![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসুন মানুষ কিভাবে তৈরী হল আজ সে গল্প জানি। তখনকার পৃথিবী ছিলো একদম প্রাণীশূন্য। প্রমিথিউস ও তার ভাই প্রচণ্ড একাকীত্ব ভোগ করছিলো। তখন জিউস তাদের অনুমতি দিল প্রাণী বানাবার। তারপর থেকে প্রমিথিউস ও তার ভাই শুরু করল বিভিন্ন স্থানের মাটি দিয়ে বিভিন্ন পশুপাখি ও মাছ বানানো। প্রমিথিউস তার ভাইয়ের চাইতে সবসময় তুলনামূলক জ্ঞানী ও সৃজনশীল ছিলো। তাই সে সাধারণ পশুপাখি বানাবার বদলে আরো মহৎ কোনো প্রাণী বানানোর কথা ভাবল। যে ভাবা সেই কাজ। প্রমিথিউস পৃথিবীর সবচাইতে শ্রেষ্ঠ মাটি স্বচ্ছ পানিতে গলিয়ে প্রাণী বানাতে শুরু করলো। এই প্রানীগুলোকে তাদের দেবতাদের ইমেজে বানালো হল; অর্থাৎ দেবতাদের আকৃতি প্রদান করলো এবং তাদের নাম দেয়া হল মানুষ। মানুষ বানানো হয়ে গেলে জ্ঞানের দেবী এথেনা দেখে মুগ্ধ হয়। এবং সে ফুঁ দিয়ে মাটির তৈরী মানুষগুলোর মাঝে প্রাণসঞ্চার করে।
মানুষ বানাবার পর জিউসের সাথে চুক্তি হল যে মানুষ বাদে অন্যান্য সব প্রাণীদের বিভিন্ন দেবতার নামে উৎসর্গ করা যাবে এবং উৎসর্গের পর অবশিষ্টাংশ মানুষের জন্য থাকবে। এখন কতটুকু উৎসর্গ করবে এবং কতটুকু মানুষের ভাগে পরবে তা নির্ধারণ তার জন্য মিসোন নামক স্থানে একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল প্রমিথিউস। এই অনুষ্ঠানটি গ্রীক মিথলজির এক অনন্য ঘটনা। এটা ট্রিক এট মিসোন (Trick at Mecone) নামে পরিচিত। এখানে জীর্ণ একটি গাভীর পাকস্থলীর ভেতর ষাঁড়ের উৎকৃষ্ট মাংস রেখে গাভীটিকে বিচ্ছিরিভাবে ময়লা করে, অনুৎকৃষ্ট প্রাণীদেহের অংশ দিয়ে আবৃত করে। অন্যদিকে বিভিন্ন প্রাণীর হাড়গোড় ও চর্বি একত্রিত করে তাদের খুব চকচকে করে এবং সুন্দর করে উপস্থাপন করে প্রমিথিউস। জিউস সেখানে আসলে প্রমিথিউস তাকে বলে যেকোন একটি বেছে নিতে। প্রমিথিউসের ধোঁকায় পড়ে জিউস চকচকে দেখতে হাড়গোড়কেই বেছে নেয়। ফলে এরপর থেকে এটা নিয়ম হয় যে মানুষ প্রাণী উৎসর্গের পর মাংস রেখে দিয়ে চর্বি ও হাড়গোড় আগুনে পুড়িয়ে উৎসর্গ করে দেবতাদের অনুগ্রহ পেতে পারবে।
২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭
আর্বনীল বলেছেন: সামনে আরো জানবেন.।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ! বেশ মজার কাহিনী তো!!!
ট্রিকটাও সেইরকম
+++
২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৩৬
আর্বনীল বলেছেন: পৌরনিক ব্যাপারগুলো এমনই.।
৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:২৭
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: পোস্ট বেশ ভালো লাগলো। গ্রিক মিথ পড়তে সব সময় দারুণ লাগে। মানুষ কিন্তু ভুলে যায় নি প্রমিথিউসকে। জিউসের ঈগলকে হত্যা করে প্রমিথিউসকে অসহনীয় বন্দী দশা থেকে ঠিকই মুক্ত করে আনে হারকিউলিস।
মিথের পোস্টে কিছু ছবি সংযোজন করলে ব্যাপারটা চমৎকার হয়
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল
২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:২৯
আর্বনীল বলেছেন: এই পোষ্টে ছবি সংযুক্ত করার মত তেমন আকর্ষনীয় কিছু পাইনি.।
প্রমিথিউস হারকিউলিস এদের টুকটাক গল্পও সামনে আসবে।।
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:১২
দ্বিধাকাব্য বলেছেন: ধনেপাতা! জেনে মজা পেলাম~
৩১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৩৯
আর্বনীল বলেছেন: ঃ)
৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:২৭
গগণজয় বলেছেন: দারুন!!
৩১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৩৯
আর্বনীল বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:০৫
আলী আকবার লিটন বলেছেন: আমার বাচ্চারা গত কয়েকদিন থেকে ঘুমাচ্ছে না । এই কিচ্ছাটা ওদের ঘুম পাড়াতে বিরাট সাহায্য করবে...
৩১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৩৬
আর্বনীল বলেছেন: যাক পোষ্ট করা সার্থক.।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:

মানুষ তৈরীর গ্রিক মিথোলজিটা জানা ছিল না।
জানতে পারলাম।
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।