নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রবাহূত

রবাহূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার শৈশব এবং জাদুর শহর। (১১)

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২২


সে বাসায় আমরা খুব বেশিদিন ছিলাম বলে মনে হচ্ছেনা, একটা শীত বুঝি পার করেছিলাম। বাসাটি ছিল একটু ভিড় ভাট্টা এলাকায় আসে পাশে বড় কোন মাঠ টাঠ না থাকায় আমরা খেলতাম পি টি স্কুলের মাঠে। সেটি ছিল প্রাইমারি টিচার ট্রেইনিং স্কুল। খুব সুন্দর আর বিশাল এক খানা মাঠ ছিল ভিতরে। আমাদের ছিল অবাধ যাতায়াত। বিকেলে স্কুল ছুটি হয়ে গেলে ইচ্ছে মত খেলতাম। হয় ক্রিকেট নয় হকি। আর কখন কখন বোম্বাস্টিং। পিটি স্কুলের উল্টদিকেই ছিল ইউসুফ মঞ্জিল, বিশাল বাড়ি আর তাদের বাসা ভর্তি ছিল এক গাদা ছেলে পুলে আমাদের সাথে খুব খেলত। বড় ছোট কোন ব্যাপার ছিল না। কোন একদিন আমরা খেলছিলাম বোম্বাস্টিং। অনেকেই ওই দিন খেলছিল, একটু বড়রাও খেলছিল আমাদের সাথে। জমজমাট খেলা চলছে, নো মারসি, এক একজন এক একজনকে একদম এমন মারছে আর বলবার নয়। মিলন নামে একটা ছেলে ছিল আমাদের থেকে একটু বড়, খেলতে খেলতে একবার আমি কায়দা মত মিলন কে পেলাম আর একদম পিঠ বরাবর মারলাম, একদম জ্বালাময়ী একখানা! বেচারা পড়িমরি করে পালাল। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, খানিক বাদে বল মিলনের হাতে আমি টার্গেট, এঁকে বেঁকে দৌড়ে পালাতে গিয়ে গেলাম পড়ে। আমি মাটিতে চিৎ হয়ে পরা, বল হাতে মিলন আমার পায়ের কাছে, ঝকঝকে নীল আকাশের ব্যাকগ্রাউন্ডে তার মুখটাই শুধু আমি দেখছি, জ্যাঠা ছেলেদের যেমন হয়, ব্রন ব্রন মুখ, ঈষৎ কোঁকড়া মোটা চুল ব্যাকব্রাশ করা, বড় বড় দুটি চোখ, ভুরু নাচিয়ে নাচিয়ে বলছে “এখন!””এখন!” কিন্তু কি আশ্চর্য মিলন আমাকে মারল না, পাশ দিয়ে ছুটে যাওয়া কেউ একজন কে মারল! জীবন সত্যি এক বিস্ময়! যার কাছ থেকে আঘাত পাবো বলে নিশ্ছিদ্র বুহ্য গঠন করি, সেই হয়ত দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে জড়ায় মায়ায়। আর যাকে আর্গল খুলে কাছে টেনে নেই, সেই হয়ত নিঃশব্দে হরণ করে বিশ্বাস! যে ছেলেটিকে হয়ত বিশেষ ভাল চোখে দেখতাম না, লুকিয়ে বিড়ি কি সিগারেট খেত কিংবা বয়সের ভাঙ্গা গলায় গাইত গান “ক্যায়সে বানি ক্যায়সে বানি”...তার মনের সে সহজ কোমলতা সহসা আমাকে আচ্ছন্ন করে ফেলল। হাত বাড়িয়ে দিল উঠবার জন্য। হয়ত ছোট বলে মারেনি। কিন্তু এ ঘটনাটা আমার মনে বেশ একটা ছাপ রেখে গেছে। গোর্কির এক খানা বই আছে “পৃথিবীর পাঠশালা”! এই পাঠশালায় শিক্ষার শেষ নেই। নেই কোন আদি অন্ত! নিজেকেই বুঝে নিতে হবে কি শিখবো, আর কি করবো পরিত্যাগ। এ এক সীমাহীন আনন্দময় যাত্রা। ঘাস ফড়িঙ্গের উড়ে যাওয়া যেমন সহজ, পত্র পল্লবের বেড়ে উঠা যেমন সহজাত, এর পাঠ এবং পাঠ্যক্রম তেমনি সহজ, সুন্দর, সহজাত। তেমনি কত মানুষ এই জীবনের খোলা বই এ লিখে যায় নিঃশব্দে কত কথকতা! যেমন এক জনের কথা মনে আছে বেঁটে খাট বেশ গাট্টাগোট্টা, দাঁড়ী গোঁপ আর গাল পাট্টায় বেশ জমাটি চেহারা। রোজ সুবেহ সাদিকে চোঙ্গা হাতে সবাইকে ডাকতে ডাকতে সে যেত ‘ও ভাই উঠুন, তাড়া তাড়ি উঠুন, ফজরের নামাজের সময় হইয়াছে”। কি এক অদ্ভুত সুরে ডাকতেন তিনি, সে সুর আমার এখনো মনে আছে। আরেকটা মজার জিনিষ শিখেছিলাম পাহাড়িদা’র কাছ থেকে, আমার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের টিচার ছিলেন তৃপ্তি‘দি, তাঁর বড় ছেলে এই পাহাড়ি‘দা প্রায়ই দেখতাম সে মোটর বাইক চালাচ্ছে, অদৃশ্য সে বাইক! এক পা তুলে সিটের ওই পারে পাটা নিত, কিক দিয়ে স্টার্ট করত, তারপর এক্সেলেরসন দিয়ে শুরু হত সে যাত্রা, আর মুখে থাকত বাইকের ব্রুম ব্রুম শব্দ, স্পিডের সাথে করত উঠা নামা আর মাঝে মাঝে হর্ন দিত। আমি খুব মজা পেয়েছিলাম। চালিয়েছিলাম দিন কতক।

এমনি আরও কত চূর্ণ বিচূর্ণ স্মৃতিরা আছে জমে। ভেঙ্গে যাওয়া চিনে মাটির তৈজস হেন জোড়া দিয়ে গড়তে থাকি যদিও আর পায় না সে পেলব আকৃতি, কিন্তু মোজাইকের নীল, সাদা, সবুজের এক মায়া রূপ পায় ধীরে। মোজাইকের ছবি যেমন কাছে দূরে সরে সরে দেখলে ফুটে উঠে তেমনি, এক মায়ার খেলা। আমার সে শৈশবে, আমার সে কৈশরেই আমি আটকে আছি কিংবা কে জানে সে স্বাদু সময়ই বুঝি আমাকে অতিক্রম করে গেছে সেই তখনই। জানি না এমন কারুর হয় কিনা ! কি যে এক কুহক, কি যে এক ধোঁয়াশা, কি যে এক মায়া, ঘিরে রাখে, ঘিরে রাখে, ঘিরে রাখে।

আমাদের বাসা ছিল রাস্তার ধারে, বারান্দা থেকে নামলেই রাস্তা, রাস্তা পেরুলেই, স’মিলের কাঠের গোডাউন, তার পাশ ঘেসে গেছে ইট, সুরকির লালচে ধূলিময় এক রাস্তা, সোজা গিয়ে পড়েছে নরসুন্দা নদে, তখনই প্রায় হাজা মজা অবস্থা, সেখানে একটা প্রচীন ঘাট ছিল। চ্যাপ্টা চওড়া ইটের, লালচে কমলা। ওদিকটায় যেতামই না প্রায়। কিন্তু ওদিকের কোন এক বাড়িতে দুটি ছেলে মেয়ে থাকত, অনেক গুলো ভাই বোনেদের ছোট দুটি ভাই বোন, কিছুটা বুঝি অবেহেলিত ছিল। গোল গোল গাল ফেটে চৌচির হয়ে থাকত, আমার বোনেরা ডেকে গালে ভেসলিন কি ক্রিম মেখে দিত। বহু যুগ পরে শীর্ষেন্দুর “আশ্চর্য ভ্রমণ” পড়ি, সে লেখায় যে বালকের ছবি আঁকা আছে তা একদম সেই ভাই কিংবা বোনটির মুখ। লালচে ফাটা ফাটা গাল, ঈষৎ তেলহীন লালচে জটা চুল। নাক দিয়ে গড়িয়ে পরা সিকনি! কি আশ্চর্য! কি “আশ্চর্য ভ্রমণ”। জীবন আসলেই এক আশ্চর্য ভ্রমণ!

সে বাসায় আমাদের রোদ তেমন ঢুকত না, কেমন মন খারাপ যেন ছিল বাসাটির, শোবার ঘরের জানালা খুললেই কোনাকুনি বড় রাস্তা দেখা যেত বলে জানালা পুরোটা খুলতে পারতাম না। জানালার নিচের অংশটুকু বন্ধই থাকত, আর উপরের অংশটুকু খোলা। ফ্যাকাসে নীল কাঠের কপাট, শিকের গরাদ, স্প্রিং দিয়ে লাগান পর্দা,এই ছিল আলো আসবার পথ। আজ কাল অমন আর দেখি না। কিন্তু কলঘরটি ছিল চনমনে, দেয়াল দিয়ে ঘেরা উপরটা খোলা, ঝকঝকে আকাশটা যেত দেখা, ভাদ্রের চড়া রোদে শুকিয়ে ঠনঠনে হয়ে থাকত, শুধু যে দেয়াল্টায় রোদ পড়ত না সেখানে জমে থাকত ভেলভেটের মত শ্যাওলা। সেবার কোন এক দীর্ঘ ছুটিতে ছিল আমাদের বাবুর্চি, বিমাতাও তাঁর বাবার বাড়িতে, আমরা ছোট তিনজন আর বাবা বাসায়। স্কুল কি জন্য যেন ছুটি ছিল। বাবা ঠিক করে দিলেন সকালের নাস্তা আমার দায়িত্ব, দুপুর দুবোনের আর রাতের রান্না বাবার নিজের। বেশ একটা সাজ সাজ রব পরে গেল। মেনু কি হবে চিন্তা ভাবনা চলছে। সকালে আলু ফুলকপি ভাজি, গরম ভাত আর ঘি। আমি বরাবর সকালে উঠতাম। আর কাজের বাহাদুরি পাবার আশায় আরও আগে উঠে সব কেটে কুটে, ধুয়ে, ভাত বসালাম হিটারে, রান্না ঘরের উনুন ধরানোটা আমাদের স্কোপ অফ ওয়ার্কের বাইরে ছিল, বাবুর্চির অবর্তমানে তাই হিটার এসেছিলো, অনেকেই হয়ত চিনবেনা আজ কাল। গোল মত একটা পাত্র বিশেষ যার ভিতরে কয়েল থাকত, প্লাগ লাগিয়ে সুইচ অন করলে মুহূর্তে গনগনে লাল হয়ে উঠত কয়েল। কখন কখন কয়েল ছিঁড়লে, জোড়া দিতাম, লাইন চেক করতাম টেস্টার দিয়ে বেশ একখান কাজ করবার মত বিষয় ছিল। তো এহেন হিটারে ভাত বসিয়ে কিছু একটা কাজ কারবার করছি, হঠাৎ দেখি, ভাত উতড়ে উতলে পড়ছে, হাতের কাছে কিছু না পেয়ে খালি হাতেই ঢাকনা গেছি সরাতে, যেই না ধরলাম, অমনি বিশাল এক ঝাঁকি। এমন বোকার মত কান্ডটা হল, কাউকে আর বলিনি পরে, তবে সেদিনের রান্নার তারীফ কিন্তু করেছিল সবাই। তার পরপরই বাবা নিয়ে এসছিলেন কেরসিন স্টোভ, কেরসিন ভরে পাম্প করতে হত খুব, তারপর একদিক দিয়ে হিস হিস শব্দে জ্বলে উঠত সেটি, বেশ একটা টেকনিক্যাল ব্যাপার স্যাপার ছিল, পিন দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হত, মাঝে মাঝে ট্যাঙ্কের ওয়াসার ঠিক করতে হত। বেশ একখান জমাটি ব্যাপার। বাবা সন্ধ্যায় তাড়াতাড়ি ফিরতেন, বানাতেন ভেজেটেবল স্যুপ, শীতের সব সব্জি দিয়ে। আর মাংস যা রেঁধেছিলেন, এখনো বুঝি সে স্বাদ মুখে লেগে আছে। তবে মুশকিল হত, খাবার সময়, একের পর এক ট্রান্সলেসন জিজ্ঞেস করতেন, আর খুবই সহবতের সাথে খেতে হত। যাকে বলে টেবিল ম্যানারস, যা মানুষে পয়সা দিয়ে শেখে তাই আমাদের ঘরে ট্রেইনিং হয়ে যেত। শুধু তাই না বাবার সাথে বাজারে গেলে অবশ্যই তিনি ছোট হলেও একখানা ব্যাগ ধরতে দিতেন আমাকে। এভাবেই জীবনের বোঝা বইবার শিক্ষা উনি আমাকে দিয়েছেন। তাই জীবনের কোন বাঁকে এসেই থমকে দাঁড়াতে হয়নি। পরিবার সবচেয়ে বড় ইশকুল। আর সে কোমল বয়সে যা মানুষ শেখে তাই সারা জীবন রয়ে যায় মনে। সবচেয়ে বড় যে শিক্ষাটি উনি রেখে গেছেন তা হল মানিয়ে নেয়া আর সততা।

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবন এত ছোট কেন? চোখের পলকে বুঝি পেরিয়ে এলাম, এতটা পথ! সময়, হারিয়ে যাওয়া সময়, খুব মিশে থাকে যাপিত জীবনের ঠাস বুনটে, চোর কাঁটার মত, কোমল মায়ায়। মানুষ কত দূর যাবে? নিজেকে কি পারে ছাড়িয়ে যেতে? ফিরে দেখা শুধুই পিছুটান, জানি। “মাঘের এই অন্তরঙ্গ দুপুর বেলায়, না শোনা গল্প পুরন, মনে পরে যায়, এক দমকা হাওয়ায়”। রোদ চশমা আর কতটা পারে আড়াল করতে ভিজে ওঠা চোখ, এই ব্যস্ত নগরে। আজকের আবহাওয়া পূর্বাভাস যাই দিক না কেন, এমন দিন বড় বিরল, মাঘেই আজ বসন্তের বাউরি বাতাস, সব এল মেল করে দিচ্ছে, কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি, কোথাও একটি কোকিল ডেকে উঠেছে, এমন বিরল মুহূর্ত বুঝি আসে না সহসা। অনেক আগে অন্য কোথাও অন্য কোন মায়ার শহরে, এমনই “উদার বন্ধু বাতাস” অসহায় আমায় করেছিল ঘায়েল। সে শহরে নদ ছিল রহস্য গভীর। যে বাড়িটিতে ছিলাম অতিথি, দিন দুয়েকের জন্য আমার জিম্মায় সব রেখে তারা গিয়েছিলেন আরও বড় শহরে। আমি নিশ্চল বসে ছিলাম কোন এক সকালে বারান্দায়। সে ছিল বসন্তের উষ্ণ সকাল। ঝকঝকে নীল ছিল আকাশ, সহসা কাছে, নাকি দূরে ডেকে ছিল কোকিল সেইসব উদাসী দিন গুলির সব শব্দ বিদীর্ণ করে ডেকে ছিল, “এমন বিরল মুহূর্ত বুঝি একবারই আসে”। অসহায় আমায় করেছিল ঘায়েল সে কোকিল, সে কি বিষণ্ণ মধুর। আমি ছিটকে বেরিয়ে আসি ব্যস্ত শহরে, কেউ আমার চেনা নয়, আমিও চিনিনা কাউকে, শুধু জানি আমাকে কোথাও যেতে হবে, খোলা আকাশ চাই, চলে যাই সে রহস্য নদের কাছে, পথে কিনে নেই আড়বাঁশি এক খানা। গুদারা পেরিয়ে নেমে যাই নির্জন চরে। কি ধূধূ সে চর! কুমারী সে দ্বীপে বুঝিবা এই প্রথম নেমেছে কেউ, এঁকেছে পদচিহ্ন, মনে হয় বুঝি এ বিশ্ব চরাচরে আর কেউ নেই, কেউ নেই, কেউ নেই। কি ভীষণ একলা একা, আর তেকোনা জেগে উঠা চরের শেষ মাথাটি বুঝি পৃথিবীর শেষ প্রান্ত তারপর বুঝি আর কিছু নেই। কি প্রপঞ্চ! কি প্রপঞ্চ!!

দীর্ঘ প্রহর বসে ছিলাম, ঘোর লাগা। ফিরে আসি ছায়ারা যখন দীর্ঘ হতে শুরু করে, সে অভিজ্ঞতার কথা এক বন্ধুকে লিখেছিলাম কিন্তু সে চিঠি, এখনো বাকসো বন্দি নেপথলিন গন্ধি দেরাজে। সে বন্ধু টরেন্টর আলো ঝলমলে শহরে এখন, সে চিঠি আর পৌঁছেনি তার হাতে। আমি মাঝে মাঝে পড়ি, দিনটির কথা ভাবতে বড্ড ভাল লাগে। বুঝি এমনই কোন কুহক টেনে নিয়েছিল লুম্বিনির সিদ্ধার্থকে! প্রতিটি মানুষেরই বুঝি আছে এই বিবাগী এক রূপ, সংসার রসে টইটম্বুর জীবনেও মন পালাই পালাই করে। নিজেকে আটপৌরে জীবনে আটকে রাখে মায়া, পুত্র, কন্যা, পরিবার, অভ্যাস। এ এক অদ্ভুত মায়া!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বোম্বাস্টিং !! ভুলে যাওয়া একটি খেলা।। টেনিস বল দিয়ে।। বেশ কিছুক্ষন স্মৃতিতে মগ্ন।। খেলার সাথে জড়িয়ে আপানার মতই অম্ল-মধুর স্মৃতি।। জানি না, সেই সময়ের প্রিয়মুখ গুলি কোথায় কেমন আছে।।
অসংখ্য ধন্যবাদ এমন করে ফিরিয়ে দেয়া দিনগুলির জন্য।।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

রবাহূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লিখাটি পড়বার জন্য!

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২১

তানভীর রাফি বলেছেন: স্মৃতি রোমন্থন!

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

রবাহূত বলেছেন: স্মৃতি রোমন্থন! তাই তো ভাই!! অনেক ধন্যবাদ লিখাটি পড়বার জন্য!

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:০৪

আশফাক ওশান বলেছেন: অনেক সুন্দর।হারিয়ে যাওয়া দিনগুলি মনে পড়ে গেল

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

রবাহূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লিখাটি পড়বার জন্য!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.