নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

be proud with homeland

রবিন আলম

রবিন আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

হায় তরুণ প্রজন্ম!!! সরকার দেয় তোমাদের নিরাপত্তা!!!

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্লগারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও গোয়েন্দা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন । বিশেষ করে ১৯ জন ব্লগারের নাম উল্লেখ করে তাদের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে নির্দেশপত্রও পাঠানো হয়েছে। ব্লগারদের নিরাপত্তা দেয়াতে ব্লগাররা খুশি হলেও আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম, সিরাজ শিকদারের নিরাপত্তার অভাবে মৃত্যুর রহস্য মনে পড়াতে।



সিরাজ শিকদারকে আমরা সবাই চিনি। বিশেষ করে তার রহস্যজনক করুণ মৃত্যুর কারণে! ব্লগার থাবা বাবার চেয়ে কম করুন ও পৈশাচিকভাবে তাকে হত্যা করা হয়নি।



সিরাজ শিকদার ১৯৬৮ সালে 'পূর্ব বাংলা শ্রমিক আন্দোলন' গঠন করেন। তার উদ্দেশ্য ছিল দেশকে স্বাধীন করা, তবে তা শুধু পাকিস্তানী শোষণ থেকে নয়। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ, ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক আধিপত্য এর বিরুদ্ধে। মার্কস- এর আদর্শে উদ্বুদ্ধ সিরাজ শিকদার সাম্রাজ্যবাদ ও অর্থনৈতিক শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। দেশকে সাম্রাজ্যবাদ ও শোষণমুক্ত করার জন্য ১৯৭১ সালের ৩ জুন 'পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টি' গঠন করেন তিনি। কেননা, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এই মুক্তিযুদ্ধ একটি প্রক্সি ওয়ার ভিন্ন, অন্য কিছু নয়। এর বেনিফিট পাবে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বা সোভিয়েত ইউনিয়ন। তাই তিনি উদ্দেশ্যহীন মুক্তিযুদ্ধ না করে আদর্শভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে নতুন আন্দোলন শুরু করেন এবং বরিশাল অঞ্চলে তার বিপ্লবী সমাজ গঠনের স্বপ্ন দেখেন। এর পরই তিনি হয়ে ওঠেন শেখ মুজিবুর রহমানের শত্রু। স্বাধীনতার পরে তার আন্দোলন বিস্তার লাভ করে চট্রগ্রামে।



তাকে চট্রগ্রামের হালি শহর থেকে গ্রেফতার করা হয় শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে এবং পুলিশি হেফাজতে ১৯৭৫ সালের ২ জানুয়ারী নির্মমভাবে অত্যাচার করে হত্যা করা হয়। এর পর শেখ মুজিবুর রহমান সংসদে দাড়িয়ে গর্বভরে বলেছিলেন, 'সিরাজ শিকদার এখন কোথায়?'



শাহবাগ চত্ত্বরের তরুন প্রজন্ম- যার নেতৃত্বে রয়েছে সিরাজ শিকদারের উত্তরসূরীরা; সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদ ইস্যুতে নিশ্চুপ কেন তারা? রাজিব আহমেদের হত্যাকারীর বিচার দাবী করছে সবাই, সিরাজ শিকদারের হত্যাকারীর বিচার দাবী কেন করা হচ্ছেনা। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের প্রোডাক্ট-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যদি হতে পারে, সিরাজ শিকদারকে যার নির্দেশে হত্যা করা হয়েছে তার বিচার কেন হবেনা?



আমাদের তরুণ প্রজন্ম কী তাহলে আবারও লেজুরবৃত্তির উদাহরণ তৈরি করবে শাহবাগ চত্বরে? সমগ্র দেশ যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচরের দাবীতে সোচ্চার, ঠিক তখনই দেশের সীমান্তে হত্যা করা হচ্ছে দেশের নীরিহ নাগরিকদের। একই সময়ে সরকার সেই হত্যাকারীর (সালমান খুরশিদ) সাথে বৈঠক করছে, সীমান্ত হত্যার বিচার না চেয়ে। বঙ্গোপসাগরের ১২টি গ্যাস ব্লক মার্কিন কোম্পানিকে দেয়ার পাঁয়তারা চলছে। টিকফা ও আকসার কথা বাদই দিলাম।

কোথায় সেই সিরাজ শিকদারের উত্তরসূরীরা? অগ্নিকন্যা লাকির বজ্রকন্ঠ কেন মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের ভীত নাড়ায়না? শাহবাগের ব্লগাররা কেন সিরাজ শিকদারের নির্মম হত্যার বিচার চাইছেননা?



হায়রে তরুণ প্রজন্ম!!! হায়রে শাহবাগ চত্বর!!! তুমি ইতিহাস হবে একদিন। সিরাজ শিকদারের হত্যার ইস্যুতে তোমার নিরবতার জবাব তোমাকে দিতেই হবে সেইদিন। সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদের কাছে মাতা নত করার কারনে ইতিহাসের কাঠগড়ায় তোমাকে দাঁড়াতেই হবে একদিন।



হে তরুণ প্রজন্ম....তুমি কি তোমার নির্লজ্জ ভূমিকার জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.