। বালকের জানালায় মেঘ বুড়োরা আর ফেলেনা কোন ছায়া, রবীন্দ্র নাথ কি সান্টাক্লজ কাউকে খুঁজে দেখার মত জানালাই আর নেই এ পোড়া শহরে। আমদের ঘনটার পর ঘনটা কেটে যেত আকাশ দেখতে দেখতে, যেদিন স্কুল থাকতো না তাও ভোরে উঠে যেতাম, সেই গাড়ী বারান্দাটার সিঁড়িতে বসে আকাশ দেখতাম, হাতের টুথব্রাসের পানি শুকিয়ে জেত,কি যে ভাবতাম অত! আবার একটা তাড়া খেলে পরে ঢুকতাম টয়লেটে। চারখনা মরডান ব্রেড চ্যাপটা প্লেটে দুধ ঢেলে চিনি ছড়িয়ে দিতাম আর ডিম পোচ কি ডিম সিদ্ধ এই ছিল নাস্তা মা নেই বাবুর্চি মালেক ভাই কি খায়ের ভাই তাদের কাছেই হেঁশেলের ভার, এটা খাব ওটা খাব না, কোন সুযোগই নেই। তখনও বিমাতা ভয়ঙ্করী উপস্থিত নেই দৃশে, বাবা ব্যস্ত, পলিটিক্স বলে কথা! বড় ভাই, সূর্য সেন হল -বাসা যাওয়া আসা করেন, বড় দু বোনের বিয়ে হয়ে গেছে, মেজ ভাই যা একটু শাসন বারন করতেন, আর আমরা চারজন বিশেষত ছোট তিনজন তো বেশ স্বাধীন ভাবেই বড় হয়েছি! অত তো বিগড়ে যাইনি। নিজের মত হেসে খেলে বেড়ে উঠছিলাম, এর মাঝে এক উটকো বিপদ এসে হাজির, এক প্রাইভেট টিউটর, জানিনা কেন স্যার এর নাম দিয়েছিলাম আমরা স্যারমুখী স্যার কেজানে কি এর মানে! আমাদের পড়ার ঘরটা ছিল দেড় তলায়, সিঁড়ির ল্যান্ডিঙ্গে লাগোয়া আট বাই দশ একটি ঘর!দেয়াল জোড়া আকা ছিল “দ্য রিটার্ন অফ দ্য সেইন্ট” এর টিং টিঙ্গে শরীরের ছবি। আমার কীর্তি! এ ঘর টাতে বড়রা কেউ ঢুকতেন না, আমরা সুশীল তিনজনা একে রেখেছি দেয়াল জুড়ে, যা খুসি তা। টিভি তখন অমোঘ নিয়তি! এখনকার মতই তবে সারাক্ষন তো চলত না আর হিন্দি ওয়ালাদেরও অত দাপট ছিল না! সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যান দেখে দেখে কত্ত দুষ্টু ছেলেরা পা হাত যে ভাঙ্গল ইয়াত্তা নেই। দ্য রুটস, বাইওনিক অমেন, জেমেনি ম্যান, বিজে অ্যান্ড দ্য বেয়ার, ডবল ডেকার,অয়ান্ডার অমেন, লস্ট ইন স্পেইস, স্টার ট্র্যাক, হাওয়াই ফাইভ ও, মরক অ্যান্ড মিন্ডি, দ্য অয়াল্টন্স, লিটল হাউস অন দ্য প্রেইরী, হাউ দ্য ওয়েস্ট ওয়জ ওউন, স্ট্রিট অফ সানফ্রানসিসকো কত্ত কি আর ছিল মুভি অফ দ্য উইক। লেট নাইটে হত ডালাস, বড়রা দেখত আমরা মাঝে সাঝে চুপ করে বসে থাকতাম, যেন প্যামেলার দুঃখ বুঝি কিংবা জে আর কি দারুন অভিনয় করছে, তাতেই মুগ্ধ? আর ছিল সলিড গোল্ড! অ্যান্ডি গিভ কি বী জিস গাইলে কথাই ছিল না! পাপেট শো! এখনো দেখতে রাজি! সেসাম স্ট্রিট!! আহা কি রঙ্গিন সময়টাই না ছিল! আমরা যারা মিড সেভেন্টিজ কি আরলি এইটটিজ আমার কেন যেন মনে হয় আমরা বুঝি সবই পেইয়েছির দলে! সেই ছোট্ট বেলার হিল্ম্যান রেডিওগ্রাম থেকে শুরু করে, এল পি, ক্যাসেট পেড়িয়ে টাচ জেনারেশন এ চলে এলাম, বাবার খটখটে টাইপ রাইটারে কত্ত ফিতা প্যাচিয়ে পি এ সাহেবের বকা খেয়ে এখন সারফেস প্রও তে মাউস পিষছি! ভাবলেই ক্যামন এক ব্যাথার মত সুখ জাগে, হারান লেত্তি হারানো লাট্টু,ফেলে আসা আলো ছায়া সময় , কোথায় যে যায়! ভাবি রাস্তাটার শেষটায় যেদিন পউছাব, যেখানে আকাশটা এসে আলগোছে নেমে গেছে, মিশে গেছে ধুলবালিদের সাথে, সেদিন বুঝি জানতে পারব, সময় কোথায় যায়! ছোট্ট যে গেছে সবার আগে বুঝিবা হাত বাড়িয়ে আছে হারানো সময়গুলি নিয়ে! সে আশায় দিন গুনি।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৮

বিপরীত বাক বলেছেন: নদী দিয়ে কি করবেন?
অ্যাপার্টমেন্ট কইরা তাতে ঘুমান আর রাস্তা বানায়া তাতে ডিস্কভার বাইক চালান আর কারখানা বানায়া পেটের ভাত জোটান।।

এত কিছু থাকতে আবার নদী লাগে নাকি?

যদি লাগেও তাহলে গান শুনবেন। অনেক গানে অনেক নদী বয়ে যায়, অনেক কবিতায় অনেক নদী তাদের রুপযৌবনের গল্প শুনায়, অনেক সাহিত্যে- উপন্যাসে কত নদীর পাড়ে কত কাহিনী কথা বলে ওঠে।।

আর বেশি চাইয়েন না।

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৪

রবাহূত বলেছেন: পারফেক্ট!



২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩

নাজমুস সাকিব রহমান বলেছেন: আপনার লেখার হাত ভালো। বানানগুলো একটু চেক করে নিন।

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২১

রবাহূত বলেছেন: ধন্যবাদ! ভাই বানান ভালো কিন্তু টাইপ এ কাঁচা। কিছু বানান ঠিক করতে পারিনা আর তাছাড়া আমি পুরানো বানান রীতিটাই পছন্দ করি, দয়া করে ভুল বানান গুলি ইগনর করুণ, তবে খুশি হব, যদি সময় করে ভুল গুলি ধরিয়ে দিন।

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১

ঘনায়মান মেঘ বলেছেন: শৈশব, জীবনের শ্রেষ্ট সময়। ভাল লাগল।

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: চমৎকার!

৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪

সায়ান তানভি বলেছেন: ভাল লিখেছেন, সবসময় লিখুন।

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

রবাহূত বলেছেন: উৎসাহ পেলাম।

৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫০

বৃতি বলেছেন: চমৎকার লিখা।

৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১০

উল্টা দূরবীন বলেছেন: চমৎকার। ভালো লেগেছে।

৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৯

তিথীডোর বলেছেন: হেব্বি লাগলো লেখাটা!..আমিও সেই সময়েরই..তবে অতিরিক্ত পশ্চিমা টিভী প্রোগ্রাম দেইখা কুট্টিবেলা থেইকাই আম্রিকার ভক্ত ইয়া গেছিলাম গা!..যার পরিনতি ২০ বচ্ছরের প্রবাসী! :-< যাই হউক গা, সুজা কথা- আমরা যারা বন জভি শুইনা, চার্লিস এনজেল গো মতো সইন্ধা বেলায় খোলা উঠানে ডিটেকটীভ খেলা খেইলা বড় হইছি, আমরা গোলডেন টাইম কাটাইছি!..আপসুস, এই জেনরেশনর পুলাপানরা না পাইতেছে খেলার মাঠ (নূন্যতম একটা উঠান!), না সুন্দর টিভী প্রোগ্রাম (স্টার জলসা, হিন্দী কার্টুনের ভূত সারাদেশ জুইড়া ধরছে!), না পড়ে একটা ভাল বই (দিনরাত ঘাড় গুজাইয়া সেলফোন টিপ্যা চোখ,মেরুদন্ড টারে অকাল ক্ষয় কইরা ফেলাইতাছে!).. X((

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২৮

রবাহূত বলেছেন: হেববি থ্যাঙ্কু! খুব ভালো থাকেন! বাচ্চাদের কি যে হবে? যাক ভালো থাকেন।

৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০৯

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া লেখাটা পড়ে মনে হলো আমিও ছোট্ট বেলায় চলে গেছি। আমার ছোট্টবেলাটা একদম এমন না হলেও আমারও কোনো মেঘলা বিকেলে ঘুম ভাঙ্গলে মনে হত বুঝি আরেকটা সকাল হয়ে গেছে। কতদিন টুথব্রাশে পেস্ট লাগিয়ে ভেবেছি এখুনি স্কুল যেতে হবে। :(

আমারো সেই বিকেলগুলোর জন্য হঠাৎ হঠাৎ আজও মন খারাপ হয়ে যায়। আমি ছোটবেলায় বুড়িগঙ্গা দেখিনি তবে এখন তার কালো কুচকুচে পুঁতিগন্ধময় জল দেখলে আমারও মনে হয় এমন হত দরিদ্র কুৎসিত নদী মনে হয় পৃথিবীর আর কোথাও নেই।


টিয়া পাখি গুলো এখন কোন আকাশে ওড়ে!
সেই মেঘময় আকাশ দেখে কোন বালক-মন কি আর অবাক হয়!!
আকাশটা কোথায় গেলে আগের মত অতটা খোলা পাব যেখানে পথের সাথে মিশে গেছে!!!

টিয়াপাখিগুলো এখনও এই আকাশেই ওড়ে। ধোয়াছন্ন কেমিকেল আকাশ দেখে কোনো বালক আর অবাক হয় না আকাশটা বদ্ধ হয়ে গেছে বিল্ডিং বাড়িগুলোর মাথায় মাথায়। এই আকাশে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। কোথাও বুক ভরে শ্বাস নেবার এক ফোটা বিশুদ্ধ বাতাস আর নেই। তবুও এই পঙ্কিলতা, অশুদ্ধতার মাঝেই বেঁচে থাকছে বালকেরা।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩০

রবাহূত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই! আপনার লিখাটিও খুব ভালো! এই ভয়ংকর শহরেই ওরা বেঁচে উঠবে, ভালবাসবে, ভালবাসাতে শিখাবে তারপর একদিন নূতন দিন আনবেই। সেই আশাতেই আছি।

১০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪০

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া কখনও বই লিখলে আমাকে জানাতে ভুলোনা । আমি সবার আগে বইটা কিনতে চাই। কারণ তোমার লেখাটা আমার অনেক ভালো লেগেছে। আমি জানি তুমি যাই লিখবে তাই আমার অনেক ভালো লাগার হবে। আমার কথাটা মনে রেখো। এত গুলো বছরে অনেক অনেক কম লিখেছো ভাইয়া। এখন থেকে লিখবে আমাদের এখানে। অনেক অনেক ভালোবাসা আর শুভকামনা তোমার জন্য।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪১

রবাহূত বলেছেন: আসলেই অনেক কম লিখা হয়, অনেক লিখা হাফডান পরে আছে, আপনাদের প্রসরয়ে উৎসাহ আর সাহস পাচ্ছি।

১১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৫

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লেখা। আপনি মনে হয় লেখক।
+++++

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

রবাহূত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই! না ভাই আমি লেখক না! মাউস পেষা পাতি স্থপতি, তবে আপনাদের ভালবাসায় উৎসাহ আর সাহস পাচ্ছি। ভালো থাকুন।

১২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬

মেহবুবা বলেছেন: বেড়ে ওঠার সময়টা অনুভব করতে পারছি । সেইসব মুভি অব দ্য উইক অনেক মানসম্পন্ন ছিল ।বাচ্চাদের দেখাবার জন্য দোকানেও খুঁজে পাই না ।নস্টালজিক করে দিলেন। সবচেয়ে প্রিয় এখনও লিটল হাউস অন দ্য প্রেইরী ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.