আপা-ভাবীদের আড্ডা !!!

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

আপা-ভাবীদের আড্ডা দেখলে মনে হবে তারা বোধহয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলাপে ব্যস্ত। কিন্তু আলোচনার বিষয়বস্তু শুনলে সবাই অবাক হবেন। আপা-ভাবীদের প্রতিদিনকার আড্ডার ডায়লগের হুবহু অংশবিশেষ আপনাদের জ্ঞাতার্থে তুলে ধরলাম:



তুলি ভাবী (বিস্ময়ে চোখ বড় বড় করে): ডলি আপা! আপনাকে দেখতে এত স্লিম লাগছে আজ! গতকালও কী এই পিংক কালারের ড্রেসটা পরেছিলেন?



ডলিআপা (মুখ বেজার করে): না..রে ভাই.. গতকাল ঢলঢলে ফুল হাতা একটা ব্রাউন ড্রেস পরেছিলাম। ড্রেসটা দেখলেই মেজাজ খারাপ হয়!



তুলি ভাবী: আজ কিন্তু আপনি হাফ এ্যান আওয়ার লেইট। সে কখন থেকে ওয়েট করছি।এত দেরী যে?



ডলি আপা: আর বলবেননা ভাবী! জীবনটা ঝালাপালা হয়ে গেল। আজকে এই ড্রেসটা পরে বের হচ্ছি, এমন সময় আমার উনি পেছন থেকে চিৎকার! হায় হায় করে চেচাচ্ছে-আমার হাত, পিঠ নাকি দেখা যাচ্ছে। আমি উত্তর দিলাম এটা স্লিভলেস-ফিটিং ড্রেস, দেখাতো যাবেই, তোমার প্রবলেম কী? “গতকাল তোমার কথায় ঢলঢলে বিচ্ছিরি ড্রেসটা পরে যাওয়াতে ভাবীরা আমাকে ফ্যাটি বলেছে।” আমি সাফ জানিয়ে দিয়েছি, এখন থেকে আমার ড্রেস-আপের ব্যাপারে তুমি নাক গলাবেনা। সেই বিয়ের পর থেকেই এই লোকটা আমার পেছনে লেগে আছে। খাওয়া-দাওয়া, ড্রেস-আপ, ফ্রেন্ড, শপিং , সবকিছুতে তার কথা বলা চাই। এমনকি আমার পার্সনাল ড্রাইভার পর্যন্ত সে চুজ করে দেবে, তাও আবার বয়স্ক ড্রাইভার হওয়া চাই। বলেনতো ভাবী, এই লোকটাকে আমি কিভাবে সহ্য করি!



তুলি ভাবী: তাই নাকি আপা! সো.. স্যা..ড। আপনি এই লোকটার সাথে সংসার করেন কিভাবে? আমাকে দেখেন, বিয়ের আগেই ওর সাথে আমি কথা বলে নিয়েছি, আমার পর্সোনাল লাইফে সে নাক গলাবেনা। আমাকে কোন কিছুতে ফোর্স করতে পারবেনা। এখনতো এমন হয়েছে আমার কথা ছাড়া অফিসের কোন বিজনেস ডিল করতেও সে ভয় পায়। আর অফিস থেকে বাসায় ফেরার পরতো ওকে আমি রিমোট দিয়ে চালাই ।



ডলি আপা: সে যা-ই হোক, আমি মনে মনে একটা ডিসিশন নিয়ে রেখেছি। মিনির বিয়ে দেব হাবাগোবা একটা ছেলের সাথে। মিনির কথায় উঠবে আর বসবে। ছেলেরা বেশি বুদ্ধিমান হলে সমস্যা। আমি যেভাবে পস্তাচ্ছি, মিনির বেলায় কিছুতেই তা হতে দেবনা।



প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা, এই মিনির হাসব্যান্ড কে হবে আমি তা জানিনা তবে তার জীবনটা যে তেজপাতা হয়ে যাবে, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। এই আপা-ভাবীদের হাজবেন্ডরা কী জানেন তাদের প্রিয় স্ত্রীগণ কীভাবে তাদের সুনাম করে বেড়ায়!!

২ টি +২/-০